alt

মতামত » উপ-সম্পাদকীয়

‘অনন্য সাধারণ বাজেট’

মুহাম্মদ ফারুক খান

: রোববার, ২০ জুন ২০২১

২০২১-২২ অর্থবছরের বাজেট একটি অনন্য সাধারণ বাজেট। সারা বিশ্ব যখন কোভিড-১৯ এর সংক্রমণে টালমাটাল, বিশ্বের অর্থনীতিতে মঙ্গা বিরাজমান, ঠিক সেই সময় বঙ্গবন্ধুকন্যা, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুপরামর্শে অর্থমন্ত্রী এ অর্থবছরের জন্য ৬ লাখ ৩ হাজার ৬৮১ কোটি টাকার একটি ‘সুষম’ ও ‘সময়োপযোগী’ বাজেট উপস্থাপন করেছেন। বাজেটে প্রতিটি খাতে বরাদ্দ বৃদ্ধি করা হয়েছে। বিশেষ করে স্বাস্থ্য, শিক্ষা, কৃষি এবং সামাজিক নিরাপত্তা খাতে বাজেট বরাদ্দ বৃদ্ধির জন্য ধন্যবাদ। কোভিড-১৯ এর কারণে যে সব ক্ষেত্রে উন্নয়ন কার্যক্রম বাধাগ্রস্ত হয়েছে, সে সব কার্যক্রমকে গতিশীল করার জন্যও বাজেটে বরাদ্দ বৃদ্ধি করা হয়েছে। এছাড়া দেশের অভ্যন্তরীণ ব্যবসা-বাণিজ্য প্রসারের মাধ্যমে কর্মসংস্থানের সৃষ্টি এবং দেশীয় পণ্য রপ্তানিতে বিশেষ ছাড় দেয়া হয়েছে।

এ বাজেটের মূল চ্যালেঞ্জ হচ্ছে রাজস্ব সংগ্রহ। প্রায় ৩ লাখ ৮৯ হাজার কোটি টাকার রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্য নিয়ে এ বাজেট প্রস্তাব করা হয়েছে। কোভিড-১৯ এর কারণে সারা দেশে লকডাউন, ব্যবসা-বাণিজ্যে স্থবিরতা, চাকরিতে ছাঁটাই ও হ্রাস, আন্তর্জাতিক বাজারেও ব্যবসা-বাণিজ্যের ঘাটতি হয়েছে। এসব কারণে রাজস্ব আদায় চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন। অর্থমন্ত্রী তার বাজেট বক্তৃতায় কর ফাঁকি রোধসহ রাজস্ব আদায়ে সহজীকরণের জন্য আধুনিক বিভিন্ন অ্যাপস এবং কম্পিউটার জেনারেটেড ব্যবস্থার কথা উল্লেখ করেছেন। এ ধরনের উদ্যোগ অবশ্যই ভালো ফল আনতে পারবে যদি সঠিকভাবে বাস্তবায়ন করা যায়।

বাজেট বাস্তবায়ন চ্যালেঞ্জিং হবে বলেছে বিরোধীরা। তাদের জানা উচিত সব বাজেট বাস্তবায়নই চ্যালেঞ্জিং। শুধু বাংলাদেশেই নয়, সারা বিশ্বের সব দেশেই, এমনকি অর্থনৈতিক সমৃদ্ধ দেশসমূহেও বাজেট বাস্তবায়ন চ্যালেঞ্জিং হয়ে থাকে। বিশেষকরে কোভিডের কারণে তা আরও চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে। দেশের অর্থনৈতিক সার্বিক কর্মকান্ডে এক বিশেষ ভূমিকা রাখতে পারে বিভিন্ন প্রকল্পের ‘প্রকল্প পরিচালকগণ’ (পিডি)। বিভিন্ন কারণে চলমান প্রকল্পগুলো সঠিক সময়ে বাস্তবায়ন হচ্ছে না, এমতাবস্থায় সব প্রকল্প পরিচালকগণকে জবাবদিহিতার মধ্যে আনতে পারলে প্রকল্পগুলো সঠিক সময়ে বাস্তবায়ন করা সম্ভব বলে আমি মনে করি। বাংলাদেশে এখন বিদেশি মুদ্রার মজুদ প্রায় ৪৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার যা দেশীয় টাকায় প্রায় ৩৮০ হাজার কোটি টাকার মতো। বিগত বছরগুলোর বাজেট বাস্তবায়নের অভিজ্ঞতা এবং অর্থনৈতিক স্থিতি আমাদের আছে। তা থেকে সঠিক শিক্ষা নিলে, বিভিন্ন প্রতিকূলতা এড়িয়ে এ বাজেট বাস্তবায়ন করা অবশ্যই সম্ভব হবে।

