মাহতাব হোসাইন মাজেদ

শিশুখাদ্য কেনার ক্ষেত্রে পরিবারের সতর্কতা অত্যন্ত জরুরি। উৎপাদন ও মেয়াদোত্তীর্ণের তারিখ যাচাই, উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানের তথ্য নিশ্চিতকরণ এবং প্যাকেটের গন্ধ বা রঙ পরীক্ষা করা অভ্যাসে পরিণত করতে হবে
শিশুখাদ্যের নিরাপত্তা আজ কেবল একটি স্বাস্থ্যগত বিষয় নয়; এটি সামাজিক, অর্থনৈতিক ও মানসিক দিক থেকেও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। শিশুদের শারীরিক ও মানসিক বিকাশে সুষম পুষ্টি অপরিহার্য। কিন্তু বাজারে নকল ও ভেজাল শিশুখাদ্যের উপস্থিতি শিশুদের সঠিক বিকাশে বড় বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে। নকল শিশুখাদ্য প্রয়োজনীয় পুষ্টি সরবরাহে ব্যর্থ হওয়ার পাশাপাশি রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা কমিয়ে দেয়, শারীরিক দুর্বলতা বাড়ায় এবং মানসিক বিকাশে নেতিবাচক প্রভাব ফেলে।
শিশুখাদ্যের নিরাপত্তা আজ কেবল একটি স্বাস্থ্যগত বিষয় নয়; এটি সামাজিক, অর্থনৈতিক ও মানসিক দিক থেকেও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। শিশুদের শারীরিক ও মানসিক বিকাশে সুষম পুষ্টি অপরিহার্য। কিন্তু বাজারে নকল ও ভেজাল শিশুখাদ্যের উপস্থিতি শিশুদের সঠিক বিকাশে বড় বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে
শিশুখাদ্য কেবল খাদ্য নয়-এটি শিশুর ভবিষ্যতের ভিত্তি। প্রাথমিক বয়সে সঠিক পুষ্টির অভাব শিশুদের বৃদ্ধি ব্যাহত করে, শেখার ক্ষমতা কমিয়ে দেয় এবং মানসিক স্থিতিশীলতায় প্রভাব ফেলে। ভেজাল খাদ্য হজম ও অন্যান্য অঙ্গপ্রত্যঙ্গে ক্ষতি করে। দীর্ঘমেয়াদে এটি শিক্ষাজীবন, আচরণ এবং সামাজিক মেলামেশায়ও নেতিবাচক প্রভাব সৃষ্টি করে।
অভিভাবকের সচেতন দায়
শিশুখাদ্য কেনার ক্ষেত্রে পরিবারের সতর্কতা অত্যন্ত জরুরি। উৎপাদন ও মেয়াদোত্তীর্ণের তারিখ যাচাই, উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানের তথ্য নিশ্চিতকরণ এবং প্যাকেটের গন্ধ বা রঙ পরীক্ষা করা অভ্যাসে পরিণত করতে হবে। সস্তা বা আকর্ষণীয় প্যাকেট দেখে সিদ্ধান্ত নেওয়া শিশুদের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ। অভিভাবকদের সচেতন নির্বাচনই শিশুর নিরাপদ খাবার নিশ্চিত করতে পারে।
শিশুরাও ধীরে ধীরে খাদ্যচেতনায় শিক্ষিত হতে পারে। কোন খাবার নিরাপদ, কোনটি ঝুঁকিপূর্ণ-এ বিষয়ে অভিভাবকরা তাদের শেখাতে পারেন। পরিবার সচেতন হলে শিশুরাও স্বাস্থ্যকর বিকল্প বেছে নিতে শিখে, যা সামগ্রিকভাবে একটি স্বাস্থ্যকর সমাজ গঠনে সহায়ক।
