alt

অতিথি পাখিদের সুরক্ষা

: বুধবার, ০৬ নভেম্বর ২০২৪

অতিথি পাখির আগমন প্রকৃতির সৌন্দর্য হাজার গুণ বৃদ্ধি করে দেয়। শীতকালে অতিথি পাখির আগমন প্রকৃতিকে পরিপূর্ণতা দান করে। প্রকৃতি ছেয়ে যায় অনাবিল এক সৌন্দর্যের চাদরে। তবে অতিথি পাখির আগমনের সঙ্গে সঙ্গেই আমাদের দেশের একটা শ্রেণির মানুষের লোলুপ দৃষ্টি পড়ে অপরূপ সুন্দর পাখিদের দিকে। প্রতি বছর শীতকাল এলেই দেশের কিছুসংখ্যক অসাধু লোভী মানুষ অতিথি পাখি শিকার করে বিক্রি করার এক অসুস্থ প্রতিযোগিতায় মেতে উঠে। দূর দেশ থেকে বেঁচে থাকার তাগিদে ছুটে আসা এসব পাখিকে পরিণত করে মানুষের খাদ্যবস্তুতে। শীতের তীব্রতা থেকে জীবনকে রক্ষা করতে এসে সুন্দর এসব পাখিকে জীবন দিতে হয় গরম বুলেটে ঝাঁঝরা হয়ে, ফাঁদে পড়ে কিংবা জালে আটকা পড়ে।

প্রতি বছর শীতকাল আসলেই আমাদের দেশে পাখি শিকারের ধুম লেগে যায়। পাখির রমরমা বাজার বসে দেশের বিভিন্ন স্থানে। কোনো কোনো জায়গায় আবার এসব পাখি দিয়ে মহাভোজের আয়োজন করতে দেখা যায়। আমাদের দেশের কিছু অসচেতন নাগরিক এসব পাখি কিনে পাখি শিকারিদের আরও বেশি উৎসাহিত করে। ফলে শীতের পুরোটা সময়জুড়ে খাল, বিলসহ বিভিন্ন জায়গায় বন্দুক নিয়ে ঘুরে বেড়ায়, ফাঁদ পাতে পাখি ধারার জন্য। ফলে দিন দিন অতিথি পাখির অস্তিত্ব হুমকির মুখে পড়ছে। দিন দিন অতিথি পাখির সংখ্যা কমে যাচ্ছে।

অতিথি পাখিদের রক্ষা করা এবং তাদের নিরাপদভাবে বিচরণের ব্যবস্থা করা আমাদের দায়িত্ব। তাই শীতের শুরু থেকেই আমাদের অতিথি পাখি সংরক্ষণের প্রতি দায়িত্ববান হতে হবে। প্রশাসনকে সচেতন হয়ে অতিথি পাখি শিকার রোধ করার সব কার্যকরী পদক্ষেপ নিতে হবে। পাখিদের জন্য অভয়ারণ্যের ব্যবস্থা করে তাদের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে হবে। পাখি শিকারিদের চিহ্নিত করে যথাযথ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। পাশাপাশি আমাদের নিজেদের জায়গা থেকে সচেতনতা গড়ে তোলা খুবই প্রয়োজন। অতিথি পাখি কেনাবেচা থেকে বিরত থাকতে হবে এবং কেউ যেন শিকার করতে না পারেÑ সে দিকে সজাগ দৃষ্টি রাখতে হবে। আমাদের সবার সম্মিলিত চেষ্টাই পারে দূরদেশ থেকে অতিথি হিসেবে আশ্রায় নিতে আসা এসব পাখিদের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে।

শাওন মিরাজ

শিক্ষার্থী : উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগ, ঢাকা কলেজ, ঢাকা।

ছবি

গার্মেন্টস শ্রমিকের মানবিক অধিকার নিশ্চিতকরণ জরুরি

নিউমার্কেটে সড়ক-ফুটপাত দখলমুক্ত করা জরুরি

সুন্দরবন রক্ষায় দ্রুত পদক্ষেপ প্রয়োজন

আগুনের শিখায় ভস্মীভূত স্বপ্ন

কোথায় যাচ্ছে আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থা?

ছবি

ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে সিএনজি-ট্যাক্সি চলাচল নিষিদ্ধের আহ্বান

ছবি

ভবদহে জলাবদ্ধতা নিরসনে জরুরি টিআরএম প্রকল্প বাস্তবায়ন প্রয়োজন

গণপরিবহনে নারীর নিরাপত্তা নিশ্চিত হোক

পোস্তগোলা থানা গঠনের দাবি

বিশ্ববিদ্যালয়ে অ্যামেরিকান স্টাডিজ কোর্স চালুর প্রয়োজনীয়তা

ছবি

প্রাথমিক শিক্ষায় শিক্ষক সংকট

শিক্ষকদের বেতন-ভাতার বৈষম্য দূর করতে হবে

বাংলাদেশ টেলিভিশন চট্টগ্রাম কেন্দ্রের সংবাদ প্রসঙ্গে

মাটি কেটে নষ্ট হচ্ছে ফসলি জমি

পিঠা উৎসব : ঐতিহ্যের পুনরুত্থান ও জনপ্রিয়তা

পরিবেশ সুরক্ষায় সবুজ অর্থনীতি

পানির অপচয় রোধে সচেতনতা

নিরাপত্তায় মনোযোগ বাড়ানো জরুরি

ছবি

প্লাস্টিক দূষণ : সমাধানের পথ কী?