এবারের বাজেটের একটি বড় চ্যালেঞ্জ হলো কোভিড-১৯ এর সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে রাখা। প্রধানমন্ত্রীর সঠিক দিকনির্দেশনায় বাংলাদেশ কোভিড নিয়ন্ত্রণে সফল হতে পেরেছে যা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা কর্তৃক স্বীকৃতও হয়েছে। তবে কোভিড-১৯ নিয়ন্ত্রণে টিকাদান কর্মসূচির কোন বিকল্প নেই। এ লক্ষ্যে ১০ হাজার কোটি টাকার থোক বরাদ্দও রাখা হয়েছে এ বাজেটে। আমি মনে করি গণমানুষের সচেতনতা বৃদ্ধির পাশাপাশি টিকাদান কর্মসূচিকেও দ্রুত এগিয়ে নিতে হবে। এজন্য স্বল্পমেয়েদি, মধ্যমেয়েদি ও দীর্ঘমেয়েদি পরিকল্পনা গ্রহণ করা দরকার। স্বল্পমেয়াদি ব্যবস্থা হচ্ছে বিদেশ থেকে টিকা কিনে আনা এবং টিকাদান কর্মসূচি জোরদার করা। মধ্যমেয়েদি পরিকল্পনা হিসেবে বিদেশি টিকা যাতে বাংলাদেশেই উৎপাদন করা যায় সে লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া। দীর্ঘমেয়েদি পরিকল্পনার অংশ হিসেবে বাংলাদেশকেই এই টিকা উদ্ভাবন ও উৎপাদন করার ব্যবস্থা নিতে হবে। বাংলাদেশের বেশ কিছু ঔষধ প্রস্তুতকারী কোম্পানি এবং বিদেশে অবস্থানরত এ টিকার উদ্ভাবনের সঙ্গে সক্রিয়ভাবে জড়িত বাংলাদেশি চিকিৎসা বিজ্ঞানীদের এ ব্যাপারে উৎসাহিত করা যেতে পারে।

স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর এ বছরে মনে পড়ে ৫০ বছর আগে যে দেশকে ইন্টারন্যাশনাল ‘বাস্কেট কেইস’ বলে অভিহিত করা হয়েছিল, গত ১২ বছরে সেই বাংলাদেশ জননেত্রী শেখ হাসিনার সুদক্ষ নেতৃত্বে অর্থনৈতিক উন্নয়নের ‘রোল মডেল’ হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছে। গত ৫ জুন Bloomberg এর হেড লাইন ছিল Bangladesh is on the Rise and India and Pakistan should be taking notes. Bloomberg এর কলামিস্ট মিহির শর্মা লিখেছেন South Asia should pay Attention to its Standout Star. গত ১০ মার্চ The New York times এ তাদের কলামিস্ট নিকোলাস ক্রিস্টফ লিখেছেন What can Bidden’s Plan do for Poverty? Look to Bangladesh এই প্রতিবেদনে লেখা হয়েছে As the Nation Turns 50, its surprising Success offers lesson about investing in the most marginalized. অর্থাৎ The New York Times যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনকে পরামর্শ দিয়েছে যে, তিনি যেন যুক্তরাষ্ট্রের দারিদ্র্য কমানোর জন্য বাংলাদেশ থেকে শিক্ষা গ্রহণ করেন।

[লেখক : প্রেসিডিয়াম সদস্য, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ; সাবেক মন্ত্রী, বাণিজ্য, বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় ]

শিক্ষক থাকে রাজপথে, আর পুলিশ ছাড়ে থানা

উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা : স্কুল অ্যান্ড কলেজের ভবিষ্যৎ কী?

