রম্যগদ্য
জাঁ-নেসার ওসমান
“ভাইরে দেশের কুমিরের খামারের তো বেহাল দশা, শিয়ালরা জোট বান্ধুক আর নাই বান্ধুক কুমিরের ছা’তো এ্যমতেই মরের এইডা আবার নতুন কী হুনাইলেন ‘সব শিয়ালের এক রা’ মারা গেল কুমিরের ছা...?”
“কুমিরের ছা’এর প্রাণ ওষ্ঠাগত না প্রাণ কুক্ষিগত, হ্যেইডা আমার সাবজেক্ট না। আমি কোইতে চাই যে, আজীবন ব্যেবাগ গল্প কাহিনীতে, কার্টুনে, উপেন্দ্রনাসে হক্কলেই কুমিররে বেকুব আর শিয়ালরে চালাক দেখাইছে। আপনেও দেখি পাবলিক, মানে আমগো সাধারণ মাইনষ্যেরে, কুমির মান বেকুব কোইতাছেন!”
“আরে ভাই তুই শুনিসনি, বাংলায় একটা কথা আছে না, সব-শিয়ালে খেল কাঁঠাল, বকের ঠোঁটে আঠা।”
“এইডা আবার কী কন, সব-শিয়ালে খেল কাঁঠাল, বকের ঠোঁটে আঠা?”
“বিষয়টা হচ্ছে, অনেক শিয়াল মিলে কাঁঠাল খেল, আর এক বক পাশ থেকে কাঁঠালে একটা ঠোকর মারায় তার ঠোঁটে আঠা জড়িয়ে গেল। ব্যাস বক কাঁঠাল চুরির দায়ে ধরা পড়ল।”
“মাইনে যারা আসল চুর হ্যারা ধরা খাইল না, ধরা খাইল হেই ব্যাডা, যে খালি লগে আছিল!”
“ঠিকই ধরেছিস। যারা প্রকৃত দোষী, তারা প্রমাণের অভাবে ছাড়া পেল আর যে ব্যাক্তি কেবল মাত্র দোষের সংস্পর্শে এসেছে সে ধরা পড়ল। তোর দেশে এখন বিষয়টা অনেকটা এমনই।”
“আমাগো মাতৃভুমিতে কী এমন ঘটছে যে আপনে মিয়া আমাগোরে শিয়াল, কুমির-বগা সব জন্তু জানোয়ারের লগে তুলনা করতাছেন!”
“আরে না না, ছিঃ ছিঃ তোরা সৃষ্টির সেরা জীব, তোমাদিগকে আমি কিরূপে প্রাণীকুলের সহিত তুলনা করিব! আমি বলছিলাম যে, সব শিয়ালের এক রা, মানে প্রায় সব রাজনৈতিক দল একই কথা বলছে যে, তারা সবাই বাংলাদেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করবে, গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করবে, কিন্তু যখনই তোরা তাদের মানে ওই রাজনৈতিক দলদের দেশ পরিচালনার দায়িত্ব দিচ্ছিস, অমনি তারা হয় দলের না হলে কেবলই নিজের পরিবারের জন্য গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করছে। দেশের লোকের মানে রূপক অর্থে কুমিরের ছা’এর জন্য গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করছে না। ফলে কুমিরের ছা’এর প্রাণ ওষ্ঠাগত।”
“কুমিরের ছা’এর প্রাণ ওষ্ঠাগত না প্রাণ কুক্ষিগত, হ্যেইডা আমার সাবজেক্ট না। আমি কোইতে চাই যে, আজীবন ব্যেবাগ গল্প কাহিনীতে, কার্টুনে, উপেন্দ্রনাসে হক্কলেই কুমিররে বেকুব আর শিয়ালরে চালাক দেখাইছে। আপনেও দেখি পাবলিক, মানে আমগো সাধারণ মাইনষ্যেরে, কুমির মান বেকুব কোইতাছেন!”
“যাহ্ তুই সামান্যতেই কথাটা নিজের ঘাড়ে নিচ্ছিস। আমি বলছি বিগত পঞ্চাশ বছর ধরে তোরা গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে যেয়ে, কতবার কত রকম ভোট দিলি, কিন্তু গণতন্ত্র কি প্রতিষ্ঠা করতে পেরেছিস?”
“ওম্মা, আপনেরা সব বড় বড় লেখাপড়া জানা পাবলিক, আপনেরা আমাগো কন একবার চান্স দিয়া দ্যেখো আমরা ক্যেমনে তোমাগো গণতন্ত্র আইন্না দেই। হ্যেরপরে ভুট শ্যাষ, আপনেগো ওয়াদাও শ্যাষ।”
“তাহলে বিগত এক ডজন জাতীয় নির্বাচন হলো, কোই তোদের তো কেউ গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করল না! তারপরও তোরা বার বার একই ভুল কোরছিস!”
