alt

উপ-সম্পাদকীয়

উড়বে ঘুড়ি, পুড়বে আতশবাজি

সিদরাতুল মুনতাহা

: বৃহস্পতিবার, ১৩ জানুয়ারী ২০২২
image

পুরান ঢাকার একটি সার্বজনীন উৎসব হলো সাকরাইন উৎসব। যুগের পরিক্রমায় এটি পুরান ঢাকাবাসীর নিজস্ব উৎসব যা দীর্ঘ সংস্কৃতি চর্চার ফল। সাকরাইন শব্দের অর্থ হলো ‘বিশেষ মুহূর্ত’। ঘুড়ি উড়ানো, ফানুস উড়ানো ও আতশবাজি পোড়ানোর মধ্য দিয়ে ঐতিহ্যবাহী এই সাকরাইন উৎসব পালন করা হয়। মূলত ‘পৌষসংক্রান্তি’কে পুরান ঢাকার মানুষ ‘সাকরাইন’ বলে থাকে। পৌষসংক্রান্তি ও মাঘ মাসের শুরুর প্রথম প্রহরে উদযাপিত হয় এই সাকরাইন উৎসব। এটি বাংলাদেশের প্রাচীন উৎসবগুলোর একটি। প্রতি বছর ১৪ অথবা ১৫ জানুয়ারি পালন করা হয় এই সাকরাইন উৎসব। ১৭৪০ সালের মোঘল নায়েব-ই-নাজিম নওয়াজেশ মোহাম্মদ খানের আমলে এই দিনে ঘুড়ি উড়ানো হয়। সেই থেকেই এই দিনটি অন্যতম একটি উৎসবে পরিণত হয়েছে।

সাকরাইন উৎসব নিয়ে বিপুল উৎসাহ ও উদ্দীপনা থাকে পুরান ঢাকাবাসীর। উৎসবের নানা ধরনের আলোকসজ্জায় সাজানো হয় প্রতিটি বাড়ির ছাদ, দুপুর থেকেই শুরু হয় ঘুড়ি উড়ানো, চলতে থাকে একে অন্যের ঘুড়ির সুতো কেটে দেয়ার প্রতিযোগিতা। এরপর সন্ধ্যা হলেই পুরান ঢাকার আকাশে উড়ে হাজার হাজার ফানুস, আতশবাজির আলোয় উজ্জীবিত হয়ে ওঠে বুড়িগঙ্গা তীরবর্তী এই পুরান ঢাকা এলাকা। বর্তমানে ঘুড়ি উড়ানো আর আতশবাজি পোড়ানোর সঙ্গে বিভিন্ন আধুনিক উৎসবও যুক্ত হয়েছে। প্রতি বছর সাকরাইন উৎসবের আনন্দ উপভোগ করতে অনেকেই আসেন এই পুরান ঢাকাতে। এবারও আগামী ১৪ জানুয়ারি সাকরাইন উৎসব উদযাপনকে ঘিরে পুরান ঢাকাবাসীর রয়েছে বিপুল আয়োজন। তবে ঐতিহ্যবাহী এই সাকরাইন উৎসব যেন ভয়াবহ হয়ে না ওঠে সেজন্য সবাইকে থাকতে হবে সতর্ক। কেননা আতশবাজি পোড়ানো, ফানুস উড়ানো, আগুন নিয়ে খেলা ইত্যাদিতে একটু অসতর্কতা যেকোন ধরনের ক্ষতি করে ফেলতে পারে এবং এগুলো থেকে ভয়াবহ অগ্নিকান্ডের আশঙ্কাও থাকে। এছাড়া এই সাকরাইন উৎসবে পুরান ঢাকায় ব্যাপক জনসমাগম ঘটে, ঢাকার অন্য এলাকার মানুষ ও বিপুল উৎসাহ ও উদ্দীপনা নিয়ে উদযাপন করতে আসে এই উৎসব। কিন্তু বর্তমানে দেশে ওমিক্রনে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েই চলেছে যা জনসমাগমে মহামারী রূপ নিতে পারে। তাই ঐতিহ্যবাহী এই উৎসব পালন করতে সবাইকে অবশ্যই বিধিনিষেধ মানতে হবে এবং সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে।

[লেখক : শিক্ষার্থী, সমাজবিজ্ঞান বিভাগ, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়]

কোথায় হারাল একান্নবর্তী পরিবার?

