আনোয়ার হোসেন
আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবস প্রতি বছর ১০ ডিসেম্বর পালিত হয়। ১৯৪৮ সালের এই দিনে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে মানবাধিকারের সর্বজনীন ঘোষণাপত্র গৃহীত হয়েছিল। আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবস ২০২৫-এর প্রতিপাদ্য হলো “মানবাধিকার: আমাদের প্রতিদিনের অপরিহার্য বিষয়”। এই প্রতিপাদ্য মানুষের দৈনন্দিন জীবনে মানবাধিকারের গুরুত্বকে নতুন করে স্মরণ করিয়ে দেয় এবং মানবাধিকারকে কোনো বিমূর্ত ধারণা নয়, বরং জীবনের অপরিহার্য অংশ হিসেবে বিবেচনা করতে উৎসাহিত করে।
বৈশ্বিক মানবাধিকার পরিস্থিতি : ২০২৫ সালের মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে এখনো কোনো পূর্ণাঙ্গ বৈশ্বিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়নি। সাধারণত বছরের শেষে বা পরবর্তী বছরের শুরুতে হিউম্যান রাইটস ওয়াচ বা অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের মতো সংস্থাগুলো প্রতিবেদন প্রকাশ করে। তবে মানব স্বাধীনতা সূচক ২০২৫ এবং বৈশ্বিক শান্তি সূচক ২০২৫ অনুযায়ী যেসব দেশ মানবাধিকার রক্ষায় ধারাবাহিকভাবে এগিয়ে রয়েছে, সেগুলো হলো- সুইজারল্যান্ড, নিউজিল্যান্ড, ডেনমার্ক, আয়ারল্যান্ড, এস্তোনিয়া, কানাডা, অস্ট্রেলিয়া, ফিনল্যান্ড, সুইডেন ও লুক্সেমবার্গ।
বৈশ্বিক শান্তি সূচক অনুযায়ী আইসল্যান্ড, আয়ারল্যান্ড, অস্ট্রিয়া, নিউজিল্যান্ড, সুইজারল্যান্ড, সিঙ্গাপুর, পর্তুগাল, ডেনমার্ক, স্লোভেনিয়া ও ফিনল্যান্ড-আইনের শাসন, গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠান ও নাগরিক স্বাধীনতার উচ্চ মান বজায় রাখার জন্য পরিচিত।
অন্যদিকে, ২০২৫ সালে যেসব দেশে মানবাধিকার সংকট সবচেয়ে গুরুতর রূপ নিয়েছে, তার মধ্যে রয়েছে-
আফগানিস্তান, সুদান, মিয়ানমার, সিরিয়া, ইথিওপিয়া, কঙ্গো গণতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্র, উত্তর কোরিয়া, চীন, রাশিয়া ও ইরান।
এসব দেশে সংঘাত, দমনমূলক শাসন, নারীর অধিকার হরণ, অভ্যন্তরীণ নির্যাতন ও আইনের শাসনের অনুপস্থিতি মানবাধিকার লঙ্ঘনের মূল কারণ।
বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি: রিপোর্টার্স উইদাউট বর্ডার্স-এর ২০২৪ সালের র্যার্ঙ্কিংয়ে বাংলাদেশ ছিল ১৬৫তম। মানবাধিকার পরিস্থিতি এখনো অস্থির; আদালতের ভেতরে আসামিদের ওপর হামলা নজিরবিহীন। যদিও গুমের মতো গুরুতর অপরাধ অনেকাংশে নিয়ন্ত্রণে এসেছে এবং সরকার অভিযোগ তদন্তের জন্য একটি কমিশন গঠন করেছে।
২০২৫ সালে উচ্ছৃঙ্খল জনতার সহিংসতা ও ধর্মীয় চরমপন্থী গোষ্ঠীর হুমকি বৃদ্ধি পেয়েছে। গণমাধ্যমের স্বাধীনতা সূচকে বাংলাদেশের অবস্থান বেড়ে ১৪৯তম-তবে এখনো এটি “অত্যন্ত গুরুতর” বিভাগে রয়েছে।
