alt

মতামত » উপ-সম্পাদকীয়

খাদেম ভিসা ও কিছু কথা

আরিফুল ইসলাম

: মঙ্গলবার, ০৮ জুন ২০২১

বাংলাদেশিদের জন্য সহজ ও জনপ্রিয় শ্রমবাজার হিসেবে বিবেচিত মধ্যপ্রাচ্য। আমাদের রেমিট্যান্স যোদ্ধাদের একটা বড় অংশ মধ্যপ্রাচ্যে অবস্থান করছে। জীবিকার তাগিদে দেশ ভেদে ভিসার বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে বাংলাদেশিরা মধ্যপ্রাচ্যে পাড়ি জমান। এদের মধ্যে অধিকাংশ প্রবাসীদের জানা থাকে না তিনি আসলে কোন ক্যাটাগরির ভিসায় সেদেশে যাচ্ছেন এবং এই ক্যাটাগরির ভিসায় কি কি সুবিধা ও অসুবিধা রয়েছে। যার কারণে বিপুল অর্থ ব্যয় করে সুখের সোনার হরিণ ধরতে এসে অনেকেই বিপদে পড়েন এবং নিঃস্ব হওয়ার ঘটনা অহরহ পাওয়া যায়।

আমরা কয়েকজন কুয়েত প্রবাসীর সমন্বয়ে প্রবাসীদের উপকারের স্বার্থে ‘কুয়েত প্রবাসী’ নামে একটা ফেসবুক ভিত্তিক গ্রুপ পরিচালনা করি। গ্রুপ পরিচালনার কালে আমরা প্রবাসীদের বেশকিছু সমস্যা লক্ষ্য করেছি। তার মধ্যে সবচেয়ে বড় যে সমস্যা পাওয়া যায় তা হলো ভিসার ক্যাটাগরি না জেনে বিদেশে পাড়ি জমানো এবং পরিশেষে তা নিয়ে আফসোস করা।

বিদেশিদের জন্য বেশ কিছু ক্যাটাগরির ভিসা সরবরাহ করে কুয়েত সরকার। এর মধ্যে আমাদের বাংলাদেশিদের কাছে দুই ক্যাটাগরির ভিসা বেশ জনপ্রিয়। এক, ১৮ নাম্বার ক্যাটাগরির ভিসা ও দুই, ২০ নাম্বার ক্যাটাগরির ভিসা।

এবার আসি, ২০ নাম্বার যা খাদেম ভিসা নামে অধিক পরিচিত তা নিয়ে কিছু বিভ্রান্তির খোলামেলা আলোচনা নিয়ে। খাদেম মানে হচ্ছে সেবক অর্থাৎ যিনি সেবা প্রদান করেন এমন ব্যক্তি। মধ্যপ্রাচ্যে আরবিদের ঘরের সব ধরনের কাজের জন্য সরকারের পক্ষ থেকে এক ধরনের বিশেষ ভিসার অনুমোদন করা হয় যাকে ‘খাদেম ভিসা’ বলা হয়। খাদেম ভিসা আবার বিভিন্ন ক্যাটাগরির হতে পারে। যেমন : ড্রাইভার, তাব্বাক (রাঁধুনি), দেওয়ানিয়ার কাজ (টি বয়) ও ঘরের অন্যান্য কাজ।

কুয়েতে খাদেম ভিসা নিয়ে বহুদিন ধরে অবৈধ ব্যবসা চলে আসছে। এটা দুইভাবে হয়ে থাকে।

এক, ঘরের কাজের (সব ধরনের কাজ হতে পারে) কথা বলে দালালরা খাদেম ভিসায় আসতে ইচ্ছুকদের থেকে ২ থেকে ৩ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়। যেখানে প্রকৃত সত্য হচ্ছে কুয়েত সরকার নতুন আইনে বাংলাদেশিদের জন্য খাদেম ভিসা মাত্র ১৯৬ দিনারে (বাংলা ৫৫ হাজার টাকা) সরবরাহ করছে, তাও সেটা কফিল/মালিক সরকারকে পরিশোধ করে ভিসা ইস্যু করতে হবে। এক্ষেত্রে খাদেম ভিসায় আগত ব্যক্তিকে শুধু টিকিট, মেডিকেল বা নিজ দেশের ভিসা প্রসেসিং প্রক্রিয়ার সব খরচ বহন করতে হয় বা অনেক ক্ষেত্রে কফিল/মালিক নিজেই সব খরচ দেয়। এক কথায় খাদেম সম্পূর্ণ ফ্রিতে আসতে পারে।

