মাহতাব হোসাইন মাজেদ
বর্তমানে দেশের বাজার পরিস্থিতি যেন নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেছে। প্রতিদিন নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বাড়ছে, আর সাধারণ মানুষের মুখে হাসি ক্রমেই মলিন হয়ে যাচ্ছে। চাল, ডাল, তেল, পেঁয়াজ, সবজি, মাছ কিংবা মাংস-কোনোটাই এখন আর আগের মতো নাগালের মধ্যে নেই। একসময় যেসব জিনিস সহজে কেনা যেত, আজ তা নিম্ন ও মধ্যবিত্ত পরিবারের নাগালের বাইরে চলে গেছে। ফলে মানুষের ক্রয়ক্ষমতা কমছে, জীবনযাত্রার মান নিচে নেমে যাচ্ছে, আর সমাজে হতাশা বাড়ছে দিন দিন।
দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির পেছনে রয়েছে নানামুখী কারণ। বিশ্ববাজারে জ্বালানির দাম বৃদ্ধি, পরিবহন ব্যয় বেড়ে যাওয়া, ডলার সংকট, আমদানিনির্ভরতা-এসবের সঙ্গে যোগ হয়েছে অসাধু ব্যবসায়ীদের সিন্ডিকেট। অনেক সময় কৃত্রিম সংকট তৈরি করে তারা বাজারে অস্থিরতা সৃষ্টি করছে। এতে অল্প কিছু মানুষ লাভবান হলেও ক্ষতির শিকার হচ্ছে দেশের বিপুল সংখ্যক সাধারণ মানুষ। সরকার বাজার নিয়ন্ত্রণে বিভিন্ন উদ্যোগ নিলেও তা বাস্তবায়নে দুর্বলতা রয়ে গেছে, যার ফলেই প্রত্যাশিত পরিবর্তন আসছে না। এই পরিস্থিতি থেকে বেরিয়ে আসতে হলে সরকারকে আরও কার্যকর ও কঠোর পদক্ষেপ নিতে হবে। নিয়মিত বাজার মনিটরিং করতে হবে, মজুদদারদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে, এবং টিসিবির মাধ্যমে স্বল্পমূল্যে পণ্য সরবরাহ বাড়াতে হবে। পাশাপাশি কৃষকদের জন্য উৎপাদনমুখী প্রণোদনা ও স্থানীয় শিল্পে উৎসাহ দেওয়া প্রয়োজন। এতে দেশীয় উৎপাদন বাড়বে, আমদানিনির্ভরতা কমবে, আর বাজারে ভারসাম্য ফিরে আসবে।
মাহতাব হোসাইন মাজেদ
মঙ্গলবার, ২১ অক্টোবর ২০২৫
বর্তমানে দেশের বাজার পরিস্থিতি যেন নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেছে। প্রতিদিন নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বাড়ছে, আর সাধারণ মানুষের মুখে হাসি ক্রমেই মলিন হয়ে যাচ্ছে। চাল, ডাল, তেল, পেঁয়াজ, সবজি, মাছ কিংবা মাংস-কোনোটাই এখন আর আগের মতো নাগালের মধ্যে নেই। একসময় যেসব জিনিস সহজে কেনা যেত, আজ তা নিম্ন ও মধ্যবিত্ত পরিবারের নাগালের বাইরে চলে গেছে। ফলে মানুষের ক্রয়ক্ষমতা কমছে, জীবনযাত্রার মান নিচে নেমে যাচ্ছে, আর সমাজে হতাশা বাড়ছে দিন দিন।
দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির পেছনে রয়েছে নানামুখী কারণ। বিশ্ববাজারে জ্বালানির দাম বৃদ্ধি, পরিবহন ব্যয় বেড়ে যাওয়া, ডলার সংকট, আমদানিনির্ভরতা-এসবের সঙ্গে যোগ হয়েছে অসাধু ব্যবসায়ীদের সিন্ডিকেট। অনেক সময় কৃত্রিম সংকট তৈরি করে তারা বাজারে অস্থিরতা সৃষ্টি করছে। এতে অল্প কিছু মানুষ লাভবান হলেও ক্ষতির শিকার হচ্ছে দেশের বিপুল সংখ্যক সাধারণ মানুষ। সরকার বাজার নিয়ন্ত্রণে বিভিন্ন উদ্যোগ নিলেও তা বাস্তবায়নে দুর্বলতা রয়ে গেছে, যার ফলেই প্রত্যাশিত পরিবর্তন আসছে না। এই পরিস্থিতি থেকে বেরিয়ে আসতে হলে সরকারকে আরও কার্যকর ও কঠোর পদক্ষেপ নিতে হবে। নিয়মিত বাজার মনিটরিং করতে হবে, মজুদদারদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে, এবং টিসিবির মাধ্যমে স্বল্পমূল্যে পণ্য সরবরাহ বাড়াতে হবে। পাশাপাশি কৃষকদের জন্য উৎপাদনমুখী প্রণোদনা ও স্থানীয় শিল্পে উৎসাহ দেওয়া প্রয়োজন। এতে দেশীয় উৎপাদন বাড়বে, আমদানিনির্ভরতা কমবে, আর বাজারে ভারসাম্য ফিরে আসবে।