alt

উপ-সম্পাদকীয়

দক্ষিণডিহির স্মৃতিতে রবীন্দ্রনাথ

আবু হাসনাত তুহিন

: রোববার, ২২ জানুয়ারী ২০২৩
image

দক্ষিণডিহি রবীন্দ্র কমপ্লেক্স বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের স্মৃতিবিজড়িত একটি স্থান। খুলনা শহর থেকে প্রায় ১৯ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত ফুলতলা উপজেলার তিন কিলোমিটার উত্তর-পশ্চিমে দক্ষিণডিহি অবস্থিত। এটি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের শ্বশুরবাড়ি নামেও পরিচিত।

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর দক্ষিণডিহির রায় চৌধুরী পরিবারের জামাতা। বেনীমাধব রায় চৌধুরী ছিলেন রবীন্দ্রনাথের শ্বশুর। যিনি জোড়াসাঁকোর ঠাকুর পরিবারের জমিদারি এস্টেটের বেতনভুক্ত কর্মচারী। বেনীমাধব রায় চৌধুরী ও দাক্ষায়ণী দেবীর একমাত্র কন্যা ভবতারিণী দেবী ওরফে ফুলি ওরফে ফেলীর সাথে ১৮৮৩ সালে রবীন্দ্রনাথের বিয়ে হয়। বিয়ের সময় রবীন্দ্রনাথের বয়স ছিল ২২ বছর ৭ মাস এবং ফেলীর বয়স ছিলো ১০-১১ বছর। ঠাকুরবাড়ির প্রথা অনুযায়ী বিয়ের পর ভবতারিণী দেবীর নাম রাখা হয় মৃণালিনী দেবী।

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সঙ্গে দক্ষিণডিহির যোগসূত্র মূলত মামাবাড়ির সুবাদে। রবীন্দ্রনাথের পিতা মহর্ষী দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুরও বিয়ে করেন দক্ষিণডিহির রামনারায়ণ রায় চৌধুরীর কন্যা সারদা দেবীকে। খুলনা জেলার রূপসা উপজেলার পিঠাভোগে জোড়াসাঁকোর ঠাকুর পরিবারের আদিনিবাস।

জানা যায়, বেনীমাধব রায় চৌধুরীর দোচালা টিনের ঘর ছিলো। মৃণালিনী দেবীর বিয়ের পর টিনের ঘর ভেঙে দোতলা দালান তৈরি করা হয়। মৃণালিনী দেবী মাত্র ২৯ বছর বয়সে ১৯০২ সালে মৃত্যুবরণ করেন।

১৯৯৫ সালে বাড়িটি পুনরুদ্ধার করা হয় এবং জাতীয় ঐতিহ্যের নিদর্শন হিসেবে এটিকে ‘রবীন্দ্র কমপ্লেক্স’ নামকরণ করা হয়। পরবর্তীতে সাহিত্যানুরাগী ও সংস্কৃতিপ্রেমীদের কাছে এর গুরুত্ব বিবেচনায় ১৯৯৯ সালের ১৮ নভেম্বর এটি সরকারি স্বীকৃতি পায়। মূল ভবনটি বর্তমানে প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

প্রতিদিন অসংখ্য পর্যটক রবীন্দ্রনাথের স্মৃতিবিজড়িত স্থানটি দেখতে আসে। ভবনটিতে রবীন্দ্রনাথ ও মৃণালিনী দেবীর স্মৃতিচিহ্ন স্থান পাওয়ায় নজর কাড়ছে ঘুরতে আসা পর্যটকদের। এছাড়াও ভবনটির আশপাশের সৌন্দর্য, নান্দনিকতাও চোখে পড়ার মতো।

