সুধীর বরণ মাঝি
জিপিএ-৫ এই শব্দটি আমাদের শিক্ষাব্যবস্থায় একটি বিশেষ গুরুত্ব বহন করে। এটি যেন একটি সোনার হরিণ, যা পাওয়ার জন্য শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও শিক্ষকরা হন্যে হয়ে ছুটছে। জিপিএ-৫ শিক্ষার্থীর জন্য মহাসফলতার প্রতীক, যা প্রায় সকলের কাছে আকর্ষণীয়। তবে শুধুমাত্র জিপিএ-৫-এর জন্য শিক্ষাকে সীমাবদ্ধ রাখলে শিক্ষার্থীরা জীবনের আনন্দ, শিক্ষার আনন্দ, ব্যক্তিগত, পারিবারিক ও সামাজিক দায়িত্ব পালনের সুযোগ থেকে বঞ্চিত হয় এবং প্রকৃত মানুষ হিসেবে গড়ে ওঠা সম্ভব হয় না।
আজকের শিক্ষা ব্যবস্থা ফলাফলের অন্ধ প্রতিযোগিতার খাঁচায় আবদ্ধ। প্রকৃত শিক্ষা, জ্ঞান এবং প্রজ্ঞার বিকাশের চেয়ে ছাত্ররা নম্বর তোলার প্রতিযোগিতায় ব্যস্ত। শিক্ষার্থীরা সৃজনশীলতা, সমালোচনামূলক চিন্তাশক্তি এবং বাস্তব জীবনের দক্ষতা হারাচ্ছে। বিশ্ববিদ্যালয় ও চাকরির যোগ্যতার পরীক্ষায় এ সংকট আরও স্পষ্ট। অভিভাবকরা জিপিএ-৫-এর মোহে অন্ধ হয়ে নৈতিক শিক্ষা থেকে সন্তানদের দূরে ঠেলে দিচ্ছেন, শিক্ষকের মনোযোগ ক্লাসরুমের পরিবর্তে কোচিং ব্যবসার দিকে প্রবৃত্ত হচ্ছে, আর শিক্ষার্থীরা মানসিক চাপ ও শারীরিক অক্ষমতার মধ্যে পড়ছে।
ফিনল্যান্ড ও জাপানের শিক্ষা ব্যবস্থার উদাহরণ দেখলে বোঝা যায়, সেখানে শিক্ষার মূল লক্ষ্য হলো সৃজনশীলতা, বিশ্লেষণী ক্ষমতা এবং সমস্যা সমাধানের দক্ষতা বিকাশ করা। প্রজেক্ট-ভিত্তিক শিক্ষা, হ্যান্ডস-অন লার্নিং, শিক্ষকের পূর্ণ স্বাধীনতা এবং সামাজিক মর্যাদা শিক্ষার অংশ। হোমওয়ার্ক কম, পড়াশোনা আনন্দদায়ক এবং জীবনমুখী। এসব শিক্ষাপদ্ধতি শিক্ষার্থীকে কেবল ভালো ফল দেয় না, বরং দক্ষ, নৈতিক ও মানবিক মানুষ হিসেবে গড়ে তোলে।
সুধীর বরণ মাঝি
মঙ্গলবার, ২১ অক্টোবর ২০২৫
জিপিএ-৫ এই শব্দটি আমাদের শিক্ষাব্যবস্থায় একটি বিশেষ গুরুত্ব বহন করে। এটি যেন একটি সোনার হরিণ, যা পাওয়ার জন্য শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও শিক্ষকরা হন্যে হয়ে ছুটছে। জিপিএ-৫ শিক্ষার্থীর জন্য মহাসফলতার প্রতীক, যা প্রায় সকলের কাছে আকর্ষণীয়। তবে শুধুমাত্র জিপিএ-৫-এর জন্য শিক্ষাকে সীমাবদ্ধ রাখলে শিক্ষার্থীরা জীবনের আনন্দ, শিক্ষার আনন্দ, ব্যক্তিগত, পারিবারিক ও সামাজিক দায়িত্ব পালনের সুযোগ থেকে বঞ্চিত হয় এবং প্রকৃত মানুষ হিসেবে গড়ে ওঠা সম্ভব হয় না।
আজকের শিক্ষা ব্যবস্থা ফলাফলের অন্ধ প্রতিযোগিতার খাঁচায় আবদ্ধ। প্রকৃত শিক্ষা, জ্ঞান এবং প্রজ্ঞার বিকাশের চেয়ে ছাত্ররা নম্বর তোলার প্রতিযোগিতায় ব্যস্ত। শিক্ষার্থীরা সৃজনশীলতা, সমালোচনামূলক চিন্তাশক্তি এবং বাস্তব জীবনের দক্ষতা হারাচ্ছে। বিশ্ববিদ্যালয় ও চাকরির যোগ্যতার পরীক্ষায় এ সংকট আরও স্পষ্ট। অভিভাবকরা জিপিএ-৫-এর মোহে অন্ধ হয়ে নৈতিক শিক্ষা থেকে সন্তানদের দূরে ঠেলে দিচ্ছেন, শিক্ষকের মনোযোগ ক্লাসরুমের পরিবর্তে কোচিং ব্যবসার দিকে প্রবৃত্ত হচ্ছে, আর শিক্ষার্থীরা মানসিক চাপ ও শারীরিক অক্ষমতার মধ্যে পড়ছে।
ফিনল্যান্ড ও জাপানের শিক্ষা ব্যবস্থার উদাহরণ দেখলে বোঝা যায়, সেখানে শিক্ষার মূল লক্ষ্য হলো সৃজনশীলতা, বিশ্লেষণী ক্ষমতা এবং সমস্যা সমাধানের দক্ষতা বিকাশ করা। প্রজেক্ট-ভিত্তিক শিক্ষা, হ্যান্ডস-অন লার্নিং, শিক্ষকের পূর্ণ স্বাধীনতা এবং সামাজিক মর্যাদা শিক্ষার অংশ। হোমওয়ার্ক কম, পড়াশোনা আনন্দদায়ক এবং জীবনমুখী। এসব শিক্ষাপদ্ধতি শিক্ষার্থীকে কেবল ভালো ফল দেয় না, বরং দক্ষ, নৈতিক ও মানবিক মানুষ হিসেবে গড়ে তোলে।