মিথুশিলাক মুরমু
ভারতীয় উপমহাদেশের ভূমিপুত্ররা হলো- সাঁওতাল, কোল, ভীল, মুণ্ডা, উরাঁও, পাহাড়িয়াসহ অসংখ্য জাতিগোষ্ঠী। সামগ্রিকভাবে এসব জাতিগোষ্ঠীকে আদিবাসী হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়েছে। এটির যেমন নৃতাত্ত্বিক বিশ্লেষণ আছে, রয়েছে ভৌগোলিক, ঐতিহাসিক এবং সাংস্কৃতিক ব্যাখ্যাও।
আদিবাসীদের ভূমি সমস্যা বাংলাদেশের অন্যতম জটিল ও অমীমাংসিত মানবিক ইস্যু। আদিবাসীদের ভূমি অধিকার নিশ্চিত করা কেবল একটি আইনি বিষয় নয়, বরং তাদের অস্তিত্ব ও অনন্য সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য রক্ষার জন্য অপরিহার্য শর্ত
খ্রিষ্টপূর্বাব্দ কয়েক শত বছর পূর্ব থেকেই ভূমিপুত্ররা এ অঞ্চলের মাটিকে আঁকড়ে রেখেছে। মহেঞ্জোদারো সভ্যতার উদ্ভাবনের সঙ্গে আদিবাসীদের সংস্কৃতির অনেক সাদৃশ্য চোখে পড়ে। তারপর আমরা দেখি- ব্রিটিশ সরকার ১৮৮৫ খ্রিষ্টাব্দে প্রজাস্বত্ব আইন পাস করে কতকগুলো জাতিগোষ্ঠীকে আদিবাসী হিসেবে আইনগতভাবে স্বীকৃতি দেয়। ১৯৪৭ খ্রিষ্টাব্দে দেশ বিভক্তির পর ১৯৫০ খ্রিষ্টাব্দে আইনটি সংস্কারের মাধ্যমে আদিবাসীদের জন্য কার্যকর করা হয়।
১৯৭১ খ্রিষ্টাব্দে বাংলাদেশ স্বাধীন সার্বভৌম দেশ হিসেবে যাত্রা শুরু করে। অদ্যাবধি সেই আইনেই ‘বেঙ্গল টেন্যান্সি অ্যাক্ট, ১৮৮৫’-এর ৯৭ ধারায় (সেকশন ৯৭) আদিবাসীদের জমি সুরক্ষিত রয়েছে। আমাদের বাংলাদেশ ২০১১ খ্রিষ্টাব্দে সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনীতে ২৩(ক) ধারায় সংযোজন করেছে-
‘উপজাতি, ক্ষুদ্র জাতিসত্তা, নৃগোষ্ঠী ও সম্প্রদায়ের সংস্কৃতি: রাষ্ট্র বিভিন্ন উপজাতি, ক্ষুদ্র জাতিসত্তা, নৃগোষ্ঠী ও সম্প্রদায়ের অনন্য বৈশিষ্ট্যপূর্ণ আঞ্চলিক সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য সংরক্ষণ, উন্নয়ন ও বিকাশের ব্যবস্থা গ্রহণ করিবেন।’
এই সংযোজনের প্রেক্ষিতে দেশে বসবাসরত আদিবাসীরা চরম বিভ্রান্তির গোলকধাঁধায় পড়েছেন।
৯৭ ধারাটির মূল বিষয়বস্তু হলো-
নিষেধাজ্ঞা: এটি আদিবাসী সম্প্রদায়ের সদস্যদের ভূমি হস্তান্তর (বিক্রি, দান বা বন্ধক) করার ক্ষেত্রে বিশেষ নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে;
উদ্দেশ্য: অ-আদিবাসীরা যাতে সহজে প্রলোভন দেখিয়ে বা প্রতারণা করে আদিবাসীদের জমি দখল করতে না পারে, তার সুরক্ষাকবচ হিসেবে এই ধারাটি কাজ করে;
