alt

জিপিএ-৫ এবং শিক্ষার প্রকৃত মান

সুধীর বরণ মাঝি

: মঙ্গলবার, ২১ অক্টোবর ২০২৫

জিপিএ-৫ এই শব্দটি আমাদের শিক্ষাব্যবস্থায় একটি বিশেষ গুরুত্ব বহন করে। এটি যেন একটি সোনার হরিণ, যা পাওয়ার জন্য শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও শিক্ষকরা হন্যে হয়ে ছুটছে। জিপিএ-৫ শিক্ষার্থীর জন্য মহাসফলতার প্রতীক, যা প্রায় সকলের কাছে আকর্ষণীয়। তবে শুধুমাত্র জিপিএ-৫-এর জন্য শিক্ষাকে সীমাবদ্ধ রাখলে শিক্ষার্থীরা জীবনের আনন্দ, শিক্ষার আনন্দ, ব্যক্তিগত, পারিবারিক ও সামাজিক দায়িত্ব পালনের সুযোগ থেকে বঞ্চিত হয় এবং প্রকৃত মানুষ হিসেবে গড়ে ওঠা সম্ভব হয় না।

আজকের শিক্ষা ব্যবস্থা ফলাফলের অন্ধ প্রতিযোগিতার খাঁচায় আবদ্ধ। প্রকৃত শিক্ষা, জ্ঞান এবং প্রজ্ঞার বিকাশের চেয়ে ছাত্ররা নম্বর তোলার প্রতিযোগিতায় ব্যস্ত। শিক্ষার্থীরা সৃজনশীলতা, সমালোচনামূলক চিন্তাশক্তি এবং বাস্তব জীবনের দক্ষতা হারাচ্ছে। বিশ্ববিদ্যালয় ও চাকরির যোগ্যতার পরীক্ষায় এ সংকট আরও স্পষ্ট। অভিভাবকরা জিপিএ-৫-এর মোহে অন্ধ হয়ে নৈতিক শিক্ষা থেকে সন্তানদের দূরে ঠেলে দিচ্ছেন, শিক্ষকের মনোযোগ ক্লাসরুমের পরিবর্তে কোচিং ব্যবসার দিকে প্রবৃত্ত হচ্ছে, আর শিক্ষার্থীরা মানসিক চাপ ও শারীরিক অক্ষমতার মধ্যে পড়ছে।

ফিনল্যান্ড ও জাপানের শিক্ষা ব্যবস্থার উদাহরণ দেখলে বোঝা যায়, সেখানে শিক্ষার মূল লক্ষ্য হলো সৃজনশীলতা, বিশ্লেষণী ক্ষমতা এবং সমস্যা সমাধানের দক্ষতা বিকাশ করা। প্রজেক্ট-ভিত্তিক শিক্ষা, হ্যান্ডস-অন লার্নিং, শিক্ষকের পূর্ণ স্বাধীনতা এবং সামাজিক মর্যাদা শিক্ষার অংশ। হোমওয়ার্ক কম, পড়াশোনা আনন্দদায়ক এবং জীবনমুখী। এসব শিক্ষাপদ্ধতি শিক্ষার্থীকে কেবল ভালো ফল দেয় না, বরং দক্ষ, নৈতিক ও মানবিক মানুষ হিসেবে গড়ে তোলে।

প্রাণীর প্রতি সহমর্মিতা

র‌্যাগিং: শিক্ষাঙ্গনের ছায়ায় বেড়ে ওঠা এক অমানবিকতার সংস্কৃতি

বর্জ্য অব্যবস্থাপনায় হুমকির মুখে নগরের ভবিষ্যত

ঢাকায় তাল-নারকেল-সুপারির সবুজ সম্ভাবনা

শকুন বাঁচানো মানে ভবিষ্যৎ বাঁচানো

ছবি

এআই যুগে নিরাপত্তার সংকট : প্রযুক্তির অন্ধকার দিক

রাজধানীর নগর জীবন : ঝুঁকি, দূষণ ও মানুষের নিরাপত্তা

সরকারি স্বাস্থ্যসেবা : গ্রামীণ রোগীর পাশে আছে কি?

ছবি

দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি : সাধারণ মানুষের নৈরাশ্যের কারণ

প্রবাসী শ্রমিকদের মর্যাদা ফিরিয়ে আনা জরুরি

ছবি

এইচএসসি ফল : শিক্ষার বাস্তব চিত্র

ছবি

গার্মেন্টস শ্রমিকের মানবিক অধিকার নিশ্চিতকরণ জরুরি

নিউমার্কেটে সড়ক-ফুটপাত দখলমুক্ত করা জরুরি

সুন্দরবন রক্ষায় দ্রুত পদক্ষেপ প্রয়োজন

আগুনের শিখায় ভস্মীভূত স্বপ্ন

কোথায় যাচ্ছে আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থা?

