কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরী উপজেলার কালীগঞ্জ ইউনিয়ন থেকে মাদারগঞ্জ বাজার পর্যন্ত সুদীর্ঘ রাস্তার মাঝে রয়েছে একটি নদী। যে নদীর ঘাট সিএমপি নামে পরিচিত। খেয়াঘাটে প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষের নদী পার হওয়া অত্যন্ত কষ্টকর হয়ে যায়। এর উত্তরে মাদারগঞ্জ থানা ও দক্ষিণে কালীগঞ্জ বাজার। সারা বছর যাত্রীদের নদী পারাপারে দুর্ভোগের শেষ থাকে না।
চৈত্র, বৈশাখ ও জৈষ্ঠ মাসে তা আরও দুর্বিষহ হয়ে ওঠে। বর্ষার মৌসুমে নদীতে নৌ-চলাচলের প্রায় অসম্ভব হয়ে পড়ে। যাত্রীদের সারি তখন দীর্ঘ থেকে দীর্ঘতর হতে থাকে। নদী পারাপারে তাদের ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করতে হয়। এখানকার মাটি অত্যন্ত উর্বর। শাকসবজিসহ ব্যাপক পরিমাণে কৃষিপণ্য উৎপন্ন হয় এ এলাকায়। যোগাযোগের অসুবিধার কারণে কৃষিপণ্য ঠিকভাবে বাজারজাত করা যায় না। নিত্যপণ্যের বাজার, হাসপাতালসহ মৌলিক সব ধরনের সেবার জন্য হাজারো মানুষকে প্রতিনিয়ত এই নদী পার হতে হয়।
সব থেকে বেশি সমস্যায় পড়েন নারী, শিশু ও বৃদ্ধরা। অসুস্থ ব্যক্তি ও সন্তানসম্ভবা নারীদের নিয়ে কষ্টের যেন আর শেষ থাকে না। বেশকিছু স্কুল, কলেজ পড়ুয়া শিক্ষার্থীকে প্রতিনিয়ত ঝুঁকি নিয়ে এই নদী পার হতে হয়। ছোট এই নদীর ওপর একটি মাত্র সেতু সব সমস্যার সমাধান করতে পারে। সবকিছুর উন্নতি হয় কিন্তু এলাকাবাসীর প্রাণের দাবি এই সেতু আর নির্মিত হয় না।
তাই অবহেলিত হাজারও মানুষের সীমাহীন এই কষ্ট লাঘবের জন্য অতিদ্রুত একটি সেতু নির্মাণের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
নুরুন্নবী আকন্দ
বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪
কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরী উপজেলার কালীগঞ্জ ইউনিয়ন থেকে মাদারগঞ্জ বাজার পর্যন্ত সুদীর্ঘ রাস্তার মাঝে রয়েছে একটি নদী। যে নদীর ঘাট সিএমপি নামে পরিচিত। খেয়াঘাটে প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষের নদী পার হওয়া অত্যন্ত কষ্টকর হয়ে যায়। এর উত্তরে মাদারগঞ্জ থানা ও দক্ষিণে কালীগঞ্জ বাজার। সারা বছর যাত্রীদের নদী পারাপারে দুর্ভোগের শেষ থাকে না।
চৈত্র, বৈশাখ ও জৈষ্ঠ মাসে তা আরও দুর্বিষহ হয়ে ওঠে। বর্ষার মৌসুমে নদীতে নৌ-চলাচলের প্রায় অসম্ভব হয়ে পড়ে। যাত্রীদের সারি তখন দীর্ঘ থেকে দীর্ঘতর হতে থাকে। নদী পারাপারে তাদের ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করতে হয়। এখানকার মাটি অত্যন্ত উর্বর। শাকসবজিসহ ব্যাপক পরিমাণে কৃষিপণ্য উৎপন্ন হয় এ এলাকায়। যোগাযোগের অসুবিধার কারণে কৃষিপণ্য ঠিকভাবে বাজারজাত করা যায় না। নিত্যপণ্যের বাজার, হাসপাতালসহ মৌলিক সব ধরনের সেবার জন্য হাজারো মানুষকে প্রতিনিয়ত এই নদী পার হতে হয়।
সব থেকে বেশি সমস্যায় পড়েন নারী, শিশু ও বৃদ্ধরা। অসুস্থ ব্যক্তি ও সন্তানসম্ভবা নারীদের নিয়ে কষ্টের যেন আর শেষ থাকে না। বেশকিছু স্কুল, কলেজ পড়ুয়া শিক্ষার্থীকে প্রতিনিয়ত ঝুঁকি নিয়ে এই নদী পার হতে হয়। ছোট এই নদীর ওপর একটি মাত্র সেতু সব সমস্যার সমাধান করতে পারে। সবকিছুর উন্নতি হয় কিন্তু এলাকাবাসীর প্রাণের দাবি এই সেতু আর নির্মিত হয় না।
তাই অবহেলিত হাজারও মানুষের সীমাহীন এই কষ্ট লাঘবের জন্য অতিদ্রুত একটি সেতু নির্মাণের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
নুরুন্নবী আকন্দ