আরমীন আমীন ঐশী
প্রবাসী শ্রমিকরা নিজেদের জীবনকে কষ্টে নিমজ্জিত রেখে দেশের অর্থনীতিকে সচল রাখেন। পরিবার থেকে দূরে থেকে, দিনের পর দিন কঠোর পরিশ্রম করে, নানা অবমাননা সহ্য করেও তারা দেশে টাকা পাঠান। তাদের পাঠানো রেমিট্যান্স দেশের বৈদেশিক মুদ্রার ভাণ্ডার সমৃদ্ধ করে, উন্নয়ন প্রকল্পে জোগান দেয় এবং অর্থনীতিকে গতিশীল রাখে। অথচ দেশে ফিরে তারা প্রাপ্য মর্যাদা ও সুযোগ সুবিধা পান না। তাদের অবদান অমূল্য হলেও সামাজিক বাস্তবতায় তারা হয়ে ওঠেন অবহেলিত।
বাংলাদেশ শ্রমনির্ভর উন্নয়নশীল দেশ। এই উন্নয়নের বড় উৎস রেমিট্যান্স। সরকারি হিসাব অনুযায়ী, ২০২৪-২০২৫ অর্থবছরে মোট রেমিট্যান্সের প্রায় ৬৫ শতাংশই এসেছে প্রবাসী শ্রমিকদের ঘামঝরা উপার্জন থেকে। প্রতিবছর ১০-১২ লাখ শ্রমিক বিদেশে গেলেও তাদের মধ্যে বহুজন প্রতারণা ও শোষণের শিকার হন। চুক্তি অনুযায়ী বেতন না পাওয়া, কাজের পরিবেশ অমানবিক হওয়া, এমনকি শারীরিক নির্যাতনের ঘটনাও ঘটছে নিয়মিত। অনেক সময় দূতাবাস থেকেও পর্যাপ্ত সহায়তা মিলছে না। দেশে ফিরে তাদের দক্ষতা কাজে লাগানোর কোনো সুযোগ তৈরি হয় না, বরং তারা বেকারত্ব ও সামাজিক অবহেলার শিকার হন। শ্রমিকরা দেশের প্রকৃত উন্নয়নের কারিগর। তাদের রেমিট্যান্স শুধু অর্থ নয়, তাতে থাকে তাদের স্বপ্ন, আত্মত্যাগ ও অগণিত বেদনার গল্প। তাদের প্রতি অবহেলা মানে উন্নয়নের মূল ভিত্তিকে অস্বীকার করা। তাই এখন সময় এসেছে রাষ্ট্র ও সমাজ উভয়ের দৃষ্টিভঙ্গি পাল্টানোর। প্রবাসী শ্রমিকদের মর্যাদা ফিরিয়ে দেওয়া শুধু অর্থনৈতিক উন্নয়নের স্বার্থেই নয়, মানবতার দাবিতেও জরুরি।
আরমীন আমীন ঐশী
মঙ্গলবার, ২১ অক্টোবর ২০২৫
প্রবাসী শ্রমিকরা নিজেদের জীবনকে কষ্টে নিমজ্জিত রেখে দেশের অর্থনীতিকে সচল রাখেন। পরিবার থেকে দূরে থেকে, দিনের পর দিন কঠোর পরিশ্রম করে, নানা অবমাননা সহ্য করেও তারা দেশে টাকা পাঠান। তাদের পাঠানো রেমিট্যান্স দেশের বৈদেশিক মুদ্রার ভাণ্ডার সমৃদ্ধ করে, উন্নয়ন প্রকল্পে জোগান দেয় এবং অর্থনীতিকে গতিশীল রাখে। অথচ দেশে ফিরে তারা প্রাপ্য মর্যাদা ও সুযোগ সুবিধা পান না। তাদের অবদান অমূল্য হলেও সামাজিক বাস্তবতায় তারা হয়ে ওঠেন অবহেলিত।
বাংলাদেশ শ্রমনির্ভর উন্নয়নশীল দেশ। এই উন্নয়নের বড় উৎস রেমিট্যান্স। সরকারি হিসাব অনুযায়ী, ২০২৪-২০২৫ অর্থবছরে মোট রেমিট্যান্সের প্রায় ৬৫ শতাংশই এসেছে প্রবাসী শ্রমিকদের ঘামঝরা উপার্জন থেকে। প্রতিবছর ১০-১২ লাখ শ্রমিক বিদেশে গেলেও তাদের মধ্যে বহুজন প্রতারণা ও শোষণের শিকার হন। চুক্তি অনুযায়ী বেতন না পাওয়া, কাজের পরিবেশ অমানবিক হওয়া, এমনকি শারীরিক নির্যাতনের ঘটনাও ঘটছে নিয়মিত। অনেক সময় দূতাবাস থেকেও পর্যাপ্ত সহায়তা মিলছে না। দেশে ফিরে তাদের দক্ষতা কাজে লাগানোর কোনো সুযোগ তৈরি হয় না, বরং তারা বেকারত্ব ও সামাজিক অবহেলার শিকার হন। শ্রমিকরা দেশের প্রকৃত উন্নয়নের কারিগর। তাদের রেমিট্যান্স শুধু অর্থ নয়, তাতে থাকে তাদের স্বপ্ন, আত্মত্যাগ ও অগণিত বেদনার গল্প। তাদের প্রতি অবহেলা মানে উন্নয়নের মূল ভিত্তিকে অস্বীকার করা। তাই এখন সময় এসেছে রাষ্ট্র ও সমাজ উভয়ের দৃষ্টিভঙ্গি পাল্টানোর। প্রবাসী শ্রমিকদের মর্যাদা ফিরিয়ে দেওয়া শুধু অর্থনৈতিক উন্নয়নের স্বার্থেই নয়, মানবতার দাবিতেও জরুরি।