ঢাকা থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত সরাসরি ট্রেন চালু হওয়ার পর থেকেই লাকসামবাসী অপেক্ষা করে আছেন যে, তাদের গুরুত্বপূর্ণ লাকসাম জংশনে কক্সবাজারগামী ট্রেনের যাত্রাবিরতির ব্যবস্থা করা হবে। এই কেন্দ্রটি শুধু কুমিল্লা জেলারই নয়, বরং নোয়াখালী, চাঁদপুরসহ আশপাশের বেশ কয়েকটি জেলার মানুষের যাতায়াতের একটি গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম। ফলে লাকসামে কক্সবাজারগামী ট্রেনের যাত্রা বিরতি থাকলে উপকৃৃত হবে শুধুমাত্র লাকসামবাসীই নয়, বরং আশপাশের বহু মানুষ যারা সহজে ও সাশ্রয়ে কক্সবাজার যাতায়াতের সুযোগ পাবে। লাকসাম জংশনটি একটি বিশেষ কেন্দ্রীয় সংযোগস্থল হওয়ায়, এটি নোয়াখালী, চাঁদপুর এবং কুমিল্লার মানুষদের একত্রে ভ্রমণের সুযোগ দেয়।
বর্তমানে লাকসাম জংশন থেকে কক্সবাজার সরাসরি যাত্রার কোনো ব্যবস্থা না থাকায়, এসব এলাকার মানুষ কক্সবাজার যাওয়ার জন্য ঢাকায় এসে ট্রেনে উঠতে বাধ্য হন। এতে তাদের ভ্রমণের সময় ও অর্থ অতিরিক্ত ব্যয় হয়। যদি লাকসামে কক্সবাজারগামী ট্রেনের একটি যাত্রাবিরতি রাখা হয়, তবে এসব অঞ্চলের মানুষ সহজে লাকসাম থেকেই সরাসরি কক্সবাজারে যেতে পারবেন। এটি শুধুমাত্র যাত্রীদের সুবিধাই বাড়াবে না, রেলওয়ের জন্যও এটি হবে একটি লাভজনক পদক্ষেপ। বর্তমানে পর্যাপ্ত যাত্রী না থাকায় কক্সবাজারগামী ট্রেনগুলো আর্থিক ক্ষতির মুখোমুখি হচ্ছে। লাকসামে যাত্রাবিরতি থাকলে, এই অঞ্চলের মানুষ ট্রেন ব্যবহারে আরও উৎসাহী হবেন, যা কক্সবাজারগামী ট্রেনগুলোর যাত্রী সংখ্যা বাডড়য়ে তুলবে এবং আর্থিক ক্ষতি কমাতে সহায়ক হবে।
প্রতিদিন লাকসাম, নোয়াখালী, চাঁদপুর এবং কুমিল্লার হাজারও মানুষ বিভিন্ন কাজ এবং পর্যটনের উদ্দেশ্যে কক্সবাজার ভ্রমণ করেন। তাদের সরাসরি কক্সবাজার যাওয়ার সুযোগ থাকলে, কক্সবাজারগামী ট্রেনের জনপ্রিয়তাও বৃদ্ধি পাবে। রেলওয়ের জন্য এ সিদ্ধান্ত একটি বুদ্ধিদীপ্ত পদক্ষেপ হতে পারে। কেননা বৃহৎ সংখ্যক যাত্রী লাকসাম জংশনে যাত্রা বিরতির সুবিধা পেলে রেলওয়ের আয় বৃদ্ধি পাবে, যা কক্সবাজারগামী ট্রেনগুলোকে লোকসান থেকে রক্ষা করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। এর মাধ্যমে রেলওয়ের টিকিট বিক্রয়ের সংখ্যা যেমন বাড়বে, তেমনি পর্যটন এবং স্থানীয় অর্থনীতিও সমৃদ্ধ হবে। লাকসাম এবং এর আশপাশের মানুষ রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের কাছে এই দীর্ঘদিনের দাবি পূরণের জন্য আবেদন জানাচ্ছে, যাতে এ গুরুত্বপূর্ণ সংযোগটি আরও কার্যকর ও লাভজনক করা যায়।
ইব্রাহিম খলিল জসিম
শিক্ষার্থী, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, কুষ্টিয়া।