হিউম্যান রাইটস ওয়াচের মতে, বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড, গুম, মত প্রকাশের স্বাধীনতায় বাধা, নারী ও সংখ্যালঘুদের ওপর সহিংসতা-এসব ক্ষেত্রে বাংলাদেশে এখনও বড় ঘাটতি রয়ে গেছে। মানবাধিকার উন্নয়নে সরকারের করণীয়: মানবাধিকার পরিস্থিতি উন্নত করতে সরকারকে আন্তর্জাতিক মানদণ্ড অনুসরণ করে নিম্নলিখিত বিষয়গুলোর প্রতি মনোযোগ দিতে হবে- আইনের শাসন ও বিচার ব্যবস্থার নিরপেক্ষতা নিশ্চিত করা; আইন প্রয়োগকারী সংস্থার জবাবদিহিতা বৃদ্ধি; বলপ্রয়োগের ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক নিয়ম মানা; নির্যাতন ও নিপীড়নের অভিযোগের দ্রুত নিরপেক্ষ তদন্ত; মত প্রকাশ ও গণমাধ্যমের স্বাধীনতা রক্ষা; জাতীয় মানবাধিকার কমিশনকে শক্তিশালী ও স্বাধীন করা; নারী, শিশু, আদিবাসী, সংখ্যালঘু ও প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের বিশেষ সুরক্ষা; আন্তর্জাতিক মানবাধিকার চুক্তির যথাযথ বাস্তবায়ন।
নাগরিকদের ভূমিক: মানবাধিকার রক্ষা শুধু সরকারের দায়িত্ব নয়; প্রতিটি নাগরিকেরও দায়িত্ব রয়েছে- নিজের অধিকার সম্পর্কে সচেতন হওয়া; অন্যের অধিকারকে সম্মান করা; পরিবার, সমাজ ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সচেতনতা বৃদ্ধি; মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিরুদ্ধে শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ; দুর্বল জনগোষ্ঠীর পাশে দাঁড়ানো। একটি ন্যায়ভিত্তিক ও মানবিক সমাজ গঠনে নাগরিকদের সম্মিলিত সচেতনতা অত্যন্ত জরুরি।
মানবাধিকার সংস্থাগুলোর পক্ষপাত-বাংলাদেশের বাস্তবতা: বাংলাদেশসহ অনেক দেশে মানবাধিকার সংস্থাগুলোর নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। এর পেছনে প্রধান কারণ- আন্তর্জাতিক দাতা সংস্থার প্রভাব; রাজনৈতিক চাপ; আদর্শিক অবস্থান; মাঠপর্যায়ের বাস্তবতার সঙ্গে নীতিগত বিচ্ছিন্নতা।
একটি আদর্শ মানবাধিকার সংস্থার কাজ হওয়া উচিত- চাপমুক্তভাবে নিরপেক্ষ তদন্ত করা, ভুক্তভোগীদের আইনি সহায়তা দেওয়া এবং সরকারের প্রতি জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা।
সমাপ্তি: বাস্তবতা ও পক্ষপাতের গল্প: একটি বাস্তবধর্মী গল্প যা বাংলাদেশে মানবাধিকার কাজের জটিলতা তুলে ধরে।
একটি আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন মানবাধিকার সংস্থা। কাগজে-কলমে তাদের নীতি নিরপেক্ষ হলেও বাস্তবে স্থানীয় রাজনীতির প্রভাব স্পষ্ট।
সরকার (ক)-এর আমলে এক সমাবেশে সামান্য বলপ্রয়োগের ঘটনাকে তারা “রাষ্ট্রীয় নিপীড়ন”, “গণতন্ত্র বিপন্ন” প্রভৃতি ভাষায় আন্তর্জাতিকমহলে প্রচার করে।
কিন্তু সরকার (খ) ক্ষমতায় আসার পর আরও বড় সহিংসতা ঘটলেও তাদের রিপোর্ট হয় অনেক নরম- “পরিস্থিতি জটিল ছিল”, “আইনশৃঙ্খলা রক্ষা করা বাধ্যতামূলক ছিল”-এই ধরনের ভাষা ব্যবহার করা হয়। কারণ-স্থানীয় শাখাকে সদর দপ্তর থেকে “নমনীয়” হওয়ার নীরব নির্দেশনা দেওয়া হয়েছিল।
এক সাংবাদিক কারণ জানতে চাইলে কর্মকর্তা বলেন- “পরিস্থিতি ভেদে প্রতিক্রিয়া ভিন্ন হয়।” কিন্তু বাস্তবে প্রতিক্রিয়া বদলায় সরকার বদল হলে-মানবাধিকার মানদণ্ড নয়।
[লেখক: প্রাবন্ধিক]
ইপেপার
জাতীয়
সারাদেশ
আন্তর্জাতিক
নগর-মহানগর
খেলা
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
শিক্ষা
অর্থ-বাণিজ্য
সংস্কৃতি
ক্যাম্পাস
মিডিয়া
