রম্যগদ্য
জাঁ-নেসার ওসমান
“কি রে ভাই এই বেইন্না ফজরত এতো জামদানি শাড়ি আমদানি করতাছেন? ব্যাপারটা কী?”
“না এমন কিছু নয়। ‘বিশ্বের প্রেসিডেন্ট’ জনাব ডোনাল্ড ট্র্যাম্প প্রায় ত্রিশ মিলিয়ন ইউ এস ডলার পাঠাইতে পারেন সেই জন্য এই সব জামদানির আমদানি।”
“বিশ্বের প্রেসিডেন্ট জনাব ডোনাল্ড ট্র্যাম্প হ্যায়নি আন্নেরে প্রায় ত্রিশ মিলিয়ন ইউ এস ডলার পাঠাইবো! হ্যারে কি পাগলা কুত্তা বাইট করছেনি!”
“হেঃ হেঃ বুঝলি না আঙুলটা ইকটু বাঁকা করাতেই ত্রিশ মিলিয়ন ইউ এস ডলার, সকলই তোমারই ইচ্ছা, ইচ্ছাময়ী তারা তুমি, তোমার কর্ম তুমি কর মা, লোকে বলে করি আমি...”
“আরে অকাট মূর্খ, তুই শুনিসনি ক’দিন আগে বিশ্বের প্রেসিডেন্ট জনাব ডোনাল্ড ট্র্যাম্প উনত্রিশ মিলিয়ন ইউ এস ডলার বাংলার দুই ভাগ্যবান সন্তানকে পাঠিছেন?”
“হ,হ, হ্যেইডাতো হুনছি। বিগত স্বৈরসরকাররে ফ্যালানের রিওর্য়াড মানে উৎসাহব্যাঞ্জক ভাতার লাই বিশ্বের প্রেসিডেন্ট জনাব ডোনাল্ড ট্র্যাম্প উনত্রিশ মিলিয়ন ইউ এস ডলার দিছেন।”
“তো! আমার বেলায় ত্রিশ মিলিয়ন হোইলে তোর অসুবিধা কোথায়! তুই তো আর টাকাটা দিচ্ছিস না!”
“ভাইডি ত্রিশ মিলিয়ন ইউ এস ডলার, আঁর চৌদ্দগুষ্টিরে এক লগে বাঁধি, চৌদ্দবার বেঁচলেও ত্রিশ মিলিয়ন ইউ এস ডলার হোইতো ন, বুজলেন নি!”
“তাতো বুঝলাম তোর মতো পানিওয়ালির পোলাদের চৌদ্দবার কেনো আঠাশবার বেঁচলেও ত্রিশ মিলিয়ন ইউ এস ডলার হবে না, সে আমি জানি, কিন্তু আমি যে চালটা চালছি সেটা যদি লাই¹া যায় তাহোলে আর পায় কে! বুঝতে পারছিস বিশ্বের প্রেসিডেন্ট জনাব ডোনাল্ড ট্য্রাম্পের দেয়া ত্রিশ মিলিয়ন ইউ এস ডলার। তখন জানিস এই টাকা আমি কোন ব্যাংকে রাখবো তার জন্য বড় বড় ব্যাংকের চেয়ারম্যানরা এসে আমার বাড়ীতে বড় বড় পাজেরো গাড়ী নিয়ে হুমড়ি খেয়ে পড়বে। আর আর.এম.টা কে নিবে এই নিয়ে ইনর্চাজ আর সাধারণ কর্মীর ফাইট... উহ্ সে এক বিতিকিচ্ছিরী কা- হৈ হৈ রৈ রৈ পড়ে যাবে।”
“সবইতো বুইজবার পারতাছি, ব্যেবাগ ব্যাংক আন্নের দুয়ারে খাড়া, মাগার কোশ্চেন ইজ, জনাব ডোনাল্ড ট্র্যাম্প আন্নেরে ত্রিশ মিলিয়ন ইউ এস ডলার দিবো ক্যান?”
“হেঃ হেঃ বুঝলি না আঙুলটা ইকটু বাঁকা করাতেই ত্রিশ মিলিয়ন ইউ এস ডলার, সকলই তোমারই ইচ্ছা, ইচ্ছাময়ী তারা তুমি, তোমার কর্ম তুমি কর মা, লোকে বলে করি আমি...”
