alt

opinion » post-editorial

ভিনগ্রহ থেকে এসেছে মানুষ?

লিয়াকত হোসেন

: মঙ্গলবার, ১৬ মে ২০২৩

বিভিন্ন প্রজাতির প্রাণীরা সরাসরি উদ্ভিদ খেয়ে বা অন্যান্য প্রাণী খেয়ে পৃথিবীতে বেঁচে থাকতে পারে। কিন্তু মানুষ প্রকৃতিতে স্বাভাবিকভাবে পাওয়া বা গজিয়ে ওঠা খাবার সরাসরি খেতে অপছন্দ করে কিন্তু এর কারণ কী?

ড. সিলভারের মতে, সরাসরি পরিবেশ থেকে নেয়া খাবার হজম করতে পারে না একমাত্র মানুষই। তাই মানুষ অন্যভাবে তার খাদ্যের প্রয়োজন মেটায়। মানুষ যদি পৃথিবীরই জীব হত, তাহলে সে বাকি প্রাণীদের মতোই পরিবেশ থেকে পাওয়া খাবার সরাসরি খেয়ে হজম করতে পারত।

মানুষকে পৃথিবীর সবচেয়ে উন্নত প্রাণী বলে মনে করা হয়। কিন্তু ড. সিলভারের মতে, মানুষ-ই হলো পৃথিবীর সবচেয়ে খাপছাড়া জীব। মানুষই হলো পৃথিবীর জলবায়ুতে টিকে থাকার পক্ষে সবচেয়ে অনুপযুক্ত জীব। কারণ পৃথিবীর বাকি সব জীব সারাজীবন খোলা আকাশের নিচে, প্রখর রৌদ্র, তুমুল ঝড়-বৃষ্টি সহ্য করে বেঁচে থাকতে পারে।

মানুষ পৃথিবীর বাকি সব প্রাণীর মতো বৃষ্টিতে ঘণ্টার পর ঘণ্টা ভিজতে পারে না। কয়েক ঘণ্টার বেশি সূর্যের প্রখর রৌদ্রে থাকলে একমাত্র মানুষেরই সান স্ট্রোক হয়। সূর্যের আলোয় বেশিক্ষণ থাকলে মানুষের ত্বকের চামড়া কালো হয়ে যায়। সূর্যের আলোয় মানুষেরই চোখ ধাঁধিয়ে যায়। অন্য প্রাণীদের তো তা হয় না। এগুলি কি প্রমাণ করে না, সূর্যরশ্মি মানুষের পক্ষে উপযুক্ত নয় এবং মানুষ থাকত কোন নরম আলোয় ভরা গ্রহতে?

মানুষের মধ্যেই প্রচুর দীর্ঘস্থায়ী রোগ বা ক্রনিক ডিজিজ দেখা দেয় কেন? ড. সিলভারের মতে, ব্যাক পেন হলো মানুষের অন্যতম দীর্ঘস্থায়ী রোগ। পৃথিবীর বেশির ভাগ মানুষ এই রোগে ভোগেন। কারণ মানুষ পৃথিবীর অন্যান্য প্রাণীর মতো চারপায়ে হাঁটে না। ফলে হাঁটা-চলা ও বিভিন্ন কাজে মধ্যাকর্ষণের সাহায্য পায় না। পৃথিবীর বাকি প্রাণীদের ঘাড়ে, পিঠে, কোমরে ব্যথা হয় না। মানুষের ব্যাক পেন রোগটিই প্রমাণ করে, মানুষের দেহ অন্য কোনও গ্রহে বসবাসের উপযুক্ত হয়ে সৃষ্টি হয়েছিল। যে গ্রহের মধ্যাকর্ষণ ছিল পৃথিবীর তুলনায় অনেক কমজোরি।

প্রশ্ন আরও উঠতে পারে, মানুষের দেহে কেন ২২৩টি অতিরিক্ত জিন আছে। পৃথিবীর অন্যান্য প্রাণীদের দেহে অতিরিক্ত জিন নেই কেন? মানুষের ঘুম নিয়ে গবেষণা করে গবেষকরা বলছেন, পৃথিবীতে দিন ২৪ ঘণ্টার, কিন্তু মানুষের দেহের অভ্যন্তরীণ ঘড়ি বলছে, মানুষের দিন হওয়া উচিত ছিল ২৫ ঘন্টার। মানবজাতির সৃষ্টিলগ্ন থেকেই দেহঘড়িতে একটি দিনের জন্য কেন ২৫ ঘণ্টা বরাদ্দ করা হয়েছিল!

