হাসপাতালে ‘ফার্মাসিস্ট’ উন্নত বিশ্বে স্বাস্থ্যসেবায় এক পরিচিত শব্দ। দুঃখজনক ব্যাপার হচ্ছে প্রতি ২০ শয্যার বিপরীতে ১ জন গ্র্যাজুয়েট ফার্মাসিস্ট থাকার কথা থাকলেও, বাংলাদেশে হাসপাতালগুলোতে গ্র্যাজুয়েট ফার্মাসিস্টদের কোন পদই নেই। হাসপাতালে ভর্তি থাকা রোগীদের প্রেসক্রিপশন যাচাই-বাছাই করে বুঝিয়ে দেয়া, ঔষধের ব্যবহারবিধি ও সংরক্ষণ নিয়ে সঠিক পরামর্শ দিয়ে থাকেন একজন গ্র্যাজুয়েট ফার্মাসিস্ট, সেখানে ডাক্তার কিংবা নন-ফার্মাসিস্টদের দ্বারা এই প্র্যাক্টিস চলে আসছে।
ফলে হাসপাতালে সেবাদানের সুযোগ না থাকায় দেশের গ্র্যাজুয়েট ফার্মাসিস্টদের একটা অংশ ফার্মাসিস্ট/গবেষক হিসেবে বিদেশে ক্যারিয়ার গড়ে তুলছে। বড় একটা অংশ ফার্মা কোম্পানিতে কাজ করছেন এবং অনেকে ঝুকছে সরকারি চাকুরির দিকে। যার দরুন ফার্মাসিস্টরা হসপিটালে ভূমিকা রাখতে না পারায় সঠিক এবং গুনগত চিকিৎসাসেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে রোগীরা। ২০১৮ সালে স্বাস্থ্য অধিদফতর হাসপাতালে গ্রাজুয়েট ফার্মাসিস্ট নিয়োগ নিয়ে গ্যাজেট প্রকাশ করলেও নানা প্রতিবন্ধকতার কারনে তা বাস্তবায়ন হয়নি। স্বৈরাচার হাসিনার পতনের মধ্য দিয়েই শুরু হয়ে গেছে দেশ সংস্কারের কাজ। তারই অংশ হিসেবে স্বাস্থ্য খাতের সংস্কারে গঠিত হয় একটি বিশেষজ্ঞ প্যানেল সেখানেও নেই ফার্মাসিস্টদের কোন প্রতিনিধি। শুধুই ফার্মেসি বিভাগের শিক্ষার্থী হিসেবে নয়, একজন সচেতন নাগরিক হিসেবে চাই, হাসপাতালে ‘ফার্মাসিস্ট’ পদ সৃষ্টি করে ফিরে আসুক স্বাস্থ্য খাতে প্রাণ।
মো. সিফাত
শিক্ষার্থী, ফার্মেসি বিভাগ
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
বুধবার, ৩০ অক্টোবর ২০২৪
হাসপাতালে ‘ফার্মাসিস্ট’ উন্নত বিশ্বে স্বাস্থ্যসেবায় এক পরিচিত শব্দ। দুঃখজনক ব্যাপার হচ্ছে প্রতি ২০ শয্যার বিপরীতে ১ জন গ্র্যাজুয়েট ফার্মাসিস্ট থাকার কথা থাকলেও, বাংলাদেশে হাসপাতালগুলোতে গ্র্যাজুয়েট ফার্মাসিস্টদের কোন পদই নেই। হাসপাতালে ভর্তি থাকা রোগীদের প্রেসক্রিপশন যাচাই-বাছাই করে বুঝিয়ে দেয়া, ঔষধের ব্যবহারবিধি ও সংরক্ষণ নিয়ে সঠিক পরামর্শ দিয়ে থাকেন একজন গ্র্যাজুয়েট ফার্মাসিস্ট, সেখানে ডাক্তার কিংবা নন-ফার্মাসিস্টদের দ্বারা এই প্র্যাক্টিস চলে আসছে।
ফলে হাসপাতালে সেবাদানের সুযোগ না থাকায় দেশের গ্র্যাজুয়েট ফার্মাসিস্টদের একটা অংশ ফার্মাসিস্ট/গবেষক হিসেবে বিদেশে ক্যারিয়ার গড়ে তুলছে। বড় একটা অংশ ফার্মা কোম্পানিতে কাজ করছেন এবং অনেকে ঝুকছে সরকারি চাকুরির দিকে। যার দরুন ফার্মাসিস্টরা হসপিটালে ভূমিকা রাখতে না পারায় সঠিক এবং গুনগত চিকিৎসাসেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে রোগীরা। ২০১৮ সালে স্বাস্থ্য অধিদফতর হাসপাতালে গ্রাজুয়েট ফার্মাসিস্ট নিয়োগ নিয়ে গ্যাজেট প্রকাশ করলেও নানা প্রতিবন্ধকতার কারনে তা বাস্তবায়ন হয়নি। স্বৈরাচার হাসিনার পতনের মধ্য দিয়েই শুরু হয়ে গেছে দেশ সংস্কারের কাজ। তারই অংশ হিসেবে স্বাস্থ্য খাতের সংস্কারে গঠিত হয় একটি বিশেষজ্ঞ প্যানেল সেখানেও নেই ফার্মাসিস্টদের কোন প্রতিনিধি। শুধুই ফার্মেসি বিভাগের শিক্ষার্থী হিসেবে নয়, একজন সচেতন নাগরিক হিসেবে চাই, হাসপাতালে ‘ফার্মাসিস্ট’ পদ সৃষ্টি করে ফিরে আসুক স্বাস্থ্য খাতে প্রাণ।
মো. সিফাত
শিক্ষার্থী, ফার্মেসি বিভাগ
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়