“এ্যতোক্ষণ হুনলাম বিশ্বের প্রেসিডেন্ট, অক্ষন আবার হুনি, মা’তারা, আঁরতো ব্যেগুন ভজঘট লাগের দে?”
“ভজ ঘটঁর কি আছে, শুধু মা’তারা নয় হবে মা’জারা...”
“ওম্মামারে, শ্যামা সঙ্গিতে মা’তারা আইবো নাতো কি, মা’জারা, আন্নে আঁরে ঠাইট মারি হালান, বিষয়তো আঁই কিছুই বুজবার পাচ্চিনাযে?”
“এতে না বোঝার কি আছে! আমি সকালে উঠে মা’ জারা রহিমকে ফোন করে বললাম; জানিস তো জারা রহিম কে?”
“না, হ্যার নামতো কুনো দিনও হুনি নাই, আঁই বড় জুর জীরা পানির নাম হুনচি, কিন্তুক জারা রহিমের নাম হুনি নাই!”
“ জ্বী, মিস জারা রহিম হচ্ছেন, বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত মি. মামদানির নির্বাচনী প্রচারের নেপথ্য কুশলী। আমি সেল ফোনে জিজ্ঞেস করলাম, “ম্যাডাম কী করলে বিশ্বের প্রেসিডেন্ট জনাব ডোনাল্ড ট্র্যাম্প খুশীতে বাগবাগ হবেন?”
“ জারা রহিম বাংলাদেশের নাম শুনে খুশীতে বাগ বাগ, আমাকে বললেন শোনো জোহরান মামদানি যখন ডোনাল্ড ট্র্যাম্পকে বললেন, র্টান দি ভল্যিউম আপ, ব্যাস ট্র্যাম্প খেইপ্পা লাল। লগে লগে ’কনজেশন প্রাইসিং’এর বাজেট বন্ধ আর সেই টাকাটা এখন বাংলাদেশে এই তোর সামনের ভেড়ামারা সুযোগ্য সন্তান জনাব আব্দু মিয়া, ট্রেনের হকার ত্রিশ মিলিয়ন ইউ এস ডলারের মালিক হোতে যাচ্ছেন।”
“কিন্তু প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্র্যাম্প আপনেরে ত্রিশ মিলিয়ন ইউ এস ডলার দিবো ক্যান? ক্যান?”
“আরে বেকুব এম.এস. জারা রহিম তো আমাকে সৌভাগ্যের চাবি কাঠিটা পাঠিয়েছেন।”
“সৌভাই¹ের চাবি!?”
“জ্বী, জোহরান মামদানির কাছে নাস্তানাবুদ হওয়ার পর এখন যেই লোকই মামদানী বা জামদানী পোড়াবে তাকেই বিশ্বের প্রেসিডেন্ট জনাব ডোনাল্ড ট্র্যাম্প ত্রিশ মিলিয়ন ইউ এস ডলার পাঠাবেন।”
“আরেবাপরে বাপ, পাঁচ’শ ট্যাকার জামদানী পুড়াইলে ত্রিশ মিলিয়ন ডলার, আর আমি যে লাখ টাকার বাস পুড়াইতেছি তায়লে আমরে কত ইউ এস ডলার দিবেন কন?”
“শোন তুইতো আবার বামঘারানার লোক, তোকে বিশ্বের প্রেসিডেন্ট জনাব ডোনাল্ড ট্র্যাম্প দু’চোখে দেখতে পারেন না, কারণ তোরা কমিউনিস্টরা আসলেই একটা মাল, প্রয়োজনে তোরা কাটিস খাল, আবার দরকার হলেই ধরিস নৌকার পাল, তোদিকে মনে হয় এম.এস. জারা রহিমও বৈতরণী পার করাতে পারবে না! ডলার ক্যেনো তোদের তো শুনেছি রুবেল কামানোও বন্ধ, এখন তোরা বাংলাদেশের গরীব রিকশাওয়ালার কাছ থেকে চাঁদা ভিক্ষা করে চলিস।”
“না না গুরু এ-ভাবে বলবেন না যে, দেখবেন মোগো দেশের সামনের নির্বাচনে পাবকলিকে বামঘারানর বাটখারা মাইনে কমিউনিস্ট দ্বারা বেষ্ঠিত মধ্যবিত্তের আফীমখোরদের লগে হাত মিলাই বৈতরণী পার। আন্নের ওই সব জারা-মারা লাইগতো ন।”
“কিন্তু বিশ্বের প্রেসিডেন্ট জনাব ডোনাল্ড ট্র্যাম্প তো কমিউনিস্টদের সহ্য করতে পারেন না!”
