alt

সিলেটে ভয়াবহ বন্যার কারণ

: বুধবার, ০৩ জুলাই ২০২৪

সিলেট ও সুনামগঞ্জ জেলার ভয়াবহ বন্যার জন্য জলবায়ু পরিবর্তন ও হাওর এলাকায় মানুষের নানা ধরনের অবকাঠামো তৈরির কারণে সেখানকার পরিস্থিতি খারাপ হয়েছে। হাওরে অবকাঠামো নির্মাণের ক্ষেত্রে অধিকতর সতর্কতা অবলম্বন না করলে আগামীতে সিলেট অঞ্চলের মানুষকে আরও ভয়াবহ পরিণতির মুখে পড়তে হবে বলে আশংকা প্রকাশ করেছেন বিজ্ঞানীরা।

উজান থেকে আসা পলিতে সিলেট অঞ্চলের নদ-নদীগুলোর তলদেশ ভরাট হচ্ছে। চেরাপুঞ্জি ও সিলেট অঞ্চলে অল্প সময়ে প্রচুর বৃষ্টিপাত হচ্ছে। নদ-নদীগুলো ও ড্রেজিং হচ্ছে না। হাওরে রাস্তা নির্মাণের ফলেই সিলেটে বর্তমানে পানি নামার ধীরগতি।

বাংলাদেশের নদী ব্যবস্থাপনায় সুরমা কুশিয়ারা মেঘনা বেসিন খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এই বেসিনের উজানে পৃথিবীর সবচাইতে বৃষ্টিবহুল চেরাপুঞ্জির অবস্থান। চেরাপুঞ্জির পানি সিলেট বেসিন দিয়েই বঙ্গোপসাগরে প্রবেশ করে। এই পানি দ্রুত প্রবাহিত হতে পারে না। এ পানি হাওরে অবস্থান করে। হাওরে পানি ধারণের পর্যাপ্ত ব্যবস্থা থাকলে নদীগুলো ওভার ফ্লো হবে না। অবকাঠামো নির্মাণের মাধ্যমে আমরা পানির প্রবাহকে বাধাগ্রস্থ করছি। অতীতে সিলেট অঞ্চলে এমন বন্যার রেকর্ড নাই।

সিলেটের পানি সুনামগঞ্জ-কিশোরগঞ্জ হয়ে মেঘনা অববাহিকায় গিয়ে প্রবাহিত হয়। ইটনা-মিঠামইন সড়কের দৈর্ঘ্য ৩০ কিলোমিটার। বর্তমানে সেখানে ৯শ মিটার এলাকা দিয়ে হাওরের পানি প্রবাহিত হচ্ছে-যা পানি প্রবাহকে বাধাগ্রস্ত করছে।

সিলেটের বন্যা নিয়ন্ত্রণের করণীয় নির্ধারণে সিটি কর্পোরেশন, পানি উন্নয়ন বোর্ড, সড়ক ও জনপথ বিভাগ এবং এলজিইডির সমন্বিত পদক্ষেপ নিতে হবে।

আব্বাসউদ্দিন আহমদ

ছবি

গার্মেন্টস শ্রমিকের মানবিক অধিকার নিশ্চিতকরণ জরুরি

নিউমার্কেটে সড়ক-ফুটপাত দখলমুক্ত করা জরুরি

সুন্দরবন রক্ষায় দ্রুত পদক্ষেপ প্রয়োজন

আগুনের শিখায় ভস্মীভূত স্বপ্ন

কোথায় যাচ্ছে আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থা?

ছবি

ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে সিএনজি-ট্যাক্সি চলাচল নিষিদ্ধের আহ্বান

ছবি

ভবদহে জলাবদ্ধতা নিরসনে জরুরি টিআরএম প্রকল্প বাস্তবায়ন প্রয়োজন

গণপরিবহনে নারীর নিরাপত্তা নিশ্চিত হোক

পোস্তগোলা থানা গঠনের দাবি

বিশ্ববিদ্যালয়ে অ্যামেরিকান স্টাডিজ কোর্স চালুর প্রয়োজনীয়তা

ছবি

প্রাথমিক শিক্ষায় শিক্ষক সংকট

শিক্ষকদের বেতন-ভাতার বৈষম্য দূর করতে হবে

বাংলাদেশ টেলিভিশন চট্টগ্রাম কেন্দ্রের সংবাদ প্রসঙ্গে

মাটি কেটে নষ্ট হচ্ছে ফসলি জমি

পিঠা উৎসব : ঐতিহ্যের পুনরুত্থান ও জনপ্রিয়তা

পরিবেশ সুরক্ষায় সবুজ অর্থনীতি

পানির অপচয় রোধে সচেতনতা

নিরাপত্তায় মনোযোগ বাড়ানো জরুরি

ছবি

প্লাস্টিক দূষণ : সমাধানের পথ কী?

