রাজধানী ঢাকায় নারীদের জন্য নিরাপদ যাতায়াত আজও নিশ্চিত হয়নি। প্রতিদিন অসংখ্য নারী শিক্ষা, চাকরি কিংবা প্রয়োজনীয় কাজে গণপরিবহন ব্যবহার করেন। কিন্তু এই যাত্রা তাদের অনেক সময় হয়ে দাঁড়ায় হয়রানির একটি কষ্টকর অভিজ্ঞতা। বাসে ওঠা থেকে নামা পর্যন্ত তাদের নানাভাবে বিড়ম্বনার শিকার হতে হয়। এর মধ্যে সবচেয়ে সাধারণ ও লজ্জাজনক সমস্যা হলো, সংরক্ষিত আসন থাকা সত্ত্বেও তা ব্যবহার করতে না পারা।
নারীদের জন্য নির্ধারিত আসনের সংখ্যা যেমন অপ্রতুল, তেমনি যেসব আসন সংরক্ষিত রয়েছে সেগুলোতেও পুরুষ যাত্রীদের দখলদারিত্ব যেন এক স্বাভাবিক চিত্র হয়ে দাঁড়িয়েছে। দেখা যায়, নারী যাত্রী দাঁড়িয়ে থাকলেও সেই সংরক্ষিত আসনে বসে থাকা পুরুষ যাত্রী উঠতে চান না। কেউ ঘুমের ভান করেন, কেউ চুপ থাকেন, কেউ বা উল্টো অসৌজন্যমূলক মন্তব্য করেন। কেউ প্রতিবাদ করলে তাঁকেই তাচ্ছিল্য সহ্য করতে হয়। এতে নারীরা শারীরিক কষ্টের পাশাপাশি প্রতিনিয়ত মানসিক হয়রানিরও শিকার হচ্ছেন।
এই অবস্থার পরিবর্তনে জরুরি ভিত্তিতে পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন। সংরক্ষিত আসনের ব্যবহার নিশ্চিত করতে চাই নিয়মিত নজরদারি এবং কঠোর আইন প্রয়োগ। পাশাপাশি যাত্রীদের মধ্যে সচেতনতা বাড়াতে গণমাধ্যম ও পরিবহন কর্তৃপক্ষকে উদ্যোগী হতে হবে। নারীবান্ধব পরিবহন ব্যবস্থা গড়ে তোলা কেবল নীতিগত অঙ্গীকারে সীমাবদ্ধ না রেখে বাস্তবে বাস্তবায়ন করতে হবে।
রিয়াদ হোসেন রাব্বি
বুধবার, ১৩ আগস্ট ২০২৫
রাজধানী ঢাকায় নারীদের জন্য নিরাপদ যাতায়াত আজও নিশ্চিত হয়নি। প্রতিদিন অসংখ্য নারী শিক্ষা, চাকরি কিংবা প্রয়োজনীয় কাজে গণপরিবহন ব্যবহার করেন। কিন্তু এই যাত্রা তাদের অনেক সময় হয়ে দাঁড়ায় হয়রানির একটি কষ্টকর অভিজ্ঞতা। বাসে ওঠা থেকে নামা পর্যন্ত তাদের নানাভাবে বিড়ম্বনার শিকার হতে হয়। এর মধ্যে সবচেয়ে সাধারণ ও লজ্জাজনক সমস্যা হলো, সংরক্ষিত আসন থাকা সত্ত্বেও তা ব্যবহার করতে না পারা।
নারীদের জন্য নির্ধারিত আসনের সংখ্যা যেমন অপ্রতুল, তেমনি যেসব আসন সংরক্ষিত রয়েছে সেগুলোতেও পুরুষ যাত্রীদের দখলদারিত্ব যেন এক স্বাভাবিক চিত্র হয়ে দাঁড়িয়েছে। দেখা যায়, নারী যাত্রী দাঁড়িয়ে থাকলেও সেই সংরক্ষিত আসনে বসে থাকা পুরুষ যাত্রী উঠতে চান না। কেউ ঘুমের ভান করেন, কেউ চুপ থাকেন, কেউ বা উল্টো অসৌজন্যমূলক মন্তব্য করেন। কেউ প্রতিবাদ করলে তাঁকেই তাচ্ছিল্য সহ্য করতে হয়। এতে নারীরা শারীরিক কষ্টের পাশাপাশি প্রতিনিয়ত মানসিক হয়রানিরও শিকার হচ্ছেন।
এই অবস্থার পরিবর্তনে জরুরি ভিত্তিতে পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন। সংরক্ষিত আসনের ব্যবহার নিশ্চিত করতে চাই নিয়মিত নজরদারি এবং কঠোর আইন প্রয়োগ। পাশাপাশি যাত্রীদের মধ্যে সচেতনতা বাড়াতে গণমাধ্যম ও পরিবহন কর্তৃপক্ষকে উদ্যোগী হতে হবে। নারীবান্ধব পরিবহন ব্যবস্থা গড়ে তোলা কেবল নীতিগত অঙ্গীকারে সীমাবদ্ধ না রেখে বাস্তবে বাস্তবায়ন করতে হবে।
রিয়াদ হোসেন রাব্বি