alt

মতামত » উপ-সম্পাদকীয়

দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে যেতে হবে

শেখ সালাহ্উদ্দিন আহমেদ

: সোমবার, ৩০ জানুয়ারী ২০২৩

দুর্নীতির বিরুদ্ধে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নিতে ডিসিদের তাগিদ দিয়েছেন দুর্নীতি দমন কমিশনের চেয়ারম্যান। বলেছেন, জেলা প্রশাসকরা সরকারের প্রতিনিধি। জেলায় কোনো দুর্নীতি হলে তথ্য পাওয়ার অনেক সোর্স তাদের রয়েছে। দুর্নীতির তথ্য পেলে তারা যেন বসে না থেকে সঙ্গে সঙ্গে পদক্ষেপ নেন, যাতে দুর্নীতি বন্ধ হয়। জেলা প্রশাসক সম্মেলনের দ্বিতীয় দিনে মন্ত্রীরা নিত্যপণ্যের বাজার নিয়ন্ত্রণে রাখা, দেশে খাদ্য উৎপাদন বাড়ানো, পরিবেশ সুরক্ষাসহ অন্যান্য বিষয়ে বক্তব্য দেন। বলেন, আসন্ন রমজানে পণ্যের দাম বাড়ানোর সুযোগ কেউ নিলে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে। কোনো ধরনের ছাড় দেওয়া যাবে না। কৃষিজমি নষ্ট করে অর্থনৈতিক অঞ্চল করা যাবে না। দেশের সব ধরনের অনাবাদি জমি চাষাবাদের আওতায় আনতে হবে। সব জমিতে ফসল ফলাতে পারলে দেশে দুর্ভিক্ষ দেখা দেবে না। সড়কে শৃঙ্খলা ফেরাতে হবে। নতুন রাস্তা নির্মাণের চেয়ে ভাঙাচোরা সড়ক মেরামত করতে হবে। পরিবেশসম্মত ব্যাগ ব্যবহার বাড়ানোর পাশাপাশি প্লাস্টিকের বস্তায় দেশি চাল পাওয়া গেলে জব্দ করার নির্দেশনা দেওয়া হয়।

বলা হয়, দেশকে এগিয়ে নিতে হলে জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে সমন্বয় করে একসঙ্গে কাজ করতে হবে। জেলা প্রশাসকদের সঙ্গে জনপ্রতিনিধিদের সমন্বয়হীনতা থাকলে ধারণাগত দ্বন্দ্ব সৃষ্টি হয়। স্থানীয় সরকারের ক্ষেত্রেও জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে সমন্বয় করে এগোতে হবে। জেলা প্রশাসক সম্মেলনে দুর্নীতির বিরুদ্ধে সক্রিয় হওয়ার যে তাগিদ দেওয়া হয়েছে তা খুবই প্রাসঙ্গিক ও অর্থবহ। দুর্নীতি ১৮ কোটি মানুষের সব অর্জনকে বিপন্ন করে তুলতে চাচ্ছে। স্বাধীনতার পর পাঁচ দশকে বাংলাদেশের উন্নতি নিঃসন্দেহে গর্বের। তবে দুর্নীতি রোধ করতে পারলে উন্নয়নের সুফল আরও বেশি আমজনতার হাতে পৌঁছাত। উন্নয়ন আরও বেশি নিখুঁত এবং ফলপ্রসূ হতো। এ ব্যাপারে শুধু দুর্নীতির বিরুদ্ধে কথা বলা নয়, কার্যক্ষেত্রে সবাইকে দৃঢ় মনোভাবের পরিচয় দিতে হবে। যেখানেই দুর্নীতি সেখানেই গড়ে তুলতে হবে প্রতিরোধ। দেশের সরকারি কোনো অফিসে উৎকোচ ছাড়া সেবা পাওয়া দুষ্কর। এই নোংরা ঐতিহ্যের অবসান ঘটাতে হবে।