ব্যবসায়ীর নৈতিক দায়বদ্ধতা
শিশুখাদ্য ব্যবসায়ীদের জন্য এটি বড় সতর্কবার্তা। নকল বা ভেজাল পণ্য বিক্রি করলে শুধু শিশুর স্বাস্থ্যই ক্ষতিগ্রস্ত হয় না, ব্যবসার বিশ্বাসযোগ্যতাও হারিয়ে যায়। শুধুমাত্র লাভের জন্য নিরাপত্তা উপেক্ষা করা শিশুদের জীবনে ঝুঁকি তৈরি করে।
বিক্রেতাদের উচিত মাননিয়ন্ত্রণ নিশ্চিত করা, সঠিক নিয়ম মেনে পণ্য বাজারজাত করা এবং ভেজাল খাদ্য বাজারে প্রবেশ ঠেকানো। সামাজিকভাবে দায়িত্বশীল ব্যবসায়ীরা শিশুদের সুস্থ বিকাশে অবদান রাখে এবং নিজের ব্যবসার দীর্ঘমেয়াদি স্থিতিশীলতাও নিশ্চিত করে।
সরকারের নিয়ন্ত্রণ ও আইন প্রয়োগ
শিশুখাদ্যের নিরাপত্তা রক্ষায় সরকার ও নিয়ন্ত্রক সংস্থার ভূমিকাও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। নিয়মিত বাজার তদারকি, ভেজাল পণ্যের বিরুদ্ধে কঠোর আইন প্রয়োগ এবং সচেতনতা অভিযান শিশুখাদ্যের মান উন্নয়নে সহায়ক। আইন সঠিকভাবে প্রয়োগ হলে উৎপাদক প্রতিষ্ঠানের মধ্যেও সতর্কতা বৃদ্ধি পায় এবং ভেজাল প্রবেশের ঝুঁকি কমে।
সরকারি নীতি কেবল বিধিনিষেধ নয়-এটি শিশুদের ভবিষ্যৎ নিরাপদ রাখার কার্যকর হাতিয়ার। স্কুল, কমিউনিটি ও স্বাস্থ্যকেন্দ্রের মাধ্যমে শিশুদের পুষ্টি শিক্ষাও অত্যন্ত প্রয়োজনীয়।
সমাজ ও কমিউনিটির ভূমিকা
সমাজের সম্মিলিত উদ্যোগ ছাড়া শিশুখাদ্যের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা সম্ভব নয়। পরিবার, বিদ্যালয়, স্বাস্থ্য সংস্থা ও কমিউনিটির যৌথ প্রচেষ্টায় শিশুদের খাদ্য নিরাপত্তা সম্পর্কে সচেতন করা যায়। স্কুলে পুষ্টি শিক্ষা, অভিভাবক সভা এবং কমিউনিটির প্রচারণা ভেজাল শিশুখাদ্য প্রতিরোধে কার্যকর।
সচেতন কমিউনিটি শিশুদের স্বাস্থ্যকর খাবারে অভ্যস্ত করে এবং পরিবারগুলোকেও দায়িত্বশীল সিদ্ধান্ত নিতে উদ্বুদ্ধ করে। এটি শিশুর শারীরিক, মানসিক ও সামাজিক বিকাশে ইতিবাচক ভূমিকা রাখে।
শিশুখাদ্যের স্বাস্থ্যগত প্রভাব
নিরাপদ শিশুখাদ্য শিশুর শক্তি, স্থিতিশীলতা ও মনোযোগ বৃদ্ধি করে। বিপরীতে ভেজাল খাদ্য রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা কমায়, হজমে সমস্যা তৈরি করে এবং দীর্ঘমেয়াদে জীবনমান ক্ষতিগ্রস্ত করে। যারা শৈশবে সঠিক পুষ্টি পায় না, তারা ভবিষ্যতে শিক্ষা ও সামাজিক জীবনে পিছিয়ে পড়ে।
প্রযুক্তিভিত্তিক সমাধান
ভেজাল শিশুখাদ্য মোকাবিলায় প্রযুক্তির ভূমিকা এখন অপরিহার্য। বারকোড, কিউআর কোড ও ডিজিটাল ট্র?্যাকিং ব্যবস্থার মাধ্যমে পণ্য যাচাই করা যায়। মোবাইল অ্যাপ, অনলাইন রিভিউ ও স্ক্যানিং সিস্টেম অভিভাবক ও বিক্রেতাকে নিরাপদ খাদ্য চিহ্নিত করতে সাহায্য করে। সরকারি-বেসরকারি সমন্বয়ে প্রযুক্তির ব্যবহার শিশুখাদ্য শিল্পে স্বচ্ছতা ও মান নিয়ন্ত্রণ জোরদার করতে পারে।
