alt

পাঠকের চিঠি

স্কাউটে আছে আনন্দের জগৎ

: বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪

স্কাউটিং হলো একটি আন্দোলন; যার মাধ্যমে হাসি আনন্দ ও মজার ছলে শিক্ষা দেওয়া হয়। ১৯০৭ সালে রবার্ট স্টিফেন্সন স্মিথ লর্ড ব্যাডেন পাওয়েল অফ গিলওয়েল সংক্ষেপে বিপি এ আন্দোলন শুরু করেন।

১৯৭৪ সালে বিশ্ব স্কাউটস সংস্থার ১০৫তম সদস্য হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছিল ‘বাংলাদেশ স্কাউট সমিতি’। ৫৬৩২৬ জন সদস্য নিয়ে কার্যক্রম শুরু করে বাংলাদেশ স্কাউট। বর্তমানে বাংলাদেশে প্রায় ২৪ লাখ ৩৪ হাজারের মতো স্কাউট সদস্য রয়েছে। বর্তমানে বাংলাদেশ বিশ্বের ষষ্ঠ বৃহত্তম স্কাউট।

বাংলাদেশ স্কাউট প্রধানত তিনটি শাখায় বিভক্ত। কাব স্কাউট ৬ থেকে ১১ বছর বয়সীদের জন্য। স্কাউটস ১১ থেকে ১৭ বছরের বয়সিদের জন্য। রোভার স্কাউটস ১৭ থেকে ২৫ বছর বয়সিদের জন্য। স্কাউটে মেয়েদের সুযোগ দেওয়ার জন্য ১৯৯৪ সালে ২৪ মার্চ বিশ্ব স্কাউট সংস্থার অনুমোদনক্রমে গার্ল-ইন স্কাউটিং চালু করে বাংলাদেশ। স্কাউটের লক্ষ্য হলো ছেলে বা মেয়েকে সৎ চরিত্রবান, দেশপ্রেমিক, সুনাগরিক, পরোপকারী, মনোবলী, আদর্শবান, আত্মনির্ভরশীল করে গড়ে তোলা। স্কাউট আইন ও প্রতিজ্ঞায়ও তা উল্লেখ রয়েছে।

স্কাউট আইনে দেখা যায়, একজন স্কাউটের এই আইন ও প্রতিজ্ঞা মেনে চলতে হয় এবং দীক্ষার মাধ্যমে সে বিশ্বাস স্কাউট আন্দোলনের সদস্য। স্কাউটের ভিতর আছে আপার আনন্দের স্বাদ; যা স্কাউট যোগদানের মাধ্যমে খুঁজে পাওয়া যায়। ক্যাম্পিং, হাইকিং, ট্র্যাকিং, পাইওনিয়ারিং, অনুমান, রান্না, খেলা ইত্যাদি মজার মজার দিকগুলো শিখে ফেলা যায় স্কাউটের মাধ্যমে। তাঁবুতে থাকার অভিজ্ঞতা, হেঁটে হেঁটে প্রাকৃতির সাথে চলা, গভীর অরণ্যে কম্পাস ছাড়াই দিক নির্ণয় করা, পাত্র ছাড়া রান্না করা ইত্যাদি সকল কিছু খুঁজে পাওয়া যায় স্কাউটিংয়ের মধ্যে।

স্কাউট দলগতভাবে সবাই ভাগাভাগি করে আনন্দের সাথে কাজ করতে শিখায়। আর এই দলগতভাবে কাজ করে একজন স্কাউট হয়ে উঠে নেতৃত্বদানে পারদর্শী এবং সকল কাজ ও গুণের জন্য স্কাউটদের স্বীকৃতি দেওয়া হয়। বিভিন্ন ব্যাজ প্রধান করা হয়; যা তাদের কাজ করা বা শিখার প্রতি আরো উৎসাহ যোগায়। কাবদের শাপলা কাব অ্যাওয়ার্ড, স্কাউটদের প্রেসিডেন্টস স্কাউট অ্যাওয়ার্ড, রোভারদের প্রেসিডেন্টস রোভার স্কাউট অ্যাওয়ার্ড ইত্যাদি অ্যাওয়ার্ড দেওয়া হয়। অ্যাওয়ার্ড প্রাপ্ত স্কাউটদের নাম লেখা থাকে।

