alt

ভবনের অভাবে পাঠদান ব্যাহত হচ্ছে

: বুধবার, ১৩ নভেম্বর ২০২৪

চট্টগ্রাম নগরীর হালিশহর হাউজিং এস্টেট বিডিআর মাঠ সংলগ্নে অবস্থিত রাবেয়া বসরী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়। বিদ্যালয়ে দুইটি ভবন রয়েছে। একটি তিনতলা ও অপরটি চার কক্ষ বিশিষ্ট দুই তলা। যেটা ছিল একাডেমিক ভবন। যেখানে চলতো শ্রেণি ও পাঠদান কার্যক্রম । দক্ষিণে রয়েছে মহেষ খাল। উত্তরে লেইন, পশ্চিমে আর্টিলারি সড়ক। একাডেমিক ভবনটি ১৯৯৮ সালের ২৪ অক্টোবর তৎকালীন শ্রম ও কর্মসংস্থানমন্ত্রী এম এ মান্নান সাহেব উদ্বোধন করেছিলেন। ২০২৩ সালে একাডেমিক ভবনের তৃতীয় তলায় টিনশেড দিয়ে করা হয়েছিল মিলনায়তন হল। ভবনের দক্ষিণে অবস্থিত খালের জলাবদ্ধতা নিরসন ও পানি নিষ্কাশনের জন্য খালের সংস্কার ও খনন কাজ চলছে। বিধায় একাডেমিক ভবনটি ভাঙ্গনের কবলে পড়ায় ভবনটি সম্পূর্ণ ভেঙ্গে ফেলা হয়েছে। তাছাড়া অপর তিনতলা ভবনের দুইটি করে মোট ছয়টি কক্ষ ভেঙে ফেলা হয়েছে।

সবমিলিয়ে দশটি কক্ষ ও একটি মিলনায়তন ভেঙ্গে ফেলায় জায়গা ও কক্ষের অভাবে শ্রেণি কার্যক্রম, পাঠদান ও শিক্ষা কার্যক্রম চালাতে সীমাহীন দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। তীব্র গরমে অসহনীয় যন্ত্রণা, চরম ভোগান্তি যা বর্ণনা করা দুস্কর। বিদ্যালয়টি ১৯৮৮ সালে প্রতিষ্ঠার পর অত্র বিদ্যালয় সরকারি এমপিও ও একাডেমিক ভবনটি ছাড়া আর কোন সুযোগ সুবিধা পাইনি। বিগত আওয়ামীলীগ সরকারের সাড়ে পনেরো বছরে বঞ্চনার কাতারেই ছিল অত্র বিদ্যালয়। অনেক তদবির চেষ্টা করেও পাইনি কোন ভবন, পাইনি কম্পিউটার সমৃদ্ধ জিডিটাল কোন ল্যাব। নারী শিক্ষায় বিদ্যালয়টি যেভাবে এগিয়ে থাকার কথা। বরং সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা ও সহযোগিতার অভাবে উল্টো রয়েছে বহু পিছিয়ে। অত্র এলাকায় এ বিদ্যালয়ের রয়েছে যথেষ্ট সুনাম ও খ্যাতি। নারী শিক্ষার মডেল হিসেবে বেশ পরিচিত। নীতি ও নৈতিকতার আদর্শিক অনুপম প্রতিষ্ঠান হিসেবে অনন্য। এ বিদ্যালয়কে অনন্য মডেল প্রতিষ্ঠানে রূপান্তর করতে সরকারি সহযোগিতার বিকল্প নেই।

চলতি বছরে সরকারি বরাদ্দে হোক কিংবা স্ব অর্থায়নে হোক ভবন নির্মাণ কাজ শুরু করতে ব্যর্থ হলে ২০২৫ শিক্ষাবর্ষে পাঠদান কার্যক্রম চরম ঝুঁকির মধ্যে পড়বে নিঃসন্দেহে। এতে শিক্ষার যথাযথ গুণগত মান রক্ষা করা কঠিন হয়ে পড়বে। যেহেতু অপর ভবনের কক্ষগুলো ছোট বিধায় শ্রেণী কার্যক্রম চালানোর উপযোগী না। গাদাগাদি করে ৩০ জনের বেশি বসা যায় না। প্রতি শ্রেণীতে ৭০/৮০ র বেশি ছাত্রী রয়েছে । ভবনের অভাবে শ্রেণি সেকশন করা যাচ্ছে না। পাঠদান কার্যক্রম সুচারুভাবে চালাতে ভবন নির্মাণের বিকল্প নেই। বিদ্যালয় পরিচালনা পরিষদ, সম্মানিত শিক্ষকমন্ডলী, ছাত্রী ও অভিভাবকদের প্রাণের দাবি বিদ্যালয়ের উন্নয়নে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ যেন আশু পদক্ষেপ গ্রহণ করেন।