রবীন্দ্রনাথের স্মৃতিবিজড়িত স্থানটিতে টিকিট কেটে প্রবেশ করতে হয়। দেশি দর্শকের জন্য প্রবেশ মূল্য (জনপ্রতি) ১০ টাকা, মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষার্থীদের জন্য ৫ টাকা, সার্কভুক্ত দেশের দর্শকদের জন্য ২৫ টাকা, বিদেশি দর্শকের জন্য ১০০ টাকা। পাঁচ বছর বয়স পর্যন্ত শিশুদের প্রবেশমূল্য নেই। সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত স্থানটি দর্শকদের জন্য উন্মুক্ত থাকে। ভ্রমণপিপাসুরা চাইলে স্থানটি ভ্রমণ করতে পারবেন।

[লেখক : শিক্ষার্থী, পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়]

আদিবাসীদের মাতৃভাষা রক্ষার লড়াই

মালাকারটোলা গণহত্যা : দুঃসহ স্মৃতি

ছবি

স্বাধীনতা সংগ্রামে বঙ্গবন্ধুর ভূমিকা

ছবি

বঙ্গবন্ধুর দর্শন থেকে উৎসারিত স্বাধীনতা ও মুক্তির চেতনা

ছবি

বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতার ঘোষণা

সিপিআই (এম)-এর পশ্চিমবঙ্গ শাখার নেতৃত্বের মূল্যায়ন

ছবি

অরক্ষিত নন ড. মুহাম্মদ ইউনূস

ব্যাংক ও মানুষের আস্থা

চাই ভেজালমুক্ত নিরাপদ খাবার

ছবি

তিতাস অববাহিকার বিপন্ন কৃষিজমিন

প্রিয়েমশন মামলা সম্পর্কিত আইনি সমস্যা ও সমাধান

ছবি

স্মরণ : মাস্টার’দা সূর্যসেন

আঞ্চলিক নিরাপত্তা ও পরাশক্তিগুলোর ভূমিকা

খাদ্য পর্যটন : নবদিগন্তের হাতছানি

ধূপখোলা মাঠ রক্ষা করতে হবে

হজ বাণিজ্যিক পণ্য নয়

বঙ্গবন্ধুর দ্বিতীয় বিপ্লব

পশ্চিম বাংলায় নির্বাচন হোক রক্তপাতহীন

সড়ক দুর্ঘটনা রোধে কালক্ষেপণ নয়

ছবি

কৃষিজমি সুরক্ষায় সঠিক পরিকল্পনা প্রয়োজন

ঢালচর বনের ঢাল কারা?

গাজীপুরের সশস্ত্র প্রতিরোধ যুদ্ধ

ছবি

আদানির বিদ্যুৎ নিয়ে বিতর্ক

ছবি

প্রতিযোগিতামূলক সাম্প্রদায়িকতার নৈহাটি মডেল

ছবি

কে কিভাবে দ্রব্যমূল্যের লাগাম টানবে?

প্লাস্টিক দূষণ : উদ্বিগ্ন বিশ্ব

ছবি

কাঁদে নদ-নদী

ছবি

বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ সমার্থক

বাঁকখালী নদীর মুক্তি ও ন্যায়বিচার

ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যা ও আদিবাসী

আগুন আর ভূমিকম্পের বিপদ

নারীর ক্ষমতায়ন ও টেকসই উন্নয়ন

নগর স্থবির, গ্রামে শুরু কর্মচাঞ্চল্য

ছবি

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তন

বঙ্গবন্ধুর দ্বিতীয় বিপ্লব

নারীর কর্মদক্ষতায় আইসিটি ও স্টেম শিক্ষা

tab

উপ-সম্পাদকীয়

দক্ষিণডিহির স্মৃতিতে রবীন্দ্রনাথ

আবু হাসনাত তুহিন

image

রোববার, ২২ জানুয়ারী ২০২৩

দক্ষিণডিহি রবীন্দ্র কমপ্লেক্স বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের স্মৃতিবিজড়িত একটি স্থান। খুলনা শহর থেকে প্রায় ১৯ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত ফুলতলা উপজেলার তিন কিলোমিটার উত্তর-পশ্চিমে দক্ষিণডিহি অবস্থিত। এটি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের শ্বশুরবাড়ি নামেও পরিচিত।