“ভুল মানে, আমাগো ভুল কী! যেই ব্যাডা ইলেকশানে খাড়াইবো আমারা তারেই তো ভুট দিমু। আমারতো আমাগো দেশের লুকেরেই ভুট দিমু। আপনে কী কন, আমরা বিদেশীরে ভুট দিমু??”
“তোরা তোদের ভুলটাও বুঝতে পারিস না। তোরা তো কখনো তোদের দেশের লোককে ভোট দিসনি...”
“মাইনে? আমরা কি বিদেশী ভাই, ব্রাদার-দাদাগো ভোট দিছি?”
“জ্বী না, তোমরা কোনো বিদেশী ভাই, ব্রাদার-দাদাগো বা কমরেডকেও ভোট দাও নাই তোমরা ভোট দিয়েছো মার্কাকে। তোমারা বেকুবের মতো ভালো মানুষ দ্যেখো নাই তোমরা দেখেছো কেবল পপুলার দল, মানে জনপ্রিয় দলকে ভোট দিয়েছো। বার বার দলকে ভোট দিয়েও গণতন্ত্র পাচ্ছ না তারপরও ওই জনপ্রিয় দল! আরে বেকুব তোরা দল ছেড়ে মানুষকে ভোট দে তাহলেই তোদের মানে কুমিরের ছা’এর প্রাণটা রক্ষা পাবে। তোরা সত্যিকার অর্থে গণতন্ত্রের সুফল পাবি।”
“হেঁঃ হেঁঃ নমিনেশন পাইতাছে দলের লুক। দলের পোরধান যারে নোমিনেশন দিবো হ্যেরেই আমরা ভুট দিমু। ক্যান্ডিডেট ভালা মানুষ না খারাপ মানুষ হ্যেইডার বিচার দলের বড় বড় নেতা-নেত্রীরা করবো।”
“এইযে বিগত এক ডজন বার শুনলি নমিনেশন বাণিজ্য হচ্ছে, বড় বড় ব্যবসায়ীরা পাঁচ কোটি-ছ’কোটি টাকা দিয়ে নমিনেশন কিনছে, তারপরও তোরা ওই মার্কা দেখে ভোট দিচ্ছিস। লোকটাকে দেখে নয়!”
“তয় পার্টির নীতির্নিধারক মানে যারা পার্টি চালায় হ্যেরা সঠিক লোক দ্যেয় না ক্যান? হ্যারাও কি মালের ভাগ পায়?”
“মালের ভাগ পায় কিনা জানি না। তবে কথা হচ্ছে দলের নীতি নির্ধারকরা পার্টি-প্রধানের কথা না শুনলে তারওতো পার্টিতে অবস্থান ভুমিকম্পের মতো নড়বড়ে হয়ে ওঠে। পায়ের নিচের মাটি সরে যায়। তাই সবাই পার্টির নেতা-নেত্রী আর সিইও’র কথা মেনেই চলে।”
“তায়লে ব্যেবাগ শিয়ালে কোইবো তোমাগো গণতন্ত্র আইন্না দেই, তোমাগো গণতন্ত্র আইন্না দেই...”
“কী বলবো বল। গণতন্ত্র আনার জন্য, তোরা সবাই এক হয়ে বিগত স্বৈরাচার সরকারকে উৎখাত করলি। এখন বারবার তোরা খালি স্বৈরাচারই উৎখাতই করতে থাকবি? একবার পাকিস্তানে ১৯৬৯ গণঅভুূথ্যানে স্বৈরাচার উৎখাত, আবার গুলি মেরে স্বৈরাচার উৎখাত, তারপর মিলিটারি ক্যু দে তা, এবার গুলি মেরে শেষ, ১৯৯০ আবার জুগপৎ আন্দোলনে উৎখাত, আবার ২০২৪ স্বৈরাচার উৎখাত। তোরা খালি এই কর, উৎখাত আর উৎখাত।”
“তায়লে আমাগো গণতন্ত্র কী কুনোদিনও আইবো না!”
“দ্যাখ সামনের নির্বাচনে যদি ভালো লোককে ভোট দিস, তাহলে হয়তো দেশে গণতন্ত্র আসলেও আসতে পারে?”
“উৎখাত আর উৎখাত...উৎখাত আর উৎখাত...বড়, দুশচিন্তায় ফেললেন স্যার...”
