alt

opinion » post-editorial

বন্যা : দুর্যোগ ব্যবস্থাপনার চ্যালেঞ্জ

দেলোয়ার জাহিদ

: সোমবার, ২০ জুন ২০২২

বাংলাদেশ বিশ্বের অন্যতম দুর্যোগপ্রবণ দেশ। প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলায় বাংলাদেশ সরকারের একটি ঐতিহ্যগত প্রতিক্রিয়াশীল পদ্ধতি আছে, যা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কার্যক্রম যার ওপর আমাদের দৃষ্টি নিবদ্ধ করে। এ বছর পরিস্থিতির ক্রমাবনতি শংকিত উপদ্রুত অঞ্চলে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষ। সরকার বিপদ শনাক্তকরণ এবং প্রশমনসহ সম্প্রদায়ের প্রস্তুতি এবং সমন্বিত প্রতিক্রিয়ার প্রচেষ্টাকে সংগঠিত করতে ব্যস্ত। সরকারের পদক্ষেপ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্মসূচি চ্যালেঞ্জের মুখে, এর কারণ হলো এ সমস্যার ব্যাপকতা। দুর্গত অঞ্চলগুলোতে জরুরি অবস্থাকালীন পরিস্থিতি বিরাজ করছে, পানিবন্দী মানুষের হাহাকার ও আর্তনাদ ছাপিয়ে আশ্রয়ের খোঁজে দুর্গত মানুষ। নারী, শিশু ও বয়স্করা নানা অসুখ, বিসুখ এ আক্রান্ত, নেই প্রযাপ্ত চিকিৎসার ব্যবস্থা, নেই বিশুদ্ব পানের পানির সরবরাহ।

দেশের উত্তর ও দক্ষিণাঞ্চল বন্যাকবলিত। সিলেট ও সুনামগঞ্জে ভয়াবহ অবস্থা বিরাজ করছে। বলা হচ্ছে, ১২২ বছরের ইতিহাসে সিলেট ও সুনামগঞ্জে এমন বন্যা হয়নি। ভারতের বেশ কয়েকটি অঞ্চলে ভয়াবহ বন্যা হচ্ছে। যে কারণে আমাদের দেশে আগামী দুই দিন বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি ঘটবে। মঙ্গল ও বুধবার থেকে সিলেট ও সুনামগঞ্জে পানি কমতে শুরু করবে। তবে ওই সময়ে দেশের মধ্যাঞ্চলে বন্যা দেখা দেবে।

অনেক নদীর দেশ বাংলাদেশএ ব্রহ্মপুত্র নদীর ব-দ্বীপ এবং বঙ্গোপসাগরে প্রবাহিত অনেক শাখা নদীতে অবস্থিত হওয়ার কারণে এটি বন্যার মতো প্রাকৃতিক দুর্যোগের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ। এ ধরনের অববাহিকার অংশ হওয়ার কারণে এবং গড় সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ৫ মিটারের কম উচ্চতায়, বাংলাদেশ নিকটবর্তী পাহাড় থেকে জলের ঝলকানি, উজান থেকে আসা জলপ্রবাহ এবং স্থানীয়ভাবে ভারী বৃষ্টির কারণে বন্যার ক্রমবর্ধমান প্রভাবের মুখোমুখি হয়। ড্রেনেজ সমস্যার কারণে পানিপ্রবাহ বাধাগ্রস্থ হয় । বাংলাদেশে প্রায় প্রতি বছরই এরূপ সমস্যার সম্মুখীন হয়।

সিলেটে স্মরণকালের এ ভয়াবহ বন্যায় বিপর্যয়কর অবস্থায় দূর্গত এলাকার মানুষ। আশ্রয়হীন হয়ে পড়েছে মানুষ, যতদূর চোখ যায় অথৈ পানি আর পানি, নেই বিদ্যুৎ, নেই মোবাইল সংযোগ, নেই খাবার, নেই পানীয় জল, নেই নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রী, দ্রুত তলিয়ে যাচ্ছে এলাকার সব নিম্নাঞ্চল, বেঁচে থাকার জন্য যুদ্ধরত মানুষ।

বিদ্যমান পরিস্থিতিতে প্রথমেই পানিবন্দী মানুষকে উদ্ধার করার চেষ্টা চালাতে হবে। প্রশাসনের সহায়তা নিয়ে আটকে পড়া মানুষকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নিতে হবে। তাদের শুকনো খাবার যেমন চিড়া, গুড়, বনরুটি, বিস্কুটসহ বিশুদ্ধ পানি এবং পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেটও সরবরাহ করতে হবে। বাংলাদেশে প্রায় প্রতি বছরই এ ধরনের বন্যা হয় যদিও এবারের বন্যার ব্যাপকতা শত বছরের রেকর্ড ভঙ্গ করেছে।