দেশে দুর্নীতির সঙ্গে জড়িতদের দৃশ্যমান কঠোর শাস্তি হয় না। রাজনীতিকে টাকা বানানোর হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে। অনিয়মের তথ্য প্রকাশের পর অনেক ক্ষেত্রে হয়রানির শিকার হতে হয়। রাঘববোয়ালদের ধরা হয় না। যে কারণে দুর্নীতি বাড়ছে।

দেশে দুই জায়গায় দুর্নীতি বেশি হয়। প্রথমত সরকারি ব্যয়ে এবং দ্বিতীয়ত ব্যাংকের ঋণ নিয়ে। সাম্প্রতিক সময়ে সরকারি ব্যয় অনেক বেড়েছে। এছাড়া ঘুষ না দিলে ঋণ পাওয়া যায় না। যে কারণে দুর্নীতি বেড়েছে। যেভাবে দুর্নীতি চিহ্নিত ও শাস্তি হচ্ছে তা আশাপ্রদ নয়। এগুলো দুর্নীতি প্রতিরোধ করার মতো পর্যায়ে এখনও পৌঁছায়নি। বর্তমান প্রেক্ষাপটে এগুলো প্রতিরোধ খুব সহজ ব্যাপার নয়। তবে এক্ষেত্রে সবার আগে সচেতনতা বাড়াতে হবে। মানুষকে সিদ্ধান্ত নিতে হবে, আমি ঘুষ দেব না। দ্বিতীয়ত, সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে। এর সঙ্গে জড়িতদের সামাজিকভাবে বয়কট করতে হবে। তৃতীয়ত, আইনের ব্যবহার বাড়াতে হবে।

দুর্নীতির সূচকে আমাদের খারাপ অবস্থানের সবচেয়ে বড় কারণ হলো এটা বন্ধে যে রাজনৈতিক সদিচ্ছা, তার সঠিক প্রয়োগ নেই। দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স ঘোষণাতেই সীমাবদ্ধ। এর সঠিক বাস্তবায়ন নেই। দ্বিতীয়ত, রাজনীতির সঙ্গে দুর্বৃত্তায়ন এবং কালো টাকার যোগসাজশ রয়েছে। এর সঙ্গে যারা জড়িত সত্যিকার অর্থে তাদের বিচারের আওতায় আনা হয় না। দুদক কিছুটা কাজ করছে, তবে তা একটি সীমারেখার মধ্যে। সেখানে শুধু চুনোপুঁটিদের ধরা হয়। রাঘববোয়ালরা এর বাইরে থেকে যায়। পাশাপাশি দুর্নীতির তথ্য প্রকাশে চাপ রয়েছে। এ সংক্রান্ত তথ্য প্রকাশের ক্ষেত্রে সাংবাদিকসহ বিভিন্ন পেশার মানুষজনকে হয়রানির শিকার হতে হয়েছে। বিভিন্ন জায়গায় মামলা হয়েছে। করোনা মোকাবিলায় যে দুর্নীতি হয়েছে, সেটা সবাই জানে।

এক ধরনের বিচারহীনতার সংস্কৃতি তৈরি করে দুর্নীতিবাজদের পৃষ্ঠপোষকতা দেওয়া হচ্ছে। সরকারের পক্ষ থেকে বিষয়টি অস্বীকার করা হয়। কোনো প্রতিবেদন প্রকাশ করলে নাগরিক সমাজ ও গণমাধ্যমকর্মীদের নাজেহাল হতে হয়। এতে দুর্নীতিবাজরা উৎসাহিত হচ্ছে। বাংলাদেশে আরও কয়েকটি কারণে এগুলো কমানো যাচ্ছে না। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো-রাজনীতিবিদদের প্রতিশ্রুতির ঘাটতি, রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলোর জবাবহিদিতার অভাব ও রাজনৈতিক দলগুলোর জন্য অবস্থান সংকুচিত করে দেয়া এবং গণমাধ্যম ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধিদের কথা বলার সুযোগ সীমিত করে দেয়া।

