alt

পাঠকের চিঠি

কপ-২৯ সম্মেলন ও বাংলাদেশ প্রসঙ্গ

: বুধবার, ২০ নভেম্বর ২০২৪

আসামির বিশ্বে জলবায়ু পরিবর্তনজনিত প্রভাব সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জিং বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। এটি কোনো একক রাষ্ট্রের বা বিশেষ কোনো অঞ্চলের সমস্যা নয়, বরং একটি বৈশ্বিক সমস্যা হিসেবে দৃৃশ্যমান হয়েছে।

ভৌগোলিক অবস্থানগত কারণে বাংলাদেশ বৈশ্বিক জলবায়ু পরিবর্তনজনিত তীব্র বিপর্যয়ের মুখে রয়েছে। সংবাদমাধ্যমের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৩ সালের জুন থেকে এ পর্যন্ত কার্বন নির্গমনের পরিমাণ শূন্য দশমিক ৮ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। এটি অব্যাহত আসামি ৫০ থেকে ৭৫ বছরের মধ্যে সুন্দরবন সমুদ্রে গর্ভে বিলীন হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। বেশ কয়েকবছর ধরে দেশের উত্তরাঞ্চলের নদীগুলোতে শুকনো মৌসুমে পানি শুকিয়ে যাওয়া, ভূগর্ভস্থ পানির স্তর নিচে নেমে যাওয়ার মতো ঘটনাগুলো অহরহ ঘটছে। তাই সম্মেলনে বাংলাদেশের নজর ছিল তার জলবায়ু পরিবর্তনজনিত উদ্বেগ ও ক্ষয়ক্ষতি উত্থাপনের বিষয়ে। ঝুঁকিপূর্ণ উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে বাংলাদেশ জলবায়ু পরিবর্তনজনিত প্রভাব মোকাবেলা ও পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে অভিযোজনের জন্য বরাদ্দকৃৃত আর্থিক সহায়তার পরিমাণ বৃদ্ধির বিষয়ে সোচ্চার ছিল।

কপ-২৯ সম্মেলন থেকে বাংলাদেশ যদি তার যথার্থ প্রাপ্যতার নিশ্চয়তা পায়, তবে জলবায়ু পরিবর্তনজনিত চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় বিদ্যমান কর্মসূচির পাশাপাশি আরও বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণে সক্ষম হবে। তন্মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো, বন্যা নিয়ন্ত্রণের জন্য বাঁধ নির্মাণ, খরা ও লবণাক্ততা সহিষ্ণু ফসলি জাত উদ্ভাবন, নদীতে নাব্যতা ফিরিয়ে আনা, বনভূমির পরিমাণ বৃদ্ধি করা, উপকূলীয় অঞ্চলে বনভূমির বিস্তার করা, উপকূলীয় এলাকার মানুষের জীবনমান উন্নায়নে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ এবং ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের পুনর্বাসনকরণ, কার্বন নিঃসরণ কমানো ও নবায়নযোগ্য জ্বালানির ব্যবহার বৃদ্ধি করাসহ ইত্যাদি।

আশা করা যায়, এতে বাংলাদেশ জলবায়ু পরিবর্তনজনিত চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় এগিয়ে থাকবে। তবে জলবায়ু পরিবর্তন সংকটটি বৈশ্বিক হওয়ায়, প্রতিটি দেশের সরকারকে আন্ত রিকতার সঙ্গে এগিয়ে আসতে হবে। বিশ্বনেতাদের শুধুমাত্র বছরে নিয়মকরে সম্মেলনে উপস্থিত হয়ে চুক্তি স্বাক্ষর করলেই হবে না, এর বাস্তবায়নও করতে হবে। তবেই এই সম্মেলন ফলপ্রসূ হবে এবং নির্মল হবে এই গ্রহের প্রতিটি প্রাণীর জীবন।

রমজান মিয়া

শিক্ষার্থী, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়

সমাজ পরিবর্তন করে চিন্তার পরিবর্তন, নাকি চিন্তাধারার পরিবর্তন করে সমাজ পরিবর্তন?