“আরে চাপেন হ্যেই যখন, সেন্টের গন্ধ মানে সেইন্ট মার্টিনের গন্ধ পাইবো, তখন লগে লগে আন্নের বিশ্বের প্রেসিডেন্ট মিউ মিউ করি বামঘারানার বাটখারার লগে কুলাকুলি করি বুকের মইধ্যে আঞ্জাকরি লোইবো।”
“থাক ভাই আমি তোর অতো পলিট্রিক্স বুঝিনা আমি যাই এম.এস.জারা রহিমের দ্যেখানো পথে জামদানি পুড়িয়ে ‘কনজেশন প্রাইসিং’এর বাজেট ধরার ব্যবস্থা করি।”
“আঁই আর বোই থাকুম ক্যান, যাই বামঘারানার মিডেল ক্লাশের লগে বোই বোই আফীম খাই আর নির্বাচনী বৈতরণী পার করি।”
“সেই ভালো তুই লোকাল মধ্যবিত্তের আফীম খা, আর আমি আন্তর্জাতিক ‘কনজেশন প্রাইসিং’এর বাজেট খাই। “যাইইইইই...”
“বাইইই...”
[লেখক: চলচ্চিত্রকার]
ইপেপার
জাতীয়
সারাদেশ
আন্তর্জাতিক
নগর-মহানগর
খেলা
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
শিক্ষা
অর্থ-বাণিজ্য
সংস্কৃতি
ক্যাম্পাস
মিডিয়া
অপরাধ ও দুর্নীতি
রাজনীতি
শোক ও স্মরন
প্রবাস
নারীর প্রতি সহিংসতা
বিনোদন
সম্পাদকীয়
উপ-সম্পাদকীয়
মুক্ত আলোচনা
চিঠিপত্র
পাঠকের চিঠি
রম্যগদ্য
জাঁ-নেসার ওসমান
বৃহস্পতিবার, ১৩ নভেম্বর ২০২৫
“কি রে ভাই এই বেইন্না ফজরত এতো জামদানি শাড়ি আমদানি করতাছেন? ব্যাপারটা কী?”
“না এমন কিছু নয়। ‘বিশ্বের প্রেসিডেন্ট’ জনাব ডোনাল্ড ট্র্যাম্প প্রায় ত্রিশ মিলিয়ন ইউ এস ডলার পাঠাইতে পারেন সেই জন্য এই সব জামদানির আমদানি।”
“বিশ্বের প্রেসিডেন্ট জনাব ডোনাল্ড ট্র্যাম্প হ্যায়নি আন্নেরে প্রায় ত্রিশ মিলিয়ন ইউ এস ডলার পাঠাইবো! হ্যারে কি পাগলা কুত্তা বাইট করছেনি!”
“হেঃ হেঃ বুঝলি না আঙুলটা ইকটু বাঁকা করাতেই ত্রিশ মিলিয়ন ইউ এস ডলার, সকলই তোমারই ইচ্ছা, ইচ্ছাময়ী তারা তুমি, তোমার কর্ম তুমি কর মা, লোকে বলে করি আমি...”
“আরে অকাট মূর্খ, তুই শুনিসনি ক’দিন আগে বিশ্বের প্রেসিডেন্ট জনাব ডোনাল্ড ট্র্যাম্প উনত্রিশ মিলিয়ন ইউ এস ডলার বাংলার দুই ভাগ্যবান সন্তানকে পাঠিছেন?”