যতদিন দেশে দুর্নীতি থাকবে ততদিন পর্যন্ত দুদককে কার্যকরী ভূমিকায় দেখতে চাই। আশা করি কমিশনের সঙ্গে যারা জড়িত তারা উচ্চ নৈতিকতার পরিচয় দেবেন। তাহলে জনগণের আস্থা ফিরে আসবে এবং দুর্নীতি প্রতিরোধের সঙ্গে যারা জড়িত তারাও কাজ করতে সাহস পাবে।

[লেখক: অ্যাডভোকেট, সুপ্রীম কোর্ট]

প্রাণিসম্পদ: দেশীয় জাত, আধুনিক প্রযুক্তি

জমির জরিপ: ন্যায়বিচার প্রসঙ্গ

বুদ্ধিজীবী হত্যা ও এর স্বরূপ সন্ধানে

উন্নয়নের আড়ালে রোগীর ভোগান্তি: আস্থা সংকটে স্বাস্থ্যসেবা

ছবি

শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস: অমিত শক্তির উৎস

ছবি

বেগম রোকেয়া এখনো জাগ্রত

পশ্চিমবঙ্গ: বামপন্থীদের ‘বাংলা বাঁচাও’-এর ডাক

সবার বাংলাদেশ কবে প্রতিষ্ঠিত হবে?

বিদেশি বিনিয়োগ : প্রয়োজন আইনের শাসন ও সামাজিক স্থিতি

চিকিৎসা যখন অসহনীয় ব্যয়, তখন প্রতিবাদই ন্যায়

মস্কোর কৌশলগত পুনর্গঠন

“সব শিয়ালের এক রা’ মারা গেল কুমিরের ছা”

ছবি

বিচূর্ণ দর্পণের মুখ

নিজের চেতনায় নিজেরই ঘা দেয়া জরুরি

ঋণ অবলোপনের প্রভাব

ভেজাল গুড়ের মরণফাঁদ: বাঙালির ঐতিহ্য, জনস্বাস্থ্য ও আস্থার নীরব বিপর্যয়

আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবস

জোটের ভোট নাকি ভোটের জোট, কৌশলটা কী?

প্রমাণ তো করতে হবে আমরা হাসিনার চেয়ে ভালো

ছবি

কৃষি ডেটা ব্যবস্থাপনা

যুক্তরাজ্যে ভর্তি স্থগিতের কুয়াশা: তালা লাগলেও চাবি আমাদের হাতে

শিক্ষকদের কর্মবিরতি: পেশাগত নৈতিকতা ও দায়িত্ববোধ

জাতীয় রক্তগ্রুপ নির্ণয় দিবস

জাল সনদপত্রে শিক্ষকতা

সাধারণ চুক্তিগুলোও গোপনীয় কেন

ছবি

শিশুখাদ্যের নিরাপত্তা: জাতির ভবিষ্যৎ সুরক্ষার প্রথম শর্ত

ছবি

ফিনল্যান্ড কেন সুখী দেশ

ছবি

কৃষকের সংকট ও অর্থনীতির ভবিষ্যৎ

আলু চাষের আধুনিক প্রযুক্তি

ই-বর্জ্য: নীরব বিষে দগ্ধ আমাদের ভবিষ্যৎ

ঢাকার জনপরিসর: আর্ভিং গফম্যানের সমাজতাত্ত্বিক বিশ্লেষণ

আলু চাষের আধুনিক প্রযুক্তি

কলি ফুটিতে চাহে ফোটে না!