[লেখক: চলচ্চিত্রকার]
ইপেপার
জাতীয়
সারাদেশ
আন্তর্জাতিক
নগর-মহানগর
খেলা
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
শিক্ষা
অর্থ-বাণিজ্য
সংস্কৃতি
ক্যাম্পাস
মিডিয়া
অপরাধ ও দুর্নীতি
রাজনীতি
শোক ও স্মরন
প্রবাস
নারীর প্রতি সহিংসতা
বিনোদন
সম্পাদকীয়
উপ-সম্পাদকীয়
মুক্ত আলোচনা
চিঠিপত্র
পাঠকের চিঠি
রম্যগদ্য
জাঁ-নেসার ওসমান
শুক্রবার, ১২ ডিসেম্বর ২০২৫
“ভাইরে দেশের কুমিরের খামারের তো বেহাল দশা, শিয়ালরা জোট বান্ধুক আর নাই বান্ধুক কুমিরের ছা’তো এ্যমতেই মরের এইডা আবার নতুন কী হুনাইলেন ‘সব শিয়ালের এক রা’ মারা গেল কুমিরের ছা...?”
“কুমিরের ছা’এর প্রাণ ওষ্ঠাগত না প্রাণ কুক্ষিগত, হ্যেইডা আমার সাবজেক্ট না। আমি কোইতে চাই যে, আজীবন ব্যেবাগ গল্প কাহিনীতে, কার্টুনে, উপেন্দ্রনাসে হক্কলেই কুমিররে বেকুব আর শিয়ালরে চালাক দেখাইছে। আপনেও দেখি পাবলিক, মানে আমগো সাধারণ মাইনষ্যেরে, কুমির মান বেকুব কোইতাছেন!”
“আরে ভাই তুই শুনিসনি, বাংলায় একটা কথা আছে না, সব-শিয়ালে খেল কাঁঠাল, বকের ঠোঁটে আঠা।”
“এইডা আবার কী কন, সব-শিয়ালে খেল কাঁঠাল, বকের ঠোঁটে আঠা?”
“বিষয়টা হচ্ছে, অনেক শিয়াল মিলে কাঁঠাল খেল, আর এক বক পাশ থেকে কাঁঠালে একটা ঠোকর মারায় তার ঠোঁটে আঠা জড়িয়ে গেল। ব্যাস বক কাঁঠাল চুরির দায়ে ধরা পড়ল।”
“মাইনে যারা আসল চুর হ্যারা ধরা খাইল না, ধরা খাইল হেই ব্যাডা, যে খালি লগে আছিল!”
“ঠিকই ধরেছিস। যারা প্রকৃত দোষী, তারা প্রমাণের অভাবে ছাড়া পেল আর যে ব্যাক্তি কেবল মাত্র দোষের সংস্পর্শে এসেছে সে ধরা পড়ল। তোর দেশে এখন বিষয়টা অনেকটা এমনই।”
“আমাগো মাতৃভুমিতে কী এমন ঘটছে যে আপনে মিয়া আমাগোরে শিয়াল, কুমির-বগা সব জন্তু জানোয়ারের লগে তুলনা করতাছেন!”
“আরে না না, ছিঃ ছিঃ তোরা সৃষ্টির সেরা জীব, তোমাদিগকে আমি কিরূপে প্রাণীকুলের সহিত তুলনা করিব! আমি বলছিলাম যে, সব শিয়ালের এক রা, মানে প্রায় সব রাজনৈতিক দল একই কথা বলছে যে, তারা সবাই বাংলাদেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করবে, গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করবে, কিন্তু যখনই তোরা তাদের মানে ওই রাজনৈতিক দলদের দেশ পরিচালনার দায়িত্ব দিচ্ছিস, অমনি তারা হয় দলের না হলে কেবলই নিজের পরিবারের জন্য গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করছে। দেশের লোকের মানে রূপক অর্থে কুমিরের ছা’এর জন্য গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করছে না। ফলে কুমিরের ছা’এর প্রাণ ওষ্ঠাগত।”
“কুমিরের ছা’এর প্রাণ ওষ্ঠাগত না প্রাণ কুক্ষিগত, হ্যেইডা আমার সাবজেক্ট না। আমি কোইতে চাই যে, আজীবন ব্যেবাগ গল্প কাহিনীতে, কার্টুনে, উপেন্দ্রনাসে হক্কলেই কুমিররে বেকুব আর শিয়ালরে চালাক দেখাইছে। আপনেও দেখি পাবলিক, মানে আমগো সাধারণ মাইনষ্যেরে, কুমির মান বেকুব কোইতাছেন!”
“যাহ্ তুই সামান্যতেই কথাটা নিজের ঘাড়ে নিচ্ছিস। আমি বলছি বিগত পঞ্চাশ বছর ধরে তোরা গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে যেয়ে, কতবার কত রকম ভোট দিলি, কিন্তু গণতন্ত্র কি প্রতিষ্ঠা করতে পেরেছিস?”