ছবি

শ্লীলতা, অশ্লীলতার রাজনৈতিক সংস্কৃতি

সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম: অবক্ষয়ের চোরাবালিতে আলোর দিশারী

অটোমেশন ও দেশের যুব কর্মসংস্থানের ভবিষ্যৎ

দুর্যোগে ভয় নয়, প্রস্তুতিই শক্তি

বৈষম্যহীন সমাজের স্বপ্ন

ছবি

‘আল্লাহ তুই দেহিস’: এ কোন ঘৃণার আগুন, ছড়িয়ে গেল সবখানে!

চেকের মামলায় আসামী যেসব ডিফেন্স নিয়ে খালাস পেতে পারেন

খেলনাশিল্প: সম্ভাবনা ও চ্যালেঞ্জ

ছবি

প্রান্তিক মানুষের হৃদয়ে ফিরে আসা কালো মেঘ

গীর্জায় হামলার নেপথ্যে কী?

সংঘের শতবর্ষের রাজনৈতিক তাৎপর্য

দুর্নীতি আর চাঁদাবাজি রাজনৈতিক-সংস্কৃতির অংশ

বিশ্ব মানসিক স্বাস্থ্য দিবস

বাংলার সংস্কৃতি : উৎস, বিবর্তন ও বর্তমান সমাজ-মনন

রম্যগদ্য: শিক্ষা সহজ, বিদ্যা কঠিন

দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় জনগণের ভূমিকা উপেক্ষিত

শ্রমজীবী মানুষের শোভন কর্মসংস্থান

মূল্যস্ফীতি মোকাবেলায় বাংলাদেশের বাস্তবতা

প্রবারণার আলোয় আলোকিত হোক মানবজাতি

অস্ত্র নিয়ন্ত্রণে ওয়াশিংটনের শেষ সুযোগ?

পাহাড় থেকে সমতল: আদিবাসী নারীর নিরাপত্তা

সোশ্যাল মিডিয়ার ‘লাইক’ সংস্কৃতি: আসক্তি নাকি নতুন যোগাযোগ?

জাতিসংঘে রোহিঙ্গা ইস্যু

মালয়েশিয়ার অর্থনৈতিক পরিবর্তন: আমরা কী শিক্ষা নিতে পারি

রম্যগদ্য: “কেশ ফ্যালায় ভাই, কেশ ফ্যালায়...”

লোকপ্রশাসন বিভাগের শিক্ষার্থীর অধিকার: বিসিএস ও শিক্ষা ক্যাডারের বৈষম্য

ন্যাশনাল গ্যালারি : রঙতুলির মহাসমুদ্রে একদিন

যুব শক্তি বনাম বেকারত্ব

প্রযুক্তি, আর্থিক পরিকল্পনা ও গণিতের ব্যবহার

ফরাসি বিপ্লব: বৈষম্য নিরসনে সামগ্রিক মুক্তির প্রেরণা

অন্তর্বর্তী সরকারের নিউইয়র্ক সফর

প্রবীণদের যত্ন: নৈতিক দায়িত্ব থেকে সামাজিক শক্তি নির্মাণ

জনস্বাস্থ্য রক্ষায় তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন সংশোধনের অপরিহার্যতা

জনমিতিক সুবিধা: স্বপ্নের দশক ও নীতিগত সংস্কারের অপরিহার্যতা

tab

মতামত » উপ-সম্পাদকীয়

‘অনন্য সাধারণ বাজেট’

