alt

পাঠকের চিঠি

সিলেটকে বন্যামুক্ত রাখতে প্রকল্প বাস্তবায়ন করুন

: বুধবার, ১৬ অক্টোবর ২০২৪

সিলেট বিভাগীয় নগরীসহ সিলেট জেলার ১৩৪ উপজেলাকে স্থায়ীভাবে বন্যামুক্ত রাখতে সিলেটের প্রধান নদী সুরমা ও কুশিয়ারা খনন,নদীভাঙ্গন রোধ,কৃষি জমির চাষ বৃদ্ধি, মৎস্য সম্পদ বৃদ্ধি সর্বোপরি এলাকার মানুষের জীবন মান উন্নয়ন ও কর্মসংস্থান সৃষ্টির লক্ষ্যে একটি প্রকল্প গ্রহণ করেছে পানি উন্নয়ন বোর্ড। সিলেট জেলার সুরমা-কুশিয়ারা নদীর অববাহিকায় সমন্বিত পানি সম্পদ ব্যবস্থাপনা ও উন্নয়ন নামের এ প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করতে সম্ভাব্য ব্যয় সাড়ে ৬ হাজার কোটি টাকা। ২০২২ সালে আসাম ও মেঘালয়ে ঢল নেমে সিলেটে স্মরণ কালের ভয়াবহ বন্যা দেখা দেয়। এতে সিলেট অঞ্চলের অন্তত ৫০ লাখ মানুষকে বিপন্ন করে তুলে ফসল বাড়িঘর অবকাঠামোর ব্যাপক ক্ষতি হয়। এই অঞ্চলবাসী মূলত কৃষির ওপর নির্ভরশীল। প্রকল্পটি প্রণয়নে বিশেষ করে কৃষি মৎস্য সম্পদসহ বিভিন্ন বিষয়াদির ওপর গুরুত্ব দেয়া হয়েছে, এর জন্য স্থানীয়দের মতামত নেয়া হয়েছে। মেঘালয়ের পাদদেশে সিলেটে বর্ষা এলেই বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলে ভয়াবহ বন্যা দেখা দেয়।

এতে বিপুল পরিমাণ সম্পদের ক্ষয়ক্ষতি হয়। এই ক্ষতিরোধেই প্রকল্পটি হাতে নেওয়া হয়েছে।প্রস্তাবিত প্রকল্পে রয়েছে সুরমা-কুষিয়ারা নদীর ৮০ কিলোমিটার চরখনন,ছয়টি শাখা,উপনদী ও খাল খনন সহ ১৪০ কিলোমিটার ১৩০টি স্থানে ৫২ হাজার ১৯৬ মিটার,৩১৬ কিলমিটার বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ নির্মাণ, সিলেট শহরে নূতন রেগুলেটর নির্মাণ,ফ্লাড ওয়াল নির্মাণ,পাম্প স্টেশন নির্মাণ ইত্যাদি ।প্রকল্পটি বাস্তবায়নের মেয়াদ ধরা হয়েছে তিন বছর।প্রস্তাবিত প্রকল্প বাস্তবায়ন হলে বিশেষ করে সুরমা কুশিয়ারা নদী এবং শাখা, উপ নদী সমূহ খনন করা হলে প্রকল্প এলাকার পানি দ্রুত ভাটির দিকে নেমে যাবে।কানাইঘাট পর্যন্ত সুরমা-বাউলাই নৌপথ ও ভৈরব-বিয়ানিবাজার নৌপথ ব্যবহার উপযোগী হবে।এতে সিলেট শহরে পানি ঢুকতে পারবে না। এজন্য ফ্লাডওয়াল ও নির্মাণ করা হবে।শহরের ভিতরে যে পানি জমবে তা পাম্পের মাধ্যমে নদীতে ফেলে দেওয়া হবে। নদীগুলো খননের পর বর্ষা মৌসুমে দ্রুত পানি নিষ্কাশন হবে। কৃষকেরা আগের তুলনায় এক সাপ্তাহ আগেই ধান তুলতে পারবেন।

আব্বাসউদ্দিন আহমদ

ধোপাদিঘীর দক্ষিণ পাড়, সিলেট।

মানুষ ফুল হয়ে ফুটবে!

বন্যার্তদের পাশে দাঁড়ান

উত্তর-মধ্যাঞ্চলে বন্যায় ত্রাণ সহয়তা প্রসঙ্গে

ছবি

পলিথিন : পরিবেশের জন্য অশনি সংকেত

তাপপ্রবাহ : পরিবেশের বিরূপ প্রতিক্রিয়া

ছবি

সবজির অস্বাভাবিক দাম

পেকুয়ায় চাঁদাবাজি বন্ধ হোক

ছবি

শিক্ষার্থীর মানসিক স্বাস্থ্য

উত্তরাঞ্চলে বন্যা

রাস্তায় নির্মাণ সামগ্রী কেন?

