বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকা। ঢাকা শহরে অনেক লোকের বসবাস। ঢাকা শহরের রাস্তা-ঘাট ধুলায় পরিপূর্ণ। যার কারণে নিয়মিত বায়ুদূষণ হচ্ছে। বায়দূষণের ফলে মানুষের স্বাভাবিক চলাফেরায় ব্যাঘাত ঘটছে। ২০২৩ সালের বিবিসি বাংলার এক প্রতিবেদন থেকে আমরা জানতে পারি ঢাকায় বায়ুদূষণের পেছনে কয়েকটি কারণ রয়েছে। এর অন্যতম হলো ইটভাটার দূষণ, যান্ত্রিক যানের কালো ধোঁয়া, নির্মাণকাজ এবং ময়লা পোড়ানো। ২০১৬ সালে পরিবেশ দপ্তর এক গবেষণা করে। এ গবেষণায় দেখা যায়, শুষ্ক মৌসুমে ঢাকা শহরের বস্তুকনা দ্বারা বায়ু দূষণের জন্য ইটভাটা ৫৮ শতাংশ দায়ী। এছাড়া সড়ক ও মাটি থেকে সৃষ্ট ধুলা দ্বারা ১৮ শতাংশ, যানবাহনের জন্য ১০ শতাংশ, বিভিন্ন জিনিসপত্র পোড়ানোর জন্য ৮ শতাংশ এবং অন্যান্য কারণে ৬ শতাংশ বায়ুদূষণ ঘটছে। তথ্যমতে, নভেম্বর থেকে মার্চ এ সময় ঢাকার বায়ুদূষণের মান সবচেয়ে খারাপ থাকে।
সর্বোপরি, এই সময়ে কিছু পদক্ষেপ নেয়া যেতে পারে, যার মাধ্যমে কিছুটা বায়ুদূষণ কমানো সম্ভব। সর্বপ্রথম ঢাকার আশপাশে যেসব ইটভাটা আছে সেগুলোর ওপর নিয়ন্ত্রণ আনতে হবে। ইটভাটাগুলোর উৎপাদন প্রক্রিয়া কিছুটা সীমিত করা যেতে পারে। কারণ ঢাকার আশপাশে একহাজার দুইশ ইটভাটা আছে। যা হুট করে বন্ধ করে দেয়া সম্ভব নয়। একইভাবে যেসব শিল্প প্রতিষ্ঠান বায়ুদূষণের জন্য দায়ী তাদের ক্ষেত্রে ও অনুরূপ পদক্ষেপ নেয়া যেতে পারে। পৃথিবীর অন্যতম শিল্পোন্নত দেশ চীনের বেইজিং নগরীর বায়ুদূষণ যখন বৃদ্ধি পায়, তখন তারা শহরের আশপাশের শিল্পকারখানা বন্ধ করে দেয়। এরূপ পদক্ষেপ বাংলাদেশে ও নেয়া হলে মানুষ স্বস্তির নিঃশ্বাস নিতে পারবে। তাই এখন আমাদের স্লোগান হওয়া উচিত, বায়ুদূষণ নিপাত যাক, বাংলাদেশ মুক্তি পাক।
ইমরান ফয়সাল
শিক্ষার্থী, ঢাকা কলেজ, ঢাকা
বুধবার, ০৮ জানুয়ারী ২০২৫
বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকা। ঢাকা শহরে অনেক লোকের বসবাস। ঢাকা শহরের রাস্তা-ঘাট ধুলায় পরিপূর্ণ। যার কারণে নিয়মিত বায়ুদূষণ হচ্ছে। বায়দূষণের ফলে মানুষের স্বাভাবিক চলাফেরায় ব্যাঘাত ঘটছে। ২০২৩ সালের বিবিসি বাংলার এক প্রতিবেদন থেকে আমরা জানতে পারি ঢাকায় বায়ুদূষণের পেছনে কয়েকটি কারণ রয়েছে। এর অন্যতম হলো ইটভাটার দূষণ, যান্ত্রিক যানের কালো ধোঁয়া, নির্মাণকাজ এবং ময়লা পোড়ানো। ২০১৬ সালে পরিবেশ দপ্তর এক গবেষণা করে। এ গবেষণায় দেখা যায়, শুষ্ক মৌসুমে ঢাকা শহরের বস্তুকনা দ্বারা বায়ু দূষণের জন্য ইটভাটা ৫৮ শতাংশ দায়ী। এছাড়া সড়ক ও মাটি থেকে সৃষ্ট ধুলা দ্বারা ১৮ শতাংশ, যানবাহনের জন্য ১০ শতাংশ, বিভিন্ন জিনিসপত্র পোড়ানোর জন্য ৮ শতাংশ এবং অন্যান্য কারণে ৬ শতাংশ বায়ুদূষণ ঘটছে। তথ্যমতে, নভেম্বর থেকে মার্চ এ সময় ঢাকার বায়ুদূষণের মান সবচেয়ে খারাপ থাকে।
সর্বোপরি, এই সময়ে কিছু পদক্ষেপ নেয়া যেতে পারে, যার মাধ্যমে কিছুটা বায়ুদূষণ কমানো সম্ভব। সর্বপ্রথম ঢাকার আশপাশে যেসব ইটভাটা আছে সেগুলোর ওপর নিয়ন্ত্রণ আনতে হবে। ইটভাটাগুলোর উৎপাদন প্রক্রিয়া কিছুটা সীমিত করা যেতে পারে। কারণ ঢাকার আশপাশে একহাজার দুইশ ইটভাটা আছে। যা হুট করে বন্ধ করে দেয়া সম্ভব নয়। একইভাবে যেসব শিল্প প্রতিষ্ঠান বায়ুদূষণের জন্য দায়ী তাদের ক্ষেত্রে ও অনুরূপ পদক্ষেপ নেয়া যেতে পারে। পৃথিবীর অন্যতম শিল্পোন্নত দেশ চীনের বেইজিং নগরীর বায়ুদূষণ যখন বৃদ্ধি পায়, তখন তারা শহরের আশপাশের শিল্পকারখানা বন্ধ করে দেয়। এরূপ পদক্ষেপ বাংলাদেশে ও নেয়া হলে মানুষ স্বস্তির নিঃশ্বাস নিতে পারবে। তাই এখন আমাদের স্লোগান হওয়া উচিত, বায়ুদূষণ নিপাত যাক, বাংলাদেশ মুক্তি পাক।
ইমরান ফয়সাল
শিক্ষার্থী, ঢাকা কলেজ, ঢাকা