বেতন : আলোচনা সাপেক্ষে হতে পারে। তবে নতুনদের ক্ষেত্রে ৬০ থেকে ১২০ দিনার যা বাংলাদেশের ১৫ থেকে ৩২ হাজারের মধ্যেই অধিকাংশ বেতন নির্ধারিত হয় এবং মালিকের সঙ্গে আগে থেকেই প্রতিশ্রুতি থাকলে তা প্রতিবছর বৃদ্ধি করতে পারে। তবে এক্ষেত্রে এসব খাদেমদের মালিকের গন্ডির বাইরে কাজ করার কোন সুযোগ থাকে না।

দুই, দালালরা খাদেম ভিসায় আসতে ইচ্ছুকদের কাছে ফ্রি ভিসার নাম করে একেকটি ভিসা প্রায় ৭ থেকে ৮ লাখ টাকায় বিক্রি করে, সেখানে কুয়েতিদেরও সম্মতি থাকে। উল্লেখ্য, ফ্রি ভিসা নামে কোন ভিসা কুয়েতে প্রচলন নেই। এই ভিসাগুলো এই শর্তে নেওয়া হয় যে, কফিল বা মালিক তার খাদেমকে কুয়েতে নিয়ে আসার পর তাকে দিয়ে ঘরের কাজ করানো হবে না, খাদেম তার মর্জি মত বাইরে যে কোন কাজ করবে। সে ক্ষেত্রে প্রতি বছর আকামা বা সিভিল আইডি নবায়নের জন্য একটা নির্দিষ্ট পরিমাণ কুয়েতি দিনার কফিলকে বা মালিককে পরিশোধ করতে হয়।

যদিও সাধারণত আকামা নবায়ন কফিল সম্পূর্ণ ফ্রিতে করে দেয় তবুও কফিলরা যেহেতু ফ্রি ভিসার নাম করে অবৈধভাবে তাদের খাদেমদের বাইরে কাজ করার সুযোগ দিচ্ছে এবং একটা অবৈধ ব্যবসা পরিচালনা করছে যা আইন পরিপন্থি। সেই হিসাবে আকামা নবায়নের সময় তারা খাদেমদের কাছ থেকে মোটা অঙ্কের অর্থ গ্রহণ করে। কেউ চাহিদা মতো অর্থ দিতে অস্বীকার করলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা হিসাবে বাড়ি থেকে পলায়ন এর মামলা দিয়ে দেয়া হয় বা অনেক সময় বাড়িতে ডেকে এনে মারধরের ঘটনাও ঘটে। মামলার পর সেই খাদেম হয়ে যায় আইনিভাবে সম্পূর্ণ অবৈধ বসবাসকারী। কারণ, ইতোমধ্যে তার মালিক তাকে পলায়নের মামলা দিয়ে দিয়েছে। আবার বৈধ খাদেম আকামাধারীরা যদি মালিকের কাজ ছাড়া বাইরে অন্যকোন কাজ করা অবস্থায় পুলিশের কাছে ধরা পড়ে তবে কফিল ও খাদেম উভয়েরই আইনি সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। তবে যদি বৈধ আকামা বা সিভিল আইডি থাকে তখন বেশিরভাগ ক্ষেত্রে কফিল পুলিশি ঝামেলা মিটাতে সক্ষম হয়। কিন্তু নতুন আইনে কোন খাদেম বাইরে কাজ অবস্থায় ধরা পড়লে কফিলদের আইনি ঝামেলা পোহাতে হয় বিধায় খাদেম আকামাধারীরা বাইরে কাজ করা অবস্থায় পুলিশের কাছে ধরা পড়লে কফিল তাকে ছাড়াতে যায় না। আইনি প্রক্রিয়া শেষে সোজা নিজ দেশে ফেরত পাঠানো হয়।

