লক্ষ্মীপুরে রেলপথ নেই। একমাত্র সড়ক পথই এ জেলার ভরসা। পাশ্ববর্তী চাঁদপুর ও নোয়াখালীতে রেলগাড়ি আসে যায়; কিন্তু লক্ষ্মীপুরে রেল যোগাযোগ ব্যবস্থা আজও হয়নি। সড়ক পথ ছাড়া বিকল্প ব্যবস্থা না থাকায় এখানকার মানুষের দুর্ভোগ যুগ যুগ ধরে। আন্তরিক চেষ্টা ও যথাযথ উদ্যোগ নিলে চাঁদপুর কিংবা নোয়াখালী থেকে লক্ষ্মীপুরের রেল যোগাযোগ সম্প্রসারণ করা সম্ভম। যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন, পণ্য সামগ্রী ও যান চলাচল সহজতর করতে রেলের প্রয়োজন। এ জনপদে রেল চালু হলে ব্যবসা-বাণিজ্যে নতুন দিগন্ত উন্মোচিত।
১৯৮৪ সালে বৃহত্তর নোয়াখালী জেলাকে বিভাজন করে ফেনী ও লক্ষ্মীপুর আলাদা করা হয়। লক্ষ্মীপুর একটি উপকূলীয় জেলা। এ জেলার পূর্বদিকে নোয়াখালী, উত্তরে চাঁদপুর, পশ্চিমে ভোলা ও দক্ষিণে বঙ্গোপসাগর। লক্ষ্মীপুর আলাদা জেলা হওয়ার পর রেললাইন সস্প্রসারণ হবে এমনটাই স্বপ্ন ছিল সবার কিন্তু সেই স্বপ্ন, স্বপ্নই থেকে গেল।
জনবহুল এ জেলায় রেলপথ নেই। অথচ পাশ্ববর্তী নোয়াখালী ও চাঁদপুরের বাসিন্দারা রেল সুবিধা পাচ্ছেন বহু বছর ধরে। পাশের দুই জেলায় যাতায়াতে রেল সুবিধা থাকলেও লক্ষ্মীপুর বঞ্চিত হয়ে আসছে।
লক্ষ্মীপুর জেলার বাসিন্দাদের একমাত্র যাতায়াত মাধ্যম সড়ক পথ। যাত্রীবাহী বাস এখানে ভরসা। অন্য কোনো বিকল্প না থাকায় পণ্য পরিবহন হয় ট্রাকে। এতে পরিবহন ব্যায় বেড়ে গিয়ে দ্রব্যমূল্যের হয় ঊর্ধ্বগতি। লক্ষ্মীপুরে প্রায় ২০ লাখ মানুষের বসবাস। এখানে ৫টি উপজেলা, ৬টি থানা ও ৪টি পৌরসভা রয়েছে।
এটি কৃষি প্রধান জেলা, সয়াবিনের রাজধানী হিসাবে পরিচিত। দেশের মোট উৎপাদিত ৭৫ থেকে ৮০ ভাগ সয়াবিন লক্ষ্মীপুরের। যে কারণে লক্ষ্মীপুরের ব্যান্ডিং নাম দেওয়া হয়েছে সয়াল্যান্ড। সয়াবিন ছাড়াও ধান, নারিকেল, সুপারি, শসা ও টমেটোসহ নানান অর্থকারী ফসল জন্মে এ জেলায়। রয়েছে ইলিশের অভয়াশ্রম। সারা বছর এখানকার মেঘনায় ইলিশ ধরা পড়ে। ইলিশ উৎপাদনেও রয়েছে লক্ষ্মীপুরের খ্যাতি। আছে মহিষের দইয়ের ব্যাপক চাহিদা ও সুনাম। অথচ, বিপুল সম্ভাবনাময় এ জেলায় রেল যোগাযোগ নেই। রাজধানী ঢাকা, বন্দরনগরী চট্টগ্রামসহ দেশের অন্যান্য জেলার সঙ্গে একমাত্র যোগাযোগ সড়ক পথেই। এখানে রেললাইন স্থাপন হলে যাতায়াত ও পণ্য পরিবহনে সুফল আসবে।
লক্ষ্মীপুরের চরাঞ্চলের উৎপাদিত কৃষিপণ্য, মেঘনার ইলিশ, মহিষের দই খুব সহজে ও কম পরিবহন খরচে ঢাকা চট্টগ্রামসহ সারা দেশে পৌঁছে যাবে। এতে লাভবান হবে স্থানীয় কৃষক ও সারাদেশের ভোক্তারা। সুফল পাবে ব্যবসায়ীসহ সবাই। আসবে অর্থনৈতিক উন্নতি।
এ জনপদের যোগাযোগ মাধ্যম আরও সহজ করতে, চাঁদপুর থেকে রেলপথ সম্প্রসারণ করে লক্ষ্মীপুর সদর হয়ে নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ রেললাইনের সঙ্গে যুক্ত করা সম্ভব। এতে লক্ষ্মীপুরের সঙ্গে সারা দেশের রেল যোগাযোগ স্থাপন হবে। ঘটবে যোগাযোগ উন্নয়ন। যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নসহ পণ্য সামগ্রী ও যান চলাচল সহজতর করতে লক্ষ্মীপুরের সঙ্গে রেলপথ যুক্ত করা জরুরি।
সাজ্জাদুর রহমান
কমলনগর, লক্ষ্মীপুর।
