alt

উপ-সম্পাদকীয়

‘মানসম্মত হেলমেট’ পরুন

তামান্না মিজান

: মঙ্গলবার, ১৬ আগস্ট ২০২২

ইদানীং মোটরসাইকেল যানবাহন হিসেবে খুবই জনপ্রিয়। কাক্সিক্ষত গন্তব্যে পৌঁছাতে ‘মোটরসাইকেল’ সময় বাঁচায় এবং খুব দ্রুত গন্তব্যস্থলে পৌঁছানো যায়। এই কারণে, মোটরসাইকেল বাহন হিসাবে দিন দিন খুব জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। আমরা দেখেছি বেশির ভাগ সময় মোটরসাইকেলের চালক যে হেলমেট পরে সেটি মোটামুটি মানের এবং যাত্রীরাও হেলমেট পরে যা দামে খুবই সস্তা এবং খুব হালকা হেলমেট।

দেশে সড়ক দুর্ঘটনা এবং দুর্ঘটনায় আহত ও নিহতের হার দুই-ই ক্রমান্বয়ে বাড়ছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা কর্তৃক প্রণীত “গ্লোবাল স্ট্যাটাস রিপোর্ট অন রোড সেফটি ২০১৮-এর তথ্য মতে, বিশ্বে সড়ক দুর্ঘটনায় প্রতি বছর প্রায় ১০ লাখ ৩৫ হাজার মানুষ মারা যায় এবং ২০ থেকে ৫০ লাখ মানুষ আহত বা পঙ্গুত্ববরণ করে।

বিশ্বব্যাপী আঘাত জনিত মৃত্যুর ৮ম প্রধান কারণ সড়ক দুর্ঘটনা যার শিকার ৫-২৯ বছর বয়সী এবং তার চেয়ে কম বয়সী মানুষের মৃত্যুরও অন্যতম প্রধান কারণ। সড়ক দুর্ঘটনার শতকরা ৯০ ভাগ সংঘটিত হয় নিম্ন ও মধ্যম আয়ের দেশে। প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে যে বাংলাদেশে সড়ক দুর্ঘটনায় প্রতি বছর আনুমানিক প্রায় ২৫ হাজার মানুষ মারা যায়।

দুই এবং তিন চাকার মোটরযানের ব্যবহার মাথায় আঘাতজনিত মৃত্যু ও ট্রমার অন্যতম প্রধান কারণ। দ্রুততম সময়ের মধ্যে গন্তব্যস্থলে পৌঁছার জন্য বহু মানুষ মোটরাটরসাইকেলকে বেছে নিচ্ছে। ফলে সাম্প্রতিক সময়ে দেশে এর ব্যবহার অত্যধিক হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে। এ ক্ষেত্রে গতির পাশাপাশি মানসম্মত হেলমেট পরিধানের বিষয়টি অত্যন্ত গরুত্বপূর্ণ। মানসম্মত হেলমেট পরিধান না করা সরাসরি দুর্ঘটনার কারণ না হলেও দুর্ঘটনায় আহত ব্যক্তির আঘাতের মাত্রা হ্রাসে কার্যকর ভূমিকা পালন করে। সংশ্লিষ্ট বিষয়ে গবেষণায় এটাও দেখে গেছে যে, নিরাপদ বা মানসম্মত হেলমেট যথাযথ নিয়মে ব্যবহারে দুর্ঘটনায় মৃত্যু ঝুঁকি শতকরা ৪০ ভাগ এবং মাথায় আঘাতের ঝুঁকি শতকরা ৭০ ভাগ হ্রাস করে।

সড়ক পরিবহন আইন ২০১৮-এর আলোকে প্রণীত সড়ক পরিবহন বিধিমালা-২০২১ হালনাগাদ করণের মাধ্যমে সড়ক নিরাপত্তা জোরদারের প্রচেষ্টা গ্রহণ সরকারের একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ এবং অন্যতম প্রশংসনীয় উদ্যোগ। এ প্রসঙ্গে জাতিসংঘের টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রায় (এসডিজি) সড়ক নিরাপত্তা বিষয়ে দুটি বৈশ্বিক লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে। লক্ষ্যমাত্রার ৩.৬ নম্বরে ২০৩০ সালের মধ্যে বিশ্বব্যাপী সড়ক দুর্ঘটনায় মৃত্যু এবং আহত মানুষের সংখ্যা অর্ধেক হ্রাস করার আহ্বান জানানো হয়েছে। ১১.২ নম্বরে বলা হয়েছে যে, ২০৩০ সালের মধ্যে গণপরিবহন ব্যবহারে জনগণের অংশগ্রহণ বৃদ্ধির পাশাপাশি গণপরিবহন সেবার সম্প্রসারণ করতে হবে। উল্লেখিত এসডিজিগুলোর লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ ‘সড়ক পরিবহন বিধিমালা- ২০২১’ এ বেশ কিছু উল্লেখযাগ্য বিধান সংযুক্তিপূর্বক গেজেট প্রকাশ করেছে। এ বিধিমালার কার্যকর প্রয়োগের মাধ্যমে বাংলাদেশের সড়ক নিরাপত্তাকে জোড়দার করে তোলাই সরকারের প্রধান উদ্দেশ্য। তাই এ ধরনের কার্যকর ও সময়োপযোগী সড়ক পরিবহন বিধিমালা জারির জন্য বাংলাদেশ সরকার নিঃসন্দেহে প্রশংসার।