কিন্তু এসব কিছু মাঝেও এই অবৈধ সিস্টেম চলে আসছে বছরের পর বছর।

এসব সমস্যার মূল কারণ ভিসা সম্পর্কে ধারণা না থাকা। খাদেম ভিসায় আসার আগে সবকিছু যাচাই-বাছাই করে না নেয়া। এজন্য ভবিষ্যতে বাংলাদেশিরা কুয়েত বা মধ্যপ্রাচ্যের যেকোন দেশে এই ক্যাটাগরির ভিসায় আসার ক্ষেত্রে অবশ্যই সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে।

[লেখক : কুয়েত প্রবাসী]

বিজয় দিবস: নতুন প্রজন্মের রাষ্ট্রচিন্তার দিকদর্শন

ছবি

আমাদের বিজয়ের অন্তর্নিহিত বার্তা

প্রাণিসম্পদ: দেশীয় জাত, আধুনিক প্রযুক্তি

জমির জরিপ: ন্যায়বিচার প্রসঙ্গ

বুদ্ধিজীবী হত্যা ও এর স্বরূপ সন্ধানে

উন্নয়নের আড়ালে রোগীর ভোগান্তি: আস্থা সংকটে স্বাস্থ্যসেবা

ছবি

শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস: অমিত শক্তির উৎস

ছবি

বেগম রোকেয়া এখনো জাগ্রত

পশ্চিমবঙ্গ: বামপন্থীদের ‘বাংলা বাঁচাও’-এর ডাক

সবার বাংলাদেশ কবে প্রতিষ্ঠিত হবে?

বিদেশি বিনিয়োগ : প্রয়োজন আইনের শাসন ও সামাজিক স্থিতি

চিকিৎসা যখন অসহনীয় ব্যয়, তখন প্রতিবাদই ন্যায়

মস্কোর কৌশলগত পুনর্গঠন

“সব শিয়ালের এক রা’ মারা গেল কুমিরের ছা”

ছবি

বিচূর্ণ দর্পণের মুখ

নিজের চেতনায় নিজেরই ঘা দেয়া জরুরি

ঋণ অবলোপনের প্রভাব

ভেজাল গুড়ের মরণফাঁদ: বাঙালির ঐতিহ্য, জনস্বাস্থ্য ও আস্থার নীরব বিপর্যয়

আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবস

জোটের ভোট নাকি ভোটের জোট, কৌশলটা কী?

প্রমাণ তো করতে হবে আমরা হাসিনার চেয়ে ভালো

ছবি

কৃষি ডেটা ব্যবস্থাপনা

যুক্তরাজ্যে ভর্তি স্থগিতের কুয়াশা: তালা লাগলেও চাবি আমাদের হাতে

শিক্ষকদের কর্মবিরতি: পেশাগত নৈতিকতা ও দায়িত্ববোধ

জাতীয় রক্তগ্রুপ নির্ণয় দিবস

জাল সনদপত্রে শিক্ষকতা

সাধারণ চুক্তিগুলোও গোপনীয় কেন

ছবি

শিশুখাদ্যের নিরাপত্তা: জাতির ভবিষ্যৎ সুরক্ষার প্রথম শর্ত

ছবি

ফিনল্যান্ড কেন সুখী দেশ

ছবি

কৃষকের সংকট ও অর্থনীতির ভবিষ্যৎ

আলু চাষের আধুনিক প্রযুক্তি

ই-বর্জ্য: নীরব বিষে দগ্ধ আমাদের ভবিষ্যৎ

ঢাকার জনপরিসর: আর্ভিং গফম্যানের সমাজতাত্ত্বিক বিশ্লেষণ

আলু চাষের আধুনিক প্রযুক্তি

কলি ফুটিতে চাহে ফোটে না!