বুধবার, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪
লক্ষ্মীপুরে রেলপথ নেই। একমাত্র সড়ক পথই এ জেলার ভরসা। পাশ্ববর্তী চাঁদপুর ও নোয়াখালীতে রেলগাড়ি আসে যায়; কিন্তু লক্ষ্মীপুরে রেল যোগাযোগ ব্যবস্থা আজও হয়নি। সড়ক পথ ছাড়া বিকল্প ব্যবস্থা না থাকায় এখানকার মানুষের দুর্ভোগ যুগ যুগ ধরে। আন্তরিক চেষ্টা ও যথাযথ উদ্যোগ নিলে চাঁদপুর কিংবা নোয়াখালী থেকে লক্ষ্মীপুরের রেল যোগাযোগ সম্প্রসারণ করা সম্ভম। যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন, পণ্য সামগ্রী ও যান চলাচল সহজতর করতে রেলের প্রয়োজন। এ জনপদে রেল চালু হলে ব্যবসা-বাণিজ্যে নতুন দিগন্ত উন্মোচিত।
১৯৮৪ সালে বৃহত্তর নোয়াখালী জেলাকে বিভাজন করে ফেনী ও লক্ষ্মীপুর আলাদা করা হয়। লক্ষ্মীপুর একটি উপকূলীয় জেলা। এ জেলার পূর্বদিকে নোয়াখালী, উত্তরে চাঁদপুর, পশ্চিমে ভোলা ও দক্ষিণে বঙ্গোপসাগর। লক্ষ্মীপুর আলাদা জেলা হওয়ার পর রেললাইন সস্প্রসারণ হবে এমনটাই স্বপ্ন ছিল সবার কিন্তু সেই স্বপ্ন, স্বপ্নই থেকে গেল।
জনবহুল এ জেলায় রেলপথ নেই। অথচ পাশ্ববর্তী নোয়াখালী ও চাঁদপুরের বাসিন্দারা রেল সুবিধা পাচ্ছেন বহু বছর ধরে। পাশের দুই জেলায় যাতায়াতে রেল সুবিধা থাকলেও লক্ষ্মীপুর বঞ্চিত হয়ে আসছে।
লক্ষ্মীপুর জেলার বাসিন্দাদের একমাত্র যাতায়াত মাধ্যম সড়ক পথ। যাত্রীবাহী বাস এখানে ভরসা। অন্য কোনো বিকল্প না থাকায় পণ্য পরিবহন হয় ট্রাকে। এতে পরিবহন ব্যায় বেড়ে গিয়ে দ্রব্যমূল্যের হয় ঊর্ধ্বগতি। লক্ষ্মীপুরে প্রায় ২০ লাখ মানুষের বসবাস। এখানে ৫টি উপজেলা, ৬টি থানা ও ৪টি পৌরসভা রয়েছে।
এটি কৃষি প্রধান জেলা, সয়াবিনের রাজধানী হিসাবে পরিচিত। দেশের মোট উৎপাদিত ৭৫ থেকে ৮০ ভাগ সয়াবিন লক্ষ্মীপুরের। যে কারণে লক্ষ্মীপুরের ব্যান্ডিং নাম দেওয়া হয়েছে সয়াল্যান্ড। সয়াবিন ছাড়াও ধান, নারিকেল, সুপারি, শসা ও টমেটোসহ নানান অর্থকারী ফসল জন্মে এ জেলায়। রয়েছে ইলিশের অভয়াশ্রম। সারা বছর এখানকার মেঘনায় ইলিশ ধরা পড়ে। ইলিশ উৎপাদনেও রয়েছে লক্ষ্মীপুরের খ্যাতি। আছে মহিষের দইয়ের ব্যাপক চাহিদা ও সুনাম। অথচ, বিপুল সম্ভাবনাময় এ জেলায় রেল যোগাযোগ নেই। রাজধানী ঢাকা, বন্দরনগরী চট্টগ্রামসহ দেশের অন্যান্য জেলার সঙ্গে একমাত্র যোগাযোগ সড়ক পথেই। এখানে রেললাইন স্থাপন হলে যাতায়াত ও পণ্য পরিবহনে সুফল আসবে।
লক্ষ্মীপুরের চরাঞ্চলের উৎপাদিত কৃষিপণ্য, মেঘনার ইলিশ, মহিষের দই খুব সহজে ও কম পরিবহন খরচে ঢাকা চট্টগ্রামসহ সারা দেশে পৌঁছে যাবে। এতে লাভবান হবে স্থানীয় কৃষক ও সারাদেশের ভোক্তারা। সুফল পাবে ব্যবসায়ীসহ সবাই। আসবে অর্থনৈতিক উন্নতি।
এ জনপদের যোগাযোগ মাধ্যম আরও সহজ করতে, চাঁদপুর থেকে রেলপথ সম্প্রসারণ করে লক্ষ্মীপুর সদর হয়ে নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ রেললাইনের সঙ্গে যুক্ত করা সম্ভব। এতে লক্ষ্মীপুরের সঙ্গে সারা দেশের রেল যোগাযোগ স্থাপন হবে। ঘটবে যোগাযোগ উন্নয়ন। যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নসহ পণ্য সামগ্রী ও যান চলাচল সহজতর করতে লক্ষ্মীপুরের সঙ্গে রেলপথ যুক্ত করা জরুরি।
সাজ্জাদুর রহমান
কমলনগর, লক্ষ্মীপুর।