ছাত্রত্বহীন আদুভাইদের রাজনীতি বন্ধ হোক

অগ্নিকা- থেকে মুক্তির উপায় কী?

ছবি

নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে কাঁকড়া শিকার

ছবি

টিসিবির ট্রাকে চাল নেই কেন?

মেট্রোরেলে মশা

ছবি

গণপরিবহনে নারী আসনের অপ্রতুলতা

ছবি

অভিযান যেন একতরফা না হয়

পরিবহন ভাড়া কমান

ইন্টারনেট প্রযুক্তির গুরুত্ব

ছবি

বই নির্বাচন, বন্ধু নির্বাচনের মতো গুরুত্বপূর্ণ

অব্যবস্থাপনার দিকে মেট্রোরেল

সাহিত্যের সঙ্গে সাংবাদিকতার সম্পর্ক : বিশ্লেষণ

কুষ্টিয়া-ঝিনাইদহ মহাসড়কের সংস্কার চাই

খাল খনন করুন

ছিনতাইকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

মুন্সীগঞ্জের মিরকাদিম পৌরসভার খাল ভরাটের কারণে বেহাল দশা

ছবি

রেলক্রসিং যেন মরণ ফাঁদ

tab

সিলেটে ভয়াবহ বন্যার কারণ

বুধবার, ০৩ জুলাই ২০২৪

সিলেট ও সুনামগঞ্জ জেলার ভয়াবহ বন্যার জন্য জলবায়ু পরিবর্তন ও হাওর এলাকায় মানুষের নানা ধরনের অবকাঠামো তৈরির কারণে সেখানকার পরিস্থিতি খারাপ হয়েছে। হাওরে অবকাঠামো নির্মাণের ক্ষেত্রে অধিকতর সতর্কতা অবলম্বন না করলে আগামীতে সিলেট অঞ্চলের মানুষকে আরও ভয়াবহ পরিণতির মুখে পড়তে হবে বলে আশংকা প্রকাশ করেছেন বিজ্ঞানীরা।

উজান থেকে আসা পলিতে সিলেট অঞ্চলের নদ-নদীগুলোর তলদেশ ভরাট হচ্ছে। চেরাপুঞ্জি ও সিলেট অঞ্চলে অল্প সময়ে প্রচুর বৃষ্টিপাত হচ্ছে। নদ-নদীগুলো ও ড্রেজিং হচ্ছে না। হাওরে রাস্তা নির্মাণের ফলেই সিলেটে বর্তমানে পানি নামার ধীরগতি।

বাংলাদেশের নদী ব্যবস্থাপনায় সুরমা কুশিয়ারা মেঘনা বেসিন খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এই বেসিনের উজানে পৃথিবীর সবচাইতে বৃষ্টিবহুল চেরাপুঞ্জির অবস্থান। চেরাপুঞ্জির পানি সিলেট বেসিন দিয়েই বঙ্গোপসাগরে প্রবেশ করে। এই পানি দ্রুত প্রবাহিত হতে পারে না। এ পানি হাওরে অবস্থান করে। হাওরে পানি ধারণের পর্যাপ্ত ব্যবস্থা থাকলে নদীগুলো ওভার ফ্লো হবে না। অবকাঠামো নির্মাণের মাধ্যমে আমরা পানির প্রবাহকে বাধাগ্রস্থ করছি। অতীতে সিলেট অঞ্চলে এমন বন্যার রেকর্ড নাই।

সিলেটের পানি সুনামগঞ্জ-কিশোরগঞ্জ হয়ে মেঘনা অববাহিকায় গিয়ে প্রবাহিত হয়। ইটনা-মিঠামইন সড়কের দৈর্ঘ্য ৩০ কিলোমিটার। বর্তমানে সেখানে ৯শ মিটার এলাকা দিয়ে হাওরের পানি প্রবাহিত হচ্ছে-যা পানি প্রবাহকে বাধাগ্রস্ত করছে।

সিলেটের বন্যা নিয়ন্ত্রণের করণীয় নির্ধারণে সিটি কর্পোরেশন, পানি উন্নয়ন বোর্ড, সড়ক ও জনপথ বিভাগ এবং এলজিইডির সমন্বিত পদক্ষেপ নিতে হবে।

আব্বাসউদ্দিন আহমদ

back to top