“হ,হ, হ্যেইডাতো হুনছি। বিগত স্বৈরসরকাররে ফ্যালানের রিওর্য়াড মানে উৎসাহব্যাঞ্জক ভাতার লাই বিশ্বের প্রেসিডেন্ট জনাব ডোনাল্ড ট্র্যাম্প উনত্রিশ মিলিয়ন ইউ এস ডলার দিছেন।”
“তো! আমার বেলায় ত্রিশ মিলিয়ন হোইলে তোর অসুবিধা কোথায়! তুই তো আর টাকাটা দিচ্ছিস না!”
“ভাইডি ত্রিশ মিলিয়ন ইউ এস ডলার, আঁর চৌদ্দগুষ্টিরে এক লগে বাঁধি, চৌদ্দবার বেঁচলেও ত্রিশ মিলিয়ন ইউ এস ডলার হোইতো ন, বুজলেন নি!”
“তাতো বুঝলাম তোর মতো পানিওয়ালির পোলাদের চৌদ্দবার কেনো আঠাশবার বেঁচলেও ত্রিশ মিলিয়ন ইউ এস ডলার হবে না, সে আমি জানি, কিন্তু আমি যে চালটা চালছি সেটা যদি লাই¹া যায় তাহোলে আর পায় কে! বুঝতে পারছিস বিশ্বের প্রেসিডেন্ট জনাব ডোনাল্ড ট্য্রাম্পের দেয়া ত্রিশ মিলিয়ন ইউ এস ডলার। তখন জানিস এই টাকা আমি কোন ব্যাংকে রাখবো তার জন্য বড় বড় ব্যাংকের চেয়ারম্যানরা এসে আমার বাড়ীতে বড় বড় পাজেরো গাড়ী নিয়ে হুমড়ি খেয়ে পড়বে। আর আর.এম.টা কে নিবে এই নিয়ে ইনর্চাজ আর সাধারণ কর্মীর ফাইট... উহ্ সে এক বিতিকিচ্ছিরী কা- হৈ হৈ রৈ রৈ পড়ে যাবে।”
“সবইতো বুইজবার পারতাছি, ব্যেবাগ ব্যাংক আন্নের দুয়ারে খাড়া, মাগার কোশ্চেন ইজ, জনাব ডোনাল্ড ট্র্যাম্প আন্নেরে ত্রিশ মিলিয়ন ইউ এস ডলার দিবো ক্যান?”
“হেঃ হেঃ বুঝলি না আঙুলটা ইকটু বাঁকা করাতেই ত্রিশ মিলিয়ন ইউ এস ডলার, সকলই তোমারই ইচ্ছা, ইচ্ছাময়ী তারা তুমি, তোমার কর্ম তুমি কর মা, লোকে বলে করি আমি...”
“এ্যতোক্ষণ হুনলাম বিশ্বের প্রেসিডেন্ট, অক্ষন আবার হুনি, মা’তারা, আঁরতো ব্যেগুন ভজঘট লাগের দে?”
“ভজ ঘটঁর কি আছে, শুধু মা’তারা নয় হবে মা’জারা...”
“ওম্মামারে, শ্যামা সঙ্গিতে মা’তারা আইবো নাতো কি, মা’জারা, আন্নে আঁরে ঠাইট মারি হালান, বিষয়তো আঁই কিছুই বুজবার পাচ্চিনাযে?”
“এতে না বোঝার কি আছে! আমি সকালে উঠে মা’ জারা রহিমকে ফোন করে বললাম; জানিস তো জারা রহিম কে?”
“না, হ্যার নামতো কুনো দিনও হুনি নাই, আঁই বড় জুর জীরা পানির নাম হুনচি, কিন্তুক জারা রহিমের নাম হুনি নাই!”
“ জ্বী, মিস জারা রহিম হচ্ছেন, বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত মি. মামদানির নির্বাচনী প্রচারের নেপথ্য কুশলী। আমি সেল ফোনে জিজ্ঞেস করলাম, “ম্যাডাম কী করলে বিশ্বের প্রেসিডেন্ট জনাব ডোনাল্ড ট্র্যাম্প খুশীতে বাগবাগ হবেন?”