সমন্বিত সচেতনতা
শিশুখাদ্যের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পরিবার, বিদ্যালয়, স্বাস্থ্য সংস্থা, কমিউনিটি ও সরকারকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে। প্রতিটি শিশুর জন্য নিরাপদ ও পুষ্টিকর খাবার নিশ্চিত করা আমাদের সম্মিলিত দায়িত্ব। শিশুখাদ্য নিয়ে উদাসীনতা জাতির ভবিষ্যৎকে ঝুঁকির মুখে ফেলে।
শিশুদের সুস্থতা ও বিকাশ আমাদের যৌথ দায়বদ্ধতা। নকল ও ভেজাল শিশুখাদ্য প্রতিরোধে সচেতনতা, প্রযুক্তি, আইন প্রয়োগ ও ব্যক্তিগত সতর্কতা-সবকিছু মিলিয়েই আমরা শিশুদের জন্য নিরাপদ, স্বাস্থ্যকর ও উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ নিশ্চিত করতে পারি। নিরাপদ খাবার শুধু শিশুর শরীর নয়, তার মন, মেধা ও সমাজে সক্রিয় ভূমিকা রাখার ক্ষমতাকেও শক্তিশালী করে।
লেখক: প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান, জাতীয় রোগী কল্যাণ সোসাইটি]
ইপেপার
জাতীয়
সারাদেশ
আন্তর্জাতিক
নগর-মহানগর
খেলা
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
শিক্ষা
অর্থ-বাণিজ্য
সংস্কৃতি
ক্যাম্পাস
মিডিয়া
অপরাধ ও দুর্নীতি
রাজনীতি
শোক ও স্মরন
প্রবাস
নারীর প্রতি সহিংসতা
বিনোদন
সম্পাদকীয়
উপ-সম্পাদকীয়
মুক্ত আলোচনা
চিঠিপত্র
পাঠকের চিঠি
মাহতাব হোসাইন মাজেদ

শিশুখাদ্য কেনার ক্ষেত্রে পরিবারের সতর্কতা অত্যন্ত জরুরি। উৎপাদন ও মেয়াদোত্তীর্ণের তারিখ যাচাই, উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানের তথ্য নিশ্চিতকরণ এবং প্যাকেটের গন্ধ বা রঙ পরীক্ষা করা অভ্যাসে পরিণত করতে হবে
শুক্রবার, ০৫ ডিসেম্বর ২০২৫
শিশুখাদ্যের নিরাপত্তা আজ কেবল একটি স্বাস্থ্যগত বিষয় নয়; এটি সামাজিক, অর্থনৈতিক ও মানসিক দিক থেকেও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। শিশুদের শারীরিক ও মানসিক বিকাশে সুষম পুষ্টি অপরিহার্য। কিন্তু বাজারে নকল ও ভেজাল শিশুখাদ্যের উপস্থিতি শিশুদের সঠিক বিকাশে বড় বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে। নকল শিশুখাদ্য প্রয়োজনীয় পুষ্টি সরবরাহে ব্যর্থ হওয়ার পাশাপাশি রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা কমিয়ে দেয়, শারীরিক দুর্বলতা বাড়ায় এবং মানসিক বিকাশে নেতিবাচক প্রভাব ফেলে।