মুহাম্মদ ফারুক খান

রোববার, ২০ জুন ২০২১

২০২১-২২ অর্থবছরের বাজেট একটি অনন্য সাধারণ বাজেট। সারা বিশ্ব যখন কোভিড-১৯ এর সংক্রমণে টালমাটাল, বিশ্বের অর্থনীতিতে মঙ্গা বিরাজমান, ঠিক সেই সময় বঙ্গবন্ধুকন্যা, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুপরামর্শে অর্থমন্ত্রী এ অর্থবছরের জন্য ৬ লাখ ৩ হাজার ৬৮১ কোটি টাকার একটি ‘সুষম’ ও ‘সময়োপযোগী’ বাজেট উপস্থাপন করেছেন। বাজেটে প্রতিটি খাতে বরাদ্দ বৃদ্ধি করা হয়েছে। বিশেষ করে স্বাস্থ্য, শিক্ষা, কৃষি এবং সামাজিক নিরাপত্তা খাতে বাজেট বরাদ্দ বৃদ্ধির জন্য ধন্যবাদ। কোভিড-১৯ এর কারণে যে সব ক্ষেত্রে উন্নয়ন কার্যক্রম বাধাগ্রস্ত হয়েছে, সে সব কার্যক্রমকে গতিশীল করার জন্যও বাজেটে বরাদ্দ বৃদ্ধি করা হয়েছে। এছাড়া দেশের অভ্যন্তরীণ ব্যবসা-বাণিজ্য প্রসারের মাধ্যমে কর্মসংস্থানের সৃষ্টি এবং দেশীয় পণ্য রপ্তানিতে বিশেষ ছাড় দেয়া হয়েছে।

এ বাজেটের মূল চ্যালেঞ্জ হচ্ছে রাজস্ব সংগ্রহ। প্রায় ৩ লাখ ৮৯ হাজার কোটি টাকার রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্য নিয়ে এ বাজেট প্রস্তাব করা হয়েছে। কোভিড-১৯ এর কারণে সারা দেশে লকডাউন, ব্যবসা-বাণিজ্যে স্থবিরতা, চাকরিতে ছাঁটাই ও হ্রাস, আন্তর্জাতিক বাজারেও ব্যবসা-বাণিজ্যের ঘাটতি হয়েছে। এসব কারণে রাজস্ব আদায় চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন। অর্থমন্ত্রী তার বাজেট বক্তৃতায় কর ফাঁকি রোধসহ রাজস্ব আদায়ে সহজীকরণের জন্য আধুনিক বিভিন্ন অ্যাপস এবং কম্পিউটার জেনারেটেড ব্যবস্থার কথা উল্লেখ করেছেন। এ ধরনের উদ্যোগ অবশ্যই ভালো ফল আনতে পারবে যদি সঠিকভাবে বাস্তবায়ন করা যায়।

বাজেট বাস্তবায়ন চ্যালেঞ্জিং হবে বলেছে বিরোধীরা। তাদের জানা উচিত সব বাজেট বাস্তবায়নই চ্যালেঞ্জিং। শুধু বাংলাদেশেই নয়, সারা বিশ্বের সব দেশেই, এমনকি অর্থনৈতিক সমৃদ্ধ দেশসমূহেও বাজেট বাস্তবায়ন চ্যালেঞ্জিং হয়ে থাকে। বিশেষকরে কোভিডের কারণে তা আরও চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে। দেশের অর্থনৈতিক সার্বিক কর্মকান্ডে এক বিশেষ ভূমিকা রাখতে পারে বিভিন্ন প্রকল্পের ‘প্রকল্প পরিচালকগণ’ (পিডি)। বিভিন্ন কারণে চলমান প্রকল্পগুলো সঠিক সময়ে বাস্তবায়ন হচ্ছে না, এমতাবস্থায় সব প্রকল্প পরিচালকগণকে জবাবদিহিতার মধ্যে আনতে পারলে প্রকল্পগুলো সঠিক সময়ে বাস্তবায়ন করা সম্ভব বলে আমি মনে করি। বাংলাদেশে এখন বিদেশি মুদ্রার মজুদ প্রায় ৪৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার যা দেশীয় টাকায় প্রায় ৩৮০ হাজার কোটি টাকার মতো। বিগত বছরগুলোর বাজেট বাস্তবায়নের অভিজ্ঞতা এবং অর্থনৈতিক স্থিতি আমাদের আছে। তা থেকে সঠিক শিক্ষা নিলে, বিভিন্ন প্রতিকূলতা এড়িয়ে এ বাজেট বাস্তবায়ন করা অবশ্যই সম্ভব হবে।

