সুন্দরবন, বিশ্বের বৃহত্তম ম্যানগ্রোভ অরণ্য, বাংলাদেশের গর্ব ও জীববৈচিত্র্েযর এক অনন্য ধন। রয়েল বেঙ্গল টাইগার, চিত্রা হরিণ, বিরল ঘড়িয়াল, ডলফিনসহ অসংখ্য প্রাণীর আবাসস্থল এই বনভূমি আজ বিভিন্ন সংকটের সম্মুখীন। জলবায়ু পরিবর্তন, সমুদ্রপৃষ্ঠের বৃদ্ধির কারণে লবণাক্ততা বেড়ে যাচ্ছে, যা সুন্দরী ও গেওয়া গাছের “আগা মরা” রোগ সৃষ্টি করছে এবং বনের আয়তন কমাচ্ছে। এছাড়া শিল্প দূষণ, অবৈধ শিকার ও মানুষের অতিরিক্ত নির্ভরতা বন ও বন্যপ্রাণীর জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে।
সুন্দরবনের অর্থনৈতিক ও পরিবেশগত গুরুত্ব অপরিসীম। এখানকার বনজ সম্পদ ও প্রাণীরা স্থানীয় জীবিকা ও পরিবেশ রক্ষায় অবদান রাখে। তবে বন ও বন্যপ্রাণীর ওপর অতিরিক্ত চাপ ও দুষণ এই সিস্টেমের ভারসাম্য ভঙ্গ করছে। বিশেষ করে রয়েল বেঙ্গল টাইগারের আবাসস্থল সংকুচিত হওয়া এবং বিরল প্রাণীর বিলুপ্তির আশঙ্কা গভীর উদ্বেগের কারণ।
এই সংকট মোকাবেলায় কঠোর আইন প্রয়োগ, লবণাক্ততা সহনশীল গাছ রোপণ, দূষণ নিয়ন্ত্রণ, বনরক্ষীদের সক্ষমতা বৃদ্ধি ও বিকল্প জীবিকার ব্যবস্থা গ্রহণ জরুরি। পাশাপাশি আন্তর্জাতিক সহযোগিতার মাধ্যমে দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা গ্রহণ করতে হবে। সুন্দরবন কেবল একটি বন নয়, এটি বাংলাদেশের প্রাকৃতিক রক্ষাকবচ, যার সুরক্ষা সবার দায়িত্ব।
সময়ের মূল্য বুঝে আমাদের সবাইকে সুন্দরবনকে বাঁচিয়ে রাখতে আন্তরিক ও সম্মিলিত প্রচেষ্টা চালাতে হবে, নতুবা এই বিশ্বঐতিহ্যের সংকট বাংলাদেশেরই সংকট হয়ে দাঁড়াবে।
হেনা শিকদার
বুধবার, ১৩ আগস্ট ২০২৫
সুন্দরবন, বিশ্বের বৃহত্তম ম্যানগ্রোভ অরণ্য, বাংলাদেশের গর্ব ও জীববৈচিত্র্েযর এক অনন্য ধন। রয়েল বেঙ্গল টাইগার, চিত্রা হরিণ, বিরল ঘড়িয়াল, ডলফিনসহ অসংখ্য প্রাণীর আবাসস্থল এই বনভূমি আজ বিভিন্ন সংকটের সম্মুখীন। জলবায়ু পরিবর্তন, সমুদ্রপৃষ্ঠের বৃদ্ধির কারণে লবণাক্ততা বেড়ে যাচ্ছে, যা সুন্দরী ও গেওয়া গাছের “আগা মরা” রোগ সৃষ্টি করছে এবং বনের আয়তন কমাচ্ছে। এছাড়া শিল্প দূষণ, অবৈধ শিকার ও মানুষের অতিরিক্ত নির্ভরতা বন ও বন্যপ্রাণীর জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে।
সুন্দরবনের অর্থনৈতিক ও পরিবেশগত গুরুত্ব অপরিসীম। এখানকার বনজ সম্পদ ও প্রাণীরা স্থানীয় জীবিকা ও পরিবেশ রক্ষায় অবদান রাখে। তবে বন ও বন্যপ্রাণীর ওপর অতিরিক্ত চাপ ও দুষণ এই সিস্টেমের ভারসাম্য ভঙ্গ করছে। বিশেষ করে রয়েল বেঙ্গল টাইগারের আবাসস্থল সংকুচিত হওয়া এবং বিরল প্রাণীর বিলুপ্তির আশঙ্কা গভীর উদ্বেগের কারণ।
এই সংকট মোকাবেলায় কঠোর আইন প্রয়োগ, লবণাক্ততা সহনশীল গাছ রোপণ, দূষণ নিয়ন্ত্রণ, বনরক্ষীদের সক্ষমতা বৃদ্ধি ও বিকল্প জীবিকার ব্যবস্থা গ্রহণ জরুরি। পাশাপাশি আন্তর্জাতিক সহযোগিতার মাধ্যমে দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা গ্রহণ করতে হবে। সুন্দরবন কেবল একটি বন নয়, এটি বাংলাদেশের প্রাকৃতিক রক্ষাকবচ, যার সুরক্ষা সবার দায়িত্ব।
সময়ের মূল্য বুঝে আমাদের সবাইকে সুন্দরবনকে বাঁচিয়ে রাখতে আন্তরিক ও সম্মিলিত প্রচেষ্টা চালাতে হবে, নতুবা এই বিশ্বঐতিহ্যের সংকট বাংলাদেশেরই সংকট হয়ে দাঁড়াবে।
হেনা শিকদার