উচ্চশিক্ষা একটি জাতির অগ্রযাত্রার প্রধান স্তম্ভ, যা শুধু শিক্ষার্থীদের জ্ঞান ও দক্ষতার পরিধি সম্প্রসারণ করে না, বরং তাদের চেতনাকে আরও গভীর এবং বিস্তৃত করে তোলে। এই শিক্ষার আলোকবর্তিকা শিক্ষার্থীদেরকে গভীরতর জ্ঞানের প্রাঙ্গণে নিয়ে যায়, যেখানে তারা বিশেষজ্ঞের মডুকোঠায় বসবাসের অধিকার অর্জন করে এবং কর্মজগতে তাদের সঞ্চিত মেধা ও দক্ষতার দীপ্তি ছডড়য়ে দেয়।
উচ্চশিক্ষার পবিত্র পথে গবেষণার স্ফূরণ ঘটে; সৃষ্টি হয় নতুন ভাবনা, নবপ্রযুক্তি, এবং যুগান্তকারী উদ্ভাবন, যা জাতির অগ্রগতির চালিকাশক্তি হয়ে ওঠে। এই প্রজ্ঞা-সমৃদ্ধ জনশক্তি শুধু কর্মদক্ষতাই বৃদ্ধি করে না, বরং সামাজিক ন্যায় ও মানবাধিকারের ধারক হয়, সমাজের স্থিতিশীলতা রক্ষায় অবিচল ভূমিকা পালন করে।
শিক্ষা ব্যবস্থায় চাহিদা ও সরবরাহের মধ্যে এক ধরনের অসমতা তৈরি হয়েছে। চাকরির বাজারে যে ধরণের দক্ষতা ও জ্ঞানের প্রয়োজন, তা বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে শিক্ষা কার্যক্রমে সেভাবে অন্তর্ভুক্ত করা হচ্ছে না। বিশেষ করে, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি, কারিগরি শিক্ষা, এবং বাস্তবমুখী শিক্ষার ওপর কম গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে, যা বেকারত্বের হারকে বাড়িয়ে দিচ্ছে।
অর্থনৈতিক বিকাশের উৎসাহকে কেন্দ্রীভূত করাই আজকের সময়ের অনিবার্য দাবি। শিল্প বিনিয়োগের অবকাঠামো সুসংহত করা এবং ক্ষুদ্র ও মাঝারি ব্যবসাকে উৎসাহিত করা উচিত যেন সমাজের প্রতিটি স্তরে স্বনির্ভরতার বীজ বপন করা যায়। শিক্ষার্থীদের মনে সেই প্রয়োজনীয় চেতনার সঞ্চার ঘটাতে হবে, যা তাদের দক্ষতা ও যোগ্যতার যথাযথ ব্যবহার নিশ্চিত করে। শিক্ষা যেন শুধু সনদ অর্জনে সীমাবদ্ধ না থাকে, বরং তা হয়ে ওঠে জীবনোপযোগী দক্ষতার শক্তিশালী আধার।
উচ্চশিক্ষার লক্ষ্যে শুধু মানপত্রের জন্য দৌড় নয়, বরং দক্ষতা ও কর্মমুখী জ্ঞানের আলোকে শিক্ষার কার্যকারিতা প্রমাণ করাই আসল সার্থকতা। তরুণদের জন্য এই আলোকিত শিক্ষার পথ প্রস্তুত করা জরুরি, যা তাদের সত্যিকারের কর্মদক্ষ ও স্বনির্ভর জাতি হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হতে সহায়তা করবে।
আতিয়া শারমিলা আঁখি
দর্শন বিভাগ, জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়।
বুধবার, ০৪ ডিসেম্বর ২০২৪
উচ্চশিক্ষা একটি জাতির অগ্রযাত্রার প্রধান স্তম্ভ, যা শুধু শিক্ষার্থীদের জ্ঞান ও দক্ষতার পরিধি সম্প্রসারণ করে না, বরং তাদের চেতনাকে আরও গভীর এবং বিস্তৃত করে তোলে। এই শিক্ষার আলোকবর্তিকা শিক্ষার্থীদেরকে গভীরতর জ্ঞানের প্রাঙ্গণে নিয়ে যায়, যেখানে তারা বিশেষজ্ঞের মডুকোঠায় বসবাসের অধিকার অর্জন করে এবং কর্মজগতে তাদের সঞ্চিত মেধা ও দক্ষতার দীপ্তি ছডড়য়ে দেয়।
উচ্চশিক্ষার পবিত্র পথে গবেষণার স্ফূরণ ঘটে; সৃষ্টি হয় নতুন ভাবনা, নবপ্রযুক্তি, এবং যুগান্তকারী উদ্ভাবন, যা জাতির অগ্রগতির চালিকাশক্তি হয়ে ওঠে। এই প্রজ্ঞা-সমৃদ্ধ জনশক্তি শুধু কর্মদক্ষতাই বৃদ্ধি করে না, বরং সামাজিক ন্যায় ও মানবাধিকারের ধারক হয়, সমাজের স্থিতিশীলতা রক্ষায় অবিচল ভূমিকা পালন করে।
শিক্ষা ব্যবস্থায় চাহিদা ও সরবরাহের মধ্যে এক ধরনের অসমতা তৈরি হয়েছে। চাকরির বাজারে যে ধরণের দক্ষতা ও জ্ঞানের প্রয়োজন, তা বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে শিক্ষা কার্যক্রমে সেভাবে অন্তর্ভুক্ত করা হচ্ছে না। বিশেষ করে, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি, কারিগরি শিক্ষা, এবং বাস্তবমুখী শিক্ষার ওপর কম গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে, যা বেকারত্বের হারকে বাড়িয়ে দিচ্ছে।
অর্থনৈতিক বিকাশের উৎসাহকে কেন্দ্রীভূত করাই আজকের সময়ের অনিবার্য দাবি। শিল্প বিনিয়োগের অবকাঠামো সুসংহত করা এবং ক্ষুদ্র ও মাঝারি ব্যবসাকে উৎসাহিত করা উচিত যেন সমাজের প্রতিটি স্তরে স্বনির্ভরতার বীজ বপন করা যায়। শিক্ষার্থীদের মনে সেই প্রয়োজনীয় চেতনার সঞ্চার ঘটাতে হবে, যা তাদের দক্ষতা ও যোগ্যতার যথাযথ ব্যবহার নিশ্চিত করে। শিক্ষা যেন শুধু সনদ অর্জনে সীমাবদ্ধ না থাকে, বরং তা হয়ে ওঠে জীবনোপযোগী দক্ষতার শক্তিশালী আধার।
উচ্চশিক্ষার লক্ষ্যে শুধু মানপত্রের জন্য দৌড় নয়, বরং দক্ষতা ও কর্মমুখী জ্ঞানের আলোকে শিক্ষার কার্যকারিতা প্রমাণ করাই আসল সার্থকতা। তরুণদের জন্য এই আলোকিত শিক্ষার পথ প্রস্তুত করা জরুরি, যা তাদের সত্যিকারের কর্মদক্ষ ও স্বনির্ভর জাতি হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হতে সহায়তা করবে।
আতিয়া শারমিলা আঁখি
দর্শন বিভাগ, জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়।