alt

মতামত » উপ-সম্পাদকীয়

পরিবেশ নিয়ে সচেতনতা জরুরি

মৌমিতা চক্রবর্তী

: শুক্রবার, ০৪ জুন ২০২১

পরিবেশের সাহায্য ছাড়া মানব সভ্যতার অস্তিত্ব কল্পনাও করা যায় না। প্রতি বছর ৫ জুন, বিশ্ব পরিবেশ দিবস পালিত হয়। এই বছর বিশ্ব পরিবেশ দিবসের থিম ‘বাস্তুতন্ত্রের পুনরুদ্ধার’ (Ecosystem Restoration)। দূষণমুক্ত পরিবেশ গঠনে প্রতি বছর ৫ জুন বিশ্বব্যাপী রাজনৈতিক কর্মোদ্যোগ আর জনসচেতনতার মাধ্যমে পরিবেশ সচেতনতার উদ্দেশ্যে বিশ্ব পরিবেশ দিবস পালন করা হয়।

আধুনিক যুগের প্রথম পর্যায়ে মানুষ তথাকথিত উন্নয়নের উদ্দেশ্যে বিশ্ব জুড়ে বিস্তৃত বনভূমি নির্বিচারে ধ্বংস করতে শুরু করল। অন্যদিকে শিল্প বিপ্লবের অমোঘ ফল হিসেবে দূষিত হতে থাকলো ভূমি, জল, বায়ু। একদিকে যেমন সমুদ্রের জলে মিশতে থাকলো বিষাক্ত রাসায়নিক পদার্থ, অন্যদিকে তেমন বাতাসে নির্গত হলো নানা বিষাক্ত গ্যাসের বাষ্প।

কৃষির উন্নতি ও অধিক ফলনের আশায় জমির ওপর শুরু হলো ব্যাপক মাত্রায় কীটনাশক রাসায়নিক সারের প্রয়োগ। পৃথিবীকে তথাকথিত সুস্থভাবে বসবাসযোগ্য করে তোলার উদ্দেশ্যে বিভিন্ন প্রাণিকূলের ওপর শুরু হলো নির্বিচার হত্যালীলা। বিশ্ব থেকে একে একে নির্মূল হয়ে যেতে থাকল নানা গুরুত্বপূর্ণ পোকামাকড়, পশুপাখি, এমনকি অমূল্য সম্পদ গাছপালা।

মানুষের পানীয় জল হয়ে উঠছে বিষাক্ত, অন্যদিকে রাসায়নিক, কীটনাশক আর হাইব্রিডের বাড়বাড়ন্তে জীবনধারণের অন্নও উঠছে বিষিয়ে। আবার এত কিছুর উপরে বিষাক্ত বায়ুর মধ্যে প্রতিনিয়ত নিঃশ্বাস নিতে বাধ্য হচ্ছে আধুনিক যুগের উন্নত মানুষ। খুব স্বাভাবিকভাবেই এর ফলে শরীরের ভেতরে দানা বাঁধছে নানা প্রকার মারণ রোগ। ক্রমশ বেড়েই চলেছে হৃদরোগ, ফুসফুসের ব্যাধি, চর্মরোগ, অ্যালঝাইমার, ক্যানসার ইত্যাদির প্রবণতা।

বিশ্ব পরিবেশ দিবস হিসাবে একটি দিনকে আলাদা করে পালনের গুরুত্ব অপরিসীম। যে পরিবেশের ওপর নির্ভর করে গড়ে উঠেছে আজকের উন্নত মানব সভ্যতা, যে পরিবেশ আমাদের সমাজকে দিয়েছে বর্তমানের সমৃদ্ধি, সেই পরিবেশকে ধ্বংসের হাত থেকে রক্ষার জন্য একটি দিন উৎসর্গ করা আমাদের সবার পবিত্র কর্তব্য। এই দিনটি পালন এর মধ্যে দিয়ে সমাজের সর্বস্তরের কাছে পৌঁছে যায় পরিবেশ সচেতনতার বার্তা। পরিবেশ এবং সভ্যতার পারস্পরিক মিথষ্ক্রিয়া সম্বন্ধে বহুলাংশে অজ্ঞ সাধারন মানুষ এই দিনটি পালনের মধ্য দিয়ে মানব জাতির অস্তিত্ব রক্ষায় সুস্থ পরিবেশের গুরুত্ব সম্পর্কে সচেতন হয়ে ওঠে।

