কামরুজ্জামান
আমরা ছোট সময় পড়েছি পরিশ্রম সাফল্যের চাবিকাঠি। পরিশ্রম ছাড়া পৃথিবীতে খুব কম সংখ্যক মানুষই সাফল্য অর্জন করতে পেরেছে। যারা বিত্তবৈভবের মধ্যে জন্মগ্রহণ করেছে তাদের কথা অবশ্য আলাদা। পরিশ্রম শুধু মানুষকে সাফল্যই এনে দেয় না। পরিশ্রম মানুষকে ভিতর থেকে পরিশুদ্ধ করে মানবিক মানুষ হতে সাহায্য করে।
পরিশ্রম ছাড়া যেমন কোনো কিছু অর্জন করা যায় না তেমনি অধ্যাবসায় ছাড়াও নির্দিষ্ট লক্ষ্যে পৌছা যায় না। অধ্যবসায় হচ্ছে এমন একটি প্রক্রিয়া যেখানে মানুষ অনবরত চেষ্টা করতে থাকে সাফল্যের লক্ষ্যে পৌছানোর জন্য। নির্দিষ্ট লক্ষ্য পূরণের জন্য মানুষ নিরন্তর চেষ্টা করে যায়। বারবার চেষ্টার ফলে মানুষ এক পর্যায়ে সাফল্য অর্জন করে। কঠোর অধ্যাবসায় একজন মানুষকে কাক্সিক্ষত লক্ষ্যে পৌঁছে দেয়।
সাধারণভাবে বলা যায়, অধ্যবসায় হলো ‘বারবার চেষ্টা করা’-যা কোনো কাজ সফলভাবে সম্পন্ন করার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করার সবচেয়ে সহজ উপায় হলো- ভালো করে পড়ালেখা করা। যাদের অর্থসম্পদ কম তাদের সবচেয়ে বড় হাতিয়ার হচ্ছে পড়ালেখা। দরিদ্র পরিবারের সন্তানদের ভালো করার উপায়ও হচ্ছে, ভালো করে পড়ালেখা করা।
ভালো করে পড়ালেখা করার অন্যতম উপায় হচ্ছে - নিয়মিত অধ্যবসায়। নিয়মিত অধ্যবসায়ে একজন দুর্বল মেধার ছাত্রও ভালো করতে পারে। গড়ে তুলতে পারে ভালো ক্যারিয়ার।
আমরা একটা গল্প জানি সবাই। গল্পটি হচ্ছে কচ্ছপ আর খরগোশের। দৌড় প্রতিযোগিতায় শেষ পর্যন্ত কচ্ছপ জয়লাভ করে। এর কারণ হচ্ছে - খরগোশ দ্রুত দৌড়াতে পারলেও কচ্ছপকে হেয় প্রতিপন্ন করা এবং অলসতা করার কারণে মাঝ রাস্তায় বিশ্রাম নিতে গিয়ে ঘুমিয়ে পড়ে। আর কচ্ছপ নিরবিচ্ছিন্ন ভাবে এগিয়ে যাওয়ার কারণে শেষ পর্যন্ত গন্তব্যে গিয়ে পৌঁছায় এবং জয় লাভ করে।
আমরা বাস্তব জীবনেও এই রকম অনেক ঘটনা দেখতে পাই। কিছু মানুষ অনেক মেধাবী হওয়া সত্যেও শুধুমাত্র অলসতা আর গাফিলতির কারণে জীবনে সফল হতে পারেনি। আবার কিছু মানুষ মেধা কম হওয়া সত্যেও শুধুমাত্র পরিশ্রম আর নিরলস অধ্যবসায়ের কারণে সফলতা অর্জন করতে পেরেছে।
অধ্যবসায়ী হওয়ার জন্য কিছু পদ্ধতি এবং মানসিক প্রস্তুতি প্রয়োজন। প্রয়োজন ধীর-স্থিরতা। অধ্যবসায়ী হওয়ার পদ্ধতিগুলো নিম্নরূপ হতে পারে -