বিধিমালার একই অধ্যায়ে নিরাপদ হেলমেট পরিধান-সংক্রান্ত নির্দেশনাও অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। নির্দেশনাগুলো জারির মাধ্যমে হেলমেটের গুণগত মান নির্ধারণ করা ও যথাযথ পদ্ধতিতে হেলমেট পরিধানের মাধ্যমে মোটরসাইকেল চালক ও আরোহীদের অধিকতর সুরক্ষা নিশ্চিত হবে।

[লেখক : সিনিয়র কমিউনিকেশন অফিসার, রোড সেইফটি প্রোগ্রাম, ব্র্যাক]

শিশুমৃত্যু রোধে দক্ষ মিডওয়াইফদের ভূমিকা

বিসিএস জ্বরে পুড়ছে তারুণ্য

প্রযুক্তির ছোঁয়ায় বদলে যাওয়া পৃথিবী

নমিনির অনুপস্থিতিতে মৃত ব্যক্তির গচ্ছিত টাকা পাবে কে

হিট স্ট্রোকের ঝুঁকি এড়াতে প্রয়োজন সচেতনতা

হিট স্ট্রোকের ঝুঁকি এড়াতে প্রয়োজন সচেতনতা

যদি শুধু বিনোদন সংস্কৃতি হয় তাহলে বাকি সব কী?

নতুন কারিকুলামে ইংরেজি শিক্ষা

বন্ধ হোক প্রশ্ন ফাঁস

ইরান-ইসরায়েলের যুদ্ধ যুদ্ধ খেলা

লোকসান কমাতে ট্রেনের ভাড়া বাড়ানো কতটা যৌক্তিক?

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ^বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী

অর্থনীতির চ্যালেঞ্জ ও আগামী বাজেট

স্মার্ট দেশ গড়তে চাই স্মার্ট বিশ্ববিদ্যালয়

নিরাপদ সড়ক কেন চাই

মধ্যপ্রাচ্যে আগ্রাসন ও সন্ত্রাস সৃষ্টির দায় কার

ম্যাজিস্ট্রেট ও পুলিশের কাছে দোষ স্বীকারে সাক্ষ্যগত মূল্য ও বাস্তবতা

সমস্যায় জর্জরিত সড়ক, প্রতিকার কী

বিশ্ব ভেটেরিনারি দিবস

শিক্ষক নিয়োগ : পর্বতসম দুর্নীতির সামান্য প্রকাশ

সব মানুষের জন্য স্বাস্থ্যসম্মত খাবার নিশ্চিত করতে হবে

ছবি

চৌবাচ্চার ফুটো এবং আমাদের উন্নয়ন

কিশোর গ্যাং : নষ্ট রাজনীতির বিনষ্ট সংস্কৃতি

মন্ত্রণালয় ভাগ করে লাভবান হলো কারা?

রম্যগদ্য : মর্জিনার কলঙ্কিত দাগ

সোমালিয়ার গরিব জেলেরা কীভাবে জলদস্যু হলো

চিকিৎসা জগতের বাতিঘর জন হপকিনস বিশ^বিদ্যালয়

জলবায়ু পরিবর্তনের দৃশ্যমান প্রভাব

দুর্নীতির বিরুদ্ধে বঙ্গবন্ধুর অবস্থান ও আজকের বাংলাদেশ

আবিষ্কারমূলক শিখন পদ্ধতি

টেকসই কৃষিতে নবায়নযোগ্য জ্বালানির সম্ভাবনা

ছবি

জয়নুলের সাঁওতাল দম্পতি এবং সুমনের সৌন্দর্যপ্রিয়তা

এরপরও কি গাছ লাগাবেন না, বন রক্ষা করবেন না?

বিশ্ব ধরিত্রী দিবস

সড়ক দুর্ঘটনায় মৃত্যুর মিছিলের শেষ কোথায়

খুব জানতে ইচ্ছে করে

tab

উপ-সম্পাদকীয়

‘মানসম্মত হেলমেট’ পরুন

তামান্না মিজান

মঙ্গলবার, ১৬ আগস্ট ২০২২

ইদানীং মোটরসাইকেল যানবাহন হিসেবে খুবই জনপ্রিয়। কাক্সিক্ষত গন্তব্যে পৌঁছাতে ‘মোটরসাইকেল’ সময় বাঁচায় এবং খুব দ্রুত গন্তব্যস্থলে পৌঁছানো যায়। এই কারণে, মোটরসাইকেল বাহন হিসাবে দিন দিন খুব জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। আমরা দেখেছি বেশির ভাগ সময় মোটরসাইকেলের চালক যে হেলমেট পরে সেটি মোটামুটি মানের এবং যাত্রীরাও হেলমেট পরে যা দামে খুবই সস্তা এবং খুব হালকা হেলমেট।