ছাত্রত্বহীন আদুভাইদের রাজনীতি বন্ধ হোক

অগ্নিকা- থেকে মুক্তির উপায় কী?

ছবি

নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে কাঁকড়া শিকার

ছবি

টিসিবির ট্রাকে চাল নেই কেন?

মেট্রোরেলে মশা

ছবি

গণপরিবহনে নারী আসনের অপ্রতুলতা

ছবি

অভিযান যেন একতরফা না হয়

পরিবহন ভাড়া কমান

ইন্টারনেট প্রযুক্তির গুরুত্ব

ছবি

বই নির্বাচন, বন্ধু নির্বাচনের মতো গুরুত্বপূর্ণ

অব্যবস্থাপনার দিকে মেট্রোরেল

সাহিত্যের সঙ্গে সাংবাদিকতার সম্পর্ক : বিশ্লেষণ

কুষ্টিয়া-ঝিনাইদহ মহাসড়কের সংস্কার চাই

খাল খনন করুন

ছিনতাইকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

মুন্সীগঞ্জের মিরকাদিম পৌরসভার খাল ভরাটের কারণে বেহাল দশা

ছবি

রেলক্রসিং যেন মরণ ফাঁদ

tab

অতিথি পাখিদের সুরক্ষা

বুধবার, ০৬ নভেম্বর ২০২৪

অতিথি পাখির আগমন প্রকৃতির সৌন্দর্য হাজার গুণ বৃদ্ধি করে দেয়। শীতকালে অতিথি পাখির আগমন প্রকৃতিকে পরিপূর্ণতা দান করে। প্রকৃতি ছেয়ে যায় অনাবিল এক সৌন্দর্যের চাদরে। তবে অতিথি পাখির আগমনের সঙ্গে সঙ্গেই আমাদের দেশের একটা শ্রেণির মানুষের লোলুপ দৃষ্টি পড়ে অপরূপ সুন্দর পাখিদের দিকে। প্রতি বছর শীতকাল এলেই দেশের কিছুসংখ্যক অসাধু লোভী মানুষ অতিথি পাখি শিকার করে বিক্রি করার এক অসুস্থ প্রতিযোগিতায় মেতে উঠে। দূর দেশ থেকে বেঁচে থাকার তাগিদে ছুটে আসা এসব পাখিকে পরিণত করে মানুষের খাদ্যবস্তুতে। শীতের তীব্রতা থেকে জীবনকে রক্ষা করতে এসে সুন্দর এসব পাখিকে জীবন দিতে হয় গরম বুলেটে ঝাঁঝরা হয়ে, ফাঁদে পড়ে কিংবা জালে আটকা পড়ে।

প্রতি বছর শীতকাল আসলেই আমাদের দেশে পাখি শিকারের ধুম লেগে যায়। পাখির রমরমা বাজার বসে দেশের বিভিন্ন স্থানে। কোনো কোনো জায়গায় আবার এসব পাখি দিয়ে মহাভোজের আয়োজন করতে দেখা যায়। আমাদের দেশের কিছু অসচেতন নাগরিক এসব পাখি কিনে পাখি শিকারিদের আরও বেশি উৎসাহিত করে। ফলে শীতের পুরোটা সময়জুড়ে খাল, বিলসহ বিভিন্ন জায়গায় বন্দুক নিয়ে ঘুরে বেড়ায়, ফাঁদ পাতে পাখি ধারার জন্য। ফলে দিন দিন অতিথি পাখির অস্তিত্ব হুমকির মুখে পড়ছে। দিন দিন অতিথি পাখির সংখ্যা কমে যাচ্ছে।

অতিথি পাখিদের রক্ষা করা এবং তাদের নিরাপদভাবে বিচরণের ব্যবস্থা করা আমাদের দায়িত্ব। তাই শীতের শুরু থেকেই আমাদের অতিথি পাখি সংরক্ষণের প্রতি দায়িত্ববান হতে হবে। প্রশাসনকে সচেতন হয়ে অতিথি পাখি শিকার রোধ করার সব কার্যকরী পদক্ষেপ নিতে হবে। পাখিদের জন্য অভয়ারণ্যের ব্যবস্থা করে তাদের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে হবে। পাখি শিকারিদের চিহ্নিত করে যথাযথ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। পাশাপাশি আমাদের নিজেদের জায়গা থেকে সচেতনতা গড়ে তোলা খুবই প্রয়োজন। অতিথি পাখি কেনাবেচা থেকে বিরত থাকতে হবে এবং কেউ যেন শিকার করতে না পারেÑ সে দিকে সজাগ দৃষ্টি রাখতে হবে। আমাদের সবার সম্মিলিত চেষ্টাই পারে দূরদেশ থেকে অতিথি হিসেবে আশ্রায় নিতে আসা এসব পাখিদের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে।

শাওন মিরাজ

শিক্ষার্থী : উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগ, ঢাকা কলেজ, ঢাকা।

back to top