কৃষিতে স্মার্ট প্রযুক্তি

রোহিঙ্গা সংকটের টেকসই সমাধানে লোকালাইজেশন অপরিহার্য

আইসিইউ থেকে বাড়ি ফেরা ও খাদের কিনারায় থাকা দেশ

tab

মতামত » উপ-সম্পাদকীয়

দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে যেতে হবে

শেখ সালাহ্উদ্দিন আহমেদ

সোমবার, ৩০ জানুয়ারী ২০২৩

দুর্নীতির বিরুদ্ধে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নিতে ডিসিদের তাগিদ দিয়েছেন দুর্নীতি দমন কমিশনের চেয়ারম্যান। বলেছেন, জেলা প্রশাসকরা সরকারের প্রতিনিধি। জেলায় কোনো দুর্নীতি হলে তথ্য পাওয়ার অনেক সোর্স তাদের রয়েছে। দুর্নীতির তথ্য পেলে তারা যেন বসে না থেকে সঙ্গে সঙ্গে পদক্ষেপ নেন, যাতে দুর্নীতি বন্ধ হয়। জেলা প্রশাসক সম্মেলনের দ্বিতীয় দিনে মন্ত্রীরা নিত্যপণ্যের বাজার নিয়ন্ত্রণে রাখা, দেশে খাদ্য উৎপাদন বাড়ানো, পরিবেশ সুরক্ষাসহ অন্যান্য বিষয়ে বক্তব্য দেন। বলেন, আসন্ন রমজানে পণ্যের দাম বাড়ানোর সুযোগ কেউ নিলে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে। কোনো ধরনের ছাড় দেওয়া যাবে না। কৃষিজমি নষ্ট করে অর্থনৈতিক অঞ্চল করা যাবে না। দেশের সব ধরনের অনাবাদি জমি চাষাবাদের আওতায় আনতে হবে। সব জমিতে ফসল ফলাতে পারলে দেশে দুর্ভিক্ষ দেখা দেবে না। সড়কে শৃঙ্খলা ফেরাতে হবে। নতুন রাস্তা নির্মাণের চেয়ে ভাঙাচোরা সড়ক মেরামত করতে হবে। পরিবেশসম্মত ব্যাগ ব্যবহার বাড়ানোর পাশাপাশি প্লাস্টিকের বস্তায় দেশি চাল পাওয়া গেলে জব্দ করার নির্দেশনা দেওয়া হয়।

বলা হয়, দেশকে এগিয়ে নিতে হলে জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে সমন্বয় করে একসঙ্গে কাজ করতে হবে। জেলা প্রশাসকদের সঙ্গে জনপ্রতিনিধিদের সমন্বয়হীনতা থাকলে ধারণাগত দ্বন্দ্ব সৃষ্টি হয়। স্থানীয় সরকারের ক্ষেত্রেও জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে সমন্বয় করে এগোতে হবে। জেলা প্রশাসক সম্মেলনে দুর্নীতির বিরুদ্ধে সক্রিয় হওয়ার যে তাগিদ দেওয়া হয়েছে তা খুবই প্রাসঙ্গিক ও অর্থবহ। দুর্নীতি ১৮ কোটি মানুষের সব অর্জনকে বিপন্ন করে তুলতে চাচ্ছে। স্বাধীনতার পর পাঁচ দশকে বাংলাদেশের উন্নতি নিঃসন্দেহে গর্বের। তবে দুর্নীতি রোধ করতে পারলে উন্নয়নের সুফল আরও বেশি আমজনতার হাতে পৌঁছাত। উন্নয়ন আরও বেশি নিখুঁত এবং ফলপ্রসূ হতো। এ ব্যাপারে শুধু দুর্নীতির বিরুদ্ধে কথা বলা নয়, কার্যক্ষেত্রে সবাইকে দৃঢ় মনোভাবের পরিচয় দিতে হবে। যেখানেই দুর্নীতি সেখানেই গড়ে তুলতে হবে প্রতিরোধ। দেশের সরকারি কোনো অফিসে উৎকোচ ছাড়া সেবা পাওয়া দুষ্কর। এই নোংরা ঐতিহ্যের অবসান ঘটাতে হবে।

দেশে দুর্নীতির সঙ্গে জড়িতদের দৃশ্যমান কঠোর শাস্তি হয় না। রাজনীতিকে টাকা বানানোর হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে। অনিয়মের তথ্য প্রকাশের পর অনেক ক্ষেত্রে হয়রানির শিকার হতে হয়। রাঘববোয়ালদের ধরা হয় না। যে কারণে দুর্নীতি বাড়ছে।