বাংলাদেশের স্কাউট এগিয়ে যাচ্ছে সমান তালে। বাংলাদেশের স্কাউটিংয়ের মাধ্যমে বাংলাদেশের স্কাউটরা আত্মনির্ভরশীল হয়ে ওঠছে। জীবন উপভোগ, সমাজের জন্য সেবা, দেশের জন্য সেবার পথ খুঁজে পাচ্ছে। দক্ষতা অর্জন করছে বিভিন্ন কাজে।

স্কাউটে লুকিয়েছে জীবনের অন্য এক আনন্দের জগৎ আর তা খুঁজে পেতে যোগাদান করতে হবে স্কাউট আন্দোলনে। যোগদান করলেই একজন স্কাউট হয়ে উঠা যায় না। এর জন্য থাকতে হবে অজানাকে জানার আগ্রহ, কৌতূহল, স্পৃহা, একাত্মতা।

নাদিয়া সুলতানা

নতুন বছরের অঙ্গীকার হোক নিরাপদ সড়ক

সংকটে ঘিওর স্বাস্থ্যকেন্দ্র

ছবি

সান্তাহার রেলওয়ে জংশনে যাত্রীদের দুর্ভোগ

ছাত্র সংসদ নির্বাচন

রক্তদানে সম্পৃক্ত হোন

নিজের স্বপ্ন অন্যের ওপর চাপিয়ে দেবেন না

ছবি

বুড়িগঙ্গা নদীর বেহাল অবস্থা

ছবি

বৃক্ষের দেহে পেরেক ঠোকা কেন

মাদককে না, ক্রীড়াকে হ্যাঁ বলুন

বায়ুদূষণ

শিক্ষকদের পেনশন প্রাপ্তিতে দুর্ভোগ

ছবি

রাজধানীতে ফিটনেসবিহীন বাস

শৃঙ্খলা ও শান্তির জন্য জননিরাপত্তা

¬তরুণদের সামাজিক কাজে উদ্বুুদ্ধ করতে হবে

মহাসড়কে কেন সিএনজিচালিত অটোরিকশা

মাধ্যমিক থেকেই চাই কর্মমুখী শিক্ষা

গণপরিবহনে নারীদের নিরাপত্তা জরুরি

যানজট নিরসনে পদক্ষেপ চাই

ছবি

নিপাহ ভাইরাস : আতঙ্ক নয়, প্রয়োজন সচেতনতা

ছবি

ব্যাটারিচালিত রিকশা

সারের সংকট ও কৃষকের দুর্ভোগ

সংস্কার আর সময়ের সমীকরণে নির্বাচন

বাণিজ্য মুক্ত হোক সান্ধ্যকোর্স

ছবি

ডে-কেয়ার সেন্টার

ডিজিটাল দাসত্ব : মোবাইল আসক্তির প্রভাব

লোকালয়ে ইটভাটা

ছবি

নিপাহ ভাইরাস : খেজুরের কাঁচা রস পরিহার করুন

ছবি

পাটের বস্তা ব্যবহার অনেকটাই উপক্ষিত

রায়পুরে সড়কের সংস্কার চাই

অতিরিক্ত ভাড়া বন্ধ হোক

গ্যাস সংকট

ছবি

বাংলার ক্রিকেটের সফলতার গল্প লিখেছেন যুবারা

স্বেচ্ছাসেবা : একটি জীবন বোধ

শীতকালীন বায়ুদূষণ ও স্বাস্থ্য সচেতনতা

অবসরের বয়সসীমা বাড়ান

রাস্তা অবরোধ নামক অপসংস্কৃতি বন্ধ করতে হবে

tab

পাঠকের চিঠি

স্কাউটে আছে আনন্দের জগৎ

বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪

স্কাউটিং হলো একটি আন্দোলন; যার মাধ্যমে হাসি আনন্দ ও মজার ছলে শিক্ষা দেওয়া হয়। ১৯০৭ সালে রবার্ট স্টিফেন্সন স্মিথ লর্ড ব্যাডেন পাওয়েল অফ গিলওয়েল সংক্ষেপে বিপি এ আন্দোলন শুরু করেন।

১৯৭৪ সালে বিশ্ব স্কাউটস সংস্থার ১০৫তম সদস্য হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছিল ‘বাংলাদেশ স্কাউট সমিতি’। ৫৬৩২৬ জন সদস্য নিয়ে কার্যক্রম শুরু করে বাংলাদেশ স্কাউট। বর্তমানে বাংলাদেশে প্রায় ২৪ লাখ ৩৪ হাজারের মতো স্কাউট সদস্য রয়েছে। বর্তমানে বাংলাদেশ বিশ্বের ষষ্ঠ বৃহত্তম স্কাউট।

