alt

মতামত » উপ-সম্পাদকীয়

অঙ্গদানের অনন্য উদাহরণ

আর কে চৌধুরী

: মঙ্গলবার, ২৪ জানুয়ারী ২০২৩
image

সারাহ ইসলাম

বাংলাদেশে কিডনি রোগে প্রতি বছরই প্রাণ হারায় বিপুল সংখ্যক মানুষ। দেশে কিডনি প্রতিস্থাপনের সুযোগ থাকলেও কুসংস্কারের কারণে বিপদাপন্ন রোগীদের জন্য কিডনি পাওয়া যায় না। প্রথমবারের মতো ‘ব্রেন ডেড’ রোগীর শরীর থেকে নেওয়া দুটি কিডনি দুজনের শরীরে সফলভাবে প্রতিস্থাপন হলো বাংলাদেশে। এতে নেতৃত্ব দিয়েছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালের (বিএসএমএমইউ) রেনাল ট্রান্সপ্লান্ট সার্জন অধ্যাপক হাবিবুর রহমান দুলাল।

২০ বছর বয়সী ‘ব্রেন ডেড’ নারী সারার শরীর থেকে নেওয়া দুটি কিডনি দুই নারী কিডনি রোগীর শরীরে প্রতিস্থাপন করা হয়েছে বুধবার রাতে। একটি কিডনি প্রতিস্থাপন বিএসএমএমইউতে হয়েছে, আরেকটি প্রতিস্থাপন করেছে ন্যাশনাল কিডনি ফাউন্ডেশন। বর্তমানে দুজনই ভালো আছেন।

জেনেটিক ডিজিজে আক্রান্ত ২০ বছর বয়সী সারাহ ইসলাম নামের এক রোগীর বিএসএমএমইউতে সার্জারি হয়। তারপর অবস্থার অবনতি হলে তাকে আইসিইউতে রাখা হয়। তিনি যখন ব্রেন ডেডের দিকে যাচ্ছেন তখন তার মাকে কাউন্সিলিং করেন চিকিৎসকরা। তার স্কুলশিক্ষক মা ব্রেন ডেড সারার দুটি কিডনি ও দুটি কর্নিয়া ট্রান্সপ্লান্টের অনুমতি দেন। স্কুলশিক্ষক মা তার কন্যা সারাহ ইসলামকে হারিয়েছেন জীবনের জন্য।

কিন্তু ব্রেন ডেড হয়ে যাওয়া কন্যার দুটি কিডনি প্রতিস্থাপন করে বেঁচে গেল দুটি জীবন। তার দুটি কর্নিয়া দুজন অন্ধ মানুষকে পৃথিবীর আলো দেখার সৌভাগ্য নিশ্চিত করবে। আমরা সারা ইসলামের শিক্ষক মায়ের সিদ্ধান্তকে অভিবাদন জানাই। এ ঘটনা ব্রেন ডেড হওয়া রোগীদের কিডনি দানে স্বজনদের উৎসাহ জোগাবে। যে সিদ্ধান্তের কল্যাণে বেঁচে যাবে অনেক মানুষ।

বিএসএমএমইউর উপাচার্য মো. শারফুদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘প্রথম অঙ্গদাতা সারাহ ইসলামের নাম চিকিৎসাক্ষেত্রে স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে। তার এ ত্যাগের মাধ্যমে মানুষের মাঝে সচেতনতা তৈরি হবে। অনেক মানুষ নতুন জীবন পাবে।’

মৃত্যুর চার দিন আগে মস্তিষ্ক অপারেশনের জন্য একটি বেসরকারি হাসপাতালে নেওয়া হয় সারাহকে। সেখানথেকে নেয়া হয় বিএসএমএমইউতে। যখন সারাহ বুঝতে পারেন তার অবস্থা ভালো না তখন তার মাকে বলে যান মৃত্যুর পর যেন তার অঙ্গ দান করা হয়।

সারাহ তার পুরো অঙ্গটাই দান করে গেছেন। আমাদের দেশে হার্ট ও লিভার ট্রান্সপ্ল্যান্ট এখনও সেভাবে শুরু হয়নি বলে এ দুটি অঙ্গ নেওয়া হয়নি।

বিএসএমএমইউর প্রক্টর অধ্যাপক হাবিবুর রহমান দুলাল বলেন, সারাহকে বীরের মর্যাদা দেওয়া উচিত। মরণোত্তর কিডনি দানে উদ্বুদ্ধ করতে সারাহর এই দান মানুষের কাছে উদাহরণ হয়ে থাকবে।

[লেখক : সাবেক চেয়ারম্যান, রাজউক]

সোনার প্রাসাদের দেয়ালে ঘামের দাগ

নিরাপদ সড়ক চাই কিন্তু কার্যকর উদ্যোগ কোথায়?

