অন্তর্র্বর্তী সরকার ক্ষমতায় আসার পর গত তিন মাসে সারাদেশে একশর উপর মাজার হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে। অথচ এখনো হামলাকারী ও ভাঙচুরকারীদের আইনের আওতায় আনা হয়নি, তাদেরকে দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তির ব্যবস্থা করা হয়নি। যার কারণে গত ৫ নভেম্বও রাজধানী ঢাকার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে হেফাজতে ইসলামের মহাসমাবেশে আগতরা দোয়েল চত্বরে অবস্থিত সাড়ে তিনশত বছরের পুরনো মুঘল আমলে সুফি সাধক হযরত হাজী খাজা শাহবাজ (রহ:) এর মাজারে হামলা চালিয়েছে বলে বিভিন্ন গণমাধ্যম সূত্রে জানতে পেরেছি।
তারা সেখানে মাজারের দেয়ালে ইট পাটকেল নিক্ষেপ, কবরের রেলিং তুলে ফেলা, ভাঙচুর ও মাজার ভত্তদের মারধর করেছে। পরবর্তীতে মাজার কর্তৃপক্ষ আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও সেনাবাহিনীকে খবর দিলে হামলাকারীরা মাজার ত্যাগ করতে বাধ্য হয়। এভাবে একটার পর একটা মাজারে হামলা দেশের বিবেকসম্পন্ন মানুষের হৃদয়কে করেছে রক্তক্ষরণ। ভূলে গেলে চলবে না আজ থেকে ৭০০-৮০০ বছর আগে সুফিসাধকেরা ইসলাম প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। তাদের প্রবর্তিত সুফিবাদের ওপর ভিত্তি করে সারাদেশে মাজার, খানকাহ গড়ে উঠেছে। তাই বর্তমান অন্তর্র্বর্তী সরকারের উচিত মাজারে হামলা ও ভাঙচুরকারীদের দ্রুত আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তিও ব্যবস্থা এবং ধ্বংসপ্রাপ্ত মাজারগুলো পুনর্নির্মাণ করে দেয়া।
ইয়ামিন খান
কলাবাগান, ঢাকা।