বিদ্যালয়ের সংস্কার প্রয়োজন

ছবি

অতিথি পাখি শিকার বন্ধ হোক

আন্দোলন, ন্যায্যতার দাবি ও জনদুর্ভোগ

কক্সবাজারগামী ট্রেনের লাকসাম জংশনে যাত্রাবিরতি চাই

ছবি

যত্রতত্র বাস থামানো বন্ধ করুন

ছবি

বৈদ্যুতিক খুঁটি যেন মাকড়সার জাল

ছবি

পরীক্ষাগুলো বিভাগীয় শহরে নেয়া হোক

খাল ও জলাশয়ের বদ্ধ পানি এডিস মশার উৎস

রাস্তা সংস্কার করুন

কৃষককে ন্যায্য মূল্য দিন

চবির ব্যাংকিং সিস্টেমের ডিজিটালাইজেশন জরুরি

ভবনের অভাবে পাঠদান ব্যাহত হচ্ছে

চরাঞ্চলের শিক্ষার সংস্কার চাই

ছবি

ট্রেনের ছাদে ভ্রমণ

ঠাকুরগাঁও বাস টার্মিনাল

ছবি

মাজারে হামলাকারীদের আইনের আওতায় আনুন

ছবি

গলার কাঁটা প্রিপেইড মিটার

আর যেন হল দখল না হয়

ছবি

পথচারীদের হাঁটার জায়গা দিন

ছবি

আবাসিক হলে দ্রুত গতির ইন্টারনেট জরুরি

ছবি

অতিথি পাখিদের সুরক্ষা

রাবিতে হলে সিট বণ্টন সমস্যা ও সমাধান

আগে সেশনজট বিদায় করুন

যবিপ্রবি মেডিকেল সেন্টারের সেবার মান

লাইব্রেরি চাই

ছবি

নারী খেলোয়াড়দের বঞ্চনার অবসান হোক

হাসপাতালে ‘ফার্মাসিস্ট’ নিয়োগের মধ্য দিয়েই শুরু হউক স্বাস্থ্য খাতের সংস্কার

শব্দ দূষণ বন্ধ করুন

ক্যাম্পাসে পর্যাপ্ত ডাস্টবিন দরকার

উদ্যোক্তা হওয়ার নতুন দৃষ্টিভঙ্গি

রাস্তা সংস্কার হোক

পিটিআই ইন্সট্রাক্টরদের বদলি নীতিমালা

ড্রেনেজ ব্যবস্থার সংস্কার চাই

ছবি

কাবাডি কেন পিছিয়ে?

ছবি

টাঙ্গুয়ার হাওর রক্ষা করুন

tab

পাঠকের চিঠি

কপ-২৯ সম্মেলন ও বাংলাদেশ প্রসঙ্গ

বুধবার, ২০ নভেম্বর ২০২৪

আসামির বিশ্বে জলবায়ু পরিবর্তনজনিত প্রভাব সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জিং বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। এটি কোনো একক রাষ্ট্রের বা বিশেষ কোনো অঞ্চলের সমস্যা নয়, বরং একটি বৈশ্বিক সমস্যা হিসেবে দৃৃশ্যমান হয়েছে।

ভৌগোলিক অবস্থানগত কারণে বাংলাদেশ বৈশ্বিক জলবায়ু পরিবর্তনজনিত তীব্র বিপর্যয়ের মুখে রয়েছে। সংবাদমাধ্যমের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৩ সালের জুন থেকে এ পর্যন্ত কার্বন নির্গমনের পরিমাণ শূন্য দশমিক ৮ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। এটি অব্যাহত আসামি ৫০ থেকে ৭৫ বছরের মধ্যে সুন্দরবন সমুদ্রে গর্ভে বিলীন হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। বেশ কয়েকবছর ধরে দেশের উত্তরাঞ্চলের নদীগুলোতে শুকনো মৌসুমে পানি শুকিয়ে যাওয়া, ভূগর্ভস্থ পানির স্তর নিচে নেমে যাওয়ার মতো ঘটনাগুলো অহরহ ঘটছে। তাই সম্মেলনে বাংলাদেশের নজর ছিল তার জলবায়ু পরিবর্তনজনিত উদ্বেগ ও ক্ষয়ক্ষতি উত্থাপনের বিষয়ে। ঝুঁকিপূর্ণ উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে বাংলাদেশ জলবায়ু পরিবর্তনজনিত প্রভাব মোকাবেলা ও পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে অভিযোজনের জন্য বরাদ্দকৃৃত আর্থিক সহায়তার পরিমাণ বৃদ্ধির বিষয়ে সোচ্চার ছিল।

কপ-২৯ সম্মেলন থেকে বাংলাদেশ যদি তার যথার্থ প্রাপ্যতার নিশ্চয়তা পায়, তবে জলবায়ু পরিবর্তনজনিত চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় বিদ্যমান কর্মসূচির পাশাপাশি আরও বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণে সক্ষম হবে। তন্মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো, বন্যা নিয়ন্ত্রণের জন্য বাঁধ নির্মাণ, খরা ও লবণাক্ততা সহিষ্ণু ফসলি জাত উদ্ভাবন, নদীতে নাব্যতা ফিরিয়ে আনা, বনভূমির পরিমাণ বৃদ্ধি করা, উপকূলীয় অঞ্চলে বনভূমির বিস্তার করা, উপকূলীয় এলাকার মানুষের জীবনমান উন্নায়নে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ এবং ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের পুনর্বাসনকরণ, কার্বন নিঃসরণ কমানো ও নবায়নযোগ্য জ্বালানির ব্যবহার বৃদ্ধি করাসহ ইত্যাদি।

আশা করা যায়, এতে বাংলাদেশ জলবায়ু পরিবর্তনজনিত চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় এগিয়ে থাকবে। তবে জলবায়ু পরিবর্তন সংকটটি বৈশ্বিক হওয়ায়, প্রতিটি দেশের সরকারকে আন্ত রিকতার সঙ্গে এগিয়ে আসতে হবে। বিশ্বনেতাদের শুধুমাত্র বছরে নিয়মকরে সম্মেলনে উপস্থিত হয়ে চুক্তি স্বাক্ষর করলেই হবে না, এর বাস্তবায়নও করতে হবে। তবেই এই সম্মেলন ফলপ্রসূ হবে এবং নির্মল হবে এই গ্রহের প্রতিটি প্রাণীর জীবন।

রমজান মিয়া

শিক্ষার্থী, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়

back to top