নিয়মিত পড়ালেখা করা : ছাত্র জীবনে নিয়মিত পড়ালেখার কোনো বিকল্প নেই। যারা নিয়মিত মনোযোগ দিয়ে পড়ালেখা করে তারা কোনো না কোনো ভাবে সফল হয়। পৃথিবীতে বহু জ্ঞানী ও মনীষীর দেখা পাওয়া যায় যারা শুধুমাত্র অধ্যবসায়ের মাধ্যমে জীবনকে গড়ে তুলেছেন সফল মানুষ হিসাবে। শিশু কিশোর বয়সেই তারা নিজের মধ্যে পাঠাভ্যাস গড়ে তোলেন। ছাত্র জীবনে ভালো করার জন্য সময়কে যথাযথভাবে কাজে লাগাতে হবে। রুটিন করে প্রতিদিনের পড়ালেখা প্রতিদিন শেষ করতে হবে। পাঠ্যবইগুলো সিলেবাস ধরে ধরে বার বার পড়তে হবে। পাশাপাশি আত্মস্থ পাড়াগুলো লিখতে হবে নিয়মিত। তবেই পরীক্ষায় ভালো ফলাফল অর্জন করা সম্ভব। তাছাড়া মেধাকে শানিত করার জন্য পাঠ্যবইয়ের বাইরেও বই পড়ার অভ্যাস তৈরি করতে হবে।
কঠোর পরিশ্রমী হওয়া : যে কোনো কাজে সফলতার জন্য পরিশ্রমের বিকল্প নেই। পরিশ্রম করার বিষয়টি মানুষের শারীরিক দক্ষতার উপর নির্ভর করে। শারীরিক পরিশ্রম এক রকম আবার মানসিক ও বুদ্ধিবৃত্তিক পরিশ্রম আরেক রকম। সফলতার জন্য দু’ধরনের পরিশ্রমই লাগে। নিয়মিত অধ্যবসায়ী হওয়ার কথা শারীরিক ও মানসিক পরিশ্রম অবশ্যই করতে হবে।
বদভ্যাস আছে এমন কাজ ছেড়ে দেওয়া : বদভ্যাস মানুষকে পিছনে ফেলে দেয়। বদভ্যাস অনেকটা নেশার মতো। ঘুরেফিরে মানুষ যখন একই কাজ বার বার করে তখন সেটা বদভ্যাসে পরিণত হয়। কথা এবং কাজ দুই ধরনের বদভ্যাসই মানুষের মাঝে পরিলক্ষিত হয়। এই সব বদভ্যাস মানুষকে ছোট কর, ব্যক্তিত্বহীন করে দেয়। তাই নিয়মিত অধ্যবসায়ের জন্য সকল ধরনের বদভ্যাস ত্যাগ করা প্রয়োজন।
বন্ধুর সংখ্যা কমিয়ে আনা : সামাজিক বন্ধনের জন্য বন্ধুর প্রয়োজন রয়েছে। তবে ক্যারিয়ার তৈরি না করে শুধু বন্ধু মহলে সময় দেওয়া উচিত নয়। আরও একটি বিষয় - সব বন্ধু যে ভালো হয় ব্যাপারটি এমন নয়। আমাদের দেশে একটি কথা প্রচলিত আছে “সঙ্গ দোষে লোহা ভাসে।” বন্ধু যদি ভালো না হয় তাহলে ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি। একজন মানুষের ভবিষ্যৎ ক্যারিয়ার তৈরির জন্য অধ্যবসায় গুরুত্বপূর্ণ, বন্ধুত্ব নয়। তবে কঠোর অধ্যবসায়ের মাধ্যমে সফলতা অর্জন করতে পারলে বন্ধুর অভাব হয় না। সফলতা অর্জনের পথে অধ্যবসায় গুরুত্বপূর্ণ, বন্ধুত্ব বা সামাজিকতা নয়। সেজন্য বন্ধুর সংখ্যা কমিয়ে আনা বুদ্ধিমানের কাজ।
সুনির্দিষ্ট লক্ষ্য নিয়ে আগানো : পাল বিহীন নৌকা যেমন পাড় খোঁজে পায় না তেমনি লক্ষ্য বিহীন জীবন সফলতা অর্জন করতে পারে না। ভবিষ্যতে কি হতে চাই সে লক্ষ্য ঠিক করে আগানো উচিত। লক্ষ্য পূরণের জন্য পড়ালেখা ঠিক করা, পড়ালেখা পদ্ধতি, পরিশ্রমের মাত্রা ও গন্তব্য এগুলো ঠিকঠাক করে অধ্যবসায় শুরু করলে একজন মানুষ সফল না হয়ে পারে না। প্রতিটি মানুষের উচিত লক্ষ্য ঠিক করে সামনে এগিয়ে যাওয়া। পরিশ্রম ও অধ্যবসায় ঠিক থাকলে সফলতা আসবেই।