অবহেলিত শিক্ষার দুর্দশা বাড়ছে

টেকসই উন্নয়নের পূর্বশর্ত নিরাপদ সড়ক

বাংলার সংস্কৃতি কি মূলধারা হারিয়ে ফেলবে?

ছবি

সমদৃষ্টি, বহুত্ববাদী সমাজ এবং সহিষ্ণুতা

খাদ্য অপচয় : ক্ষুধার্ত পৃথিবীর এক নিঃশব্দ ট্র্যাজেডি

টেকসই বাংলাদেশ গঠনে পরিবেশ সংস্কার কেন অপরিহার্য

সে এক রূপকথারই দেশ

উপকূলের খাদ্যসংকট নিয়ে ভাবছেন কি নীতিনির্ধারকেরা?

মানসিক স্বাস্থ্য: মানবাধিকারের নতুন চ্যালেঞ্জ

ঢাকার যানজট ও বিকেন্দ্রীকরণ

নির্বাচনী মাঠে জামায়াতী হেকমত

শিক্ষা ব্যবস্থায় গভীর বৈষম্য ও জাতির অগ্রযাত্রাধ

উপমহাদেশে সমাজতন্ত্রের স্বপ্ন, বাস্তবতা ও চ্যালেঞ্জ

এইচএসসি ফল: সংখ্যার খেল না কি শিক্ষার বাস্তব চিত্র?

বিনা ভোট, নিশি ভোট, ডামি ভোটের পরে এবার নাকি গণভোট!

কমরেড ইলা মিত্রের শততম জন্মজয়ন্তী

কত মৃত্যু হলে জাগবে বিবেক?

বৈষম্যের বিবিধ মুখ

মানসিক স্বাস্থ্য রক্ষায় জরুরি আইনি সহায়তা

গাজা : এখন শান্তি রক্ষা করবে কে?

দোসর, বাই ডিফল্ট!

জমি কেনা দাগে দাগে কিন্তু ভোগদখল একদাগে

রাষ্ট্র কি শুধু শিক্ষকদের বেলায় এসে দরিদ্র হয়ে যাচ্ছে?

শতরঞ্জ কি খিলাড়ী

শিক্ষক থাকে রাজপথে, আর পুলিশ ছাড়ে থানা

উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা : স্কুল অ্যান্ড কলেজের ভবিষ্যৎ কী?

ছবি

শ্লীলতা, অশ্লীলতার রাজনৈতিক সংস্কৃতি

সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম: অবক্ষয়ের চোরাবালিতে আলোর দিশারী

অটোমেশন ও দেশের যুব কর্মসংস্থানের ভবিষ্যৎ

দুর্যোগে ভয় নয়, প্রস্তুতিই শক্তি

বৈষম্যহীন সমাজের স্বপ্ন

ছবি

‘আল্লাহ তুই দেহিস’: এ কোন ঘৃণার আগুন, ছড়িয়ে গেল সবখানে!

চেকের মামলায় আসামী যেসব ডিফেন্স নিয়ে খালাস পেতে পারেন

খেলনাশিল্প: সম্ভাবনা ও চ্যালেঞ্জ

tab

মতামত » উপ-সম্পাদকীয়

অঙ্গদানের অনন্য উদাহরণ

আর কে চৌধুরী

image

সারাহ ইসলাম

মঙ্গলবার, ২৪ জানুয়ারী ২০২৩

বাংলাদেশে কিডনি রোগে প্রতি বছরই প্রাণ হারায় বিপুল সংখ্যক মানুষ। দেশে কিডনি প্রতিস্থাপনের সুযোগ থাকলেও কুসংস্কারের কারণে বিপদাপন্ন রোগীদের জন্য কিডনি পাওয়া যায় না। প্রথমবারের মতো ‘ব্রেন ডেড’ রোগীর শরীর থেকে নেওয়া দুটি কিডনি দুজনের শরীরে সফলভাবে প্রতিস্থাপন হলো বাংলাদেশে। এতে নেতৃত্ব দিয়েছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালের (বিএসএমএমইউ) রেনাল ট্রান্সপ্লান্ট সার্জন অধ্যাপক হাবিবুর রহমান দুলাল।