কৃষিতে স্মার্ট প্রযুক্তি

tab

মতামত » উপ-সম্পাদকীয়

খাদেম ভিসা ও কিছু কথা

আরিফুল ইসলাম

মঙ্গলবার, ০৮ জুন ২০২১

বাংলাদেশিদের জন্য সহজ ও জনপ্রিয় শ্রমবাজার হিসেবে বিবেচিত মধ্যপ্রাচ্য। আমাদের রেমিট্যান্স যোদ্ধাদের একটা বড় অংশ মধ্যপ্রাচ্যে অবস্থান করছে। জীবিকার তাগিদে দেশ ভেদে ভিসার বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে বাংলাদেশিরা মধ্যপ্রাচ্যে পাড়ি জমান। এদের মধ্যে অধিকাংশ প্রবাসীদের জানা থাকে না তিনি আসলে কোন ক্যাটাগরির ভিসায় সেদেশে যাচ্ছেন এবং এই ক্যাটাগরির ভিসায় কি কি সুবিধা ও অসুবিধা রয়েছে। যার কারণে বিপুল অর্থ ব্যয় করে সুখের সোনার হরিণ ধরতে এসে অনেকেই বিপদে পড়েন এবং নিঃস্ব হওয়ার ঘটনা অহরহ পাওয়া যায়।

আমরা কয়েকজন কুয়েত প্রবাসীর সমন্বয়ে প্রবাসীদের উপকারের স্বার্থে ‘কুয়েত প্রবাসী’ নামে একটা ফেসবুক ভিত্তিক গ্রুপ পরিচালনা করি। গ্রুপ পরিচালনার কালে আমরা প্রবাসীদের বেশকিছু সমস্যা লক্ষ্য করেছি। তার মধ্যে সবচেয়ে বড় যে সমস্যা পাওয়া যায় তা হলো ভিসার ক্যাটাগরি না জেনে বিদেশে পাড়ি জমানো এবং পরিশেষে তা নিয়ে আফসোস করা।

বিদেশিদের জন্য বেশ কিছু ক্যাটাগরির ভিসা সরবরাহ করে কুয়েত সরকার। এর মধ্যে আমাদের বাংলাদেশিদের কাছে দুই ক্যাটাগরির ভিসা বেশ জনপ্রিয়। এক, ১৮ নাম্বার ক্যাটাগরির ভিসা ও দুই, ২০ নাম্বার ক্যাটাগরির ভিসা।

এবার আসি, ২০ নাম্বার যা খাদেম ভিসা নামে অধিক পরিচিত তা নিয়ে কিছু বিভ্রান্তির খোলামেলা আলোচনা নিয়ে। খাদেম মানে হচ্ছে সেবক অর্থাৎ যিনি সেবা প্রদান করেন এমন ব্যক্তি। মধ্যপ্রাচ্যে আরবিদের ঘরের সব ধরনের কাজের জন্য সরকারের পক্ষ থেকে এক ধরনের বিশেষ ভিসার অনুমোদন করা হয় যাকে ‘খাদেম ভিসা’ বলা হয়। খাদেম ভিসা আবার বিভিন্ন ক্যাটাগরির হতে পারে। যেমন : ড্রাইভার, তাব্বাক (রাঁধুনি), দেওয়ানিয়ার কাজ (টি বয়) ও ঘরের অন্যান্য কাজ।

কুয়েতে খাদেম ভিসা নিয়ে বহুদিন ধরে অবৈধ ব্যবসা চলে আসছে। এটা দুইভাবে হয়ে থাকে।

এক, ঘরের কাজের (সব ধরনের কাজ হতে পারে) কথা বলে দালালরা খাদেম ভিসায় আসতে ইচ্ছুকদের থেকে ২ থেকে ৩ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়। যেখানে প্রকৃত সত্য হচ্ছে কুয়েত সরকার নতুন আইনে বাংলাদেশিদের জন্য খাদেম ভিসা মাত্র ১৯৬ দিনারে (বাংলা ৫৫ হাজার টাকা) সরবরাহ করছে, তাও সেটা কফিল/মালিক সরকারকে পরিশোধ করে ভিসা ইস্যু করতে হবে। এক্ষেত্রে খাদেম ভিসায় আগত ব্যক্তিকে শুধু টিকিট, মেডিকেল বা নিজ দেশের ভিসা প্রসেসিং প্রক্রিয়ার সব খরচ বহন করতে হয় বা অনেক ক্ষেত্রে কফিল/মালিক নিজেই সব খরচ দেয়। এক কথায় খাদেম সম্পূর্ণ ফ্রিতে আসতে পারে।