অনুমতি বাধ্যতামূলক: এই ধারার অধীনে আদিবাসীদের জমি হস্তান্তরের জন্য সংশ্লিষ্ট কালেক্টর বা যথাযথ সরকারি কর্তৃপক্ষের পূর্বানুমতি নেওয়া বাধ্যতামূলক করা হয়েছিল।
তারপরও আদিবাসীরা প্রায়ই সহায়-সম্পত্তি ও ভিটে-মাটি হারাচ্ছে। কখনো আইনের বেড়াজালে আটকে, কখনো পেশিশক্তির দাপটে, আবার কখনো রাজনৈতিক ছত্রছায়ায়। আদিবাসীদের ভূমি সমস্যার পরিসংখ্যান অত্যন্ত উদ্বেগজনক এবং এটি বছরের পর বছর ধরে চলে আসা একটি গুরুতর সমস্যা।
বিভিন্ন গবেষণা প্রতিবেদন ও মানবাধিকার সংস্থার তথ্যমতে এই সমস্যার কিছু পরিসংখ্যান নিচে দেওয়া হলো-
সমতলের আদিবাসীদের ভূমি সমস্যা
১. বিশাল পরিমাণ জমি বেহাত: বিভিন্ন বেসরকারি সংস্থার (এনজিও) গবেষণা অনুযায়ী, গত তিন দশকে সমতলের আদিবাসী সম্প্রদায় ৬ লাখ বিঘারও বেশি জমি হারিয়েছে ভূমি দখলকারীদের হাতে।
২. ভূমিহীনতার হার: হিউম্যান ডেভেলপমেন্ট রিসার্চ সেন্টার (এইচডিআরসি)-এর ২০০৯ খ্রিষ্টাব্দের একটি বই অনুযায়ী, উত্তরাঞ্চলের ৬৫ শতাংশ সাঁওতাল সম্প্রদায় ভূমি দখলের শিকার হয়েছে। পাত্র সম্প্রদায়ের ৯২ শতাংশ পরিবার কার্যত ভূমিহীন হয়ে পড়েছে।
৩. দারিদ্র্য: ভূমি হারানোর প্রত্যক্ষ প্রভাবে উত্তরাঞ্চলের ৬০ শতাংশ আদিবাসী জাতিসংঘের চরম দারিদ্র্যরে সংজ্ঞার নিচে বাস করে, যেখানে গ্রামীণ বাংলাদেশে এই হার ৩৯.৫ শতাংশ।
৪. সহিংসতা: কাপেং ফাউন্ডেশনের একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২০ খ্রিষ্টাব্দের মার্চ থেকে জুন মাসের মধ্যে অন্তত ৬,৫০৪ একর আদিবাসী জমি সম্পূর্ণ বা আংশিকভাবে দখল করা হয়েছিল। জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে আদিবাসীদের ওপর সহিংসতা একটি সাধারণ ঘটনায় পরিণত হয়েছে।
২০২৩ খ্রিষ্টাব্দেও সমতলের বিভিন্ন জেলায় আদিবাসীদের ভূমি অধিকার লঘনের অন্তত ১৭টি ঘটনা নথিভুক্ত হয়েছে, যার ফলে বহু পরিবার উচ্ছেদের শিকার হয়েছে।
৫. মিথ্যা মামলা: গাইবান্ধার সাহেবগঞ্জ-বাগদাফার্মের মতো ঘটনাগুলোতে আদিবাসীদের বিরুদ্ধে শত শত মিথ্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে, যা তাদের আইনিভাবে দুর্বল করে দেয়। ২০১৬ খ্রিষ্টাব্দে কেবল সে বছরেই সমতলের ১৯১ জন আদিবাসী কর্মীর বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা হয়েছিল।