পরিশ্রম করে ব্যর্থ হলেও হাল না ছাড়া: কবি বলেছেন, “একবার না পাড়িলে দেখ শতবার। “ অর্থাৎ কোনো কোনো কাজে হয়তো প্রথমবারেই সফল হওয়া যায়। আবার এমনও কাজ আছে বারবার করার পরেও ব্যর্থ হতে হয়। এই সব ক্ষেত্রে হাল ছাড়া যাবে না। কাজের সফলতায় যদি বিশেষ কিছু অর্জিত হয়, জগৎ জুড়ে খ্যাতি এনে দেয়, একজন মানুষের ভবিষ্যৎ ক্যারিয়ার সফল করে তোলে তাহলে পরিশ্রম এবং অধ্যবসায় অব্যাহত রাখা প্রয়োজন।
ধৈর্য্য ও মানসিক স্থিরতা : অধ্যবসায়ের জন্য প্রয়োজন ধৈর্য ধারণ করা, পরিশ্রম করে যাওয়া এবং মানসিক স্থিরতা। সর্ট কার্টে সফল হওয়া যায় না। সফল হওয়ার জন্য সময় এবং ধৈর্য লাগে। সাথে সাথে লাগে কঠোর অধ্যবসায়। যে কোনো কাজে সফল হওয়ার জন্য নিয়মিত অধ্যবসায় প্রয়োজন।
অধ্যবসায় হলো জীবনের এক মহৎ গুণ, যা মানুষকে সাফল্যের পথে এগিয়ে নিয়ে যায়। অধ্যবসায়ীর জীবনে কোনো কিছুই অসম্পূর্ণ থাকে না। তাই ভালো কিছু পেতে হলে সফলতা অর্জন করতে হলে অধ্যবসায়ের কোনো বিকল্প নেই।
[লেখক: সহকারী অধ্যাপক, ভূগোল বিভাগ, মুক্তিযোদ্ধা কলেজ, গাজীপুর]
ইপেপার
জাতীয়
সারাদেশ
আন্তর্জাতিক
নগর-মহানগর
খেলা
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
শিক্ষা
অর্থ-বাণিজ্য
সংস্কৃতি
ক্যাম্পাস
মিডিয়া
অপরাধ ও দুর্নীতি
রাজনীতি
শোক ও স্মরন
প্রবাস
নারীর প্রতি সহিংসতা
বিনোদন
সম্পাদকীয়
উপ-সম্পাদকীয়
মুক্ত আলোচনা
চিঠিপত্র
পাঠকের চিঠি
কামরুজ্জামান
শুক্রবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৫
আমরা ছোট সময় পড়েছি পরিশ্রম সাফল্যের চাবিকাঠি। পরিশ্রম ছাড়া পৃথিবীতে খুব কম সংখ্যক মানুষই সাফল্য অর্জন করতে পেরেছে। যারা বিত্তবৈভবের মধ্যে জন্মগ্রহণ করেছে তাদের কথা অবশ্য আলাদা। পরিশ্রম শুধু মানুষকে সাফল্যই এনে দেয় না। পরিশ্রম মানুষকে ভিতর থেকে পরিশুদ্ধ করে মানবিক মানুষ হতে সাহায্য করে।
পরিশ্রম ছাড়া যেমন কোনো কিছু অর্জন করা যায় না তেমনি অধ্যাবসায় ছাড়াও নির্দিষ্ট লক্ষ্যে পৌছা যায় না। অধ্যবসায় হচ্ছে এমন একটি প্রক্রিয়া যেখানে মানুষ অনবরত চেষ্টা করতে থাকে সাফল্যের লক্ষ্যে পৌছানোর জন্য। নির্দিষ্ট লক্ষ্য পূরণের জন্য মানুষ নিরন্তর চেষ্টা করে যায়। বারবার চেষ্টার ফলে মানুষ এক পর্যায়ে সাফল্য অর্জন করে। কঠোর অধ্যাবসায় একজন মানুষকে কাক্সিক্ষত লক্ষ্যে পৌঁছে দেয়।
সাধারণভাবে বলা যায়, অধ্যবসায় হলো ‘বারবার চেষ্টা করা’-যা কোনো কাজ সফলভাবে সম্পন্ন করার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করার সবচেয়ে সহজ উপায় হলো- ভালো করে পড়ালেখা করা। যাদের অর্থসম্পদ কম তাদের সবচেয়ে বড় হাতিয়ার হচ্ছে পড়ালেখা। দরিদ্র পরিবারের সন্তানদের ভালো করার উপায়ও হচ্ছে, ভালো করে পড়ালেখা করা।