ছবি

ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে সিএনজি-ট্যাক্সি চলাচল নিষিদ্ধের আহ্বান

ছবি

ভবদহে জলাবদ্ধতা নিরসনে জরুরি টিআরএম প্রকল্প বাস্তবায়ন প্রয়োজন

গণপরিবহনে নারীর নিরাপত্তা নিশ্চিত হোক

পোস্তগোলা থানা গঠনের দাবি

বিশ্ববিদ্যালয়ে অ্যামেরিকান স্টাডিজ কোর্স চালুর প্রয়োজনীয়তা

ছবি

প্রাথমিক শিক্ষায় শিক্ষক সংকট

শিক্ষকদের বেতন-ভাতার বৈষম্য দূর করতে হবে

বাংলাদেশ টেলিভিশন চট্টগ্রাম কেন্দ্রের সংবাদ প্রসঙ্গে

মাটি কেটে নষ্ট হচ্ছে ফসলি জমি

পিঠা উৎসব : ঐতিহ্যের পুনরুত্থান ও জনপ্রিয়তা

পরিবেশ সুরক্ষায় সবুজ অর্থনীতি

পানির অপচয় রোধে সচেতনতা

নিরাপত্তায় মনোযোগ বাড়ানো জরুরি

ছবি

প্লাস্টিক দূষণ : সমাধানের পথ কী?

ছাত্রত্বহীন আদুভাইদের রাজনীতি বন্ধ হোক

অগ্নিকা- থেকে মুক্তির উপায় কী?

ছবি

নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে কাঁকড়া শিকার

ছবি

টিসিবির ট্রাকে চাল নেই কেন?

মেট্রোরেলে মশা

ছবি

গণপরিবহনে নারী আসনের অপ্রতুলতা

tab

জিপিএ-৫ এবং শিক্ষার প্রকৃত মান

সুধীর বরণ মাঝি

মঙ্গলবার, ২১ অক্টোবর ২০২৫

জিপিএ-৫ এই শব্দটি আমাদের শিক্ষাব্যবস্থায় একটি বিশেষ গুরুত্ব বহন করে। এটি যেন একটি সোনার হরিণ, যা পাওয়ার জন্য শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও শিক্ষকরা হন্যে হয়ে ছুটছে। জিপিএ-৫ শিক্ষার্থীর জন্য মহাসফলতার প্রতীক, যা প্রায় সকলের কাছে আকর্ষণীয়। তবে শুধুমাত্র জিপিএ-৫-এর জন্য শিক্ষাকে সীমাবদ্ধ রাখলে শিক্ষার্থীরা জীবনের আনন্দ, শিক্ষার আনন্দ, ব্যক্তিগত, পারিবারিক ও সামাজিক দায়িত্ব পালনের সুযোগ থেকে বঞ্চিত হয় এবং প্রকৃত মানুষ হিসেবে গড়ে ওঠা সম্ভব হয় না।

আজকের শিক্ষা ব্যবস্থা ফলাফলের অন্ধ প্রতিযোগিতার খাঁচায় আবদ্ধ। প্রকৃত শিক্ষা, জ্ঞান এবং প্রজ্ঞার বিকাশের চেয়ে ছাত্ররা নম্বর তোলার প্রতিযোগিতায় ব্যস্ত। শিক্ষার্থীরা সৃজনশীলতা, সমালোচনামূলক চিন্তাশক্তি এবং বাস্তব জীবনের দক্ষতা হারাচ্ছে। বিশ্ববিদ্যালয় ও চাকরির যোগ্যতার পরীক্ষায় এ সংকট আরও স্পষ্ট। অভিভাবকরা জিপিএ-৫-এর মোহে অন্ধ হয়ে নৈতিক শিক্ষা থেকে সন্তানদের দূরে ঠেলে দিচ্ছেন, শিক্ষকের মনোযোগ ক্লাসরুমের পরিবর্তে কোচিং ব্যবসার দিকে প্রবৃত্ত হচ্ছে, আর শিক্ষার্থীরা মানসিক চাপ ও শারীরিক অক্ষমতার মধ্যে পড়ছে।

ফিনল্যান্ড ও জাপানের শিক্ষা ব্যবস্থার উদাহরণ দেখলে বোঝা যায়, সেখানে শিক্ষার মূল লক্ষ্য হলো সৃজনশীলতা, বিশ্লেষণী ক্ষমতা এবং সমস্যা সমাধানের দক্ষতা বিকাশ করা। প্রজেক্ট-ভিত্তিক শিক্ষা, হ্যান্ডস-অন লার্নিং, শিক্ষকের পূর্ণ স্বাধীনতা এবং সামাজিক মর্যাদা শিক্ষার অংশ। হোমওয়ার্ক কম, পড়াশোনা আনন্দদায়ক এবং জীবনমুখী। এসব শিক্ষাপদ্ধতি শিক্ষার্থীকে কেবল ভালো ফল দেয় না, বরং দক্ষ, নৈতিক ও মানবিক মানুষ হিসেবে গড়ে তোলে।

back to top