দেশে দুই জায়গায় দুর্নীতি বেশি হয়। প্রথমত সরকারি ব্যয়ে এবং দ্বিতীয়ত ব্যাংকের ঋণ নিয়ে। সাম্প্রতিক সময়ে সরকারি ব্যয় অনেক বেড়েছে। এছাড়া ঘুষ না দিলে ঋণ পাওয়া যায় না। যে কারণে দুর্নীতি বেড়েছে। যেভাবে দুর্নীতি চিহ্নিত ও শাস্তি হচ্ছে তা আশাপ্রদ নয়। এগুলো দুর্নীতি প্রতিরোধ করার মতো পর্যায়ে এখনও পৌঁছায়নি। বর্তমান প্রেক্ষাপটে এগুলো প্রতিরোধ খুব সহজ ব্যাপার নয়। তবে এক্ষেত্রে সবার আগে সচেতনতা বাড়াতে হবে। মানুষকে সিদ্ধান্ত নিতে হবে, আমি ঘুষ দেব না। দ্বিতীয়ত, সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে। এর সঙ্গে জড়িতদের সামাজিকভাবে বয়কট করতে হবে। তৃতীয়ত, আইনের ব্যবহার বাড়াতে হবে।

দুর্নীতির সূচকে আমাদের খারাপ অবস্থানের সবচেয়ে বড় কারণ হলো এটা বন্ধে যে রাজনৈতিক সদিচ্ছা, তার সঠিক প্রয়োগ নেই। দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স ঘোষণাতেই সীমাবদ্ধ। এর সঠিক বাস্তবায়ন নেই। দ্বিতীয়ত, রাজনীতির সঙ্গে দুর্বৃত্তায়ন এবং কালো টাকার যোগসাজশ রয়েছে। এর সঙ্গে যারা জড়িত সত্যিকার অর্থে তাদের বিচারের আওতায় আনা হয় না। দুদক কিছুটা কাজ করছে, তবে তা একটি সীমারেখার মধ্যে। সেখানে শুধু চুনোপুঁটিদের ধরা হয়। রাঘববোয়ালরা এর বাইরে থেকে যায়। পাশাপাশি দুর্নীতির তথ্য প্রকাশে চাপ রয়েছে। এ সংক্রান্ত তথ্য প্রকাশের ক্ষেত্রে সাংবাদিকসহ বিভিন্ন পেশার মানুষজনকে হয়রানির শিকার হতে হয়েছে। বিভিন্ন জায়গায় মামলা হয়েছে। করোনা মোকাবিলায় যে দুর্নীতি হয়েছে, সেটা সবাই জানে।

এক ধরনের বিচারহীনতার সংস্কৃতি তৈরি করে দুর্নীতিবাজদের পৃষ্ঠপোষকতা দেওয়া হচ্ছে। সরকারের পক্ষ থেকে বিষয়টি অস্বীকার করা হয়। কোনো প্রতিবেদন প্রকাশ করলে নাগরিক সমাজ ও গণমাধ্যমকর্মীদের নাজেহাল হতে হয়। এতে দুর্নীতিবাজরা উৎসাহিত হচ্ছে। বাংলাদেশে আরও কয়েকটি কারণে এগুলো কমানো যাচ্ছে না। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো-রাজনীতিবিদদের প্রতিশ্রুতির ঘাটতি, রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলোর জবাবহিদিতার অভাব ও রাজনৈতিক দলগুলোর জন্য অবস্থান সংকুচিত করে দেয়া এবং গণমাধ্যম ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধিদের কথা বলার সুযোগ সীমিত করে দেয়া।

যতদিন দেশে দুর্নীতি থাকবে ততদিন পর্যন্ত দুদককে কার্যকরী ভূমিকায় দেখতে চাই। আশা করি কমিশনের সঙ্গে যারা জড়িত তারা উচ্চ নৈতিকতার পরিচয় দেবেন। তাহলে জনগণের আস্থা ফিরে আসবে এবং দুর্নীতি প্রতিরোধের সঙ্গে যারা জড়িত তারাও কাজ করতে সাহস পাবে।

[লেখক: অ্যাডভোকেট, সুপ্রীম কোর্ট]

back to top