২০ বছর বয়সী ‘ব্রেন ডেড’ নারী সারার শরীর থেকে নেওয়া দুটি কিডনি দুই নারী কিডনি রোগীর শরীরে প্রতিস্থাপন করা হয়েছে বুধবার রাতে। একটি কিডনি প্রতিস্থাপন বিএসএমএমইউতে হয়েছে, আরেকটি প্রতিস্থাপন করেছে ন্যাশনাল কিডনি ফাউন্ডেশন। বর্তমানে দুজনই ভালো আছেন।

জেনেটিক ডিজিজে আক্রান্ত ২০ বছর বয়সী সারাহ ইসলাম নামের এক রোগীর বিএসএমএমইউতে সার্জারি হয়। তারপর অবস্থার অবনতি হলে তাকে আইসিইউতে রাখা হয়। তিনি যখন ব্রেন ডেডের দিকে যাচ্ছেন তখন তার মাকে কাউন্সিলিং করেন চিকিৎসকরা। তার স্কুলশিক্ষক মা ব্রেন ডেড সারার দুটি কিডনি ও দুটি কর্নিয়া ট্রান্সপ্লান্টের অনুমতি দেন। স্কুলশিক্ষক মা তার কন্যা সারাহ ইসলামকে হারিয়েছেন জীবনের জন্য।

কিন্তু ব্রেন ডেড হয়ে যাওয়া কন্যার দুটি কিডনি প্রতিস্থাপন করে বেঁচে গেল দুটি জীবন। তার দুটি কর্নিয়া দুজন অন্ধ মানুষকে পৃথিবীর আলো দেখার সৌভাগ্য নিশ্চিত করবে। আমরা সারা ইসলামের শিক্ষক মায়ের সিদ্ধান্তকে অভিবাদন জানাই। এ ঘটনা ব্রেন ডেড হওয়া রোগীদের কিডনি দানে স্বজনদের উৎসাহ জোগাবে। যে সিদ্ধান্তের কল্যাণে বেঁচে যাবে অনেক মানুষ।

বিএসএমএমইউর উপাচার্য মো. শারফুদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘প্রথম অঙ্গদাতা সারাহ ইসলামের নাম চিকিৎসাক্ষেত্রে স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে। তার এ ত্যাগের মাধ্যমে মানুষের মাঝে সচেতনতা তৈরি হবে। অনেক মানুষ নতুন জীবন পাবে।’

মৃত্যুর চার দিন আগে মস্তিষ্ক অপারেশনের জন্য একটি বেসরকারি হাসপাতালে নেওয়া হয় সারাহকে। সেখানথেকে নেয়া হয় বিএসএমএমইউতে। যখন সারাহ বুঝতে পারেন তার অবস্থা ভালো না তখন তার মাকে বলে যান মৃত্যুর পর যেন তার অঙ্গ দান করা হয়।

সারাহ তার পুরো অঙ্গটাই দান করে গেছেন। আমাদের দেশে হার্ট ও লিভার ট্রান্সপ্ল্যান্ট এখনও সেভাবে শুরু হয়নি বলে এ দুটি অঙ্গ নেওয়া হয়নি।

বিএসএমএমইউর প্রক্টর অধ্যাপক হাবিবুর রহমান দুলাল বলেন, সারাহকে বীরের মর্যাদা দেওয়া উচিত। মরণোত্তর কিডনি দানে উদ্বুদ্ধ করতে সারাহর এই দান মানুষের কাছে উদাহরণ হয়ে থাকবে।

[লেখক : সাবেক চেয়ারম্যান, রাজউক]

back to top