৬. ঐতিহ্যগত ভূমি অধিকারের স্বীকৃতি না থাকা: বাংলাদেশের সমতলের বেশিরভাগ আদিবাসী সম্প্রদায়ের জমির ওপর ঐতিহ্যগত ভোগদখল থাকলেও আইনিভাবে তা প্রমাণের জন্য আধুনিক দলিলপত্র নেই। রাষ্ট্রীয় আইনে এই অধিকারের স্বীকৃতি না থাকায় তারা সহজেই ভূমি হারানোর ঝুঁকিতে থাকেন।
নিরাপত্তা সংকট ও ভূমি দখলের কারণ: জোরপূর্বক উচ্ছেদ ও দখল; ভীতি প্রদর্শন ও সহিংসতা; ভুয়া দলিল ও প্রতারণা।
মূল সমস্যাসমূহ: ভূমিহীনতা ও দারিদ্র্য, সাংস্কৃতিক বিলুপ্তি, বিচারহীনতার সংস্কৃতি।
উত্তরণের পথ: আইনি, রাজনৈতিক ও সামাজিক পদক্ষেপসমূহ যথাযথভাবে বাস্তবায়ন করা গেলে আদিবাসীদের ভূমির অধিকার ও নিরাপত্তা সংকট অনেকটাই নিরসন করা সম্ভব।
আদিবাসীদের ভূমি সমস্যা বাংলাদেশের অন্যতম জটিল ও অমীমাংসিত মানবিক ইস্যু। আদিবাসীদের ভূমি অধিকার নিশ্চিত করা কেবল একটি আইনি বিষয় নয়, বরং তাদের অস্তিত্ব ও অনন্য সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য রক্ষার জন্য অপরিহার্য শর্ত।
[লেখক: কলামিস্ট]
ইপেপার
জাতীয়
সারাদেশ
আন্তর্জাতিক
নগর-মহানগর
খেলা
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
শিক্ষা
অর্থ-বাণিজ্য
সংস্কৃতি
ক্যাম্পাস
মিডিয়া
অপরাধ ও দুর্নীতি
রাজনীতি
শোক ও স্মরন
প্রবাস
নারীর প্রতি সহিংসতা
বিনোদন
সম্পাদকীয়
উপ-সম্পাদকীয়
মুক্ত আলোচনা
চিঠিপত্র
পাঠকের চিঠি
মিথুশিলাক মুরমু
শুক্রবার, ১৯ ডিসেম্বর ২০২৫
ভারতীয় উপমহাদেশের ভূমিপুত্ররা হলো- সাঁওতাল, কোল, ভীল, মুণ্ডা, উরাঁও, পাহাড়িয়াসহ অসংখ্য জাতিগোষ্ঠী। সামগ্রিকভাবে এসব জাতিগোষ্ঠীকে আদিবাসী হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়েছে। এটির যেমন নৃতাত্ত্বিক বিশ্লেষণ আছে, রয়েছে ভৌগোলিক, ঐতিহাসিক এবং সাংস্কৃতিক ব্যাখ্যাও।
আদিবাসীদের ভূমি সমস্যা বাংলাদেশের অন্যতম জটিল ও অমীমাংসিত মানবিক ইস্যু। আদিবাসীদের ভূমি অধিকার নিশ্চিত করা কেবল একটি আইনি বিষয় নয়, বরং তাদের অস্তিত্ব ও অনন্য সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য রক্ষার জন্য অপরিহার্য শর্ত
খ্রিষ্টপূর্বাব্দ কয়েক শত বছর পূর্ব থেকেই ভূমিপুত্ররা এ অঞ্চলের মাটিকে আঁকড়ে রেখেছে। মহেঞ্জোদারো সভ্যতার উদ্ভাবনের সঙ্গে আদিবাসীদের সংস্কৃতির অনেক সাদৃশ্য চোখে পড়ে। তারপর আমরা দেখি- ব্রিটিশ সরকার ১৮৮৫ খ্রিষ্টাব্দে প্রজাস্বত্ব আইন পাস করে কতকগুলো জাতিগোষ্ঠীকে আদিবাসী হিসেবে আইনগতভাবে স্বীকৃতি দেয়। ১৯৪৭ খ্রিষ্টাব্দে দেশ বিভক্তির পর ১৯৫০ খ্রিষ্টাব্দে আইনটি সংস্কারের মাধ্যমে আদিবাসীদের জন্য কার্যকর করা হয়।