শিশুখাদ্যের নিরাপত্তা আজ কেবল একটি স্বাস্থ্যগত বিষয় নয়; এটি সামাজিক, অর্থনৈতিক ও মানসিক দিক থেকেও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। শিশুদের শারীরিক ও মানসিক বিকাশে সুষম পুষ্টি অপরিহার্য। কিন্তু বাজারে নকল ও ভেজাল শিশুখাদ্যের উপস্থিতি শিশুদের সঠিক বিকাশে বড় বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে
শিশুখাদ্য কেবল খাদ্য নয়-এটি শিশুর ভবিষ্যতের ভিত্তি। প্রাথমিক বয়সে সঠিক পুষ্টির অভাব শিশুদের বৃদ্ধি ব্যাহত করে, শেখার ক্ষমতা কমিয়ে দেয় এবং মানসিক স্থিতিশীলতায় প্রভাব ফেলে। ভেজাল খাদ্য হজম ও অন্যান্য অঙ্গপ্রত্যঙ্গে ক্ষতি করে। দীর্ঘমেয়াদে এটি শিক্ষাজীবন, আচরণ এবং সামাজিক মেলামেশায়ও নেতিবাচক প্রভাব সৃষ্টি করে।
অভিভাবকের সচেতন দায়
শিশুখাদ্য কেনার ক্ষেত্রে পরিবারের সতর্কতা অত্যন্ত জরুরি। উৎপাদন ও মেয়াদোত্তীর্ণের তারিখ যাচাই, উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানের তথ্য নিশ্চিতকরণ এবং প্যাকেটের গন্ধ বা রঙ পরীক্ষা করা অভ্যাসে পরিণত করতে হবে। সস্তা বা আকর্ষণীয় প্যাকেট দেখে সিদ্ধান্ত নেওয়া শিশুদের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ। অভিভাবকদের সচেতন নির্বাচনই শিশুর নিরাপদ খাবার নিশ্চিত করতে পারে।
শিশুরাও ধীরে ধীরে খাদ্যচেতনায় শিক্ষিত হতে পারে। কোন খাবার নিরাপদ, কোনটি ঝুঁকিপূর্ণ-এ বিষয়ে অভিভাবকরা তাদের শেখাতে পারেন। পরিবার সচেতন হলে শিশুরাও স্বাস্থ্যকর বিকল্প বেছে নিতে শিখে, যা সামগ্রিকভাবে একটি স্বাস্থ্যকর সমাজ গঠনে সহায়ক।
ব্যবসায়ীর নৈতিক দায়বদ্ধতা
শিশুখাদ্য ব্যবসায়ীদের জন্য এটি বড় সতর্কবার্তা। নকল বা ভেজাল পণ্য বিক্রি করলে শুধু শিশুর স্বাস্থ্যই ক্ষতিগ্রস্ত হয় না, ব্যবসার বিশ্বাসযোগ্যতাও হারিয়ে যায়। শুধুমাত্র লাভের জন্য নিরাপত্তা উপেক্ষা করা শিশুদের জীবনে ঝুঁকি তৈরি করে।
বিক্রেতাদের উচিত মাননিয়ন্ত্রণ নিশ্চিত করা, সঠিক নিয়ম মেনে পণ্য বাজারজাত করা এবং ভেজাল খাদ্য বাজারে প্রবেশ ঠেকানো। সামাজিকভাবে দায়িত্বশীল ব্যবসায়ীরা শিশুদের সুস্থ বিকাশে অবদান রাখে এবং নিজের ব্যবসার দীর্ঘমেয়াদি স্থিতিশীলতাও নিশ্চিত করে।
সরকারের নিয়ন্ত্রণ ও আইন প্রয়োগ
শিশুখাদ্যের নিরাপত্তা রক্ষায় সরকার ও নিয়ন্ত্রক সংস্থার ভূমিকাও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। নিয়মিত বাজার তদারকি, ভেজাল পণ্যের বিরুদ্ধে কঠোর আইন প্রয়োগ এবং সচেতনতা অভিযান শিশুখাদ্যের মান উন্নয়নে সহায়ক। আইন সঠিকভাবে প্রয়োগ হলে উৎপাদক প্রতিষ্ঠানের মধ্যেও সতর্কতা বৃদ্ধি পায় এবং ভেজাল প্রবেশের ঝুঁকি কমে।