শাহনাজ আক্তার রুবি

হালিশহর, চট্টগ্রাম।

প্রাণীর প্রতি সহমর্মিতা

র‌্যাগিং: শিক্ষাঙ্গনের ছায়ায় বেড়ে ওঠা এক অমানবিকতার সংস্কৃতি

বর্জ্য অব্যবস্থাপনায় হুমকির মুখে নগরের ভবিষ্যত

ঢাকায় তাল-নারকেল-সুপারির সবুজ সম্ভাবনা

শকুন বাঁচানো মানে ভবিষ্যৎ বাঁচানো

ছবি

এআই যুগে নিরাপত্তার সংকট : প্রযুক্তির অন্ধকার দিক

রাজধানীর নগর জীবন : ঝুঁকি, দূষণ ও মানুষের নিরাপত্তা

সরকারি স্বাস্থ্যসেবা : গ্রামীণ রোগীর পাশে আছে কি?

ছবি

দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি : সাধারণ মানুষের নৈরাশ্যের কারণ

জিপিএ-৫ এবং শিক্ষার প্রকৃত মান

প্রবাসী শ্রমিকদের মর্যাদা ফিরিয়ে আনা জরুরি

ছবি

এইচএসসি ফল : শিক্ষার বাস্তব চিত্র

ছবি

গার্মেন্টস শ্রমিকের মানবিক অধিকার নিশ্চিতকরণ জরুরি

নিউমার্কেটে সড়ক-ফুটপাত দখলমুক্ত করা জরুরি

সুন্দরবন রক্ষায় দ্রুত পদক্ষেপ প্রয়োজন

আগুনের শিখায় ভস্মীভূত স্বপ্ন

কোথায় যাচ্ছে আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থা?

ছবি

ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে সিএনজি-ট্যাক্সি চলাচল নিষিদ্ধের আহ্বান

ছবি

ভবদহে জলাবদ্ধতা নিরসনে জরুরি টিআরএম প্রকল্প বাস্তবায়ন প্রয়োজন

গণপরিবহনে নারীর নিরাপত্তা নিশ্চিত হোক

পোস্তগোলা থানা গঠনের দাবি

বিশ্ববিদ্যালয়ে অ্যামেরিকান স্টাডিজ কোর্স চালুর প্রয়োজনীয়তা

ছবি

প্রাথমিক শিক্ষায় শিক্ষক সংকট

শিক্ষকদের বেতন-ভাতার বৈষম্য দূর করতে হবে

বাংলাদেশ টেলিভিশন চট্টগ্রাম কেন্দ্রের সংবাদ প্রসঙ্গে

মাটি কেটে নষ্ট হচ্ছে ফসলি জমি

পিঠা উৎসব : ঐতিহ্যের পুনরুত্থান ও জনপ্রিয়তা

পরিবেশ সুরক্ষায় সবুজ অর্থনীতি

পানির অপচয় রোধে সচেতনতা

নিরাপত্তায় মনোযোগ বাড়ানো জরুরি

ছবি

প্লাস্টিক দূষণ : সমাধানের পথ কী?

ছাত্রত্বহীন আদুভাইদের রাজনীতি বন্ধ হোক

অগ্নিকা- থেকে মুক্তির উপায় কী?

ছবি

নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে কাঁকড়া শিকার

ছবি

টিসিবির ট্রাকে চাল নেই কেন?

