ধরুন-একটি কারখানায় কাঁচামাল খারাপ, যন্ত্রপাতি পুরোনো আর শ্রমিকরা অদক্ষÑতাহলে কি সেখানে ভালো পণ্য তৈরি সম্ভব? আমাদের দেশের শিক্ষাব্যবস্থাও অনেকটা তেমন। শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও শিক্ষানীতিÑএই তিন উপাদানের প্রতিটিতেই রয়েছে ঘাটতি। ফলে শিক্ষার বিস্তার ঘটলেও মান উন্নয়ন হয়নি। আজও শিক্ষাদান মানে যেন শুধুই মুখস্থ করা, পরীক্ষায় পাস করাÑবুঝে শেখা নয়।
ফলে গড়ে উঠছে এক সার্টিফিকেটধারী প্রজন্ম, যাদের অনেকেই বাস্তব সমস্যার সমাধান করতে পারে না, চিন্তাশক্তির অভাব দেখা দেয়। গবেষণায় দেখা গেছে, উচ্চমাধ্যমিক পেরিয়ে আসা শিক্ষার্থীদের বড় একটি অংশ গাণিতিক সমস্যা সমাধানে অক্ষম। নীতিমালা থাকলেও তার বাস্তবায়ন ধীর এবং জটিলতায় জর্জরিত। শিক্ষকরা পর্যাপ্ত প্রশিক্ষণ পান না, পাঠ্যবইয়ের বিষয়বস্তু বাস্তবজীবনের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ নয়।
শিক্ষাজীবনের সময়কাল যেমন অকারণে দীর্ঘ, তেমনি এর উপযোগিতা অনেক কম। শিক্ষার্থীদের হাতে-কলমে শেখার সুযোগ নেই, উদ্যোক্তা বা পেশাভিত্তিক শিক্ষাও অনুপস্থিত। স্কুলে শুধু উদ্যোক্তার জীবন কাহিনি মুখস্থ করানো হয়, বাস্তব শিক্ষা দেওয়া হয় না। একইভাবে কৃষিকাজ শেখানো হয় বইয়ে, মাঠে নয়। ফলে শেখা হয় শুধু কাগজে, জীবনে নয়।
এই সংকট থেকে উত্তরণের জন্য শিক্ষাদানে পরিবর্তন আনতে হবে। মুখস্থ নয়, শেখাতে হবে বিশ্লেষণ, সমাধান ও চিন্তা করতে। শিক্ষা হতে হবে নেতৃত্ব, দলগত কাজ, সহানুভূতি ও নৈতিক গুণাবলী তৈরির একটি প্রক্রিয়া। শিক্ষাজীবন সংক্ষিপ্ত করে আগেভাগেই শিক্ষার্থীদের আগ্রহ ও দক্ষতা শনাক্ত করার সুযোগ দিতে হবে।
সবচেয়ে বড় কথা, শিক্ষা যেন মানুষ গঠনের মাধ্যমে নিজের পরিচয় খুঁজে পাওয়ার একটি যাত্রা হয়। ছাত্র যেন বলতে পারেÑ‘এই স্কুলটি আমাকে মানুষ করেছে, এখানেই আমি নিজেকে চিনেছি।’
রিশাদ আহমেদ
বুধবার, ১৩ আগস্ট ২০২৫
ধরুন-একটি কারখানায় কাঁচামাল খারাপ, যন্ত্রপাতি পুরোনো আর শ্রমিকরা অদক্ষÑতাহলে কি সেখানে ভালো পণ্য তৈরি সম্ভব? আমাদের দেশের শিক্ষাব্যবস্থাও অনেকটা তেমন। শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও শিক্ষানীতিÑএই তিন উপাদানের প্রতিটিতেই রয়েছে ঘাটতি। ফলে শিক্ষার বিস্তার ঘটলেও মান উন্নয়ন হয়নি। আজও শিক্ষাদান মানে যেন শুধুই মুখস্থ করা, পরীক্ষায় পাস করাÑবুঝে শেখা নয়।
ফলে গড়ে উঠছে এক সার্টিফিকেটধারী প্রজন্ম, যাদের অনেকেই বাস্তব সমস্যার সমাধান করতে পারে না, চিন্তাশক্তির অভাব দেখা দেয়। গবেষণায় দেখা গেছে, উচ্চমাধ্যমিক পেরিয়ে আসা শিক্ষার্থীদের বড় একটি অংশ গাণিতিক সমস্যা সমাধানে অক্ষম। নীতিমালা থাকলেও তার বাস্তবায়ন ধীর এবং জটিলতায় জর্জরিত। শিক্ষকরা পর্যাপ্ত প্রশিক্ষণ পান না, পাঠ্যবইয়ের বিষয়বস্তু বাস্তবজীবনের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ নয়।
শিক্ষাজীবনের সময়কাল যেমন অকারণে দীর্ঘ, তেমনি এর উপযোগিতা অনেক কম। শিক্ষার্থীদের হাতে-কলমে শেখার সুযোগ নেই, উদ্যোক্তা বা পেশাভিত্তিক শিক্ষাও অনুপস্থিত। স্কুলে শুধু উদ্যোক্তার জীবন কাহিনি মুখস্থ করানো হয়, বাস্তব শিক্ষা দেওয়া হয় না। একইভাবে কৃষিকাজ শেখানো হয় বইয়ে, মাঠে নয়। ফলে শেখা হয় শুধু কাগজে, জীবনে নয়।
এই সংকট থেকে উত্তরণের জন্য শিক্ষাদানে পরিবর্তন আনতে হবে। মুখস্থ নয়, শেখাতে হবে বিশ্লেষণ, সমাধান ও চিন্তা করতে। শিক্ষা হতে হবে নেতৃত্ব, দলগত কাজ, সহানুভূতি ও নৈতিক গুণাবলী তৈরির একটি প্রক্রিয়া। শিক্ষাজীবন সংক্ষিপ্ত করে আগেভাগেই শিক্ষার্থীদের আগ্রহ ও দক্ষতা শনাক্ত করার সুযোগ দিতে হবে।
সবচেয়ে বড় কথা, শিক্ষা যেন মানুষ গঠনের মাধ্যমে নিজের পরিচয় খুঁজে পাওয়ার একটি যাত্রা হয়। ছাত্র যেন বলতে পারেÑ‘এই স্কুলটি আমাকে মানুষ করেছে, এখানেই আমি নিজেকে চিনেছি।’
রিশাদ আহমেদ