ভালো করে পড়ালেখা করার অন্যতম উপায় হচ্ছে - নিয়মিত অধ্যবসায়। নিয়মিত অধ্যবসায়ে একজন দুর্বল মেধার ছাত্রও ভালো করতে পারে। গড়ে তুলতে পারে ভালো ক্যারিয়ার।
আমরা একটা গল্প জানি সবাই। গল্পটি হচ্ছে কচ্ছপ আর খরগোশের। দৌড় প্রতিযোগিতায় শেষ পর্যন্ত কচ্ছপ জয়লাভ করে। এর কারণ হচ্ছে - খরগোশ দ্রুত দৌড়াতে পারলেও কচ্ছপকে হেয় প্রতিপন্ন করা এবং অলসতা করার কারণে মাঝ রাস্তায় বিশ্রাম নিতে গিয়ে ঘুমিয়ে পড়ে। আর কচ্ছপ নিরবিচ্ছিন্ন ভাবে এগিয়ে যাওয়ার কারণে শেষ পর্যন্ত গন্তব্যে গিয়ে পৌঁছায় এবং জয় লাভ করে।
আমরা বাস্তব জীবনেও এই রকম অনেক ঘটনা দেখতে পাই। কিছু মানুষ অনেক মেধাবী হওয়া সত্যেও শুধুমাত্র অলসতা আর গাফিলতির কারণে জীবনে সফল হতে পারেনি। আবার কিছু মানুষ মেধা কম হওয়া সত্যেও শুধুমাত্র পরিশ্রম আর নিরলস অধ্যবসায়ের কারণে সফলতা অর্জন করতে পেরেছে।
অধ্যবসায়ী হওয়ার জন্য কিছু পদ্ধতি এবং মানসিক প্রস্তুতি প্রয়োজন। প্রয়োজন ধীর-স্থিরতা। অধ্যবসায়ী হওয়ার পদ্ধতিগুলো নিম্নরূপ হতে পারে -
নিয়মিত পড়ালেখা করা : ছাত্র জীবনে নিয়মিত পড়ালেখার কোনো বিকল্প নেই। যারা নিয়মিত মনোযোগ দিয়ে পড়ালেখা করে তারা কোনো না কোনো ভাবে সফল হয়। পৃথিবীতে বহু জ্ঞানী ও মনীষীর দেখা পাওয়া যায় যারা শুধুমাত্র অধ্যবসায়ের মাধ্যমে জীবনকে গড়ে তুলেছেন সফল মানুষ হিসাবে। শিশু কিশোর বয়সেই তারা নিজের মধ্যে পাঠাভ্যাস গড়ে তোলেন। ছাত্র জীবনে ভালো করার জন্য সময়কে যথাযথভাবে কাজে লাগাতে হবে। রুটিন করে প্রতিদিনের পড়ালেখা প্রতিদিন শেষ করতে হবে। পাঠ্যবইগুলো সিলেবাস ধরে ধরে বার বার পড়তে হবে। পাশাপাশি আত্মস্থ পাড়াগুলো লিখতে হবে নিয়মিত। তবেই পরীক্ষায় ভালো ফলাফল অর্জন করা সম্ভব। তাছাড়া মেধাকে শানিত করার জন্য পাঠ্যবইয়ের বাইরেও বই পড়ার অভ্যাস তৈরি করতে হবে।
কঠোর পরিশ্রমী হওয়া : যে কোনো কাজে সফলতার জন্য পরিশ্রমের বিকল্প নেই। পরিশ্রম করার বিষয়টি মানুষের শারীরিক দক্ষতার উপর নির্ভর করে। শারীরিক পরিশ্রম এক রকম আবার মানসিক ও বুদ্ধিবৃত্তিক পরিশ্রম আরেক রকম। সফলতার জন্য দু’ধরনের পরিশ্রমই লাগে। নিয়মিত অধ্যবসায়ী হওয়ার কথা শারীরিক ও মানসিক পরিশ্রম অবশ্যই করতে হবে।