পৃথিবীর কোন মানুষই শতভাগ সুস্থ নয় কেন! প্রত্যেকেই এক বা একাধিক রোগে ভোগে কেন! মানবশিশু জন্মের পরেই পৃথিবীর উন্নত প্রাণীগুলোর শাবকদের মতো হাঁটতে শেখে না কেন? সত্যিই তো পৃথিবীর অন্যান্য প্রজাতির জীবের চেয়ে মানুষই কিন্তু আলাদা। তাই প্রশ্ন উঠতে পারে, সত্যিই কি মানুষ পৃথিবীর প্রাণী? না কি মানুষ ভিনগ্রহের প্রাণী হয়ে পৃথিবীকে শাসন করছে! রহস্যটির উত্তর লুকিয়ে আছে কালের গর্ভে! প্রশ্নটা কিন্তু থেকেই গেল, মানুষের সৃষ্টি যদি পৃথিবীতে না হয়ে থাকে বা মানুষরাই যদি ভিনগ্রহ থেকে পৃথিবীতে এসে থাকে, তাহলে কাদের খুঁজতে নাসা ট্রিলিয়ন ট্রিলিয়ন ডলার খরচ করছে!

মানুষ নিশ্চয়ই উন্নত জীব। কিন্তু পৃথিবীর প্রকৃতিতে মানানসই নয়। তবে হতে পারে, পৃথিবীর নিকটতম নক্ষত্র ও গ্রহম-লী আলফা সেন্টরি থেকে মানুষের আসা। ৬০,০০০-এর বেশি বছর আগে, হতে পারে ২,০০,০০০ বছর আগে, মানুষদের পাঠানো হয়েছিল। পৃথিবী গ্রহে বসবাসের অনুপযুক্ত কিছু মানুষকে পৃথিবীতে ছেড়ে দিয়ে যাওয়া হয়। তারপর নানা অভিব্যক্তি ও অভিযোজন ঘটে গিয়েছে। তাই বলা যায়, ভিনগ্রহের মানুষ আর পৃথিবীর আদি প্রাণীর মিশ্রণে আজকের মানুষের সৃষ্টি।

[লেখক : প্রাবন্ধিক]

সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম: অবক্ষয়ের চোরাবালিতে আলোর দিশারী

অটোমেশন ও দেশের যুব কর্মসংস্থানের ভবিষ্যৎ

দুর্যোগে ভয় নয়, প্রস্তুতিই শক্তি

বৈষম্যহীন সমাজের স্বপ্ন

ছবি

‘আল্লাহ তুই দেহিস’: এ কোন ঘৃণার আগুন, ছড়িয়ে গেল সবখানে!

চেকের মামলায় আসামী যেসব ডিফেন্স নিয়ে খালাস পেতে পারেন

খেলনাশিল্প: সম্ভাবনা ও চ্যালেঞ্জ

ছবি

প্রান্তিক মানুষের হৃদয়ে ফিরে আসা কালো মেঘ

গীর্জায় হামলার নেপথ্যে কী?

সংঘের শতবর্ষের রাজনৈতিক তাৎপর্য

দুর্নীতি আর চাঁদাবাজি রাজনৈতিক-সংস্কৃতির অংশ

বিশ্ব মানসিক স্বাস্থ্য দিবস

বাংলার সংস্কৃতি : উৎস, বিবর্তন ও বর্তমান সমাজ-মনন

রম্যগদ্য: শিক্ষা সহজ, বিদ্যা কঠিন

দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় জনগণের ভূমিকা উপেক্ষিত

শ্রমজীবী মানুষের শোভন কর্মসংস্থান

মূল্যস্ফীতি মোকাবেলায় বাংলাদেশের বাস্তবতা

প্রবারণার আলোয় আলোকিত হোক মানবজাতি

অস্ত্র নিয়ন্ত্রণে ওয়াশিংটনের শেষ সুযোগ?