“ জারা রহিম বাংলাদেশের নাম শুনে খুশীতে বাগ বাগ, আমাকে বললেন শোনো জোহরান মামদানি যখন ডোনাল্ড ট্র্যাম্পকে বললেন, র্টান দি ভল্যিউম আপ, ব্যাস ট্র্যাম্প খেইপ্পা লাল। লগে লগে ’কনজেশন প্রাইসিং’এর বাজেট বন্ধ আর সেই টাকাটা এখন বাংলাদেশে এই তোর সামনের ভেড়ামারা সুযোগ্য সন্তান জনাব আব্দু মিয়া, ট্রেনের হকার ত্রিশ মিলিয়ন ইউ এস ডলারের মালিক হোতে যাচ্ছেন।”
“কিন্তু প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্র্যাম্প আপনেরে ত্রিশ মিলিয়ন ইউ এস ডলার দিবো ক্যান? ক্যান?”
“আরে বেকুব এম.এস. জারা রহিম তো আমাকে সৌভাগ্যের চাবি কাঠিটা পাঠিয়েছেন।”
“সৌভাই¹ের চাবি!?”
“জ্বী, জোহরান মামদানির কাছে নাস্তানাবুদ হওয়ার পর এখন যেই লোকই মামদানী বা জামদানী পোড়াবে তাকেই বিশ্বের প্রেসিডেন্ট জনাব ডোনাল্ড ট্র্যাম্প ত্রিশ মিলিয়ন ইউ এস ডলার পাঠাবেন।”
“আরেবাপরে বাপ, পাঁচ’শ ট্যাকার জামদানী পুড়াইলে ত্রিশ মিলিয়ন ডলার, আর আমি যে লাখ টাকার বাস পুড়াইতেছি তায়লে আমরে কত ইউ এস ডলার দিবেন কন?”
“শোন তুইতো আবার বামঘারানার লোক, তোকে বিশ্বের প্রেসিডেন্ট জনাব ডোনাল্ড ট্র্যাম্প দু’চোখে দেখতে পারেন না, কারণ তোরা কমিউনিস্টরা আসলেই একটা মাল, প্রয়োজনে তোরা কাটিস খাল, আবার দরকার হলেই ধরিস নৌকার পাল, তোদিকে মনে হয় এম.এস. জারা রহিমও বৈতরণী পার করাতে পারবে না! ডলার ক্যেনো তোদের তো শুনেছি রুবেল কামানোও বন্ধ, এখন তোরা বাংলাদেশের গরীব রিকশাওয়ালার কাছ থেকে চাঁদা ভিক্ষা করে চলিস।”
“না না গুরু এ-ভাবে বলবেন না যে, দেখবেন মোগো দেশের সামনের নির্বাচনে পাবকলিকে বামঘারানর বাটখারা মাইনে কমিউনিস্ট দ্বারা বেষ্ঠিত মধ্যবিত্তের আফীমখোরদের লগে হাত মিলাই বৈতরণী পার। আন্নের ওই সব জারা-মারা লাইগতো ন।”
“কিন্তু বিশ্বের প্রেসিডেন্ট জনাব ডোনাল্ড ট্র্যাম্প তো কমিউনিস্টদের সহ্য করতে পারেন না!”
“আরে চাপেন হ্যেই যখন, সেন্টের গন্ধ মানে সেইন্ট মার্টিনের গন্ধ পাইবো, তখন লগে লগে আন্নের বিশ্বের প্রেসিডেন্ট মিউ মিউ করি বামঘারানার বাটখারার লগে কুলাকুলি করি বুকের মইধ্যে আঞ্জাকরি লোইবো।”
“থাক ভাই আমি তোর অতো পলিট্রিক্স বুঝিনা আমি যাই এম.এস.জারা রহিমের দ্যেখানো পথে জামদানি পুড়িয়ে ‘কনজেশন প্রাইসিং’এর বাজেট ধরার ব্যবস্থা করি।”
“আঁই আর বোই থাকুম ক্যান, যাই বামঘারানার মিডেল ক্লাশের লগে বোই বোই আফীম খাই আর নির্বাচনী বৈতরণী পার করি।”
“সেই ভালো তুই লোকাল মধ্যবিত্তের আফীম খা, আর আমি আন্তর্জাতিক ‘কনজেশন প্রাইসিং’এর বাজেট খাই। “যাইইইইই...”
“বাইইই...”
[লেখক: চলচ্চিত্রকার]