alt

বায়ুদূষণ

: বুধবার, ০৮ জানুয়ারী ২০২৫

বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকা। ঢাকা শহরে অনেক লোকের বসবাস। ঢাকা শহরের রাস্তা-ঘাট ধুলায় পরিপূর্ণ। যার কারণে নিয়মিত বায়ুদূষণ হচ্ছে। বায়দূষণের ফলে মানুষের স্বাভাবিক চলাফেরায় ব্যাঘাত ঘটছে। ২০২৩ সালের বিবিসি বাংলার এক প্রতিবেদন থেকে আমরা জানতে পারি ঢাকায় বায়ুদূষণের পেছনে কয়েকটি কারণ রয়েছে। এর অন্যতম হলো ইটভাটার দূষণ, যান্ত্রিক যানের কালো ধোঁয়া, নির্মাণকাজ এবং ময়লা পোড়ানো। ২০১৬ সালে পরিবেশ দপ্তর এক গবেষণা করে। এ গবেষণায় দেখা যায়, শুষ্ক মৌসুমে ঢাকা শহরের বস্তুকনা দ্বারা বায়ু দূষণের জন্য ইটভাটা ৫৮ শতাংশ দায়ী। এছাড়া সড়ক ও মাটি থেকে সৃষ্ট ধুলা দ্বারা ১৮ শতাংশ, যানবাহনের জন্য ১০ শতাংশ, বিভিন্ন জিনিসপত্র পোড়ানোর জন্য ৮ শতাংশ এবং অন্যান্য কারণে ৬ শতাংশ বায়ুদূষণ ঘটছে। তথ্যমতে, নভেম্বর থেকে মার্চ এ সময় ঢাকার বায়ুদূষণের মান সবচেয়ে খারাপ থাকে।

সর্বোপরি, এই সময়ে কিছু পদক্ষেপ নেয়া যেতে পারে, যার মাধ্যমে কিছুটা বায়ুদূষণ কমানো সম্ভব। সর্বপ্রথম ঢাকার আশপাশে যেসব ইটভাটা আছে সেগুলোর ওপর নিয়ন্ত্রণ আনতে হবে। ইটভাটাগুলোর উৎপাদন প্রক্রিয়া কিছুটা সীমিত করা যেতে পারে। কারণ ঢাকার আশপাশে একহাজার দুইশ ইটভাটা আছে। যা হুট করে বন্ধ করে দেয়া সম্ভব নয়। একইভাবে যেসব শিল্প প্রতিষ্ঠান বায়ুদূষণের জন্য দায়ী তাদের ক্ষেত্রে ও অনুরূপ পদক্ষেপ নেয়া যেতে পারে। পৃথিবীর অন্যতম শিল্পোন্নত দেশ চীনের বেইজিং নগরীর বায়ুদূষণ যখন বৃদ্ধি পায়, তখন তারা শহরের আশপাশের শিল্পকারখানা বন্ধ করে দেয়। এরূপ পদক্ষেপ বাংলাদেশে ও নেয়া হলে মানুষ স্বস্তির নিঃশ্বাস নিতে পারবে। তাই এখন আমাদের স্লোগান হওয়া উচিত, বায়ুদূষণ নিপাত যাক, বাংলাদেশ মুক্তি পাক।

ইমরান ফয়সাল

শিক্ষার্থী, ঢাকা কলেজ, ঢাকা

ছবি

গার্মেন্টস শ্রমিকের মানবিক অধিকার নিশ্চিতকরণ জরুরি

নিউমার্কেটে সড়ক-ফুটপাত দখলমুক্ত করা জরুরি

সুন্দরবন রক্ষায় দ্রুত পদক্ষেপ প্রয়োজন

আগুনের শিখায় ভস্মীভূত স্বপ্ন

কোথায় যাচ্ছে আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থা?

ছবি

ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে সিএনজি-ট্যাক্সি চলাচল নিষিদ্ধের আহ্বান

ছবি

ভবদহে জলাবদ্ধতা নিরসনে জরুরি টিআরএম প্রকল্প বাস্তবায়ন প্রয়োজন

গণপরিবহনে নারীর নিরাপত্তা নিশ্চিত হোক

পোস্তগোলা থানা গঠনের দাবি

বিশ্ববিদ্যালয়ে অ্যামেরিকান স্টাডিজ কোর্স চালুর প্রয়োজনীয়তা

ছবি

প্রাথমিক শিক্ষায় শিক্ষক সংকট

শিক্ষকদের বেতন-ভাতার বৈষম্য দূর করতে হবে

বাংলাদেশ টেলিভিশন চট্টগ্রাম কেন্দ্রের সংবাদ প্রসঙ্গে

মাটি কেটে নষ্ট হচ্ছে ফসলি জমি

পিঠা উৎসব : ঐতিহ্যের পুনরুত্থান ও জনপ্রিয়তা

পরিবেশ সুরক্ষায় সবুজ অর্থনীতি

পানির অপচয় রোধে সচেতনতা

নিরাপত্তায় মনোযোগ বাড়ানো জরুরি

ছবি

প্লাস্টিক দূষণ : সমাধানের পথ কী?