সেই সঙ্গে উদ্যোগ নিতে হবে নিজেদের চারপাশের মানুষের মধ্যে সচেতনতার প্রসারের জন্যে। আর সর্বোপরি পরিবেশ সম্পর্কে নিজেদের মূল্যবোধকে গড়ে তুলতে হবে দৃঢ়ভাবে। একমাত্র তাহলেই বিশ্ব পরিবেশ দিবস পালনের প্রকৃত উদ্দেশ্য সাফল্যমন্ডিত হয়ে উঠবে।

[লেখক : শিক্ষার্থী, পরিসংখ্যান বিভাগ, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়]

পিএইচডি: উচ্চ শিক্ষার মানদণ্ড না প্রতীকী মরীচিকা?

আলুর প্রাচুর্যে কৃষকের সংকট

তাহলে কী ‘কোটা’ই জয়যুক্ত হবে!

ব্যাংকিং খাতে বিষফোঁড়া: বাংলাদেশের অর্থনীতির ধমনী বিষাক্ত হয়ে উঠছে

ছবি

ঢাকার নদী ও খালের দখল-দূষণ: পুনরুদ্ধার কোন পথে

জমি কী মূলে রেকর্ড হয়েছে, দলিল মূলে না উত্তরাধিকার মূলে?

কার্বন-নিরপেক্ষ শিশুর অনুপ্রেরণায় দেশ

এবার আমরা সভ্য হলাম!

সোনার প্রাসাদের দেয়ালে ঘামের দাগ

নিরাপদ সড়ক চাই কিন্তু কার্যকর উদ্যোগ কোথায়?

অবহেলিত শিক্ষার দুর্দশা বাড়ছে

টেকসই উন্নয়নের পূর্বশর্ত নিরাপদ সড়ক

বাংলার সংস্কৃতি কি মূলধারা হারিয়ে ফেলবে?

ছবি

সমদৃষ্টি, বহুত্ববাদী সমাজ এবং সহিষ্ণুতা

খাদ্য অপচয় : ক্ষুধার্ত পৃথিবীর এক নিঃশব্দ ট্র্যাজেডি

টেকসই বাংলাদেশ গঠনে পরিবেশ সংস্কার কেন অপরিহার্য

সে এক রূপকথারই দেশ

উপকূলের খাদ্যসংকট নিয়ে ভাবছেন কি নীতিনির্ধারকেরা?

মানসিক স্বাস্থ্য: মানবাধিকারের নতুন চ্যালেঞ্জ

ঢাকার যানজট ও বিকেন্দ্রীকরণ

নির্বাচনী মাঠে জামায়াতী হেকমত

শিক্ষা ব্যবস্থায় গভীর বৈষম্য ও জাতির অগ্রযাত্রাধ

উপমহাদেশে সমাজতন্ত্রের স্বপ্ন, বাস্তবতা ও চ্যালেঞ্জ

এইচএসসি ফল: সংখ্যার খেল না কি শিক্ষার বাস্তব চিত্র?

বিনা ভোট, নিশি ভোট, ডামি ভোটের পরে এবার নাকি গণভোট!

কমরেড ইলা মিত্রের শততম জন্মজয়ন্তী

কত মৃত্যু হলে জাগবে বিবেক?

বৈষম্যের বিবিধ মুখ

মানসিক স্বাস্থ্য রক্ষায় জরুরি আইনি সহায়তা

গাজা : এখন শান্তি রক্ষা করবে কে?

দোসর, বাই ডিফল্ট!

জমি কেনা দাগে দাগে কিন্তু ভোগদখল একদাগে

রাষ্ট্র কি শুধু শিক্ষকদের বেলায় এসে দরিদ্র হয়ে যাচ্ছে?

শতরঞ্জ কি খিলাড়ী

শিক্ষক থাকে রাজপথে, আর পুলিশ ছাড়ে থানা

উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা : স্কুল অ্যান্ড কলেজের ভবিষ্যৎ কী?

tab

মতামত » উপ-সম্পাদকীয়

পরিবেশ নিয়ে সচেতনতা জরুরি

মৌমিতা চক্রবর্তী

শুক্রবার, ০৪ জুন ২০২১

পরিবেশের সাহায্য ছাড়া মানব সভ্যতার অস্তিত্ব কল্পনাও করা যায় না। প্রতি বছর ৫ জুন, বিশ্ব পরিবেশ দিবস পালিত হয়। এই বছর বিশ্ব পরিবেশ দিবসের থিম ‘বাস্তুতন্ত্রের পুনরুদ্ধার’ (Ecosystem Restoration)। দূষণমুক্ত পরিবেশ গঠনে প্রতি বছর ৫ জুন বিশ্বব্যাপী রাজনৈতিক কর্মোদ্যোগ আর জনসচেতনতার মাধ্যমে পরিবেশ সচেতনতার উদ্দেশ্যে বিশ্ব পরিবেশ দিবস পালন করা হয়।

