alt

পাঠকের চিঠি

ভবদহে জলাবদ্ধতা নিরসনে জরুরি টিআরএম প্রকল্প বাস্তবায়ন প্রয়োজন

: বুধবার, ১৩ আগস্ট ২০২৫

এলাকার মানুষের দীর্ঘদিনের দাবি টিআরএম (টাইডাল রিভার ম্যানেজমেন্ট) প্রকল্প চালুর। কিন্তু বহু প্রতীক্ষার পরও তা আজও বাস্তবায়িত হয়নি। এর ফলে চলতি মৌসুমে ভবদহ সংলগ্ন গ্রামগুলো প্রায় মানবিক বিপর্যয়ের মুখে পড়েছে। বিস্তীর্ণ এলাকায় জলাবদ্ধতার কারণে নষ্ট হয়েছে বিপুল পরিমাণ ফসল। ভবদহ সংগ্রাম কমিটি সূত্রে জানা গেছে, যশোরের মণিরামপুর, কেশবপুর, অভয়নগর এবং খুলনার ডুমুরিয়া উপজেলার শতাধিক গ্রাম ও প্রায় ১০ লক্ষাধিক মানুষ ভয়াবহ দুর্ভোগে রয়েছে। স্কুল, কলেজ, রাস্তাঘাট, মসজিদ, মন্দির, কবরস্থান ও ফসলের ক্ষেত তলিয়ে গেছে পানিতে। অনেক পরিবার বসতবাড়ি ছেড়ে অন্যত্র আশ্রয় নিতে বাধ্য হয়েছে।

গেটের উজান ও ভাটির এলাকায় উত্তর দিকে ছয় কিলোমিটার পর্যন্ত পলি পড়ে নদী একেবারেই ভরাট হয়ে গেছে। ২১ পোল্ডারের উত্তরে বারবার স্কেভেটর দিয়ে খনন করেও কার্যকর কোনো ফল পাওয়া যায়নি। গেটের দক্ষিণের অবস্থা আরও করুণÑ সেখানে মানুষ ‘পাঠা’ দিয়ে মাছ ধরছে। নয় ভেল্টের উত্তর পাশে পলি পড়ে জায়গাটি খেলার মাঠে পরিণত হয়েছে। এদিকে গেটের সবগুলো মুখ পলিতে বন্ধ হয়ে পাথরের মতো শক্ত হয়ে গেছে।

পানি নিষ্কাশন কমিটির অভিযোগ, একটি কুচক্রী মহল দীর্ঘদিন ধরে টি আর এম প্রকল্পের বিরোধিতা করছে। এই চক্রটি পানি সম্পদ মন্ত্রণালয় ও পানি উন্নয়ন বোর্ডকে বিভ্রান্ত করে চলেছে এবং গত পাঁচ বছরে মাটি কাটার নামে কোটি কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছে।

প্রসঙ্গত, ১৯৫৫ সালে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের দক্ষিণাঞ্চলে প্রবল বন্যায় ব্যাপক প্রাণহানি ও ফসলহানি ঘটে এবং সৃষ্টি হয় স্থায়ী জলাবদ্ধতা। এ সময় মওলানা ভাসানী, শেখ মুজিবুর রহমান ও শেরেবাংলা এ কে ফজলুল হক জলাবদ্ধতা নিরসনের দাবিতে সোচ্চার হয়ে ওঠেন, যা পাক সরকারকে বিব্রতকর অবস্থায় ফেলে। পরে ১৯৫৯ সালে পাক সরকার (সিইএফ) কোস্টাল এমব্যাঙ্কমেন্ট প্রজেক্ট চালু করে, যার মূল লক্ষ্য ছিল জলোচ্ছ্বাস ও প্লাবনের মতো প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলা করে প্রাণহানি ও ফসলহানি রোধ করা। কিন্তু বাস্তবে এ প্রকল্প কোনো কার্যকর সুফল বয়ে আনতে পারেনি।

সামসুজ্জামান

ছবি

গার্মেন্টস শ্রমিকের মানবিক অধিকার নিশ্চিতকরণ জরুরি

নিউমার্কেটে সড়ক-ফুটপাত দখলমুক্ত করা জরুরি

সুন্দরবন রক্ষায় দ্রুত পদক্ষেপ প্রয়োজন

আগুনের শিখায় ভস্মীভূত স্বপ্ন

কোথায় যাচ্ছে আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থা?

ছবি

ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে সিএনজি-ট্যাক্সি চলাচল নিষিদ্ধের আহ্বান

গণপরিবহনে নারীর নিরাপত্তা নিশ্চিত হোক

পোস্তগোলা থানা গঠনের দাবি

বিশ্ববিদ্যালয়ে অ্যামেরিকান স্টাডিজ কোর্স চালুর প্রয়োজনীয়তা

ছবি

প্রাথমিক শিক্ষায় শিক্ষক সংকট

শিক্ষকদের বেতন-ভাতার বৈষম্য দূর করতে হবে

বাংলাদেশ টেলিভিশন চট্টগ্রাম কেন্দ্রের সংবাদ প্রসঙ্গে

মাটি কেটে নষ্ট হচ্ছে ফসলি জমি

পিঠা উৎসব : ঐতিহ্যের পুনরুত্থান ও জনপ্রিয়তা

পরিবেশ সুরক্ষায় সবুজ অর্থনীতি

পানির অপচয় রোধে সচেতনতা

নিরাপত্তায় মনোযোগ বাড়ানো জরুরি

ছবি

প্লাস্টিক দূষণ : সমাধানের পথ কী?

