alt

পাঠকের চিঠি

পাচার চক্র নিয়ন্ত্রণ জরুরি

: বুধবার, ১০ জুলাই ২০২৪

বাচ্চা হারিয়ে যাওয়া বা নিখোঁজের ঘটনা বিগত চার-পাঁচ মাস যাবৎ প্রায় প্রতিদিনই ঘটে চলছে। এমনও হচ্ছে যে দিনে ৩-৪ জন বাচ্চার হারানো বিজ্ঞপ্তি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেখা যাচ্ছে। গত ১ সপ্তাহে সারাদেশ থেকে প্রায় ৩০-৪০ জন শিশু নিখোঁজ হয়েছে।

বিগত ৪-৫ মাসে কম হলেও দুই শতাধিক বাচ্চা নিখোঁজ হয়েছে। হারিয়ে যাওয়া এসব বাচ্চাদের কারো সন্ধান এখন পর্যন্ত পাওয়া যায়নি। এর মধ্যে মাদ্রাসার ছাত্রদের হারানোর বিষয়টি বেশি পরিলক্ষিত হচ্ছে। অনেক ক্ষেত্রে স্কুল অথবা কোচিং সেন্টারে ক্লাস করতে গিয়ে বাচ্চারা আর বাড়ি ফিরে আসেনি। কেউবা আবার বাড়ির বাহিরে খেলতে গিয়ে আর ফিরে আসেনি।

তবে বেশ কিছু দিন যাবৎ বাচ্চাদের পাশাপাশি উঠতি বয়সের মেয়েদের নিখোঁজ হওয়ার বিষয়টিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশিত হচ্ছে। এছাড়াও মোটা বেতনের প্রলোভন দেখিয়ে চট্টগ্রামের বিভিন্ন গার্মেন্টস কর্মীদের বিদেশে পাচার করা হচ্ছে। যাদের বেশিরভাগই অসচ্ছল পরিবারের সদস্য। পাচারকৃত এক নারী কৌশলে সেখান থেকে বেরিয়ে এসে পুলিশকে চাঞ্চল্যকর অনেক তথ্য দিয়েছেন।

তারা জানিয়েছেন, দীর্ঘদিন যাবৎ একটি সংঘবদ্ধ সক্রিয় পাচার চক্র মোটা অঙ্কের টাকার বিনিময়ে যশোর সীমান্ত দিয়ে নারীদের ভারত পাচার করে যাচ্ছে। এছাড়াও বিয়ের নাম করে খাগড়াছড়ি ও রাঙ্গামাটির পাহাড়ি তরুণীদের চীনে পাচার করে দেওয়া হচ্ছে। বহু বছর যাবৎ চীনে এক সন্তান নীতি কার্যকর থাকায় বিয়ের পাত্রী সংকট দেখা দিয়েছে, যার ফলস্বরূপ চেহারা ও খাদ্যাভ্যাসে মিল থাকায় বাংলাদেশের পাহাড়ি মেয়েদের ১৫ থেকে ২০ লাখ টাকার বিনিময়ে সেই দেশে বিক্রি করে দেওয়া হচ্ছে। এই সবাই ঘটনা সাম্প্রতিক সময়ে সামাজিক প্রেক্ষাপটে ভয়ভীতি ও আতঙ্কের সৃষ্টি করেছে।

মানবপাচার প্রতিরোধ ও দমন আইনে বলা হয়েছে, সংঘবদ্ধ মানব পাচার অপরাধের দন্ড মৃত্যুদন্ড বা যাবজ্জীবন কারাদ- বা ন্যূনতম ৭ বৎসরের সশ্রম কারাদ- এবং ন্যূনতম ৫ (পাঁচ) লক্ষ টাকা অর্থদ-ে দন্ডিত করা হইবে। এইসমস্ত বিষয়ে এখন পর্যন্ত প্রশাসনের তেমন কোনো নজরদারি দেখা যায়নি।

এ থেকে উত্তরণের জন্য প্রয়োজন গণসচেতনতা। পারিবারিক, সামাজিক এবং ব্যাক্তি সচেতনতাই পারে এটি প্রতিহত করতে। পাশাপাশি সরকার এবং প্রশাসনের যথাযথ উদ্যোগের মাধ্যমে দ্রুত এ বিষয়ে পদক্ষেপ নেয়া জরুরি।