অপরাধ ও দুর্নীতি
রাজনীতি
শোক ও স্মরন
প্রবাস
নারীর প্রতি সহিংসতা
বিনোদন
সম্পাদকীয়
উপ-সম্পাদকীয়
মুক্ত আলোচনা
চিঠিপত্র
পাঠকের চিঠি
আনোয়ার হোসেন
মঙ্গলবার, ০৯ ডিসেম্বর ২০২৫
আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবস প্রতি বছর ১০ ডিসেম্বর পালিত হয়। ১৯৪৮ সালের এই দিনে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে মানবাধিকারের সর্বজনীন ঘোষণাপত্র গৃহীত হয়েছিল। আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবস ২০২৫-এর প্রতিপাদ্য হলো “মানবাধিকার: আমাদের প্রতিদিনের অপরিহার্য বিষয়”। এই প্রতিপাদ্য মানুষের দৈনন্দিন জীবনে মানবাধিকারের গুরুত্বকে নতুন করে স্মরণ করিয়ে দেয় এবং মানবাধিকারকে কোনো বিমূর্ত ধারণা নয়, বরং জীবনের অপরিহার্য অংশ হিসেবে বিবেচনা করতে উৎসাহিত করে।
বৈশ্বিক মানবাধিকার পরিস্থিতি : ২০২৫ সালের মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে এখনো কোনো পূর্ণাঙ্গ বৈশ্বিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়নি। সাধারণত বছরের শেষে বা পরবর্তী বছরের শুরুতে হিউম্যান রাইটস ওয়াচ বা অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের মতো সংস্থাগুলো প্রতিবেদন প্রকাশ করে। তবে মানব স্বাধীনতা সূচক ২০২৫ এবং বৈশ্বিক শান্তি সূচক ২০২৫ অনুযায়ী যেসব দেশ মানবাধিকার রক্ষায় ধারাবাহিকভাবে এগিয়ে রয়েছে, সেগুলো হলো- সুইজারল্যান্ড, নিউজিল্যান্ড, ডেনমার্ক, আয়ারল্যান্ড, এস্তোনিয়া, কানাডা, অস্ট্রেলিয়া, ফিনল্যান্ড, সুইডেন ও লুক্সেমবার্গ।
বৈশ্বিক শান্তি সূচক অনুযায়ী আইসল্যান্ড, আয়ারল্যান্ড, অস্ট্রিয়া, নিউজিল্যান্ড, সুইজারল্যান্ড, সিঙ্গাপুর, পর্তুগাল, ডেনমার্ক, স্লোভেনিয়া ও ফিনল্যান্ড-আইনের শাসন, গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠান ও নাগরিক স্বাধীনতার উচ্চ মান বজায় রাখার জন্য পরিচিত।
অন্যদিকে, ২০২৫ সালে যেসব দেশে মানবাধিকার সংকট সবচেয়ে গুরুতর রূপ নিয়েছে, তার মধ্যে রয়েছে-
আফগানিস্তান, সুদান, মিয়ানমার, সিরিয়া, ইথিওপিয়া, কঙ্গো গণতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্র, উত্তর কোরিয়া, চীন, রাশিয়া ও ইরান।
এসব দেশে সংঘাত, দমনমূলক শাসন, নারীর অধিকার হরণ, অভ্যন্তরীণ নির্যাতন ও আইনের শাসনের অনুপস্থিতি মানবাধিকার লঙ্ঘনের মূল কারণ।
বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি: রিপোর্টার্স উইদাউট বর্ডার্স-এর ২০২৪ সালের র্যার্ঙ্কিংয়ে বাংলাদেশ ছিল ১৬৫তম। মানবাধিকার পরিস্থিতি এখনো অস্থির; আদালতের ভেতরে আসামিদের ওপর হামলা নজিরবিহীন। যদিও গুমের মতো গুরুতর অপরাধ অনেকাংশে নিয়ন্ত্রণে এসেছে এবং সরকার অভিযোগ তদন্তের জন্য একটি কমিশন গঠন করেছে।
২০২৫ সালে উচ্ছৃঙ্খল জনতার সহিংসতা ও ধর্মীয় চরমপন্থী গোষ্ঠীর হুমকি বৃদ্ধি পেয়েছে। গণমাধ্যমের স্বাধীনতা সূচকে বাংলাদেশের অবস্থান বেড়ে ১৪৯তম-তবে এখনো এটি “অত্যন্ত গুরুতর” বিভাগে রয়েছে।
