alt

পাঠকের চিঠি

অভিযান যেন একতরফা না হয়

: বুধবার, ১২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

প্রকাশ, অপারেশন ডেভিল হান্ট একটি বিশেষ অভিযান, যা বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক ৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ সালে শুরু করা হয়েছে। এই অভিযানের মূল উদ্দেশ্য দেশব্যাপী সন্ত্রাসবাদ দমন, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি করা এবং অপরাধীদের আইনের আওতায় নিয়ে আসা। বিশেষ করে, গাজীপুরের সাম্প্রতিক সহিংস ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে এই অভিযান পরিচালনার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।

অনেকের মনে প্রশ্ন জেগেছে, এত হিংসা, এত বিদ্বেষ, এত প্রতিহিংসা, এত রক্তপাত -মৃত্যু, এত হামলা, এত অগ্নিসংযোগ, এত বুলডোজার চালানো হল দীর্ঘ ৬ মাস ধরে - তখন কেন নিশ্চুপ ছিল এমন অভিযানের উদ্যোগ! বহু ক্ষয়ক্ষতি, জানমালের অবর্ণনীয়-মর্মান্তিক ঘটনার পরে কেন এই অভিযান। কত প্রাণ হল বলিদান, কত ঘরবাড়ি হল লুঠপাট, কত স্থাপনা মাটির সঙ্গে মিশিয়ে দিল অপরাধীরা সবার সম্মুখে - এসব ক্ষয়ক্ষতির দায়দায়িত্ব এখন কে নেবে?

আজ বাংলাদেশের আপামর জনগণের দাবি, গত বছরের জুলাই থেকে এ পর্যন্ত যারা যেখানে যেখানে হত্যাকান্ড -সংহিসতা সংঘটিত করেছে ; যারা সরকারি

স্থাপনা স্মৃতিসৌধ বঙ্গবন্ধুর বাড়িসহ বিভিন্ন স্থানে হামলা, অগ্নিসংযোগ, বুলডোজার দিয়ে ভাঙচুর চালিয়েছে তাদেরকেই প্রথমে এই অভিযানের মধ্যে এনে গ্রেফতার করা হোক। অবশ্যই তা প্রমাণ সাপেক্ষে হতে হবে। সব ধরনের অপরাধীদের বিচার করা হবে, এটাই এখন বাংলাদেশের মানুষ দেখতে চায়। বিচার ব্যবস্থা হোক সবার জন্য সমান। শুধু একটি নির্দিষ্ট দলের কর্মীদের গ্রেফতার করা হলে তা হবে এক ধরনের হাস্যকর একতরফা অভিযান, বরং অন্য সব দলের সন্ত্রাসীদেরকে উৎসাহিত করা। বিচারের বাণী যেন নীরবে নিভৃতে না কাঁদে! একতরফা অভিযান হলে তা বাংলাদেশের আপামর জনতা প্রত্যাখ্যান করবেই! ইতিহাস তো তাই বলে!

লিয়াকত হোসেন খোকন,

রূপনগর, ঢাকা, বাংলাদেশ।

পরিবহন ভাড়া কমান

ইন্টারনেট প্রযুক্তির গুরুত্ব

ছবি

বই নির্বাচন, বন্ধু নির্বাচনের মতো গুরুত্বপূর্ণ

অব্যবস্থাপনার দিকে মেট্রোরেল

সাহিত্যের সঙ্গে সাংবাদিকতার সম্পর্ক : বিশ্লেষণ

কুষ্টিয়া-ঝিনাইদহ মহাসড়কের সংস্কার চাই

খাল খনন করুন

ছিনতাইকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

মুন্সীগঞ্জের মিরকাদিম পৌরসভার খাল ভরাটের কারণে বেহাল দশা

ছবি

রেলক্রসিং যেন মরণ ফাঁদ

ছবি

অবৈধ পথে ইউরোপ যাত্রা : স্বপ্ন নাকি মৃত্যুর ফাঁদ?

ছাতারপাইয়ায় রাস্তা সংস্কার জরুরি

বইয়ের আলোয় দূর হোক অন্ধকার

পোস্তগোলা রাস্তার শোচনীয় অবস্থা

কৃষক কাঁদে, ভোক্তাও কাঁদে

হতাশার আরেক নাম ভর্তি পরীক্ষা

চট্টগ্রামের পাঁচলাইশে ক্ষতিগ্রস্তদের লিজ দলিল দিন

ছবি

সাতার শেখা জরুরি

গুচ্ছ ভর্তি প্রক্রিয়া : শিক্ষার্থীদের জন্য স্বস্তি নাকি ভোগান্তি?

