রাজধানী ঢাকার বিভিন্ন কলেজের শিক্ষার্থীদের মধ্যে সংঘাত যেন নিত্যদিনের ঘটনা হয়ে দাড়িয়েছে। প্রায়ই আকস্মিক সৃষ্টি হওয়া এসব সংঘাতের বলি হচ্ছে সাধারণ শিক্ষার্থী ও সাধারণ মানুষ। অতর্কিত হামলায় আতঙ্কিত হয়ে পড়ে সাধারণ শিক্ষার্থী, পথচারী, নারী ও শিশুরা। যা বিরূপ প্রভাব ফেলে মানসিক স্বাস্থ্যে। প্রতিষ্ঠানগুলোর শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যায় এবং শিক্ষার্থীরা শিকার হন হতাশা ও উদ্বেগের। অভিভাবকরাও তাদের সন্তানের নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কিত হয়ে পড়েন। শিক্ষার্থীরা প্রায় তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে অপর কলেজের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ছে। প্রধান সড়ক দখল করে চলতে থাকে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া। বেধড়ক লাঠিপেটা ও ইট পাথরের আঘাতে হতাহত ও নিহত হচ্ছেন অনেকেই।
শিক্ষার্থীদের ছোড়া ইটের আঘাতে আহত হচ্ছেন পথচারীরা। বারবার সংঘাতের ঘটনা ঘটলেও সংকট সমাধানে প্রায় নীরব ভূমিকায় দেখা যায় কলেজ প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে। ঘটনার কারণ অনুসন্ধান করে জড়িতদের উপযুক্ত শাস্তি প্রদান করতে দেখা যায় না উভয় কলেজকে। অনেক সময় খুব লঘু শাস্তি প্রদান করে কলেজ প্রশাসন। শিক্ষার্থীরা বিচারহীনতার কারণেই আলাপ আলোচনা ছেড়ে সংঘাতকে বেছে নিচ্ছে। যা বর্তমানে মহামারী আকার ধারণ করেছে। সম্প্রতি ঢাকা কলেজ ও ঢাকা সিটি কলেজ এবং সরকারি শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজ ও ড. মাহবুবুর রহমান মোল্লা কলেজের শিক্ষার্থীদের মধ্যকার সংঘর্ষের ধ্বংসযজ্ঞ দেশের মানুষকে ব্যথিত করেছে। ছাত্র ও শিক্ষকদের মধ্যে দূরত্ব এবং বিচারহীনতায় এসব সংঘাত আরও ছড়িয়ে পড়ছে। ক্রমেই কোমলমতি শিক্ষার্থীরা তাদের লক্ষ্য থেকে বিচ্যুত হয়ে পড়ছেন। যা তাদের এবং দেশের ভবিষ্যতের উপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে। তাছাড়াও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে, কলেজ সংশ্লিষ্ট গ্রুপ ও পেজ থেকে উস্কানিমূলক, সহিংসতা মূলক পোস্ট করা হয় এবং গুজব ছড়িয়ে দেয়া হয়। এতে সংঘাত দ্রুত ছড়িয়ে পড় এবং শিক্ষার্থীরা প্রকৃত কারণ না জেনেই সংঘাতে অংশ নেয়।
সহিংসতা রোধ ও শিক্ষার পরিবেশ ঠিক রাখতে শিক্ষার্থী, শিক্ষক, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী এবং অভিভাবকদের সম্মিলিত প্রচেষ্টা অপরিহার্য। শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের মধ্যে সম্পর্ক উন্নীত করা এবং শিক্ষার্থীদের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধি করা জরুরি।
আরিফুল ইসলাম রাজিন
শিক্ষার্থী, ঢাকা কলেজ
বুধবার, ০৪ ডিসেম্বর ২০২৪
রাজধানী ঢাকার বিভিন্ন কলেজের শিক্ষার্থীদের মধ্যে সংঘাত যেন নিত্যদিনের ঘটনা হয়ে দাড়িয়েছে। প্রায়ই আকস্মিক সৃষ্টি হওয়া এসব সংঘাতের বলি হচ্ছে সাধারণ শিক্ষার্থী ও সাধারণ মানুষ। অতর্কিত হামলায় আতঙ্কিত হয়ে পড়ে সাধারণ শিক্ষার্থী, পথচারী, নারী ও শিশুরা। যা বিরূপ প্রভাব ফেলে মানসিক স্বাস্থ্যে। প্রতিষ্ঠানগুলোর শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যায় এবং শিক্ষার্থীরা শিকার হন হতাশা ও উদ্বেগের। অভিভাবকরাও তাদের সন্তানের নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কিত হয়ে পড়েন। শিক্ষার্থীরা প্রায় তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে অপর কলেজের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ছে। প্রধান সড়ক দখল করে চলতে থাকে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া। বেধড়ক লাঠিপেটা ও ইট পাথরের আঘাতে হতাহত ও নিহত হচ্ছেন অনেকেই।
শিক্ষার্থীদের ছোড়া ইটের আঘাতে আহত হচ্ছেন পথচারীরা। বারবার সংঘাতের ঘটনা ঘটলেও সংকট সমাধানে প্রায় নীরব ভূমিকায় দেখা যায় কলেজ প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে। ঘটনার কারণ অনুসন্ধান করে জড়িতদের উপযুক্ত শাস্তি প্রদান করতে দেখা যায় না উভয় কলেজকে। অনেক সময় খুব লঘু শাস্তি প্রদান করে কলেজ প্রশাসন। শিক্ষার্থীরা বিচারহীনতার কারণেই আলাপ আলোচনা ছেড়ে সংঘাতকে বেছে নিচ্ছে। যা বর্তমানে মহামারী আকার ধারণ করেছে। সম্প্রতি ঢাকা কলেজ ও ঢাকা সিটি কলেজ এবং সরকারি শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজ ও ড. মাহবুবুর রহমান মোল্লা কলেজের শিক্ষার্থীদের মধ্যকার সংঘর্ষের ধ্বংসযজ্ঞ দেশের মানুষকে ব্যথিত করেছে। ছাত্র ও শিক্ষকদের মধ্যে দূরত্ব এবং বিচারহীনতায় এসব সংঘাত আরও ছড়িয়ে পড়ছে। ক্রমেই কোমলমতি শিক্ষার্থীরা তাদের লক্ষ্য থেকে বিচ্যুত হয়ে পড়ছেন। যা তাদের এবং দেশের ভবিষ্যতের উপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে। তাছাড়াও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে, কলেজ সংশ্লিষ্ট গ্রুপ ও পেজ থেকে উস্কানিমূলক, সহিংসতা মূলক পোস্ট করা হয় এবং গুজব ছড়িয়ে দেয়া হয়। এতে সংঘাত দ্রুত ছড়িয়ে পড় এবং শিক্ষার্থীরা প্রকৃত কারণ না জেনেই সংঘাতে অংশ নেয়।
সহিংসতা রোধ ও শিক্ষার পরিবেশ ঠিক রাখতে শিক্ষার্থী, শিক্ষক, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী এবং অভিভাবকদের সম্মিলিত প্রচেষ্টা অপরিহার্য। শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের মধ্যে সম্পর্ক উন্নীত করা এবং শিক্ষার্থীদের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধি করা জরুরি।
আরিফুল ইসলাম রাজিন
শিক্ষার্থী, ঢাকা কলেজ