১৯৭১ খ্রিষ্টাব্দে বাংলাদেশ স্বাধীন সার্বভৌম দেশ হিসেবে যাত্রা শুরু করে। অদ্যাবধি সেই আইনেই ‘বেঙ্গল টেন্যান্সি অ্যাক্ট, ১৮৮৫’-এর ৯৭ ধারায় (সেকশন ৯৭) আদিবাসীদের জমি সুরক্ষিত রয়েছে। আমাদের বাংলাদেশ ২০১১ খ্রিষ্টাব্দে সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনীতে ২৩(ক) ধারায় সংযোজন করেছে-
‘উপজাতি, ক্ষুদ্র জাতিসত্তা, নৃগোষ্ঠী ও সম্প্রদায়ের সংস্কৃতি: রাষ্ট্র বিভিন্ন উপজাতি, ক্ষুদ্র জাতিসত্তা, নৃগোষ্ঠী ও সম্প্রদায়ের অনন্য বৈশিষ্ট্যপূর্ণ আঞ্চলিক সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য সংরক্ষণ, উন্নয়ন ও বিকাশের ব্যবস্থা গ্রহণ করিবেন।’
এই সংযোজনের প্রেক্ষিতে দেশে বসবাসরত আদিবাসীরা চরম বিভ্রান্তির গোলকধাঁধায় পড়েছেন।
৯৭ ধারাটির মূল বিষয়বস্তু হলো-
নিষেধাজ্ঞা: এটি আদিবাসী সম্প্রদায়ের সদস্যদের ভূমি হস্তান্তর (বিক্রি, দান বা বন্ধক) করার ক্ষেত্রে বিশেষ নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে;
উদ্দেশ্য: অ-আদিবাসীরা যাতে সহজে প্রলোভন দেখিয়ে বা প্রতারণা করে আদিবাসীদের জমি দখল করতে না পারে, তার সুরক্ষাকবচ হিসেবে এই ধারাটি কাজ করে;
অনুমতি বাধ্যতামূলক: এই ধারার অধীনে আদিবাসীদের জমি হস্তান্তরের জন্য সংশ্লিষ্ট কালেক্টর বা যথাযথ সরকারি কর্তৃপক্ষের পূর্বানুমতি নেওয়া বাধ্যতামূলক করা হয়েছিল।
তারপরও আদিবাসীরা প্রায়ই সহায়-সম্পত্তি ও ভিটে-মাটি হারাচ্ছে। কখনো আইনের বেড়াজালে আটকে, কখনো পেশিশক্তির দাপটে, আবার কখনো রাজনৈতিক ছত্রছায়ায়। আদিবাসীদের ভূমি সমস্যার পরিসংখ্যান অত্যন্ত উদ্বেগজনক এবং এটি বছরের পর বছর ধরে চলে আসা একটি গুরুতর সমস্যা।
বিভিন্ন গবেষণা প্রতিবেদন ও মানবাধিকার সংস্থার তথ্যমতে এই সমস্যার কিছু পরিসংখ্যান নিচে দেওয়া হলো-
সমতলের আদিবাসীদের ভূমি সমস্যা
১. বিশাল পরিমাণ জমি বেহাত: বিভিন্ন বেসরকারি সংস্থার (এনজিও) গবেষণা অনুযায়ী, গত তিন দশকে সমতলের আদিবাসী সম্প্রদায় ৬ লাখ বিঘারও বেশি জমি হারিয়েছে ভূমি দখলকারীদের হাতে।