বদভ্যাস আছে এমন কাজ ছেড়ে দেওয়া : বদভ্যাস মানুষকে পিছনে ফেলে দেয়। বদভ্যাস অনেকটা নেশার মতো। ঘুরেফিরে মানুষ যখন একই কাজ বার বার করে তখন সেটা বদভ্যাসে পরিণত হয়। কথা এবং কাজ দুই ধরনের বদভ্যাসই মানুষের মাঝে পরিলক্ষিত হয়। এই সব বদভ্যাস মানুষকে ছোট কর, ব্যক্তিত্বহীন করে দেয়। তাই নিয়মিত অধ্যবসায়ের জন্য সকল ধরনের বদভ্যাস ত্যাগ করা প্রয়োজন।
বন্ধুর সংখ্যা কমিয়ে আনা : সামাজিক বন্ধনের জন্য বন্ধুর প্রয়োজন রয়েছে। তবে ক্যারিয়ার তৈরি না করে শুধু বন্ধু মহলে সময় দেওয়া উচিত নয়। আরও একটি বিষয় - সব বন্ধু যে ভালো হয় ব্যাপারটি এমন নয়। আমাদের দেশে একটি কথা প্রচলিত আছে “সঙ্গ দোষে লোহা ভাসে।” বন্ধু যদি ভালো না হয় তাহলে ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি। একজন মানুষের ভবিষ্যৎ ক্যারিয়ার তৈরির জন্য অধ্যবসায় গুরুত্বপূর্ণ, বন্ধুত্ব নয়। তবে কঠোর অধ্যবসায়ের মাধ্যমে সফলতা অর্জন করতে পারলে বন্ধুর অভাব হয় না। সফলতা অর্জনের পথে অধ্যবসায় গুরুত্বপূর্ণ, বন্ধুত্ব বা সামাজিকতা নয়। সেজন্য বন্ধুর সংখ্যা কমিয়ে আনা বুদ্ধিমানের কাজ।
সুনির্দিষ্ট লক্ষ্য নিয়ে আগানো : পাল বিহীন নৌকা যেমন পাড় খোঁজে পায় না তেমনি লক্ষ্য বিহীন জীবন সফলতা অর্জন করতে পারে না। ভবিষ্যতে কি হতে চাই সে লক্ষ্য ঠিক করে আগানো উচিত। লক্ষ্য পূরণের জন্য পড়ালেখা ঠিক করা, পড়ালেখা পদ্ধতি, পরিশ্রমের মাত্রা ও গন্তব্য এগুলো ঠিকঠাক করে অধ্যবসায় শুরু করলে একজন মানুষ সফল না হয়ে পারে না। প্রতিটি মানুষের উচিত লক্ষ্য ঠিক করে সামনে এগিয়ে যাওয়া। পরিশ্রম ও অধ্যবসায় ঠিক থাকলে সফলতা আসবেই।
পরিশ্রম করে ব্যর্থ হলেও হাল না ছাড়া: কবি বলেছেন, “একবার না পাড়িলে দেখ শতবার। “ অর্থাৎ কোনো কোনো কাজে হয়তো প্রথমবারেই সফল হওয়া যায়। আবার এমনও কাজ আছে বারবার করার পরেও ব্যর্থ হতে হয়। এই সব ক্ষেত্রে হাল ছাড়া যাবে না। কাজের সফলতায় যদি বিশেষ কিছু অর্জিত হয়, জগৎ জুড়ে খ্যাতি এনে দেয়, একজন মানুষের ভবিষ্যৎ ক্যারিয়ার সফল করে তোলে তাহলে পরিশ্রম এবং অধ্যবসায় অব্যাহত রাখা প্রয়োজন।
ধৈর্য্য ও মানসিক স্থিরতা : অধ্যবসায়ের জন্য প্রয়োজন ধৈর্য ধারণ করা, পরিশ্রম করে যাওয়া এবং মানসিক স্থিরতা। সর্ট কার্টে সফল হওয়া যায় না। সফল হওয়ার জন্য সময় এবং ধৈর্য লাগে। সাথে সাথে লাগে কঠোর অধ্যবসায়। যে কোনো কাজে সফল হওয়ার জন্য নিয়মিত অধ্যবসায় প্রয়োজন।
অধ্যবসায় হলো জীবনের এক মহৎ গুণ, যা মানুষকে সাফল্যের পথে এগিয়ে নিয়ে যায়। অধ্যবসায়ীর জীবনে কোনো কিছুই অসম্পূর্ণ থাকে না। তাই ভালো কিছু পেতে হলে সফলতা অর্জন করতে হলে অধ্যবসায়ের কোনো বিকল্প নেই।
[লেখক: সহকারী অধ্যাপক, ভূগোল বিভাগ, মুক্তিযোদ্ধা কলেজ, গাজীপুর]