বেতন : আলোচনা সাপেক্ষে হতে পারে। তবে নতুনদের ক্ষেত্রে ৬০ থেকে ১২০ দিনার যা বাংলাদেশের ১৫ থেকে ৩২ হাজারের মধ্যেই অধিকাংশ বেতন নির্ধারিত হয় এবং মালিকের সঙ্গে আগে থেকেই প্রতিশ্রুতি থাকলে তা প্রতিবছর বৃদ্ধি করতে পারে। তবে এক্ষেত্রে এসব খাদেমদের মালিকের গন্ডির বাইরে কাজ করার কোন সুযোগ থাকে না।

দুই, দালালরা খাদেম ভিসায় আসতে ইচ্ছুকদের কাছে ফ্রি ভিসার নাম করে একেকটি ভিসা প্রায় ৭ থেকে ৮ লাখ টাকায় বিক্রি করে, সেখানে কুয়েতিদেরও সম্মতি থাকে। উল্লেখ্য, ফ্রি ভিসা নামে কোন ভিসা কুয়েতে প্রচলন নেই। এই ভিসাগুলো এই শর্তে নেওয়া হয় যে, কফিল বা মালিক তার খাদেমকে কুয়েতে নিয়ে আসার পর তাকে দিয়ে ঘরের কাজ করানো হবে না, খাদেম তার মর্জি মত বাইরে যে কোন কাজ করবে। সে ক্ষেত্রে প্রতি বছর আকামা বা সিভিল আইডি নবায়নের জন্য একটা নির্দিষ্ট পরিমাণ কুয়েতি দিনার কফিলকে বা মালিককে পরিশোধ করতে হয়।

যদিও সাধারণত আকামা নবায়ন কফিল সম্পূর্ণ ফ্রিতে করে দেয় তবুও কফিলরা যেহেতু ফ্রি ভিসার নাম করে অবৈধভাবে তাদের খাদেমদের বাইরে কাজ করার সুযোগ দিচ্ছে এবং একটা অবৈধ ব্যবসা পরিচালনা করছে যা আইন পরিপন্থি। সেই হিসাবে আকামা নবায়নের সময় তারা খাদেমদের কাছ থেকে মোটা অঙ্কের অর্থ গ্রহণ করে। কেউ চাহিদা মতো অর্থ দিতে অস্বীকার করলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা হিসাবে বাড়ি থেকে পলায়ন এর মামলা দিয়ে দেয়া হয় বা অনেক সময় বাড়িতে ডেকে এনে মারধরের ঘটনাও ঘটে। মামলার পর সেই খাদেম হয়ে যায় আইনিভাবে সম্পূর্ণ অবৈধ বসবাসকারী। কারণ, ইতোমধ্যে তার মালিক তাকে পলায়নের মামলা দিয়ে দিয়েছে। আবার বৈধ খাদেম আকামাধারীরা যদি মালিকের কাজ ছাড়া বাইরে অন্যকোন কাজ করা অবস্থায় পুলিশের কাছে ধরা পড়ে তবে কফিল ও খাদেম উভয়েরই আইনি সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। তবে যদি বৈধ আকামা বা সিভিল আইডি থাকে তখন বেশিরভাগ ক্ষেত্রে কফিল পুলিশি ঝামেলা মিটাতে সক্ষম হয়। কিন্তু নতুন আইনে কোন খাদেম বাইরে কাজ অবস্থায় ধরা পড়লে কফিলদের আইনি ঝামেলা পোহাতে হয় বিধায় খাদেম আকামাধারীরা বাইরে কাজ করা অবস্থায় পুলিশের কাছে ধরা পড়লে কফিল তাকে ছাড়াতে যায় না। আইনি প্রক্রিয়া শেষে সোজা নিজ দেশে ফেরত পাঠানো হয়।

কিন্তু এসব কিছু মাঝেও এই অবৈধ সিস্টেম চলে আসছে বছরের পর বছর।

এসব সমস্যার মূল কারণ ভিসা সম্পর্কে ধারণা না থাকা। খাদেম ভিসায় আসার আগে সবকিছু যাচাই-বাছাই করে না নেয়া। এজন্য ভবিষ্যতে বাংলাদেশিরা কুয়েত বা মধ্যপ্রাচ্যের যেকোন দেশে এই ক্যাটাগরির ভিসায় আসার ক্ষেত্রে অবশ্যই সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে।

[লেখক : কুয়েত প্রবাসী]

back to top