আগুন কেবল উষ্ণতা ও আলো নয়, অসতর্ক মুহূর্তে তা হয়ে উঠতে পারে সর্বনাশের প্রতীক। বাংলাদেশে অগ্নিকা- আজ ভয়াবহ এক আতঙ্কের নাম। গুলিস্তান, নিউ সুপার মার্কেট, বনানী, চকবাজার কিংবা সীতাকু-Ñ যেখানেই আগুন লেগেছে, সেখানেই শুধু দোকান বা ভবন পুড়েনি, পুড়েছে মানুষ, স্বপ্ন, সংসার। দ্রুত নগরায়নের সঙ্গে তাল না মেলায় নিরাপত্তা ব্যবস্থার দুর্বলতা এখন অগ্নিকা-ের বড় কারণ।
২০২৩ সালে ২১ হাজারের বেশি অগ্নিকা- ঘটেছেÑক্ষতি হয়েছে হাজার কোটি টাকারও বেশি। প্রাণহানি ঘটেছে বহু। ফায়ার সার্ভিসের দেরি, যন্ত্রপাতির দুর্বলতা, মানুষের ভিড় ও যানজটের কারণে উদ্ধার কাজ হয় আরও জটিল। অধিকাংশ ভবনে অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা নেই, নেই জরুরি নির্গমন পথ। এ ছাড়া, বৈদ্যুতিক ত্রুটি, গ্যাস লিকেজ, সেফটি ছাড়াই ভবন নির্মাণ এবং কর্তৃপক্ষের দুর্নীতি ও অবহেলা পরিস্থিতিকে করে তুলছে আরও জটিল ও বিপজ্জনক।
এ সংকট থেকে বেরিয়ে আসতে হলে চাই সমন্বিত পদক্ষেপ। ভবন নির্মাণে ফায়ার লাইসেন্স ও সেফটি ডিজাইন বাধ্যতামূলক করতে হবে। প্রতিটি ভবনে থাকতে হবে অগ্নিনির্বাপণ যন্ত্র, অ্যালার্ম, নির্গমন পথ ও প্রশিক্ষিত কর্মী। ফায়ার সার্ভিসকে আধুনিক যন্ত্রপাতি ও পর্যাপ্ত স্টাফিংয়ের মাধ্যমে শক্তিশালী করতে হবে। ঢাকাসহ বড় শহরগুলোতে ফায়ার স্টেশনের সংখ্যা বাড়ানো জরুরি। পাশাপাশি নাগরিক পর্যায়ে সচেতনতা গড়ে তুলতে হবে।
প্রতিটি অগ্নিকা- একটি শিক্ষা। এটি মনে করিয়ে দেয়, অবহেলা ও অব্যবস্থাপনার ফল কতটা ভয়াবহ হতে পারে। শুধু সম্পদের ক্ষতি নয়, আগুন কেড়ে নেয় মানুষ, পরিবার, ভবিষ্যৎ। তাই প্রয়োজন দায় এড়ানো নয়, বরং সমবেত দায়িত্ববোধ। রাষ্ট্র, সমাজ ও ব্যক্তি পর্যায়ে সকলে সচেতন হলে, প্রতিটি জীবন ও স্বপ্নকে নিরাপদ রাখা সম্ভব।
নুসরাত জাহান (স্মরণিকা)
বুধবার, ১৩ আগস্ট ২০২৫
আগুন কেবল উষ্ণতা ও আলো নয়, অসতর্ক মুহূর্তে তা হয়ে উঠতে পারে সর্বনাশের প্রতীক। বাংলাদেশে অগ্নিকা- আজ ভয়াবহ এক আতঙ্কের নাম। গুলিস্তান, নিউ সুপার মার্কেট, বনানী, চকবাজার কিংবা সীতাকু-Ñ যেখানেই আগুন লেগেছে, সেখানেই শুধু দোকান বা ভবন পুড়েনি, পুড়েছে মানুষ, স্বপ্ন, সংসার। দ্রুত নগরায়নের সঙ্গে তাল না মেলায় নিরাপত্তা ব্যবস্থার দুর্বলতা এখন অগ্নিকা-ের বড় কারণ।
২০২৩ সালে ২১ হাজারের বেশি অগ্নিকা- ঘটেছেÑক্ষতি হয়েছে হাজার কোটি টাকারও বেশি। প্রাণহানি ঘটেছে বহু। ফায়ার সার্ভিসের দেরি, যন্ত্রপাতির দুর্বলতা, মানুষের ভিড় ও যানজটের কারণে উদ্ধার কাজ হয় আরও জটিল। অধিকাংশ ভবনে অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা নেই, নেই জরুরি নির্গমন পথ। এ ছাড়া, বৈদ্যুতিক ত্রুটি, গ্যাস লিকেজ, সেফটি ছাড়াই ভবন নির্মাণ এবং কর্তৃপক্ষের দুর্নীতি ও অবহেলা পরিস্থিতিকে করে তুলছে আরও জটিল ও বিপজ্জনক।
এ সংকট থেকে বেরিয়ে আসতে হলে চাই সমন্বিত পদক্ষেপ। ভবন নির্মাণে ফায়ার লাইসেন্স ও সেফটি ডিজাইন বাধ্যতামূলক করতে হবে। প্রতিটি ভবনে থাকতে হবে অগ্নিনির্বাপণ যন্ত্র, অ্যালার্ম, নির্গমন পথ ও প্রশিক্ষিত কর্মী। ফায়ার সার্ভিসকে আধুনিক যন্ত্রপাতি ও পর্যাপ্ত স্টাফিংয়ের মাধ্যমে শক্তিশালী করতে হবে। ঢাকাসহ বড় শহরগুলোতে ফায়ার স্টেশনের সংখ্যা বাড়ানো জরুরি। পাশাপাশি নাগরিক পর্যায়ে সচেতনতা গড়ে তুলতে হবে।
প্রতিটি অগ্নিকা- একটি শিক্ষা। এটি মনে করিয়ে দেয়, অবহেলা ও অব্যবস্থাপনার ফল কতটা ভয়াবহ হতে পারে। শুধু সম্পদের ক্ষতি নয়, আগুন কেড়ে নেয় মানুষ, পরিবার, ভবিষ্যৎ। তাই প্রয়োজন দায় এড়ানো নয়, বরং সমবেত দায়িত্ববোধ। রাষ্ট্র, সমাজ ও ব্যক্তি পর্যায়ে সকলে সচেতন হলে, প্রতিটি জীবন ও স্বপ্নকে নিরাপদ রাখা সম্ভব।
নুসরাত জাহান (স্মরণিকা)