সরকারি নীতি কেবল বিধিনিষেধ নয়-এটি শিশুদের ভবিষ্যৎ নিরাপদ রাখার কার্যকর হাতিয়ার। স্কুল, কমিউনিটি ও স্বাস্থ্যকেন্দ্রের মাধ্যমে শিশুদের পুষ্টি শিক্ষাও অত্যন্ত প্রয়োজনীয়।
সমাজ ও কমিউনিটির ভূমিকা
সমাজের সম্মিলিত উদ্যোগ ছাড়া শিশুখাদ্যের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা সম্ভব নয়। পরিবার, বিদ্যালয়, স্বাস্থ্য সংস্থা ও কমিউনিটির যৌথ প্রচেষ্টায় শিশুদের খাদ্য নিরাপত্তা সম্পর্কে সচেতন করা যায়। স্কুলে পুষ্টি শিক্ষা, অভিভাবক সভা এবং কমিউনিটির প্রচারণা ভেজাল শিশুখাদ্য প্রতিরোধে কার্যকর।
সচেতন কমিউনিটি শিশুদের স্বাস্থ্যকর খাবারে অভ্যস্ত করে এবং পরিবারগুলোকেও দায়িত্বশীল সিদ্ধান্ত নিতে উদ্বুদ্ধ করে। এটি শিশুর শারীরিক, মানসিক ও সামাজিক বিকাশে ইতিবাচক ভূমিকা রাখে।
শিশুখাদ্যের স্বাস্থ্যগত প্রভাব
নিরাপদ শিশুখাদ্য শিশুর শক্তি, স্থিতিশীলতা ও মনোযোগ বৃদ্ধি করে। বিপরীতে ভেজাল খাদ্য রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা কমায়, হজমে সমস্যা তৈরি করে এবং দীর্ঘমেয়াদে জীবনমান ক্ষতিগ্রস্ত করে। যারা শৈশবে সঠিক পুষ্টি পায় না, তারা ভবিষ্যতে শিক্ষা ও সামাজিক জীবনে পিছিয়ে পড়ে।
প্রযুক্তিভিত্তিক সমাধান
ভেজাল শিশুখাদ্য মোকাবিলায় প্রযুক্তির ভূমিকা এখন অপরিহার্য। বারকোড, কিউআর কোড ও ডিজিটাল ট্র?্যাকিং ব্যবস্থার মাধ্যমে পণ্য যাচাই করা যায়। মোবাইল অ্যাপ, অনলাইন রিভিউ ও স্ক্যানিং সিস্টেম অভিভাবক ও বিক্রেতাকে নিরাপদ খাদ্য চিহ্নিত করতে সাহায্য করে। সরকারি-বেসরকারি সমন্বয়ে প্রযুক্তির ব্যবহার শিশুখাদ্য শিল্পে স্বচ্ছতা ও মান নিয়ন্ত্রণ জোরদার করতে পারে।
সমন্বিত সচেতনতা
শিশুখাদ্যের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পরিবার, বিদ্যালয়, স্বাস্থ্য সংস্থা, কমিউনিটি ও সরকারকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে। প্রতিটি শিশুর জন্য নিরাপদ ও পুষ্টিকর খাবার নিশ্চিত করা আমাদের সম্মিলিত দায়িত্ব। শিশুখাদ্য নিয়ে উদাসীনতা জাতির ভবিষ্যৎকে ঝুঁকির মুখে ফেলে।
শিশুদের সুস্থতা ও বিকাশ আমাদের যৌথ দায়বদ্ধতা। নকল ও ভেজাল শিশুখাদ্য প্রতিরোধে সচেতনতা, প্রযুক্তি, আইন প্রয়োগ ও ব্যক্তিগত সতর্কতা-সবকিছু মিলিয়েই আমরা শিশুদের জন্য নিরাপদ, স্বাস্থ্যকর ও উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ নিশ্চিত করতে পারি। নিরাপদ খাবার শুধু শিশুর শরীর নয়, তার মন, মেধা ও সমাজে সক্রিয় ভূমিকা রাখার ক্ষমতাকেও শক্তিশালী করে।
লেখক: প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান, জাতীয় রোগী কল্যাণ সোসাইটি]