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর দক্ষিণডিহির রায় চৌধুরী পরিবারের জামাতা। বেনীমাধব রায় চৌধুরী ছিলেন রবীন্দ্রনাথের শ্বশুর। যিনি জোড়াসাঁকোর ঠাকুর পরিবারের জমিদারি এস্টেটের বেতনভুক্ত কর্মচারী। বেনীমাধব রায় চৌধুরী ও দাক্ষায়ণী দেবীর একমাত্র কন্যা ভবতারিণী দেবী ওরফে ফুলি ওরফে ফেলীর সাথে ১৮৮৩ সালে রবীন্দ্রনাথের বিয়ে হয়। বিয়ের সময় রবীন্দ্রনাথের বয়স ছিল ২২ বছর ৭ মাস এবং ফেলীর বয়স ছিলো ১০-১১ বছর। ঠাকুরবাড়ির প্রথা অনুযায়ী বিয়ের পর ভবতারিণী দেবীর নাম রাখা হয় মৃণালিনী দেবী।

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সঙ্গে দক্ষিণডিহির যোগসূত্র মূলত মামাবাড়ির সুবাদে। রবীন্দ্রনাথের পিতা মহর্ষী দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুরও বিয়ে করেন দক্ষিণডিহির রামনারায়ণ রায় চৌধুরীর কন্যা সারদা দেবীকে। খুলনা জেলার রূপসা উপজেলার পিঠাভোগে জোড়াসাঁকোর ঠাকুর পরিবারের আদিনিবাস।

জানা যায়, বেনীমাধব রায় চৌধুরীর দোচালা টিনের ঘর ছিলো। মৃণালিনী দেবীর বিয়ের পর টিনের ঘর ভেঙে দোতলা দালান তৈরি করা হয়। মৃণালিনী দেবী মাত্র ২৯ বছর বয়সে ১৯০২ সালে মৃত্যুবরণ করেন।

১৯৯৫ সালে বাড়িটি পুনরুদ্ধার করা হয় এবং জাতীয় ঐতিহ্যের নিদর্শন হিসেবে এটিকে ‘রবীন্দ্র কমপ্লেক্স’ নামকরণ করা হয়। পরবর্তীতে সাহিত্যানুরাগী ও সংস্কৃতিপ্রেমীদের কাছে এর গুরুত্ব বিবেচনায় ১৯৯৯ সালের ১৮ নভেম্বর এটি সরকারি স্বীকৃতি পায়। মূল ভবনটি বর্তমানে প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

প্রতিদিন অসংখ্য পর্যটক রবীন্দ্রনাথের স্মৃতিবিজড়িত স্থানটি দেখতে আসে। ভবনটিতে রবীন্দ্রনাথ ও মৃণালিনী দেবীর স্মৃতিচিহ্ন স্থান পাওয়ায় নজর কাড়ছে ঘুরতে আসা পর্যটকদের। এছাড়াও ভবনটির আশপাশের সৌন্দর্য, নান্দনিকতাও চোখে পড়ার মতো।

রবীন্দ্রনাথের স্মৃতিবিজড়িত স্থানটিতে টিকিট কেটে প্রবেশ করতে হয়। দেশি দর্শকের জন্য প্রবেশ মূল্য (জনপ্রতি) ১০ টাকা, মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষার্থীদের জন্য ৫ টাকা, সার্কভুক্ত দেশের দর্শকদের জন্য ২৫ টাকা, বিদেশি দর্শকের জন্য ১০০ টাকা। পাঁচ বছর বয়স পর্যন্ত শিশুদের প্রবেশমূল্য নেই। সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত স্থানটি দর্শকদের জন্য উন্মুক্ত থাকে। ভ্রমণপিপাসুরা চাইলে স্থানটি ভ্রমণ করতে পারবেন।

[লেখক : শিক্ষার্থী, পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়]

back to top