এবারের বাজেটের একটি বড় চ্যালেঞ্জ হলো কোভিড-১৯ এর সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে রাখা। প্রধানমন্ত্রীর সঠিক দিকনির্দেশনায় বাংলাদেশ কোভিড নিয়ন্ত্রণে সফল হতে পেরেছে যা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা কর্তৃক স্বীকৃতও হয়েছে। তবে কোভিড-১৯ নিয়ন্ত্রণে টিকাদান কর্মসূচির কোন বিকল্প নেই। এ লক্ষ্যে ১০ হাজার কোটি টাকার থোক বরাদ্দও রাখা হয়েছে এ বাজেটে। আমি মনে করি গণমানুষের সচেতনতা বৃদ্ধির পাশাপাশি টিকাদান কর্মসূচিকেও দ্রুত এগিয়ে নিতে হবে। এজন্য স্বল্পমেয়েদি, মধ্যমেয়েদি ও দীর্ঘমেয়েদি পরিকল্পনা গ্রহণ করা দরকার। স্বল্পমেয়াদি ব্যবস্থা হচ্ছে বিদেশ থেকে টিকা কিনে আনা এবং টিকাদান কর্মসূচি জোরদার করা। মধ্যমেয়েদি পরিকল্পনা হিসেবে বিদেশি টিকা যাতে বাংলাদেশেই উৎপাদন করা যায় সে লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া। দীর্ঘমেয়েদি পরিকল্পনার অংশ হিসেবে বাংলাদেশকেই এই টিকা উদ্ভাবন ও উৎপাদন করার ব্যবস্থা নিতে হবে। বাংলাদেশের বেশ কিছু ঔষধ প্রস্তুতকারী কোম্পানি এবং বিদেশে অবস্থানরত এ টিকার উদ্ভাবনের সঙ্গে সক্রিয়ভাবে জড়িত বাংলাদেশি চিকিৎসা বিজ্ঞানীদের এ ব্যাপারে উৎসাহিত করা যেতে পারে।

স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর এ বছরে মনে পড়ে ৫০ বছর আগে যে দেশকে ইন্টারন্যাশনাল ‘বাস্কেট কেইস’ বলে অভিহিত করা হয়েছিল, গত ১২ বছরে সেই বাংলাদেশ জননেত্রী শেখ হাসিনার সুদক্ষ নেতৃত্বে অর্থনৈতিক উন্নয়নের ‘রোল মডেল’ হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছে। গত ৫ জুন Bloomberg এর হেড লাইন ছিল Bangladesh is on the Rise and India and Pakistan should be taking notes. Bloomberg এর কলামিস্ট মিহির শর্মা লিখেছেন South Asia should pay Attention to its Standout Star. গত ১০ মার্চ The New York times এ তাদের কলামিস্ট নিকোলাস ক্রিস্টফ লিখেছেন What can Bidden’s Plan do for Poverty? Look to Bangladesh এই প্রতিবেদনে লেখা হয়েছে As the Nation Turns 50, its surprising Success offers lesson about investing in the most marginalized. অর্থাৎ The New York Times যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনকে পরামর্শ দিয়েছে যে, তিনি যেন যুক্তরাষ্ট্রের দারিদ্র্য কমানোর জন্য বাংলাদেশ থেকে শিক্ষা গ্রহণ করেন।

[লেখক : প্রেসিডিয়াম সদস্য, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ; সাবেক মন্ত্রী, বাণিজ্য, বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় ]

back to top