alt

পাঠকের চিঠি

গার্মেন্টস শ্রমিকের মানবিক অধিকার নিশ্চিতকরণ জরুরি

: বুধবার, ১৩ আগস্ট ২০২৫

গার্মেন্টস শিল্প বাংলাদেশের অর্থনীতির একটি প্রধান চালিকাশক্তি। এই শিল্প থেকে দেশের রপ্তানি আয়ের প্রায় ৮৪ শতাংশ আসে, কিন্তু এই সাফল্যের পেছনে যে শ্রমিকেরা রাতদিন পরিশ্রম করছেন, তাদের অবস্থার খবর তেমন সুখকর নয়। নিজের ঘাম ও পরিশ্রমে বিলিয়ন ডলারের পণ্য তৈরি হলেও শ্রমিকরা আজও মাস শেষে মাত্র কয়েক হাজার টাকা হাতে পান, যা দিয়ে জীবনের মৌলিক চাহিদা মেটানোও কঠিন। তাঁদের থাকার জায়গা হয় ঝুপড়ি, শিক্ষা-চিকিৎসা ও নিরাপদ আবাসনের স্বপ্ন বেমালুম অদূর ভবিষ্যতের গল্প।

বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব লেবার স্টাডিজের ২০২৩ সালের প্রতিবেদন অনুযায়ী, গার্মেন্ট শ্রমিকদের ৭২ শতাংশই মাসিক মজুরি দিয়ে বেঁচে থাকা মুশকিল মনে করেন। অধিকাংশ শ্রমিক প্রতিদিন ১০ ঘণ্টার বেশি সময় কাজ করেন, তবু তাঁদের হাতে আসে মাত্র ১২,৫০০ থেকে ১৪,০০০ টাকার মধ্যে। ঢাকার মতো শহরে এই মজুরি শুধু অপ্রতুল নয়, বরং অমানবিক। এই অবস্থা তৈরি হয়েছে মালিকপক্ষের একচ্ছত্র নিয়ন্ত্রণ, শ্রম আইনের দুর্বল প্রয়োগ ও শ্রমিকদের সংগঠিত হওয়ার সুযোগ না থাকার কারণে। বিশেষ করে নারী শ্রমিকরা আরও বেশি বৈষম্য ও হয়রানির শিকার হচ্ছেন।

তবে অন্যায়ের বিরুদ্ধে মুখ বুজে থাকা সমাধান নয়। ন্যায্য মজুরি নিশ্চিত করা, শ্রমিক ইউনিয়নের স্বাধীনতা ও কার্যকারিতা বাড়ানো, ফ্যাক্টরিতে নিয়মিত তদারকি ও নিরাপত্তা বজায় রাখা, নারী শ্রমিকদের জন্য নিরাপদ কর্মপরিবেশ ও মাতৃত্বকালীন সুবিধা নিশ্চিত করাÑএসব ব্যবস্থা নিতে হবে। এছাড়াও শ্রমিকদের জন্য আবাসন, স্বাস্থ্যসেবা ও শিক্ষাসুবিধা নিশ্চিত করাও সময়ের দাবি।

গার্মেন্টস শিল্প দেশের অর্থনৈতিক মেরুদ-। সেই মেরুদ- টেকসই রাখতে হলে শ্রমিকদের মানবিক জীবনযাত্রা নিশ্চিত করাই হবে মূল চাবিকাঠি। তারা বিলিয়ন ডলারের পণ্য তৈরি করে, তাদের পাওনা সম্মান ও অধিকারও নিশ্চিত করতে হবে। মানবিক দৃষ্টিভঙ্গি থেকে গার্মেন্টস শ্রমিকদের পাশে দাঁড়ানো এখন সময়ের সবচেয়ে জরুরি কাজ।

ফারিহা জামান নাবিলা

নিউমার্কেটে সড়ক-ফুটপাত দখলমুক্ত করা জরুরি

সুন্দরবন রক্ষায় দ্রুত পদক্ষেপ প্রয়োজন

আগুনের শিখায় ভস্মীভূত স্বপ্ন

কোথায় যাচ্ছে আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থা?

ছবি

ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে সিএনজি-ট্যাক্সি চলাচল নিষিদ্ধের আহ্বান

ছবি

ভবদহে জলাবদ্ধতা নিরসনে জরুরি টিআরএম প্রকল্প বাস্তবায়ন প্রয়োজন

গণপরিবহনে নারীর নিরাপত্তা নিশ্চিত হোক

পোস্তগোলা থানা গঠনের দাবি

বিশ্ববিদ্যালয়ে অ্যামেরিকান স্টাডিজ কোর্স চালুর প্রয়োজনীয়তা

ছবি

প্রাথমিক শিক্ষায় শিক্ষক সংকট

শিক্ষকদের বেতন-ভাতার বৈষম্য দূর করতে হবে

বাংলাদেশ টেলিভিশন চট্টগ্রাম কেন্দ্রের সংবাদ প্রসঙ্গে

মাটি কেটে নষ্ট হচ্ছে ফসলি জমি

পিঠা উৎসব : ঐতিহ্যের পুনরুত্থান ও জনপ্রিয়তা

পরিবেশ সুরক্ষায় সবুজ অর্থনীতি

পানির অপচয় রোধে সচেতনতা

নিরাপত্তায় মনোযোগ বাড়ানো জরুরি

ছবি

প্লাস্টিক দূষণ : সমাধানের পথ কী?