২. ভূমিহীনতার হার: হিউম্যান ডেভেলপমেন্ট রিসার্চ সেন্টার (এইচডিআরসি)-এর ২০০৯ খ্রিষ্টাব্দের একটি বই অনুযায়ী, উত্তরাঞ্চলের ৬৫ শতাংশ সাঁওতাল সম্প্রদায় ভূমি দখলের শিকার হয়েছে। পাত্র সম্প্রদায়ের ৯২ শতাংশ পরিবার কার্যত ভূমিহীন হয়ে পড়েছে।
৩. দারিদ্র্য: ভূমি হারানোর প্রত্যক্ষ প্রভাবে উত্তরাঞ্চলের ৬০ শতাংশ আদিবাসী জাতিসংঘের চরম দারিদ্র্যরে সংজ্ঞার নিচে বাস করে, যেখানে গ্রামীণ বাংলাদেশে এই হার ৩৯.৫ শতাংশ।
৪. সহিংসতা: কাপেং ফাউন্ডেশনের একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২০ খ্রিষ্টাব্দের মার্চ থেকে জুন মাসের মধ্যে অন্তত ৬,৫০৪ একর আদিবাসী জমি সম্পূর্ণ বা আংশিকভাবে দখল করা হয়েছিল। জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে আদিবাসীদের ওপর সহিংসতা একটি সাধারণ ঘটনায় পরিণত হয়েছে।
২০২৩ খ্রিষ্টাব্দেও সমতলের বিভিন্ন জেলায় আদিবাসীদের ভূমি অধিকার লঘনের অন্তত ১৭টি ঘটনা নথিভুক্ত হয়েছে, যার ফলে বহু পরিবার উচ্ছেদের শিকার হয়েছে।
৫. মিথ্যা মামলা: গাইবান্ধার সাহেবগঞ্জ-বাগদাফার্মের মতো ঘটনাগুলোতে আদিবাসীদের বিরুদ্ধে শত শত মিথ্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে, যা তাদের আইনিভাবে দুর্বল করে দেয়। ২০১৬ খ্রিষ্টাব্দে কেবল সে বছরেই সমতলের ১৯১ জন আদিবাসী কর্মীর বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা হয়েছিল।
৬. ঐতিহ্যগত ভূমি অধিকারের স্বীকৃতি না থাকা: বাংলাদেশের সমতলের বেশিরভাগ আদিবাসী সম্প্রদায়ের জমির ওপর ঐতিহ্যগত ভোগদখল থাকলেও আইনিভাবে তা প্রমাণের জন্য আধুনিক দলিলপত্র নেই। রাষ্ট্রীয় আইনে এই অধিকারের স্বীকৃতি না থাকায় তারা সহজেই ভূমি হারানোর ঝুঁকিতে থাকেন।
নিরাপত্তা সংকট ও ভূমি দখলের কারণ: জোরপূর্বক উচ্ছেদ ও দখল; ভীতি প্রদর্শন ও সহিংসতা; ভুয়া দলিল ও প্রতারণা।
মূল সমস্যাসমূহ: ভূমিহীনতা ও দারিদ্র্য, সাংস্কৃতিক বিলুপ্তি, বিচারহীনতার সংস্কৃতি।
উত্তরণের পথ: আইনি, রাজনৈতিক ও সামাজিক পদক্ষেপসমূহ যথাযথভাবে বাস্তবায়ন করা গেলে আদিবাসীদের ভূমির অধিকার ও নিরাপত্তা সংকট অনেকটাই নিরসন করা সম্ভব।
আদিবাসীদের ভূমি সমস্যা বাংলাদেশের অন্যতম জটিল ও অমীমাংসিত মানবিক ইস্যু। আদিবাসীদের ভূমি অধিকার নিশ্চিত করা কেবল একটি আইনি বিষয় নয়, বরং তাদের অস্তিত্ব ও অনন্য সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য রক্ষার জন্য অপরিহার্য শর্ত।
[লেখক: কলামিস্ট]