“ওম্মা, আপনেরা সব বড় বড় লেখাপড়া জানা পাবলিক, আপনেরা আমাগো কন একবার চান্স দিয়া দ্যেখো আমরা ক্যেমনে তোমাগো গণতন্ত্র আইন্না দেই। হ্যেরপরে ভুট শ্যাষ, আপনেগো ওয়াদাও শ্যাষ।”
“তাহলে বিগত এক ডজন জাতীয় নির্বাচন হলো, কোই তোদের তো কেউ গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করল না! তারপরও তোরা বার বার একই ভুল কোরছিস!”
“ভুল মানে, আমাগো ভুল কী! যেই ব্যাডা ইলেকশানে খাড়াইবো আমারা তারেই তো ভুট দিমু। আমারতো আমাগো দেশের লুকেরেই ভুট দিমু। আপনে কী কন, আমরা বিদেশীরে ভুট দিমু??”
“তোরা তোদের ভুলটাও বুঝতে পারিস না। তোরা তো কখনো তোদের দেশের লোককে ভোট দিসনি...”
“মাইনে? আমরা কি বিদেশী ভাই, ব্রাদার-দাদাগো ভোট দিছি?”
“জ্বী না, তোমরা কোনো বিদেশী ভাই, ব্রাদার-দাদাগো বা কমরেডকেও ভোট দাও নাই তোমরা ভোট দিয়েছো মার্কাকে। তোমারা বেকুবের মতো ভালো মানুষ দ্যেখো নাই তোমরা দেখেছো কেবল পপুলার দল, মানে জনপ্রিয় দলকে ভোট দিয়েছো। বার বার দলকে ভোট দিয়েও গণতন্ত্র পাচ্ছ না তারপরও ওই জনপ্রিয় দল! আরে বেকুব তোরা দল ছেড়ে মানুষকে ভোট দে তাহলেই তোদের মানে কুমিরের ছা’এর প্রাণটা রক্ষা পাবে। তোরা সত্যিকার অর্থে গণতন্ত্রের সুফল পাবি।”
“হেঁঃ হেঁঃ নমিনেশন পাইতাছে দলের লুক। দলের পোরধান যারে নোমিনেশন দিবো হ্যেরেই আমরা ভুট দিমু। ক্যান্ডিডেট ভালা মানুষ না খারাপ মানুষ হ্যেইডার বিচার দলের বড় বড় নেতা-নেত্রীরা করবো।”
“এইযে বিগত এক ডজন বার শুনলি নমিনেশন বাণিজ্য হচ্ছে, বড় বড় ব্যবসায়ীরা পাঁচ কোটি-ছ’কোটি টাকা দিয়ে নমিনেশন কিনছে, তারপরও তোরা ওই মার্কা দেখে ভোট দিচ্ছিস। লোকটাকে দেখে নয়!”
“তয় পার্টির নীতির্নিধারক মানে যারা পার্টি চালায় হ্যেরা সঠিক লোক দ্যেয় না ক্যান? হ্যারাও কি মালের ভাগ পায়?”
“মালের ভাগ পায় কিনা জানি না। তবে কথা হচ্ছে দলের নীতি নির্ধারকরা পার্টি-প্রধানের কথা না শুনলে তারওতো পার্টিতে অবস্থান ভুমিকম্পের মতো নড়বড়ে হয়ে ওঠে। পায়ের নিচের মাটি সরে যায়। তাই সবাই পার্টির নেতা-নেত্রী আর সিইও’র কথা মেনেই চলে।”
“তায়লে ব্যেবাগ শিয়ালে কোইবো তোমাগো গণতন্ত্র আইন্না দেই, তোমাগো গণতন্ত্র আইন্না দেই...”
“কী বলবো বল। গণতন্ত্র আনার জন্য, তোরা সবাই এক হয়ে বিগত স্বৈরাচার সরকারকে উৎখাত করলি। এখন বারবার তোরা খালি স্বৈরাচারই উৎখাতই করতে থাকবি? একবার পাকিস্তানে ১৯৬৯ গণঅভুূথ্যানে স্বৈরাচার উৎখাত, আবার গুলি মেরে স্বৈরাচার উৎখাত, তারপর মিলিটারি ক্যু দে তা, এবার গুলি মেরে শেষ, ১৯৯০ আবার জুগপৎ আন্দোলনে উৎখাত, আবার ২০২৪ স্বৈরাচার উৎখাত। তোরা খালি এই কর, উৎখাত আর উৎখাত।”
“তায়লে আমাগো গণতন্ত্র কী কুনোদিনও আইবো না!”
“দ্যাখ সামনের নির্বাচনে যদি ভালো লোককে ভোট দিস, তাহলে হয়তো দেশে গণতন্ত্র আসলেও আসতে পারে?”
“উৎখাত আর উৎখাত...উৎখাত আর উৎখাত...বড়, দুশচিন্তায় ফেললেন স্যার...”
[লেখক: চলচ্চিত্রকার]