পরিস্থিতি মোকাবিলায় সরকারি, বেসরকারি সংস্থা ও সংগঠনের সমন্বিত ব্যবস্থা নেয়া উচিত। উচিত, দলমত নির্বিশেষে ঐক্যবদ্বভাবে জাতীয় এ সংকটের মোকাবেলা করা. আমরা প্রত্যাশা করি সরকার, বিরোধী দল, প্রশাসন ও এনজিওগুলো দায়িত্বশীলতার সঙ্গে পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে এগিয়ে আসবে।

[লেখক : কানাডা নিবাসী]

নরসুন্দর পেশার গুরুত্ব ও সামাজিক অবস্থার উন্নয়ন

বিভাগভিত্তিক এমপিআর নির্বাচন পদ্ধতি

প্ল্যাটফর্ম সমাজে বাংলাদেশ: জ্ঞানের ভবিষ্যৎ কার হাতে?

আনন্দবেদনার হাসপাতাল: সরকারি ও বেসরকারি চিকিৎসা ব্যবস্থার বাস্তবতা

ছবি

ভিন্ন ধরনের নির্বাচন, ভিন্ন ধরনের ফল

বেসরকারি খাতে সিআইবি’র যাত্রা: ঋণ ব্যবস্থার নতুন দিগন্ত

স্বাস্থ্যসেবায় মানবিকতা প্রতিষ্ঠা হোক

ছবি

নেপালে সরকার পতন ও বামপন্থীদের ভবিষ্যৎ

ডাকসু নির্বাচন ও সংস্কারপ্রয়াস: রাজনৈতিক চিন্তার নতুন দিগন্ত

নির্বাচন কি সব সমস্যার সমাধান

জিতিয়া উৎসব

ছবি

অলির পর নেপাল কোন পথে?

রম্যগদ্য: “মরেও বাঁচবি নারে পাগলা...”

অপরিকল্পিত নগরায়ন ও শ্রীপুর পৌরসভা

ভূরিভোজ, উচ্ছেদ এবং আদিবাসী পাহাড়িয়া

অনলাইন সংস্কৃতিতে হাস্যরসের সমাজবিজ্ঞান

মামলাজট নিরসনে দেওয়ানি কার্যবিধির সংস্কার

বাস্তব মস্কো বনাম বিভ্রান্ত ইউরোপ

ছাত্রসংসদ নির্বাচন ও ভবিষ্যৎ ছাত্ররাজনীতির গতিপ্রকৃতি

সড়ক দুর্ঘটনা: কারও মৃত্যু সাধারণ, কারও মৃত্যু বিশেষ

ঐকমত্য ছাড়াও কিছু সংস্কার সম্ভব

আবার বাড়ছে নিত্যপণ্যের দাম : সংকটে সাধারণ মানুষ

ডায়াবেটিস রোগীর সেবা ও জনসচেতনতা

ভিন্ন ধরনের ডাকসু নির্বাচন

ডাকসু নির্বাচন : পেছনে ফেলে আসি

প্রসঙ্গ : এলডিসি তালিকা থেকে বাংলাদেশের উত্তরণ

“কোপা চাটিগাঁ...”