ছাত্রত্বহীন আদুভাইদের রাজনীতি বন্ধ হোক

অগ্নিকা- থেকে মুক্তির উপায় কী?

ছবি

নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে কাঁকড়া শিকার

ছবি

টিসিবির ট্রাকে চাল নেই কেন?

মেট্রোরেলে মশা

ছবি

গণপরিবহনে নারী আসনের অপ্রতুলতা

ছবি

অভিযান যেন একতরফা না হয়

পরিবহন ভাড়া কমান

ইন্টারনেট প্রযুক্তির গুরুত্ব

ছবি

বই নির্বাচন, বন্ধু নির্বাচনের মতো গুরুত্বপূর্ণ

অব্যবস্থাপনার দিকে মেট্রোরেল

সাহিত্যের সঙ্গে সাংবাদিকতার সম্পর্ক : বিশ্লেষণ

কুষ্টিয়া-ঝিনাইদহ মহাসড়কের সংস্কার চাই

খাল খনন করুন

ছিনতাইকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

মুন্সীগঞ্জের মিরকাদিম পৌরসভার খাল ভরাটের কারণে বেহাল দশা

ছবি

রেলক্রসিং যেন মরণ ফাঁদ

ছবি

অবৈধ পথে ইউরোপ যাত্রা : স্বপ্ন নাকি মৃত্যুর ফাঁদ?

tab

পাঠকের চিঠি

গার্মেন্টস শ্রমিকের মানবিক অধিকার নিশ্চিতকরণ জরুরি

বুধবার, ১৩ আগস্ট ২০২৫

গার্মেন্টস শিল্প বাংলাদেশের অর্থনীতির একটি প্রধান চালিকাশক্তি। এই শিল্প থেকে দেশের রপ্তানি আয়ের প্রায় ৮৪ শতাংশ আসে, কিন্তু এই সাফল্যের পেছনে যে শ্রমিকেরা রাতদিন পরিশ্রম করছেন, তাদের অবস্থার খবর তেমন সুখকর নয়। নিজের ঘাম ও পরিশ্রমে বিলিয়ন ডলারের পণ্য তৈরি হলেও শ্রমিকরা আজও মাস শেষে মাত্র কয়েক হাজার টাকা হাতে পান, যা দিয়ে জীবনের মৌলিক চাহিদা মেটানোও কঠিন। তাঁদের থাকার জায়গা হয় ঝুপড়ি, শিক্ষা-চিকিৎসা ও নিরাপদ আবাসনের স্বপ্ন বেমালুম অদূর ভবিষ্যতের গল্প।

বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব লেবার স্টাডিজের ২০২৩ সালের প্রতিবেদন অনুযায়ী, গার্মেন্ট শ্রমিকদের ৭২ শতাংশই মাসিক মজুরি দিয়ে বেঁচে থাকা মুশকিল মনে করেন। অধিকাংশ শ্রমিক প্রতিদিন ১০ ঘণ্টার বেশি সময় কাজ করেন, তবু তাঁদের হাতে আসে মাত্র ১২,৫০০ থেকে ১৪,০০০ টাকার মধ্যে। ঢাকার মতো শহরে এই মজুরি শুধু অপ্রতুল নয়, বরং অমানবিক। এই অবস্থা তৈরি হয়েছে মালিকপক্ষের একচ্ছত্র নিয়ন্ত্রণ, শ্রম আইনের দুর্বল প্রয়োগ ও শ্রমিকদের সংগঠিত হওয়ার সুযোগ না থাকার কারণে। বিশেষ করে নারী শ্রমিকরা আরও বেশি বৈষম্য ও হয়রানির শিকার হচ্ছেন।

তবে অন্যায়ের বিরুদ্ধে মুখ বুজে থাকা সমাধান নয়। ন্যায্য মজুরি নিশ্চিত করা, শ্রমিক ইউনিয়নের স্বাধীনতা ও কার্যকারিতা বাড়ানো, ফ্যাক্টরিতে নিয়মিত তদারকি ও নিরাপত্তা বজায় রাখা, নারী শ্রমিকদের জন্য নিরাপদ কর্মপরিবেশ ও মাতৃত্বকালীন সুবিধা নিশ্চিত করাÑএসব ব্যবস্থা নিতে হবে। এছাড়াও শ্রমিকদের জন্য আবাসন, স্বাস্থ্যসেবা ও শিক্ষাসুবিধা নিশ্চিত করাও সময়ের দাবি।

গার্মেন্টস শিল্প দেশের অর্থনৈতিক মেরুদ-। সেই মেরুদ- টেকসই রাখতে হলে শ্রমিকদের মানবিক জীবনযাত্রা নিশ্চিত করাই হবে মূল চাবিকাঠি। তারা বিলিয়ন ডলারের পণ্য তৈরি করে, তাদের পাওনা সম্মান ও অধিকারও নিশ্চিত করতে হবে। মানবিক দৃষ্টিভঙ্গি থেকে গার্মেন্টস শ্রমিকদের পাশে দাঁড়ানো এখন সময়ের সবচেয়ে জরুরি কাজ।

ফারিহা জামান নাবিলা

back to top