এই শান্তি কি মহাঝড়ের পূর্বলক্ষণ?

মেগাসিটি : দারিদ্র্য যখন ‘অবাঞ্ছিত বর্জ্য’

ফলের রাজ্য পার্বত্য চট্টগ্রাম

ছবি

তৃতীয় শক্তির জন্য জায়গা খালি : বামপন্থীরা কি ঘুরে দাঁড়াতে পারে না

জমি আপনার, দখল অন্যের?

সিধু-কানু : ধ্বংসস্তূপের নিচেও জেগে আছে সাহস

ছবি

বাংলার অনন্য লোকসংস্কৃতি ও গণতান্ত্রিক চেতনা

চট্টগ্রামের ঐতিহ্যবাহী সাম্পান

তিন দিক থেকে স্বাস্থ্যঝুঁকি : করোনা, ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়া

দেশের অর্থ পাচারের বাস্তবতা

খাদ্য নিরাপত্তার নতুন দিগন্ত

আবারও কি রোহিঙ্গাদের ত্যাগ করবে বিশ্ব?

প্লান্ট ক্লিনিক বদলে দিচ্ছে কৃষির ভবিষ্যৎ

ঢাকাকে বাসযোগ্য নগরী করতে করণীয়

রম্যগদ্য : ‘ডন ডনা ডন ডন...’

ইরান-ইসরায়েল দ্বন্দ্ব : কে সন্ত্রাসী, কে শিকার?

সুস্থ ও শক্তিশালী জাতি গঠনে শারীরিক শিক্ষার গুরুত্ব

প্রতিরোধই উত্তম : মাদকমুক্ত প্রজন্ম গড়ার ডাক

ছবি

বিকাশের পথকে পরিত্যাগ করা যাবে না

বর্ষা ও বৃক্ষরোপণ : সবুজ বিপ্লবের আহ্বান

প্রাথমিক শিক্ষায় ঝরে পড়া রোধে শিক্ষকের করণীয়

পারমাণবিক ন্যায়বিচার ও বৈশ্বিক ভণ্ডামির প্রতিচ্ছবি

পরিবেশের নীরব রক্ষক : শকুন সংরক্ষণে এখনই কার্যকর পদক্ষেপ প্রয়োজন

মশার উপদ্রব : জনস্বাস্থ্য ও নগর ব্যবস্থাপনার চরম ব্যর্থতা

ভুল স্বীকারে গ্লানি নেই

ভাঙনের বুকে টিকে থাকা স্বপ্ন

একটি সফর, একাধিক সংকেত : কে পেল কোন বার্তা?

দেশের কারা ব্যবস্থার বাস্তবতা

ইসলামী ব্যাংক একীভূতকরণ : আস্থা ফেরাতে সংস্কার, না দায়মুক্তির প্রহসন?

