alt

পাঠকের চিঠি

নীরব ভূমিকায় কলেজ প্রশাসন

: বুধবার, ০৪ ডিসেম্বর ২০২৪

রাজধানী ঢাকার বিভিন্ন কলেজের শিক্ষার্থীদের মধ্যে সংঘাত যেন নিত্যদিনের ঘটনা হয়ে দাড়িয়েছে। প্রায়ই আকস্মিক সৃষ্টি হওয়া এসব সংঘাতের বলি হচ্ছে সাধারণ শিক্ষার্থী ও সাধারণ মানুষ। অতর্কিত হামলায় আতঙ্কিত হয়ে পড়ে সাধারণ শিক্ষার্থী, পথচারী, নারী ও শিশুরা। যা বিরূপ প্রভাব ফেলে মানসিক স্বাস্থ্যে। প্রতিষ্ঠানগুলোর শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যায় এবং শিক্ষার্থীরা শিকার হন হতাশা ও উদ্বেগের। অভিভাবকরাও তাদের সন্তানের নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কিত হয়ে পড়েন। শিক্ষার্থীরা প্রায় তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে অপর কলেজের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ছে। প্রধান সড়ক দখল করে চলতে থাকে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া। বেধড়ক লাঠিপেটা ও ইট পাথরের আঘাতে হতাহত ও নিহত হচ্ছেন অনেকেই।

শিক্ষার্থীদের ছোড়া ইটের আঘাতে আহত হচ্ছেন পথচারীরা। বারবার সংঘাতের ঘটনা ঘটলেও সংকট সমাধানে প্রায় নীরব ভূমিকায় দেখা যায় কলেজ প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে। ঘটনার কারণ অনুসন্ধান করে জড়িতদের উপযুক্ত শাস্তি প্রদান করতে দেখা যায় না উভয় কলেজকে। অনেক সময় খুব লঘু শাস্তি প্রদান করে কলেজ প্রশাসন। শিক্ষার্থীরা বিচারহীনতার কারণেই আলাপ আলোচনা ছেড়ে সংঘাতকে বেছে নিচ্ছে। যা বর্তমানে মহামারী আকার ধারণ করেছে। সম্প্রতি ঢাকা কলেজ ও ঢাকা সিটি কলেজ এবং সরকারি শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজ ও ড. মাহবুবুর রহমান মোল্লা কলেজের শিক্ষার্থীদের মধ্যকার সংঘর্ষের ধ্বংসযজ্ঞ দেশের মানুষকে ব্যথিত করেছে। ছাত্র ও শিক্ষকদের মধ্যে দূরত্ব এবং বিচারহীনতায় এসব সংঘাত আরও ছড়িয়ে পড়ছে। ক্রমেই কোমলমতি শিক্ষার্থীরা তাদের লক্ষ্য থেকে বিচ্যুত হয়ে পড়ছেন। যা তাদের এবং দেশের ভবিষ্যতের উপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে। তাছাড়াও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে, কলেজ সংশ্লিষ্ট গ্রুপ ও পেজ থেকে উস্কানিমূলক, সহিংসতা মূলক পোস্ট করা হয় এবং গুজব ছড়িয়ে দেয়া হয়। এতে সংঘাত দ্রুত ছড়িয়ে পড় এবং শিক্ষার্থীরা প্রকৃত কারণ না জেনেই সংঘাতে অংশ নেয়।

সহিংসতা রোধ ও শিক্ষার পরিবেশ ঠিক রাখতে শিক্ষার্থী, শিক্ষক, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী এবং অভিভাবকদের সম্মিলিত প্রচেষ্টা অপরিহার্য। শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের মধ্যে সম্পর্ক উন্নীত করা এবং শিক্ষার্থীদের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধি করা জরুরি।

আরিফুল ইসলাম রাজিন

শিক্ষার্থী, ঢাকা কলেজ

মোরেলগঞ্জ পৌরসভার নাগরিক সেবা উন্নয়নে পদক্ষেপ নিন

ছবি

খেজুরের রস

ট্যাগিং সংস্কৃতির অবসান ঘটুক

আবাসন সংকট দূর করুন

আখাউড়া-আগরতলা ট্রেন চালু হবে কি ?

উচ্চশিক্ষা ও বেকারত্ব

ছবি

অবৈধ ইটভাটা : দ্রুত আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হোক

সংঘাত বন্ধ হোক

ছবি

কবে থামবে নদী দখল?

ছবি

কেমন আছে জাতীয় পাখি দোয়েল?

অতিথি পাখি শিকার নয়

সড়ক দুর্ঘটনা

সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা কোথায়

ব্রহ্মপুত্রের পাড় হারাচ্ছে সৌন্দর্য

ছবি

সবজির দাম, মধ্যস্বত্বভোগীদের দৌরাত্ম্য, কৃষকের বঞ্চনা

ছবি

ছাদ বাগান

শিশুশ্রম ও শিশু নির্যাতন

ছবি

মেট্রোরেলের টিকেট ভোগান্তি

শব্দদূষণ রোধে উদ্যোগ নিন

শীতের আতঙ্ক নিপাহ ভাইরাস

ফ্লাইওভারে মিলছে না কাক্সিক্ষত সেবা

শীতার্তদের পাশে দাঁড়াই

ছবি

ফ্রিল্যান্সিংয়ের বিকাশ : আর্থিক উন্নয়নের চালিকাশক্তি

পর্যটন শিল্পের উন্নয়ন

সমাজ পরিবর্তন করে চিন্তার পরিবর্তন, নাকি চিন্তাধারার পরিবর্তন করে সমাজ পরিবর্তন?