পাহাড় থেকে সমতল: আদিবাসী নারীর নিরাপত্তা

সোশ্যাল মিডিয়ার ‘লাইক’ সংস্কৃতি: আসক্তি নাকি নতুন যোগাযোগ?

জাতিসংঘে রোহিঙ্গা ইস্যু

মালয়েশিয়ার অর্থনৈতিক পরিবর্তন: আমরা কী শিক্ষা নিতে পারি

রম্যগদ্য: “কেশ ফ্যালায় ভাই, কেশ ফ্যালায়...”

লোকপ্রশাসন বিভাগের শিক্ষার্থীর অধিকার: বিসিএস ও শিক্ষা ক্যাডারের বৈষম্য

ন্যাশনাল গ্যালারি : রঙতুলির মহাসমুদ্রে একদিন

যুব শক্তি বনাম বেকারত্ব

প্রযুক্তি, আর্থিক পরিকল্পনা ও গণিতের ব্যবহার

ফরাসি বিপ্লব: বৈষম্য নিরসনে সামগ্রিক মুক্তির প্রেরণা

অন্তর্বর্তী সরকারের নিউইয়র্ক সফর

প্রবীণদের যত্ন: নৈতিক দায়িত্ব থেকে সামাজিক শক্তি নির্মাণ

জনস্বাস্থ্য রক্ষায় তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন সংশোধনের অপরিহার্যতা

জনমিতিক সুবিধা: স্বপ্নের দশক ও নীতিগত সংস্কারের অপরিহার্যতা

বিদ্যালয় ও মাঠ দখলের বিরুদ্ধে আদিবাসীদের সংগ্রাম

শিক্ষাসংস্কারে চাই সুস্পষ্ট লক্ষ্য ও দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা

ভারতে এসআইআর বিতর্ক

tab

opinion » post-editorial

ভিনগ্রহ থেকে এসেছে মানুষ?

লিয়াকত হোসেন

মঙ্গলবার, ১৬ মে ২০২৩

বিভিন্ন প্রজাতির প্রাণীরা সরাসরি উদ্ভিদ খেয়ে বা অন্যান্য প্রাণী খেয়ে পৃথিবীতে বেঁচে থাকতে পারে। কিন্তু মানুষ প্রকৃতিতে স্বাভাবিকভাবে পাওয়া বা গজিয়ে ওঠা খাবার সরাসরি খেতে অপছন্দ করে কিন্তু এর কারণ কী?

ড. সিলভারের মতে, সরাসরি পরিবেশ থেকে নেয়া খাবার হজম করতে পারে না একমাত্র মানুষই। তাই মানুষ অন্যভাবে তার খাদ্যের প্রয়োজন মেটায়। মানুষ যদি পৃথিবীরই জীব হত, তাহলে সে বাকি প্রাণীদের মতোই পরিবেশ থেকে পাওয়া খাবার সরাসরি খেয়ে হজম করতে পারত।

মানুষকে পৃথিবীর সবচেয়ে উন্নত প্রাণী বলে মনে করা হয়। কিন্তু ড. সিলভারের মতে, মানুষ-ই হলো পৃথিবীর সবচেয়ে খাপছাড়া জীব। মানুষই হলো পৃথিবীর জলবায়ুতে টিকে থাকার পক্ষে সবচেয়ে অনুপযুক্ত জীব। কারণ পৃথিবীর বাকি সব জীব সারাজীবন খোলা আকাশের নিচে, প্রখর রৌদ্র, তুমুল ঝড়-বৃষ্টি সহ্য করে বেঁচে থাকতে পারে।

মানুষ পৃথিবীর বাকি সব প্রাণীর মতো বৃষ্টিতে ঘণ্টার পর ঘণ্টা ভিজতে পারে না। কয়েক ঘণ্টার বেশি সূর্যের প্রখর রৌদ্রে থাকলে একমাত্র মানুষেরই সান স্ট্রোক হয়। সূর্যের আলোয় বেশিক্ষণ থাকলে মানুষের ত্বকের চামড়া কালো হয়ে যায়। সূর্যের আলোয় মানুষেরই চোখ ধাঁধিয়ে যায়। অন্য প্রাণীদের তো তা হয় না। এগুলি কি প্রমাণ করে না, সূর্যরশ্মি মানুষের পক্ষে উপযুক্ত নয় এবং মানুষ থাকত কোন নরম আলোয় ভরা গ্রহতে?