ছাত্রত্বহীন আদুভাইদের রাজনীতি বন্ধ হোক

অগ্নিকা- থেকে মুক্তির উপায় কী?

ছবি

নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে কাঁকড়া শিকার

ছবি

টিসিবির ট্রাকে চাল নেই কেন?

মেট্রোরেলে মশা

ছবি

গণপরিবহনে নারী আসনের অপ্রতুলতা

ছবি

অভিযান যেন একতরফা না হয়

পরিবহন ভাড়া কমান

ইন্টারনেট প্রযুক্তির গুরুত্ব

ছবি

বই নির্বাচন, বন্ধু নির্বাচনের মতো গুরুত্বপূর্ণ

অব্যবস্থাপনার দিকে মেট্রোরেল

সাহিত্যের সঙ্গে সাংবাদিকতার সম্পর্ক : বিশ্লেষণ

কুষ্টিয়া-ঝিনাইদহ মহাসড়কের সংস্কার চাই

খাল খনন করুন

ছিনতাইকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

মুন্সীগঞ্জের মিরকাদিম পৌরসভার খাল ভরাটের কারণে বেহাল দশা

ছবি

রেলক্রসিং যেন মরণ ফাঁদ

tab

বায়ুদূষণ

বুধবার, ০৮ জানুয়ারী ২০২৫

বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকা। ঢাকা শহরে অনেক লোকের বসবাস। ঢাকা শহরের রাস্তা-ঘাট ধুলায় পরিপূর্ণ। যার কারণে নিয়মিত বায়ুদূষণ হচ্ছে। বায়দূষণের ফলে মানুষের স্বাভাবিক চলাফেরায় ব্যাঘাত ঘটছে। ২০২৩ সালের বিবিসি বাংলার এক প্রতিবেদন থেকে আমরা জানতে পারি ঢাকায় বায়ুদূষণের পেছনে কয়েকটি কারণ রয়েছে। এর অন্যতম হলো ইটভাটার দূষণ, যান্ত্রিক যানের কালো ধোঁয়া, নির্মাণকাজ এবং ময়লা পোড়ানো। ২০১৬ সালে পরিবেশ দপ্তর এক গবেষণা করে। এ গবেষণায় দেখা যায়, শুষ্ক মৌসুমে ঢাকা শহরের বস্তুকনা দ্বারা বায়ু দূষণের জন্য ইটভাটা ৫৮ শতাংশ দায়ী। এছাড়া সড়ক ও মাটি থেকে সৃষ্ট ধুলা দ্বারা ১৮ শতাংশ, যানবাহনের জন্য ১০ শতাংশ, বিভিন্ন জিনিসপত্র পোড়ানোর জন্য ৮ শতাংশ এবং অন্যান্য কারণে ৬ শতাংশ বায়ুদূষণ ঘটছে। তথ্যমতে, নভেম্বর থেকে মার্চ এ সময় ঢাকার বায়ুদূষণের মান সবচেয়ে খারাপ থাকে।

সর্বোপরি, এই সময়ে কিছু পদক্ষেপ নেয়া যেতে পারে, যার মাধ্যমে কিছুটা বায়ুদূষণ কমানো সম্ভব। সর্বপ্রথম ঢাকার আশপাশে যেসব ইটভাটা আছে সেগুলোর ওপর নিয়ন্ত্রণ আনতে হবে। ইটভাটাগুলোর উৎপাদন প্রক্রিয়া কিছুটা সীমিত করা যেতে পারে। কারণ ঢাকার আশপাশে একহাজার দুইশ ইটভাটা আছে। যা হুট করে বন্ধ করে দেয়া সম্ভব নয়। একইভাবে যেসব শিল্প প্রতিষ্ঠান বায়ুদূষণের জন্য দায়ী তাদের ক্ষেত্রে ও অনুরূপ পদক্ষেপ নেয়া যেতে পারে। পৃথিবীর অন্যতম শিল্পোন্নত দেশ চীনের বেইজিং নগরীর বায়ুদূষণ যখন বৃদ্ধি পায়, তখন তারা শহরের আশপাশের শিল্পকারখানা বন্ধ করে দেয়। এরূপ পদক্ষেপ বাংলাদেশে ও নেয়া হলে মানুষ স্বস্তির নিঃশ্বাস নিতে পারবে। তাই এখন আমাদের স্লোগান হওয়া উচিত, বায়ুদূষণ নিপাত যাক, বাংলাদেশ মুক্তি পাক।

ইমরান ফয়সাল

শিক্ষার্থী, ঢাকা কলেজ, ঢাকা

back to top