বিদ্যালয়ের সংস্কার প্রয়োজন

ছবি

অতিথি পাখি শিকার বন্ধ হোক

আন্দোলন, ন্যায্যতার দাবি ও জনদুর্ভোগ

কক্সবাজারগামী ট্রেনের লাকসাম জংশনে যাত্রাবিরতি চাই

ছবি

যত্রতত্র বাস থামানো বন্ধ করুন

ছবি

বৈদ্যুতিক খুঁটি যেন মাকড়সার জাল

ছবি

কপ-২৯ সম্মেলন ও বাংলাদেশ প্রসঙ্গ

ছবি

পরীক্ষাগুলো বিভাগীয় শহরে নেয়া হোক

খাল ও জলাশয়ের বদ্ধ পানি এডিস মশার উৎস

রাস্তা সংস্কার করুন

কৃষককে ন্যায্য মূল্য দিন

tab

পাঠকের চিঠি

নীরব ভূমিকায় কলেজ প্রশাসন

বুধবার, ০৪ ডিসেম্বর ২০২৪

রাজধানী ঢাকার বিভিন্ন কলেজের শিক্ষার্থীদের মধ্যে সংঘাত যেন নিত্যদিনের ঘটনা হয়ে দাড়িয়েছে। প্রায়ই আকস্মিক সৃষ্টি হওয়া এসব সংঘাতের বলি হচ্ছে সাধারণ শিক্ষার্থী ও সাধারণ মানুষ। অতর্কিত হামলায় আতঙ্কিত হয়ে পড়ে সাধারণ শিক্ষার্থী, পথচারী, নারী ও শিশুরা। যা বিরূপ প্রভাব ফেলে মানসিক স্বাস্থ্যে। প্রতিষ্ঠানগুলোর শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যায় এবং শিক্ষার্থীরা শিকার হন হতাশা ও উদ্বেগের। অভিভাবকরাও তাদের সন্তানের নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কিত হয়ে পড়েন। শিক্ষার্থীরা প্রায় তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে অপর কলেজের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ছে। প্রধান সড়ক দখল করে চলতে থাকে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া। বেধড়ক লাঠিপেটা ও ইট পাথরের আঘাতে হতাহত ও নিহত হচ্ছেন অনেকেই।

শিক্ষার্থীদের ছোড়া ইটের আঘাতে আহত হচ্ছেন পথচারীরা। বারবার সংঘাতের ঘটনা ঘটলেও সংকট সমাধানে প্রায় নীরব ভূমিকায় দেখা যায় কলেজ প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে। ঘটনার কারণ অনুসন্ধান করে জড়িতদের উপযুক্ত শাস্তি প্রদান করতে দেখা যায় না উভয় কলেজকে। অনেক সময় খুব লঘু শাস্তি প্রদান করে কলেজ প্রশাসন। শিক্ষার্থীরা বিচারহীনতার কারণেই আলাপ আলোচনা ছেড়ে সংঘাতকে বেছে নিচ্ছে। যা বর্তমানে মহামারী আকার ধারণ করেছে। সম্প্রতি ঢাকা কলেজ ও ঢাকা সিটি কলেজ এবং সরকারি শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজ ও ড. মাহবুবুর রহমান মোল্লা কলেজের শিক্ষার্থীদের মধ্যকার সংঘর্ষের ধ্বংসযজ্ঞ দেশের মানুষকে ব্যথিত করেছে। ছাত্র ও শিক্ষকদের মধ্যে দূরত্ব এবং বিচারহীনতায় এসব সংঘাত আরও ছড়িয়ে পড়ছে। ক্রমেই কোমলমতি শিক্ষার্থীরা তাদের লক্ষ্য থেকে বিচ্যুত হয়ে পড়ছেন। যা তাদের এবং দেশের ভবিষ্যতের উপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে। তাছাড়াও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে, কলেজ সংশ্লিষ্ট গ্রুপ ও পেজ থেকে উস্কানিমূলক, সহিংসতা মূলক পোস্ট করা হয় এবং গুজব ছড়িয়ে দেয়া হয়। এতে সংঘাত দ্রুত ছড়িয়ে পড় এবং শিক্ষার্থীরা প্রকৃত কারণ না জেনেই সংঘাতে অংশ নেয়।

সহিংসতা রোধ ও শিক্ষার পরিবেশ ঠিক রাখতে শিক্ষার্থী, শিক্ষক, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী এবং অভিভাবকদের সম্মিলিত প্রচেষ্টা অপরিহার্য। শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের মধ্যে সম্পর্ক উন্নীত করা এবং শিক্ষার্থীদের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধি করা জরুরি।

আরিফুল ইসলাম রাজিন

শিক্ষার্থী, ঢাকা কলেজ

back to top