মানুষের মধ্যেই প্রচুর দীর্ঘস্থায়ী রোগ বা ক্রনিক ডিজিজ দেখা দেয় কেন? ড. সিলভারের মতে, ব্যাক পেন হলো মানুষের অন্যতম দীর্ঘস্থায়ী রোগ। পৃথিবীর বেশির ভাগ মানুষ এই রোগে ভোগেন। কারণ মানুষ পৃথিবীর অন্যান্য প্রাণীর মতো চারপায়ে হাঁটে না। ফলে হাঁটা-চলা ও বিভিন্ন কাজে মধ্যাকর্ষণের সাহায্য পায় না। পৃথিবীর বাকি প্রাণীদের ঘাড়ে, পিঠে, কোমরে ব্যথা হয় না। মানুষের ব্যাক পেন রোগটিই প্রমাণ করে, মানুষের দেহ অন্য কোনও গ্রহে বসবাসের উপযুক্ত হয়ে সৃষ্টি হয়েছিল। যে গ্রহের মধ্যাকর্ষণ ছিল পৃথিবীর তুলনায় অনেক কমজোরি।

প্রশ্ন আরও উঠতে পারে, মানুষের দেহে কেন ২২৩টি অতিরিক্ত জিন আছে। পৃথিবীর অন্যান্য প্রাণীদের দেহে অতিরিক্ত জিন নেই কেন? মানুষের ঘুম নিয়ে গবেষণা করে গবেষকরা বলছেন, পৃথিবীতে দিন ২৪ ঘণ্টার, কিন্তু মানুষের দেহের অভ্যন্তরীণ ঘড়ি বলছে, মানুষের দিন হওয়া উচিত ছিল ২৫ ঘন্টার। মানবজাতির সৃষ্টিলগ্ন থেকেই দেহঘড়িতে একটি দিনের জন্য কেন ২৫ ঘণ্টা বরাদ্দ করা হয়েছিল!

পৃথিবীর কোন মানুষই শতভাগ সুস্থ নয় কেন! প্রত্যেকেই এক বা একাধিক রোগে ভোগে কেন! মানবশিশু জন্মের পরেই পৃথিবীর উন্নত প্রাণীগুলোর শাবকদের মতো হাঁটতে শেখে না কেন? সত্যিই তো পৃথিবীর অন্যান্য প্রজাতির জীবের চেয়ে মানুষই কিন্তু আলাদা। তাই প্রশ্ন উঠতে পারে, সত্যিই কি মানুষ পৃথিবীর প্রাণী? না কি মানুষ ভিনগ্রহের প্রাণী হয়ে পৃথিবীকে শাসন করছে! রহস্যটির উত্তর লুকিয়ে আছে কালের গর্ভে! প্রশ্নটা কিন্তু থেকেই গেল, মানুষের সৃষ্টি যদি পৃথিবীতে না হয়ে থাকে বা মানুষরাই যদি ভিনগ্রহ থেকে পৃথিবীতে এসে থাকে, তাহলে কাদের খুঁজতে নাসা ট্রিলিয়ন ট্রিলিয়ন ডলার খরচ করছে!

মানুষ নিশ্চয়ই উন্নত জীব। কিন্তু পৃথিবীর প্রকৃতিতে মানানসই নয়। তবে হতে পারে, পৃথিবীর নিকটতম নক্ষত্র ও গ্রহম-লী আলফা সেন্টরি থেকে মানুষের আসা। ৬০,০০০-এর বেশি বছর আগে, হতে পারে ২,০০,০০০ বছর আগে, মানুষদের পাঠানো হয়েছিল। পৃথিবী গ্রহে বসবাসের অনুপযুক্ত কিছু মানুষকে পৃথিবীতে ছেড়ে দিয়ে যাওয়া হয়। তারপর নানা অভিব্যক্তি ও অভিযোজন ঘটে গিয়েছে। তাই বলা যায়, ভিনগ্রহের মানুষ আর পৃথিবীর আদি প্রাণীর মিশ্রণে আজকের মানুষের সৃষ্টি।

[লেখক : প্রাবন্ধিক]

back to top