মেট্রোরেলে মশা

tab

ভবনের অভাবে পাঠদান ব্যাহত হচ্ছে

বুধবার, ১৩ নভেম্বর ২০২৪

চট্টগ্রাম নগরীর হালিশহর হাউজিং এস্টেট বিডিআর মাঠ সংলগ্নে অবস্থিত রাবেয়া বসরী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়। বিদ্যালয়ে দুইটি ভবন রয়েছে। একটি তিনতলা ও অপরটি চার কক্ষ বিশিষ্ট দুই তলা। যেটা ছিল একাডেমিক ভবন। যেখানে চলতো শ্রেণি ও পাঠদান কার্যক্রম । দক্ষিণে রয়েছে মহেষ খাল। উত্তরে লেইন, পশ্চিমে আর্টিলারি সড়ক। একাডেমিক ভবনটি ১৯৯৮ সালের ২৪ অক্টোবর তৎকালীন শ্রম ও কর্মসংস্থানমন্ত্রী এম এ মান্নান সাহেব উদ্বোধন করেছিলেন। ২০২৩ সালে একাডেমিক ভবনের তৃতীয় তলায় টিনশেড দিয়ে করা হয়েছিল মিলনায়তন হল। ভবনের দক্ষিণে অবস্থিত খালের জলাবদ্ধতা নিরসন ও পানি নিষ্কাশনের জন্য খালের সংস্কার ও খনন কাজ চলছে। বিধায় একাডেমিক ভবনটি ভাঙ্গনের কবলে পড়ায় ভবনটি সম্পূর্ণ ভেঙ্গে ফেলা হয়েছে। তাছাড়া অপর তিনতলা ভবনের দুইটি করে মোট ছয়টি কক্ষ ভেঙে ফেলা হয়েছে।

সবমিলিয়ে দশটি কক্ষ ও একটি মিলনায়তন ভেঙ্গে ফেলায় জায়গা ও কক্ষের অভাবে শ্রেণি কার্যক্রম, পাঠদান ও শিক্ষা কার্যক্রম চালাতে সীমাহীন দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। তীব্র গরমে অসহনীয় যন্ত্রণা, চরম ভোগান্তি যা বর্ণনা করা দুস্কর। বিদ্যালয়টি ১৯৮৮ সালে প্রতিষ্ঠার পর অত্র বিদ্যালয় সরকারি এমপিও ও একাডেমিক ভবনটি ছাড়া আর কোন সুযোগ সুবিধা পাইনি। বিগত আওয়ামীলীগ সরকারের সাড়ে পনেরো বছরে বঞ্চনার কাতারেই ছিল অত্র বিদ্যালয়। অনেক তদবির চেষ্টা করেও পাইনি কোন ভবন, পাইনি কম্পিউটার সমৃদ্ধ জিডিটাল কোন ল্যাব। নারী শিক্ষায় বিদ্যালয়টি যেভাবে এগিয়ে থাকার কথা। বরং সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা ও সহযোগিতার অভাবে উল্টো রয়েছে বহু পিছিয়ে। অত্র এলাকায় এ বিদ্যালয়ের রয়েছে যথেষ্ট সুনাম ও খ্যাতি। নারী শিক্ষার মডেল হিসেবে বেশ পরিচিত। নীতি ও নৈতিকতার আদর্শিক অনুপম প্রতিষ্ঠান হিসেবে অনন্য। এ বিদ্যালয়কে অনন্য মডেল প্রতিষ্ঠানে রূপান্তর করতে সরকারি সহযোগিতার বিকল্প নেই।

চলতি বছরে সরকারি বরাদ্দে হোক কিংবা স্ব অর্থায়নে হোক ভবন নির্মাণ কাজ শুরু করতে ব্যর্থ হলে ২০২৫ শিক্ষাবর্ষে পাঠদান কার্যক্রম চরম ঝুঁকির মধ্যে পড়বে নিঃসন্দেহে। এতে শিক্ষার যথাযথ গুণগত মান রক্ষা করা কঠিন হয়ে পড়বে। যেহেতু অপর ভবনের কক্ষগুলো ছোট বিধায় শ্রেণী কার্যক্রম চালানোর উপযোগী না। গাদাগাদি করে ৩০ জনের বেশি বসা যায় না। প্রতি শ্রেণীতে ৭০/৮০ র বেশি ছাত্রী রয়েছে । ভবনের অভাবে শ্রেণি সেকশন করা যাচ্ছে না। পাঠদান কার্যক্রম সুচারুভাবে চালাতে ভবন নির্মাণের বিকল্প নেই। বিদ্যালয় পরিচালনা পরিষদ, সম্মানিত শিক্ষকমন্ডলী, ছাত্রী ও অভিভাবকদের প্রাণের দাবি বিদ্যালয়ের উন্নয়নে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ যেন আশু পদক্ষেপ গ্রহণ করেন।

শাহনাজ আক্তার রুবি

হালিশহর, চট্টগ্রাম।

back to top