ছাত্রত্বহীন আদুভাইদের রাজনীতি বন্ধ হোক

অগ্নিকা- থেকে মুক্তির উপায় কী?

ছবি

নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে কাঁকড়া শিকার

ছবি

টিসিবির ট্রাকে চাল নেই কেন?

মেট্রোরেলে মশা

ছবি

গণপরিবহনে নারী আসনের অপ্রতুলতা

ছবি

অভিযান যেন একতরফা না হয়

পরিবহন ভাড়া কমান

ইন্টারনেট প্রযুক্তির গুরুত্ব

ছবি

বই নির্বাচন, বন্ধু নির্বাচনের মতো গুরুত্বপূর্ণ

অব্যবস্থাপনার দিকে মেট্রোরেল

সাহিত্যের সঙ্গে সাংবাদিকতার সম্পর্ক : বিশ্লেষণ

কুষ্টিয়া-ঝিনাইদহ মহাসড়কের সংস্কার চাই

খাল খনন করুন

ছিনতাইকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

মুন্সীগঞ্জের মিরকাদিম পৌরসভার খাল ভরাটের কারণে বেহাল দশা

ছবি

রেলক্রসিং যেন মরণ ফাঁদ

ছবি

অবৈধ পথে ইউরোপ যাত্রা : স্বপ্ন নাকি মৃত্যুর ফাঁদ?

tab

পাঠকের চিঠি

ভবদহে জলাবদ্ধতা নিরসনে জরুরি টিআরএম প্রকল্প বাস্তবায়ন প্রয়োজন

বুধবার, ১৩ আগস্ট ২০২৫

এলাকার মানুষের দীর্ঘদিনের দাবি টিআরএম (টাইডাল রিভার ম্যানেজমেন্ট) প্রকল্প চালুর। কিন্তু বহু প্রতীক্ষার পরও তা আজও বাস্তবায়িত হয়নি। এর ফলে চলতি মৌসুমে ভবদহ সংলগ্ন গ্রামগুলো প্রায় মানবিক বিপর্যয়ের মুখে পড়েছে। বিস্তীর্ণ এলাকায় জলাবদ্ধতার কারণে নষ্ট হয়েছে বিপুল পরিমাণ ফসল। ভবদহ সংগ্রাম কমিটি সূত্রে জানা গেছে, যশোরের মণিরামপুর, কেশবপুর, অভয়নগর এবং খুলনার ডুমুরিয়া উপজেলার শতাধিক গ্রাম ও প্রায় ১০ লক্ষাধিক মানুষ ভয়াবহ দুর্ভোগে রয়েছে। স্কুল, কলেজ, রাস্তাঘাট, মসজিদ, মন্দির, কবরস্থান ও ফসলের ক্ষেত তলিয়ে গেছে পানিতে। অনেক পরিবার বসতবাড়ি ছেড়ে অন্যত্র আশ্রয় নিতে বাধ্য হয়েছে।

গেটের উজান ও ভাটির এলাকায় উত্তর দিকে ছয় কিলোমিটার পর্যন্ত পলি পড়ে নদী একেবারেই ভরাট হয়ে গেছে। ২১ পোল্ডারের উত্তরে বারবার স্কেভেটর দিয়ে খনন করেও কার্যকর কোনো ফল পাওয়া যায়নি। গেটের দক্ষিণের অবস্থা আরও করুণÑ সেখানে মানুষ ‘পাঠা’ দিয়ে মাছ ধরছে। নয় ভেল্টের উত্তর পাশে পলি পড়ে জায়গাটি খেলার মাঠে পরিণত হয়েছে। এদিকে গেটের সবগুলো মুখ পলিতে বন্ধ হয়ে পাথরের মতো শক্ত হয়ে গেছে।

পানি নিষ্কাশন কমিটির অভিযোগ, একটি কুচক্রী মহল দীর্ঘদিন ধরে টি আর এম প্রকল্পের বিরোধিতা করছে। এই চক্রটি পানি সম্পদ মন্ত্রণালয় ও পানি উন্নয়ন বোর্ডকে বিভ্রান্ত করে চলেছে এবং গত পাঁচ বছরে মাটি কাটার নামে কোটি কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছে।

প্রসঙ্গত, ১৯৫৫ সালে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের দক্ষিণাঞ্চলে প্রবল বন্যায় ব্যাপক প্রাণহানি ও ফসলহানি ঘটে এবং সৃষ্টি হয় স্থায়ী জলাবদ্ধতা। এ সময় মওলানা ভাসানী, শেখ মুজিবুর রহমান ও শেরেবাংলা এ কে ফজলুল হক জলাবদ্ধতা নিরসনের দাবিতে সোচ্চার হয়ে ওঠেন, যা পাক সরকারকে বিব্রতকর অবস্থায় ফেলে। পরে ১৯৫৯ সালে পাক সরকার (সিইএফ) কোস্টাল এমব্যাঙ্কমেন্ট প্রজেক্ট চালু করে, যার মূল লক্ষ্য ছিল জলোচ্ছ্বাস ও প্লাবনের মতো প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলা করে প্রাণহানি ও ফসলহানি রোধ করা। কিন্তু বাস্তবে এ প্রকল্প কোনো কার্যকর সুফল বয়ে আনতে পারেনি।

সামসুজ্জামান

back to top