ছবি

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে সেশনজট

ছবি

শব্দদূষণ রোধে কঠোর পদক্ষেপ নিতে হবে

নতুন ব্রিজ চাই

স্পিডব্রেকার ও ট্রাফিক পুলিশ চাই

ছবি

ক্যাম্পাসে ছাত্ররাজনীতির ভবিষ্যৎ

অননুমোদিত মিনারেল ওয়াটার

নারী উদ্যোক্তাদের পাশে দাঁড়ান

চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা

দেশে সুশাসন প্রতিষ্ঠা করা জরুরি

প্রক্রিয়াজাত খাবারে শিশুর বিপদ

ছবি

ডেঙ্গু প্রতিরোধে সচেষ্ট হোন

ছবি

কৃষি এগিয়ে নিতে বাস্তবমুখী পদক্ষেপ নিতে হবে

ছবি

ব্রডব্যান্ড নেটওয়ার্ক সমস্যার সমাধান চাই

ছবি

মধ্যপ্রাচ্য সংকট

লক্ষ্মীপুরে রেলপথ চাই

ছবি

তৈলারদ্বীপ সেতুর টোল প্রসঙ্গে

সরকারি চাকরির বয়স প্রসঙ্গে

পরোক্ষ ধূমপান

ছবি

বিশ্ববিদ্যালয় : জ্ঞানের সূতিকাগার নাকি হত্যাপুরী

বেকারত্বের বেড়াজালে শিক্ষিত তরুণ সমাজ

ছবি

শরতে কাশফুলের সৌন্দর্যে প্রকৃতির নতুন রূপ

ছবি

ব্যাংক লেনদেন ও অফিস সময় প্রসঙ্গে

ডেঙ্গুর আবাসস্থল ধ্বংস করা হোক

ছবি

কেমন আছে জাতীয় ফুল শাপলা

ছবি

ই-টিকিট বাধ্যতামূলক করুন

ক্যাম্পাসে নারী শিক্ষার্থীদের জন্য সুপরিকল্পিত টয়লেট চাই

tab

পাঠকের চিঠি

সিলেটকে বন্যামুক্ত রাখতে প্রকল্প বাস্তবায়ন করুন

বুধবার, ১৬ অক্টোবর ২০২৪

সিলেট বিভাগীয় নগরীসহ সিলেট জেলার ১৩৪ উপজেলাকে স্থায়ীভাবে বন্যামুক্ত রাখতে সিলেটের প্রধান নদী সুরমা ও কুশিয়ারা খনন,নদীভাঙ্গন রোধ,কৃষি জমির চাষ বৃদ্ধি, মৎস্য সম্পদ বৃদ্ধি সর্বোপরি এলাকার মানুষের জীবন মান উন্নয়ন ও কর্মসংস্থান সৃষ্টির লক্ষ্যে একটি প্রকল্প গ্রহণ করেছে পানি উন্নয়ন বোর্ড। সিলেট জেলার সুরমা-কুশিয়ারা নদীর অববাহিকায় সমন্বিত পানি সম্পদ ব্যবস্থাপনা ও উন্নয়ন নামের এ প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করতে সম্ভাব্য ব্যয় সাড়ে ৬ হাজার কোটি টাকা। ২০২২ সালে আসাম ও মেঘালয়ে ঢল নেমে সিলেটে স্মরণ কালের ভয়াবহ বন্যা দেখা দেয়। এতে সিলেট অঞ্চলের অন্তত ৫০ লাখ মানুষকে বিপন্ন করে তুলে ফসল বাড়িঘর অবকাঠামোর ব্যাপক ক্ষতি হয়। এই অঞ্চলবাসী মূলত কৃষির ওপর নির্ভরশীল। প্রকল্পটি প্রণয়নে বিশেষ করে কৃষি মৎস্য সম্পদসহ বিভিন্ন বিষয়াদির ওপর গুরুত্ব দেয়া হয়েছে, এর জন্য স্থানীয়দের মতামত নেয়া হয়েছে। মেঘালয়ের পাদদেশে সিলেটে বর্ষা এলেই বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলে ভয়াবহ বন্যা দেখা দেয়।

এতে বিপুল পরিমাণ সম্পদের ক্ষয়ক্ষতি হয়। এই ক্ষতিরোধেই প্রকল্পটি হাতে নেওয়া হয়েছে।প্রস্তাবিত প্রকল্পে রয়েছে সুরমা-কুষিয়ারা নদীর ৮০ কিলোমিটার চরখনন,ছয়টি শাখা,উপনদী ও খাল খনন সহ ১৪০ কিলোমিটার ১৩০টি স্থানে ৫২ হাজার ১৯৬ মিটার,৩১৬ কিলমিটার বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ নির্মাণ, সিলেট শহরে নূতন রেগুলেটর নির্মাণ,ফ্লাড ওয়াল নির্মাণ,পাম্প স্টেশন নির্মাণ ইত্যাদি ।প্রকল্পটি বাস্তবায়নের মেয়াদ ধরা হয়েছে তিন বছর।প্রস্তাবিত প্রকল্প বাস্তবায়ন হলে বিশেষ করে সুরমা কুশিয়ারা নদী এবং শাখা, উপ নদী সমূহ খনন করা হলে প্রকল্প এলাকার পানি দ্রুত ভাটির দিকে নেমে যাবে।কানাইঘাট পর্যন্ত সুরমা-বাউলাই নৌপথ ও ভৈরব-বিয়ানিবাজার নৌপথ ব্যবহার উপযোগী হবে।এতে সিলেট শহরে পানি ঢুকতে পারবে না। এজন্য ফ্লাডওয়াল ও নির্মাণ করা হবে।শহরের ভিতরে যে পানি জমবে তা পাম্পের মাধ্যমে নদীতে ফেলে দেওয়া হবে। নদীগুলো খননের পর বর্ষা মৌসুমে দ্রুত পানি নিষ্কাশন হবে। কৃষকেরা আগের তুলনায় এক সাপ্তাহ আগেই ধান তুলতে পারবেন।

আব্বাসউদ্দিন আহমদ

ধোপাদিঘীর দক্ষিণ পাড়, সিলেট।

back to top