আধুনিক যুগের প্রথম পর্যায়ে মানুষ তথাকথিত উন্নয়নের উদ্দেশ্যে বিশ্ব জুড়ে বিস্তৃত বনভূমি নির্বিচারে ধ্বংস করতে শুরু করল। অন্যদিকে শিল্প বিপ্লবের অমোঘ ফল হিসেবে দূষিত হতে থাকলো ভূমি, জল, বায়ু। একদিকে যেমন সমুদ্রের জলে মিশতে থাকলো বিষাক্ত রাসায়নিক পদার্থ, অন্যদিকে তেমন বাতাসে নির্গত হলো নানা বিষাক্ত গ্যাসের বাষ্প।

কৃষির উন্নতি ও অধিক ফলনের আশায় জমির ওপর শুরু হলো ব্যাপক মাত্রায় কীটনাশক রাসায়নিক সারের প্রয়োগ। পৃথিবীকে তথাকথিত সুস্থভাবে বসবাসযোগ্য করে তোলার উদ্দেশ্যে বিভিন্ন প্রাণিকূলের ওপর শুরু হলো নির্বিচার হত্যালীলা। বিশ্ব থেকে একে একে নির্মূল হয়ে যেতে থাকল নানা গুরুত্বপূর্ণ পোকামাকড়, পশুপাখি, এমনকি অমূল্য সম্পদ গাছপালা।

মানুষের পানীয় জল হয়ে উঠছে বিষাক্ত, অন্যদিকে রাসায়নিক, কীটনাশক আর হাইব্রিডের বাড়বাড়ন্তে জীবনধারণের অন্নও উঠছে বিষিয়ে। আবার এত কিছুর উপরে বিষাক্ত বায়ুর মধ্যে প্রতিনিয়ত নিঃশ্বাস নিতে বাধ্য হচ্ছে আধুনিক যুগের উন্নত মানুষ। খুব স্বাভাবিকভাবেই এর ফলে শরীরের ভেতরে দানা বাঁধছে নানা প্রকার মারণ রোগ। ক্রমশ বেড়েই চলেছে হৃদরোগ, ফুসফুসের ব্যাধি, চর্মরোগ, অ্যালঝাইমার, ক্যানসার ইত্যাদির প্রবণতা।

বিশ্ব পরিবেশ দিবস হিসাবে একটি দিনকে আলাদা করে পালনের গুরুত্ব অপরিসীম। যে পরিবেশের ওপর নির্ভর করে গড়ে উঠেছে আজকের উন্নত মানব সভ্যতা, যে পরিবেশ আমাদের সমাজকে দিয়েছে বর্তমানের সমৃদ্ধি, সেই পরিবেশকে ধ্বংসের হাত থেকে রক্ষার জন্য একটি দিন উৎসর্গ করা আমাদের সবার পবিত্র কর্তব্য। এই দিনটি পালন এর মধ্যে দিয়ে সমাজের সর্বস্তরের কাছে পৌঁছে যায় পরিবেশ সচেতনতার বার্তা। পরিবেশ এবং সভ্যতার পারস্পরিক মিথষ্ক্রিয়া সম্বন্ধে বহুলাংশে অজ্ঞ সাধারন মানুষ এই দিনটি পালনের মধ্য দিয়ে মানব জাতির অস্তিত্ব রক্ষায় সুস্থ পরিবেশের গুরুত্ব সম্পর্কে সচেতন হয়ে ওঠে।

সেই সঙ্গে উদ্যোগ নিতে হবে নিজেদের চারপাশের মানুষের মধ্যে সচেতনতার প্রসারের জন্যে। আর সর্বোপরি পরিবেশ সম্পর্কে নিজেদের মূল্যবোধকে গড়ে তুলতে হবে দৃঢ়ভাবে। একমাত্র তাহলেই বিশ্ব পরিবেশ দিবস পালনের প্রকৃত উদ্দেশ্য সাফল্যমন্ডিত হয়ে উঠবে।

[লেখক : শিক্ষার্থী, পরিসংখ্যান বিভাগ, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়]

back to top