হিউম্যান রাইটস ওয়াচের মতে, বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড, গুম, মত প্রকাশের স্বাধীনতায় বাধা, নারী ও সংখ্যালঘুদের ওপর সহিংসতা-এসব ক্ষেত্রে বাংলাদেশে এখনও বড় ঘাটতি রয়ে গেছে। মানবাধিকার উন্নয়নে সরকারের করণীয়: মানবাধিকার পরিস্থিতি উন্নত করতে সরকারকে আন্তর্জাতিক মানদণ্ড অনুসরণ করে নিম্নলিখিত বিষয়গুলোর প্রতি মনোযোগ দিতে হবে- আইনের শাসন ও বিচার ব্যবস্থার নিরপেক্ষতা নিশ্চিত করা; আইন প্রয়োগকারী সংস্থার জবাবদিহিতা বৃদ্ধি; বলপ্রয়োগের ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক নিয়ম মানা; নির্যাতন ও নিপীড়নের অভিযোগের দ্রুত নিরপেক্ষ তদন্ত; মত প্রকাশ ও গণমাধ্যমের স্বাধীনতা রক্ষা; জাতীয় মানবাধিকার কমিশনকে শক্তিশালী ও স্বাধীন করা; নারী, শিশু, আদিবাসী, সংখ্যালঘু ও প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের বিশেষ সুরক্ষা; আন্তর্জাতিক মানবাধিকার চুক্তির যথাযথ বাস্তবায়ন।
নাগরিকদের ভূমিক: মানবাধিকার রক্ষা শুধু সরকারের দায়িত্ব নয়; প্রতিটি নাগরিকেরও দায়িত্ব রয়েছে- নিজের অধিকার সম্পর্কে সচেতন হওয়া; অন্যের অধিকারকে সম্মান করা; পরিবার, সমাজ ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সচেতনতা বৃদ্ধি; মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিরুদ্ধে শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ; দুর্বল জনগোষ্ঠীর পাশে দাঁড়ানো। একটি ন্যায়ভিত্তিক ও মানবিক সমাজ গঠনে নাগরিকদের সম্মিলিত সচেতনতা অত্যন্ত জরুরি।
মানবাধিকার সংস্থাগুলোর পক্ষপাত-বাংলাদেশের বাস্তবতা: বাংলাদেশসহ অনেক দেশে মানবাধিকার সংস্থাগুলোর নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। এর পেছনে প্রধান কারণ- আন্তর্জাতিক দাতা সংস্থার প্রভাব; রাজনৈতিক চাপ; আদর্শিক অবস্থান; মাঠপর্যায়ের বাস্তবতার সঙ্গে নীতিগত বিচ্ছিন্নতা।
একটি আদর্শ মানবাধিকার সংস্থার কাজ হওয়া উচিত- চাপমুক্তভাবে নিরপেক্ষ তদন্ত করা, ভুক্তভোগীদের আইনি সহায়তা দেওয়া এবং সরকারের প্রতি জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা।
সমাপ্তি: বাস্তবতা ও পক্ষপাতের গল্প: একটি বাস্তবধর্মী গল্প যা বাংলাদেশে মানবাধিকার কাজের জটিলতা তুলে ধরে।
একটি আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন মানবাধিকার সংস্থা। কাগজে-কলমে তাদের নীতি নিরপেক্ষ হলেও বাস্তবে স্থানীয় রাজনীতির প্রভাব স্পষ্ট।
সরকার (ক)-এর আমলে এক সমাবেশে সামান্য বলপ্রয়োগের ঘটনাকে তারা “রাষ্ট্রীয় নিপীড়ন”, “গণতন্ত্র বিপন্ন” প্রভৃতি ভাষায় আন্তর্জাতিকমহলে প্রচার করে।
কিন্তু সরকার (খ) ক্ষমতায় আসার পর আরও বড় সহিংসতা ঘটলেও তাদের রিপোর্ট হয় অনেক নরম- “পরিস্থিতি জটিল ছিল”, “আইনশৃঙ্খলা রক্ষা করা বাধ্যতামূলক ছিল”-এই ধরনের ভাষা ব্যবহার করা হয়। কারণ-স্থানীয় শাখাকে সদর দপ্তর থেকে “নমনীয়” হওয়ার নীরব নির্দেশনা দেওয়া হয়েছিল।
এক সাংবাদিক কারণ জানতে চাইলে কর্মকর্তা বলেন- “পরিস্থিতি ভেদে প্রতিক্রিয়া ভিন্ন হয়।” কিন্তু বাস্তবে প্রতিক্রিয়া বদলায় সরকার বদল হলে-মানবাধিকার মানদণ্ড নয়।
[লেখক: প্রাবন্ধিক]