সিলেট ও সুনামগঞ্জ জেলার ভয়াবহ বন্যার জন্য জলবায়ু পরিবর্তন ও হাওর এলাকায় মানুষের নানা ধরনের অবকাঠামো তৈরির কারণে সেখানকার পরিস্থিতি খারাপ হয়েছে। হাওরে অবকাঠামো নির্মাণের ক্ষেত্রে অধিকতর সতর্কতা অবলম্বন না করলে আগামীতে সিলেট অঞ্চলের মানুষকে আরও ভয়াবহ পরিণতির মুখে পড়তে হবে বলে আশংকা প্রকাশ করেছেন বিজ্ঞানীরা।
উজান থেকে আসা পলিতে সিলেট অঞ্চলের নদ-নদীগুলোর তলদেশ ভরাট হচ্ছে। চেরাপুঞ্জি ও সিলেট অঞ্চলে অল্প সময়ে প্রচুর বৃষ্টিপাত হচ্ছে। নদ-নদীগুলো ও ড্রেজিং হচ্ছে না। হাওরে রাস্তা নির্মাণের ফলেই সিলেটে বর্তমানে পানি নামার ধীরগতি।
বাংলাদেশের নদী ব্যবস্থাপনায় সুরমা কুশিয়ারা মেঘনা বেসিন খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এই বেসিনের উজানে পৃথিবীর সবচাইতে বৃষ্টিবহুল চেরাপুঞ্জির অবস্থান। চেরাপুঞ্জির পানি সিলেট বেসিন দিয়েই বঙ্গোপসাগরে প্রবেশ করে। এই পানি দ্রুত প্রবাহিত হতে পারে না। এ পানি হাওরে অবস্থান করে। হাওরে পানি ধারণের পর্যাপ্ত ব্যবস্থা থাকলে নদীগুলো ওভার ফ্লো হবে না। অবকাঠামো নির্মাণের মাধ্যমে আমরা পানির প্রবাহকে বাধাগ্রস্থ করছি। অতীতে সিলেট অঞ্চলে এমন বন্যার রেকর্ড নাই।
সিলেটের পানি সুনামগঞ্জ-কিশোরগঞ্জ হয়ে মেঘনা অববাহিকায় গিয়ে প্রবাহিত হয়। ইটনা-মিঠামইন সড়কের দৈর্ঘ্য ৩০ কিলোমিটার। বর্তমানে সেখানে ৯শ মিটার এলাকা দিয়ে হাওরের পানি প্রবাহিত হচ্ছে-যা পানি প্রবাহকে বাধাগ্রস্ত করছে।
সিলেটের বন্যা নিয়ন্ত্রণের করণীয় নির্ধারণে সিটি কর্পোরেশন, পানি উন্নয়ন বোর্ড, সড়ক ও জনপথ বিভাগ এবং এলজিইডির সমন্বিত পদক্ষেপ নিতে হবে।
আব্বাসউদ্দিন আহমদ
বুধবার, ০৩ জুলাই ২০২৪
সিলেট ও সুনামগঞ্জ জেলার ভয়াবহ বন্যার জন্য জলবায়ু পরিবর্তন ও হাওর এলাকায় মানুষের নানা ধরনের অবকাঠামো তৈরির কারণে সেখানকার পরিস্থিতি খারাপ হয়েছে। হাওরে অবকাঠামো নির্মাণের ক্ষেত্রে অধিকতর সতর্কতা অবলম্বন না করলে আগামীতে সিলেট অঞ্চলের মানুষকে আরও ভয়াবহ পরিণতির মুখে পড়তে হবে বলে আশংকা প্রকাশ করেছেন বিজ্ঞানীরা।
উজান থেকে আসা পলিতে সিলেট অঞ্চলের নদ-নদীগুলোর তলদেশ ভরাট হচ্ছে। চেরাপুঞ্জি ও সিলেট অঞ্চলে অল্প সময়ে প্রচুর বৃষ্টিপাত হচ্ছে। নদ-নদীগুলো ও ড্রেজিং হচ্ছে না। হাওরে রাস্তা নির্মাণের ফলেই সিলেটে বর্তমানে পানি নামার ধীরগতি।
বাংলাদেশের নদী ব্যবস্থাপনায় সুরমা কুশিয়ারা মেঘনা বেসিন খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এই বেসিনের উজানে পৃথিবীর সবচাইতে বৃষ্টিবহুল চেরাপুঞ্জির অবস্থান। চেরাপুঞ্জির পানি সিলেট বেসিন দিয়েই বঙ্গোপসাগরে প্রবেশ করে। এই পানি দ্রুত প্রবাহিত হতে পারে না। এ পানি হাওরে অবস্থান করে। হাওরে পানি ধারণের পর্যাপ্ত ব্যবস্থা থাকলে নদীগুলো ওভার ফ্লো হবে না। অবকাঠামো নির্মাণের মাধ্যমে আমরা পানির প্রবাহকে বাধাগ্রস্থ করছি। অতীতে সিলেট অঞ্চলে এমন বন্যার রেকর্ড নাই।
সিলেটের পানি সুনামগঞ্জ-কিশোরগঞ্জ হয়ে মেঘনা অববাহিকায় গিয়ে প্রবাহিত হয়। ইটনা-মিঠামইন সড়কের দৈর্ঘ্য ৩০ কিলোমিটার। বর্তমানে সেখানে ৯শ মিটার এলাকা দিয়ে হাওরের পানি প্রবাহিত হচ্ছে-যা পানি প্রবাহকে বাধাগ্রস্ত করছে।
সিলেটের বন্যা নিয়ন্ত্রণের করণীয় নির্ধারণে সিটি কর্পোরেশন, পানি উন্নয়ন বোর্ড, সড়ক ও জনপথ বিভাগ এবং এলজিইডির সমন্বিত পদক্ষেপ নিতে হবে।
আব্বাসউদ্দিন আহমদ