ছবি

বন্ধ করা হোক ফিটনেসবিহীন যানবাহন

ছবি

অমর একুশে বইমেলা

মানুষের দাবি ও জনদুর্ভোগ

ছবি

মেট্রোরেল স্টেশনে বিড়ম্বনা কেন?

ট্রেন চলাচল বন্ধ : সংকট সমাধানে আলোচনা করতে হবে

ছবি

খেলার মাঠের অভাবে শিশুর মানসিক বিকাশ ব্যাহত হচ্ছে

ল্যাম্পপোস্ট মেরামত করুন

পর্যটকদের নিরাপত্তা

শীতে গরম পানি ব্যবহার করা ও আগুন পোহাতে সচেতন হতে হবে

ছিন্নমূল শীতার্তদের দিকে নজর দেয়া উচিত

ছবি

রোজায় নিত্যপণ্যের দাম সহনীয় রাখতে এখন থেকেই ব্যবস্থা নিন

নিপাহ ভাইরাস প্রতিরোধে জনসচেতনতা জরুরি

ছাত্র সংসদ চালু করা এখন সময়ের দাবি

রেলপথের অনেক সিগন্যালেরই আয়ূষ্কাল শেষ

ছবি

ভোজ্যতেলের বাজারে তদারকি প্রয়োজন

ছবি

সড়কে বেপরোয়া বাইক

বেকারত্বের ফাঁদ

tab

পাঠকের চিঠি

অভিযান যেন একতরফা না হয়

বুধবার, ১২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

প্রকাশ, অপারেশন ডেভিল হান্ট একটি বিশেষ অভিযান, যা বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক ৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ সালে শুরু করা হয়েছে। এই অভিযানের মূল উদ্দেশ্য দেশব্যাপী সন্ত্রাসবাদ দমন, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি করা এবং অপরাধীদের আইনের আওতায় নিয়ে আসা। বিশেষ করে, গাজীপুরের সাম্প্রতিক সহিংস ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে এই অভিযান পরিচালনার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।

অনেকের মনে প্রশ্ন জেগেছে, এত হিংসা, এত বিদ্বেষ, এত প্রতিহিংসা, এত রক্তপাত -মৃত্যু, এত হামলা, এত অগ্নিসংযোগ, এত বুলডোজার চালানো হল দীর্ঘ ৬ মাস ধরে - তখন কেন নিশ্চুপ ছিল এমন অভিযানের উদ্যোগ! বহু ক্ষয়ক্ষতি, জানমালের অবর্ণনীয়-মর্মান্তিক ঘটনার পরে কেন এই অভিযান। কত প্রাণ হল বলিদান, কত ঘরবাড়ি হল লুঠপাট, কত স্থাপনা মাটির সঙ্গে মিশিয়ে দিল অপরাধীরা সবার সম্মুখে - এসব ক্ষয়ক্ষতির দায়দায়িত্ব এখন কে নেবে?

আজ বাংলাদেশের আপামর জনগণের দাবি, গত বছরের জুলাই থেকে এ পর্যন্ত যারা যেখানে যেখানে হত্যাকান্ড -সংহিসতা সংঘটিত করেছে ; যারা সরকারি

স্থাপনা স্মৃতিসৌধ বঙ্গবন্ধুর বাড়িসহ বিভিন্ন স্থানে হামলা, অগ্নিসংযোগ, বুলডোজার দিয়ে ভাঙচুর চালিয়েছে তাদেরকেই প্রথমে এই অভিযানের মধ্যে এনে গ্রেফতার করা হোক। অবশ্যই তা প্রমাণ সাপেক্ষে হতে হবে। সব ধরনের অপরাধীদের বিচার করা হবে, এটাই এখন বাংলাদেশের মানুষ দেখতে চায়। বিচার ব্যবস্থা হোক সবার জন্য সমান। শুধু একটি নির্দিষ্ট দলের কর্মীদের গ্রেফতার করা হলে তা হবে এক ধরনের হাস্যকর একতরফা অভিযান, বরং অন্য সব দলের সন্ত্রাসীদেরকে উৎসাহিত করা। বিচারের বাণী যেন নীরবে নিভৃতে না কাঁদে! একতরফা অভিযান হলে তা বাংলাদেশের আপামর জনতা প্রত্যাখ্যান করবেই! ইতিহাস তো তাই বলে!

লিয়াকত হোসেন খোকন,

রূপনগর, ঢাকা, বাংলাদেশ।

back to top