দেশে সড়ক দুর্ঘটনা এবং দুর্ঘটনায় আহত ও নিহতের হার দুই-ই ক্রমান্বয়ে বাড়ছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা কর্তৃক প্রণীত “গ্লোবাল স্ট্যাটাস রিপোর্ট অন রোড সেফটি ২০১৮-এর তথ্য মতে, বিশ্বে সড়ক দুর্ঘটনায় প্রতি বছর প্রায় ১০ লাখ ৩৫ হাজার মানুষ মারা যায় এবং ২০ থেকে ৫০ লাখ মানুষ আহত বা পঙ্গুত্ববরণ করে।

বিশ্বব্যাপী আঘাত জনিত মৃত্যুর ৮ম প্রধান কারণ সড়ক দুর্ঘটনা যার শিকার ৫-২৯ বছর বয়সী এবং তার চেয়ে কম বয়সী মানুষের মৃত্যুরও অন্যতম প্রধান কারণ। সড়ক দুর্ঘটনার শতকরা ৯০ ভাগ সংঘটিত হয় নিম্ন ও মধ্যম আয়ের দেশে। প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে যে বাংলাদেশে সড়ক দুর্ঘটনায় প্রতি বছর আনুমানিক প্রায় ২৫ হাজার মানুষ মারা যায়।

দুই এবং তিন চাকার মোটরযানের ব্যবহার মাথায় আঘাতজনিত মৃত্যু ও ট্রমার অন্যতম প্রধান কারণ। দ্রুততম সময়ের মধ্যে গন্তব্যস্থলে পৌঁছার জন্য বহু মানুষ মোটরাটরসাইকেলকে বেছে নিচ্ছে। ফলে সাম্প্রতিক সময়ে দেশে এর ব্যবহার অত্যধিক হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে। এ ক্ষেত্রে গতির পাশাপাশি মানসম্মত হেলমেট পরিধানের বিষয়টি অত্যন্ত গরুত্বপূর্ণ। মানসম্মত হেলমেট পরিধান না করা সরাসরি দুর্ঘটনার কারণ না হলেও দুর্ঘটনায় আহত ব্যক্তির আঘাতের মাত্রা হ্রাসে কার্যকর ভূমিকা পালন করে। সংশ্লিষ্ট বিষয়ে গবেষণায় এটাও দেখে গেছে যে, নিরাপদ বা মানসম্মত হেলমেট যথাযথ নিয়মে ব্যবহারে দুর্ঘটনায় মৃত্যু ঝুঁকি শতকরা ৪০ ভাগ এবং মাথায় আঘাতের ঝুঁকি শতকরা ৭০ ভাগ হ্রাস করে।

সড়ক পরিবহন আইন ২০১৮-এর আলোকে প্রণীত সড়ক পরিবহন বিধিমালা-২০২১ হালনাগাদ করণের মাধ্যমে সড়ক নিরাপত্তা জোরদারের প্রচেষ্টা গ্রহণ সরকারের একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ এবং অন্যতম প্রশংসনীয় উদ্যোগ। এ প্রসঙ্গে জাতিসংঘের টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রায় (এসডিজি) সড়ক নিরাপত্তা বিষয়ে দুটি বৈশ্বিক লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে। লক্ষ্যমাত্রার ৩.৬ নম্বরে ২০৩০ সালের মধ্যে বিশ্বব্যাপী সড়ক দুর্ঘটনায় মৃত্যু এবং আহত মানুষের সংখ্যা অর্ধেক হ্রাস করার আহ্বান জানানো হয়েছে। ১১.২ নম্বরে বলা হয়েছে যে, ২০৩০ সালের মধ্যে গণপরিবহন ব্যবহারে জনগণের অংশগ্রহণ বৃদ্ধির পাশাপাশি গণপরিবহন সেবার সম্প্রসারণ করতে হবে। উল্লেখিত এসডিজিগুলোর লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ ‘সড়ক পরিবহন বিধিমালা- ২০২১’ এ বেশ কিছু উল্লেখযাগ্য বিধান সংযুক্তিপূর্বক গেজেট প্রকাশ করেছে। এ বিধিমালার কার্যকর প্রয়োগের মাধ্যমে বাংলাদেশের সড়ক নিরাপত্তাকে জোড়দার করে তোলাই সরকারের প্রধান উদ্দেশ্য। তাই এ ধরনের কার্যকর ও সময়োপযোগী সড়ক পরিবহন বিধিমালা জারির জন্য বাংলাদেশ সরকার নিঃসন্দেহে প্রশংসার।

বিধিমালার একই অধ্যায়ে নিরাপদ হেলমেট পরিধান-সংক্রান্ত নির্দেশনাও অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। নির্দেশনাগুলো জারির মাধ্যমে হেলমেটের গুণগত মান নির্ধারণ করা ও যথাযথ পদ্ধতিতে হেলমেট পরিধানের মাধ্যমে মোটরসাইকেল চালক ও আরোহীদের অধিকতর সুরক্ষা নিশ্চিত হবে।

[লেখক : সিনিয়র কমিউনিকেশন অফিসার, রোড সেইফটি প্রোগ্রাম, ব্র্যাক]

back to top