জান্নাতুল ফেরদৌস তানজিনা

সারের সংকট ও কৃষকের দুর্ভোগ

সংস্কার আর সময়ের সমীকরণে নির্বাচন

বাণিজ্য মুক্ত হোক সান্ধ্যকোর্স

ছবি

ডে-কেয়ার সেন্টার

ডিজিটাল দাসত্ব : মোবাইল আসক্তির প্রভাব

লোকালয়ে ইটভাটা

ছবি

নিপাহ ভাইরাস : খেজুরের কাঁচা রস পরিহার করুন

ছবি

পাটের বস্তা ব্যবহার অনেকটাই উপক্ষিত

রায়পুরে সড়কের সংস্কার চাই

অতিরিক্ত ভাড়া বন্ধ হোক

গ্যাস সংকট

ছবি

বাংলার ক্রিকেটের সফলতার গল্প লিখেছেন যুবারা

স্বেচ্ছাসেবা : একটি জীবন বোধ

শীতকালীন বায়ুদূষণ ও স্বাস্থ্য সচেতনতা

অবসরের বয়সসীমা বাড়ান

রাস্তা অবরোধ নামক অপসংস্কৃতি বন্ধ করতে হবে

ছবি

খেলনায় বিষাক্ত ধাতু

জিপিএ-৫ মুখ্য নয়, প্রয়োজন প্রকৃত শিক্ষা

রাষ্ট্রসংস্কারের পূর্বে আত্মসংস্কার প্রয়োজন

আইনশৃৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কার্যকর পদক্ষেপ নিন

বর্জ্য ব্যবস্থাপনার বেহালদশা

পরিকল্পিতভাবে উপযুক্ত স্থানে গাছ রোপণ করা উচিত

ইজিবাইক ছিনতাই

ছবি

টিসিবির পণ্য : নিম্নআয়ের মানুষের ভোগান্তি

ছবি

উন্নয়নের জন্য কারিগরি শিক্ষা অপরিহার্য

ছবি

ট্রেনে পাথর নিক্ষেপ বন্ধ করুন

সড়ক দুর্ঘটনা

বায়ুদূষণে দমবন্ধ ঢাকা

হলগুলোর খাবারের মান বাড়ান

নিষিদ্ধ পলিথিনের ব্যবহার বন্ধ হবে কবে

মোরেলগঞ্জ পৌরসভার নাগরিক সেবা উন্নয়নে পদক্ষেপ নিন

ছবি

খেজুরের রস

ট্যাগিং সংস্কৃতির অবসান ঘটুক

আবাসন সংকট দূর করুন

আখাউড়া-আগরতলা ট্রেন চালু হবে কি ?

উচ্চশিক্ষা ও বেকারত্ব

tab

পাঠকের চিঠি

পাচার চক্র নিয়ন্ত্রণ জরুরি

বুধবার, ১০ জুলাই ২০২৪

বাচ্চা হারিয়ে যাওয়া বা নিখোঁজের ঘটনা বিগত চার-পাঁচ মাস যাবৎ প্রায় প্রতিদিনই ঘটে চলছে। এমনও হচ্ছে যে দিনে ৩-৪ জন বাচ্চার হারানো বিজ্ঞপ্তি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেখা যাচ্ছে। গত ১ সপ্তাহে সারাদেশ থেকে প্রায় ৩০-৪০ জন শিশু নিখোঁজ হয়েছে।

বিগত ৪-৫ মাসে কম হলেও দুই শতাধিক বাচ্চা নিখোঁজ হয়েছে। হারিয়ে যাওয়া এসব বাচ্চাদের কারো সন্ধান এখন পর্যন্ত পাওয়া যায়নি। এর মধ্যে মাদ্রাসার ছাত্রদের হারানোর বিষয়টি বেশি পরিলক্ষিত হচ্ছে। অনেক ক্ষেত্রে স্কুল অথবা কোচিং সেন্টারে ক্লাস করতে গিয়ে বাচ্চারা আর বাড়ি ফিরে আসেনি। কেউবা আবার বাড়ির বাহিরে খেলতে গিয়ে আর ফিরে আসেনি।

তবে বেশ কিছু দিন যাবৎ বাচ্চাদের পাশাপাশি উঠতি বয়সের মেয়েদের নিখোঁজ হওয়ার বিষয়টিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশিত হচ্ছে। এছাড়াও মোটা বেতনের প্রলোভন দেখিয়ে চট্টগ্রামের বিভিন্ন গার্মেন্টস কর্মীদের বিদেশে পাচার করা হচ্ছে। যাদের বেশিরভাগই অসচ্ছল পরিবারের সদস্য। পাচারকৃত এক নারী কৌশলে সেখান থেকে বেরিয়ে এসে পুলিশকে চাঞ্চল্যকর অনেক তথ্য দিয়েছেন।

তারা জানিয়েছেন, দীর্ঘদিন যাবৎ একটি সংঘবদ্ধ সক্রিয় পাচার চক্র মোটা অঙ্কের টাকার বিনিময়ে যশোর সীমান্ত দিয়ে নারীদের ভারত পাচার করে যাচ্ছে। এছাড়াও বিয়ের নাম করে খাগড়াছড়ি ও রাঙ্গামাটির পাহাড়ি তরুণীদের চীনে পাচার করে দেওয়া হচ্ছে। বহু বছর যাবৎ চীনে এক সন্তান নীতি কার্যকর থাকায় বিয়ের পাত্রী সংকট দেখা দিয়েছে, যার ফলস্বরূপ চেহারা ও খাদ্যাভ্যাসে মিল থাকায় বাংলাদেশের পাহাড়ি মেয়েদের ১৫ থেকে ২০ লাখ টাকার বিনিময়ে সেই দেশে বিক্রি করে দেওয়া হচ্ছে। এই সবাই ঘটনা সাম্প্রতিক সময়ে সামাজিক প্রেক্ষাপটে ভয়ভীতি ও আতঙ্কের সৃষ্টি করেছে।

মানবপাচার প্রতিরোধ ও দমন আইনে বলা হয়েছে, সংঘবদ্ধ মানব পাচার অপরাধের দন্ড মৃত্যুদন্ড বা যাবজ্জীবন কারাদ- বা ন্যূনতম ৭ বৎসরের সশ্রম কারাদ- এবং ন্যূনতম ৫ (পাঁচ) লক্ষ টাকা অর্থদ-ে দন্ডিত করা হইবে। এইসমস্ত বিষয়ে এখন পর্যন্ত প্রশাসনের তেমন কোনো নজরদারি দেখা যায়নি।

এ থেকে উত্তরণের জন্য প্রয়োজন গণসচেতনতা। পারিবারিক, সামাজিক এবং ব্যাক্তি সচেতনতাই পারে এটি প্রতিহত করতে। পাশাপাশি সরকার এবং প্রশাসনের যথাযথ উদ্যোগের মাধ্যমে দ্রুত এ বিষয়ে পদক্ষেপ নেয়া জরুরি।

জান্নাতুল ফেরদৌস তানজিনা

back to top