বুধবার, ২০ নভেম্বর ২০২৪
ঢাকা থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত সরাসরি ট্রেন চালু হওয়ার পর থেকেই লাকসামবাসী অপেক্ষা করে আছেন যে, তাদের গুরুত্বপূর্ণ লাকসাম জংশনে কক্সবাজারগামী ট্রেনের যাত্রাবিরতির ব্যবস্থা করা হবে। এই কেন্দ্রটি শুধু কুমিল্লা জেলারই নয়, বরং নোয়াখালী, চাঁদপুরসহ আশপাশের বেশ কয়েকটি জেলার মানুষের যাতায়াতের একটি গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম। ফলে লাকসামে কক্সবাজারগামী ট্রেনের যাত্রা বিরতি থাকলে উপকৃৃত হবে শুধুমাত্র লাকসামবাসীই নয়, বরং আশপাশের বহু মানুষ যারা সহজে ও সাশ্রয়ে কক্সবাজার যাতায়াতের সুযোগ পাবে। লাকসাম জংশনটি একটি বিশেষ কেন্দ্রীয় সংযোগস্থল হওয়ায়, এটি নোয়াখালী, চাঁদপুর এবং কুমিল্লার মানুষদের একত্রে ভ্রমণের সুযোগ দেয়।
বর্তমানে লাকসাম জংশন থেকে কক্সবাজার সরাসরি যাত্রার কোনো ব্যবস্থা না থাকায়, এসব এলাকার মানুষ কক্সবাজার যাওয়ার জন্য ঢাকায় এসে ট্রেনে উঠতে বাধ্য হন। এতে তাদের ভ্রমণের সময় ও অর্থ অতিরিক্ত ব্যয় হয়। যদি লাকসামে কক্সবাজারগামী ট্রেনের একটি যাত্রাবিরতি রাখা হয়, তবে এসব অঞ্চলের মানুষ সহজে লাকসাম থেকেই সরাসরি কক্সবাজারে যেতে পারবেন। এটি শুধুমাত্র যাত্রীদের সুবিধাই বাড়াবে না, রেলওয়ের জন্যও এটি হবে একটি লাভজনক পদক্ষেপ। বর্তমানে পর্যাপ্ত যাত্রী না থাকায় কক্সবাজারগামী ট্রেনগুলো আর্থিক ক্ষতির মুখোমুখি হচ্ছে। লাকসামে যাত্রাবিরতি থাকলে, এই অঞ্চলের মানুষ ট্রেন ব্যবহারে আরও উৎসাহী হবেন, যা কক্সবাজারগামী ট্রেনগুলোর যাত্রী সংখ্যা বাডড়য়ে তুলবে এবং আর্থিক ক্ষতি কমাতে সহায়ক হবে।
প্রতিদিন লাকসাম, নোয়াখালী, চাঁদপুর এবং কুমিল্লার হাজারও মানুষ বিভিন্ন কাজ এবং পর্যটনের উদ্দেশ্যে কক্সবাজার ভ্রমণ করেন। তাদের সরাসরি কক্সবাজার যাওয়ার সুযোগ থাকলে, কক্সবাজারগামী ট্রেনের জনপ্রিয়তাও বৃদ্ধি পাবে। রেলওয়ের জন্য এ সিদ্ধান্ত একটি বুদ্ধিদীপ্ত পদক্ষেপ হতে পারে। কেননা বৃহৎ সংখ্যক যাত্রী লাকসাম জংশনে যাত্রা বিরতির সুবিধা পেলে রেলওয়ের আয় বৃদ্ধি পাবে, যা কক্সবাজারগামী ট্রেনগুলোকে লোকসান থেকে রক্ষা করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। এর মাধ্যমে রেলওয়ের টিকিট বিক্রয়ের সংখ্যা যেমন বাড়বে, তেমনি পর্যটন এবং স্থানীয় অর্থনীতিও সমৃদ্ধ হবে। লাকসাম এবং এর আশপাশের মানুষ রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের কাছে এই দীর্ঘদিনের দাবি পূরণের জন্য আবেদন জানাচ্ছে, যাতে এ গুরুত্বপূর্ণ সংযোগটি আরও কার্যকর ও লাভজনক করা যায়।
ইব্রাহিম খলিল জসিম
শিক্ষার্থী, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, কুষ্টিয়া।