ই-কমার্স হতে পারে প্রবৃদ্ধির ইঞ্জিন

ভারত-চীনের নতুন সমীকরণ

সাইবার যুগে মানুষের মর্যাদা ও নিরাপত্তা

ছবি

ভারত-চীন সম্পর্কে কৌশলগত উষ্ণতার সূচনা

ভারত-চীন সম্পর্কে কৌশলগত উষ্ণতার সূচনা

একজন নাগরিকের অভিমানী বিদায় ও রাষ্ট্রের নৈতিক সংকট

নিষিদ্ধ জালের অভিশাপে হুমকির মুখে সমুদ্রের জীববৈচিত্র্য

আধিপত্যবাদের শৃঙ্খল এবং পুঁজির লুন্ঠন যাদের রক্তাক্ত করে, তাদের চাই একজোটে

জার্মানি : কৃচ্ছসাধনের বোঝা জনগণের কাঁধে

tab

opinion » post-editorial

বন্যা : দুর্যোগ ব্যবস্থাপনার চ্যালেঞ্জ

দেলোয়ার জাহিদ

সোমবার, ২০ জুন ২০২২

বাংলাদেশ বিশ্বের অন্যতম দুর্যোগপ্রবণ দেশ। প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলায় বাংলাদেশ সরকারের একটি ঐতিহ্যগত প্রতিক্রিয়াশীল পদ্ধতি আছে, যা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কার্যক্রম যার ওপর আমাদের দৃষ্টি নিবদ্ধ করে। এ বছর পরিস্থিতির ক্রমাবনতি শংকিত উপদ্রুত অঞ্চলে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষ। সরকার বিপদ শনাক্তকরণ এবং প্রশমনসহ সম্প্রদায়ের প্রস্তুতি এবং সমন্বিত প্রতিক্রিয়ার প্রচেষ্টাকে সংগঠিত করতে ব্যস্ত। সরকারের পদক্ষেপ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্মসূচি চ্যালেঞ্জের মুখে, এর কারণ হলো এ সমস্যার ব্যাপকতা। দুর্গত অঞ্চলগুলোতে জরুরি অবস্থাকালীন পরিস্থিতি বিরাজ করছে, পানিবন্দী মানুষের হাহাকার ও আর্তনাদ ছাপিয়ে আশ্রয়ের খোঁজে দুর্গত মানুষ। নারী, শিশু ও বয়স্করা নানা অসুখ, বিসুখ এ আক্রান্ত, নেই প্রযাপ্ত চিকিৎসার ব্যবস্থা, নেই বিশুদ্ব পানের পানির সরবরাহ।

দেশের উত্তর ও দক্ষিণাঞ্চল বন্যাকবলিত। সিলেট ও সুনামগঞ্জে ভয়াবহ অবস্থা বিরাজ করছে। বলা হচ্ছে, ১২২ বছরের ইতিহাসে সিলেট ও সুনামগঞ্জে এমন বন্যা হয়নি। ভারতের বেশ কয়েকটি অঞ্চলে ভয়াবহ বন্যা হচ্ছে। যে কারণে আমাদের দেশে আগামী দুই দিন বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি ঘটবে। মঙ্গল ও বুধবার থেকে সিলেট ও সুনামগঞ্জে পানি কমতে শুরু করবে। তবে ওই সময়ে দেশের মধ্যাঞ্চলে বন্যা দেখা দেবে।

অনেক নদীর দেশ বাংলাদেশএ ব্রহ্মপুত্র নদীর ব-দ্বীপ এবং বঙ্গোপসাগরে প্রবাহিত অনেক শাখা নদীতে অবস্থিত হওয়ার কারণে এটি বন্যার মতো প্রাকৃতিক দুর্যোগের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ। এ ধরনের অববাহিকার অংশ হওয়ার কারণে এবং গড় সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ৫ মিটারের কম উচ্চতায়, বাংলাদেশ নিকটবর্তী পাহাড় থেকে জলের ঝলকানি, উজান থেকে আসা জলপ্রবাহ এবং স্থানীয়ভাবে ভারী বৃষ্টির কারণে বন্যার ক্রমবর্ধমান প্রভাবের মুখোমুখি হয়। ড্রেনেজ সমস্যার কারণে পানিপ্রবাহ বাধাগ্রস্থ হয় । বাংলাদেশে প্রায় প্রতি বছরই এরূপ সমস্যার সম্মুখীন হয়।

সিলেটে স্মরণকালের এ ভয়াবহ বন্যায় বিপর্যয়কর অবস্থায় দূর্গত এলাকার মানুষ। আশ্রয়হীন হয়ে পড়েছে মানুষ, যতদূর চোখ যায় অথৈ পানি আর পানি, নেই বিদ্যুৎ, নেই মোবাইল সংযোগ, নেই খাবার, নেই পানীয় জল, নেই নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রী, দ্রুত তলিয়ে যাচ্ছে এলাকার সব নিম্নাঞ্চল, বেঁচে থাকার জন্য যুদ্ধরত মানুষ।

বিদ্যমান পরিস্থিতিতে প্রথমেই পানিবন্দী মানুষকে উদ্ধার করার চেষ্টা চালাতে হবে। প্রশাসনের সহায়তা নিয়ে আটকে পড়া মানুষকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নিতে হবে। তাদের শুকনো খাবার যেমন চিড়া, গুড়, বনরুটি, বিস্কুটসহ বিশুদ্ধ পানি এবং পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেটও সরবরাহ করতে হবে। বাংলাদেশে প্রায় প্রতি বছরই এ ধরনের বন্যা হয় যদিও এবারের বন্যার ব্যাপকতা শত বছরের রেকর্ড ভঙ্গ করেছে।

পরিস্থিতি মোকাবিলায় সরকারি, বেসরকারি সংস্থা ও সংগঠনের সমন্বিত ব্যবস্থা নেয়া উচিত। উচিত, দলমত নির্বিশেষে ঐক্যবদ্বভাবে জাতীয় এ সংকটের মোকাবেলা করা. আমরা প্রত্যাশা করি সরকার, বিরোধী দল, প্রশাসন ও এনজিওগুলো দায়িত্বশীলতার সঙ্গে পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে এগিয়ে আসবে।

[লেখক : কানাডা নিবাসী]

back to top