রম্যগদ্য : চাঁদাবাজি চলছে, চলবে

বায়ুদূষণ : নীরব ঘাতক

ইসরায়েলের কৌশলগত ঔদ্ধত্য

পরিবার : সুনাগরিক ও সুশাসক তৈরির ভিত্তিমূল

শিল্পে গ্যাস সংকট : দ্রুত সমাধানের উদ্যোগ নিন

আমাদের লড়াইটা আমাদের লড়তে দিন

tab

উপ-সম্পাদকীয়

উড়বে ঘুড়ি, পুড়বে আতশবাজি

সিদরাতুল মুনতাহা

image

বৃহস্পতিবার, ১৩ জানুয়ারী ২০২২

পুরান ঢাকার একটি সার্বজনীন উৎসব হলো সাকরাইন উৎসব। যুগের পরিক্রমায় এটি পুরান ঢাকাবাসীর নিজস্ব উৎসব যা দীর্ঘ সংস্কৃতি চর্চার ফল। সাকরাইন শব্দের অর্থ হলো ‘বিশেষ মুহূর্ত’। ঘুড়ি উড়ানো, ফানুস উড়ানো ও আতশবাজি পোড়ানোর মধ্য দিয়ে ঐতিহ্যবাহী এই সাকরাইন উৎসব পালন করা হয়। মূলত ‘পৌষসংক্রান্তি’কে পুরান ঢাকার মানুষ ‘সাকরাইন’ বলে থাকে। পৌষসংক্রান্তি ও মাঘ মাসের শুরুর প্রথম প্রহরে উদযাপিত হয় এই সাকরাইন উৎসব। এটি বাংলাদেশের প্রাচীন উৎসবগুলোর একটি। প্রতি বছর ১৪ অথবা ১৫ জানুয়ারি পালন করা হয় এই সাকরাইন উৎসব। ১৭৪০ সালের মোঘল নায়েব-ই-নাজিম নওয়াজেশ মোহাম্মদ খানের আমলে এই দিনে ঘুড়ি উড়ানো হয়। সেই থেকেই এই দিনটি অন্যতম একটি উৎসবে পরিণত হয়েছে।

সাকরাইন উৎসব নিয়ে বিপুল উৎসাহ ও উদ্দীপনা থাকে পুরান ঢাকাবাসীর। উৎসবের নানা ধরনের আলোকসজ্জায় সাজানো হয় প্রতিটি বাড়ির ছাদ, দুপুর থেকেই শুরু হয় ঘুড়ি উড়ানো, চলতে থাকে একে অন্যের ঘুড়ির সুতো কেটে দেয়ার প্রতিযোগিতা। এরপর সন্ধ্যা হলেই পুরান ঢাকার আকাশে উড়ে হাজার হাজার ফানুস, আতশবাজির আলোয় উজ্জীবিত হয়ে ওঠে বুড়িগঙ্গা তীরবর্তী এই পুরান ঢাকা এলাকা। বর্তমানে ঘুড়ি উড়ানো আর আতশবাজি পোড়ানোর সঙ্গে বিভিন্ন আধুনিক উৎসবও যুক্ত হয়েছে। প্রতি বছর সাকরাইন উৎসবের আনন্দ উপভোগ করতে অনেকেই আসেন এই পুরান ঢাকাতে। এবারও আগামী ১৪ জানুয়ারি সাকরাইন উৎসব উদযাপনকে ঘিরে পুরান ঢাকাবাসীর রয়েছে বিপুল আয়োজন। তবে ঐতিহ্যবাহী এই সাকরাইন উৎসব যেন ভয়াবহ হয়ে না ওঠে সেজন্য সবাইকে থাকতে হবে সতর্ক। কেননা আতশবাজি পোড়ানো, ফানুস উড়ানো, আগুন নিয়ে খেলা ইত্যাদিতে একটু অসতর্কতা যেকোন ধরনের ক্ষতি করে ফেলতে পারে এবং এগুলো থেকে ভয়াবহ অগ্নিকান্ডের আশঙ্কাও থাকে। এছাড়া এই সাকরাইন উৎসবে পুরান ঢাকায় ব্যাপক জনসমাগম ঘটে, ঢাকার অন্য এলাকার মানুষ ও বিপুল উৎসাহ ও উদ্দীপনা নিয়ে উদযাপন করতে আসে এই উৎসব। কিন্তু বর্তমানে দেশে ওমিক্রনে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েই চলেছে যা জনসমাগমে মহামারী রূপ নিতে পারে। তাই ঐতিহ্যবাহী এই উৎসব পালন করতে সবাইকে অবশ্যই বিধিনিষেধ মানতে হবে এবং সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে।

[লেখক : শিক্ষার্থী, সমাজবিজ্ঞান বিভাগ, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়]

back to top