বাংলাদেশ স্কাউট প্রধানত তিনটি শাখায় বিভক্ত। কাব স্কাউট ৬ থেকে ১১ বছর বয়সীদের জন্য। স্কাউটস ১১ থেকে ১৭ বছরের বয়সিদের জন্য। রোভার স্কাউটস ১৭ থেকে ২৫ বছর বয়সিদের জন্য। স্কাউটে মেয়েদের সুযোগ দেওয়ার জন্য ১৯৯৪ সালে ২৪ মার্চ বিশ্ব স্কাউট সংস্থার অনুমোদনক্রমে গার্ল-ইন স্কাউটিং চালু করে বাংলাদেশ। স্কাউটের লক্ষ্য হলো ছেলে বা মেয়েকে সৎ চরিত্রবান, দেশপ্রেমিক, সুনাগরিক, পরোপকারী, মনোবলী, আদর্শবান, আত্মনির্ভরশীল করে গড়ে তোলা। স্কাউট আইন ও প্রতিজ্ঞায়ও তা উল্লেখ রয়েছে।

স্কাউট আইনে দেখা যায়, একজন স্কাউটের এই আইন ও প্রতিজ্ঞা মেনে চলতে হয় এবং দীক্ষার মাধ্যমে সে বিশ্বাস স্কাউট আন্দোলনের সদস্য। স্কাউটের ভিতর আছে আপার আনন্দের স্বাদ; যা স্কাউট যোগদানের মাধ্যমে খুঁজে পাওয়া যায়। ক্যাম্পিং, হাইকিং, ট্র্যাকিং, পাইওনিয়ারিং, অনুমান, রান্না, খেলা ইত্যাদি মজার মজার দিকগুলো শিখে ফেলা যায় স্কাউটের মাধ্যমে। তাঁবুতে থাকার অভিজ্ঞতা, হেঁটে হেঁটে প্রাকৃতির সাথে চলা, গভীর অরণ্যে কম্পাস ছাড়াই দিক নির্ণয় করা, পাত্র ছাড়া রান্না করা ইত্যাদি সকল কিছু খুঁজে পাওয়া যায় স্কাউটিংয়ের মধ্যে।

স্কাউট দলগতভাবে সবাই ভাগাভাগি করে আনন্দের সাথে কাজ করতে শিখায়। আর এই দলগতভাবে কাজ করে একজন স্কাউট হয়ে উঠে নেতৃত্বদানে পারদর্শী এবং সকল কাজ ও গুণের জন্য স্কাউটদের স্বীকৃতি দেওয়া হয়। বিভিন্ন ব্যাজ প্রধান করা হয়; যা তাদের কাজ করা বা শিখার প্রতি আরো উৎসাহ যোগায়। কাবদের শাপলা কাব অ্যাওয়ার্ড, স্কাউটদের প্রেসিডেন্টস স্কাউট অ্যাওয়ার্ড, রোভারদের প্রেসিডেন্টস রোভার স্কাউট অ্যাওয়ার্ড ইত্যাদি অ্যাওয়ার্ড দেওয়া হয়। অ্যাওয়ার্ড প্রাপ্ত স্কাউটদের নাম লেখা থাকে।

বাংলাদেশের স্কাউট এগিয়ে যাচ্ছে সমান তালে। বাংলাদেশের স্কাউটিংয়ের মাধ্যমে বাংলাদেশের স্কাউটরা আত্মনির্ভরশীল হয়ে ওঠছে। জীবন উপভোগ, সমাজের জন্য সেবা, দেশের জন্য সেবার পথ খুঁজে পাচ্ছে। দক্ষতা অর্জন করছে বিভিন্ন কাজে।

স্কাউটে লুকিয়েছে জীবনের অন্য এক আনন্দের জগৎ আর তা খুঁজে পেতে যোগাদান করতে হবে স্কাউট আন্দোলনে। যোগদান করলেই একজন স্কাউট হয়ে উঠা যায় না। এর জন্য থাকতে হবে অজানাকে জানার আগ্রহ, কৌতূহল, স্পৃহা, একাত্মতা।

নাদিয়া সুলতানা

back to top