শাকিলা খাতুন
একসময় গ্রামের আকাশে শকুনের ঝাঁক ছিল এক পরিচিত দৃশ্য। মাঠে কিংবা সড়কের ধারে কোনো পশুর মৃত্যু হলে মুহূর্তেই শকুন এসে ভিড় জমাত এবং মৃতদেহ মুহূর্তে সরিয়ে নিত। প্রকৃতির এই নিখুঁত পরিচ্ছন্নতাকর্মী আজ প্রায় বিলুপ্তির পথে। বাংলাদেশে সাত প্রজাতির শকুন ছিল, এর মধ্যে সাদা পিঠ শকুন আমাদের নিজস্ব প্রজাতি। অথচ আন্তর্জাতিক প্রকৃতি সংরক্ষণ সংঘের তথ্যমতে, ১৯৯০ সালের পর থেকে দেশে শকুনের সংখ্যা কমেছে প্রায় ৯৯.৯ শতাংশ-যেখানে আগে লাখের মতো শকুন ছিল, এখন অবশিষ্ট মাত্র কয়েকশো।
সমাধান হিসেবে প্রয়োজন সরকারি উদ্যোগের পাশাপাশি সামাজিক অংশগ্রহণ। শকুন সম্পর্কে কুসংস্কার ভাঙতে গণমাধ্যম ও শিক্ষা ব্যবস্থায় সচেতনতা গড়ে তুলতে হবে। স্কুল-কলেজের পাঠ্যক্রমে শকুন সংরক্ষণের গুরুত্ব অন্তর্ভুক্ত করা যেতে পারে। বাজার থেকে ডাইক্লোফেনাক চূড়ান্তভাবে প্রত্যাহারে আইন প্রয়োগ নিশ্চিত করা জরুরি। পাশাপাশি প্রতিটি নিরাপদ এলাকায় ফিডিং স্টেশন বাড়ানো এবং স্থানীয় জনগণকে প্রণোদনা দিয়ে মৃত গবাদিপশুর দেহ জমা দিতে উৎসাহিত করা দরকার।
শকুন বিলুপ্ত হলে আমাদের সমাজকে বিকল্প ব্যবস্থায় মৃতদেহ সরাতে বিপুল খরচ বহন করতে হবে। তাই শকুন সংরক্ষণ কেবল একটি পাখি বাঁচানোর প্রচেষ্টা নয়, বরং প্রকৃতির ভারসাম্য রক্ষার সংগ্রাম। প্রকৃতি যদি রক্ষাকারীকে হারায়, তবে আমরাও নিরাপদ থাকব না।
শাকিলা খাতুন
মঙ্গলবার, ২১ অক্টোবর ২০২৫
একসময় গ্রামের আকাশে শকুনের ঝাঁক ছিল এক পরিচিত দৃশ্য। মাঠে কিংবা সড়কের ধারে কোনো পশুর মৃত্যু হলে মুহূর্তেই শকুন এসে ভিড় জমাত এবং মৃতদেহ মুহূর্তে সরিয়ে নিত। প্রকৃতির এই নিখুঁত পরিচ্ছন্নতাকর্মী আজ প্রায় বিলুপ্তির পথে। বাংলাদেশে সাত প্রজাতির শকুন ছিল, এর মধ্যে সাদা পিঠ শকুন আমাদের নিজস্ব প্রজাতি। অথচ আন্তর্জাতিক প্রকৃতি সংরক্ষণ সংঘের তথ্যমতে, ১৯৯০ সালের পর থেকে দেশে শকুনের সংখ্যা কমেছে প্রায় ৯৯.৯ শতাংশ-যেখানে আগে লাখের মতো শকুন ছিল, এখন অবশিষ্ট মাত্র কয়েকশো।
সমাধান হিসেবে প্রয়োজন সরকারি উদ্যোগের পাশাপাশি সামাজিক অংশগ্রহণ। শকুন সম্পর্কে কুসংস্কার ভাঙতে গণমাধ্যম ও শিক্ষা ব্যবস্থায় সচেতনতা গড়ে তুলতে হবে। স্কুল-কলেজের পাঠ্যক্রমে শকুন সংরক্ষণের গুরুত্ব অন্তর্ভুক্ত করা যেতে পারে। বাজার থেকে ডাইক্লোফেনাক চূড়ান্তভাবে প্রত্যাহারে আইন প্রয়োগ নিশ্চিত করা জরুরি। পাশাপাশি প্রতিটি নিরাপদ এলাকায় ফিডিং স্টেশন বাড়ানো এবং স্থানীয় জনগণকে প্রণোদনা দিয়ে মৃত গবাদিপশুর দেহ জমা দিতে উৎসাহিত করা দরকার।
শকুন বিলুপ্ত হলে আমাদের সমাজকে বিকল্প ব্যবস্থায় মৃতদেহ সরাতে বিপুল খরচ বহন করতে হবে। তাই শকুন সংরক্ষণ কেবল একটি পাখি বাঁচানোর প্রচেষ্টা নয়, বরং প্রকৃতির ভারসাম্য রক্ষার সংগ্রাম। প্রকৃতি যদি রক্ষাকারীকে হারায়, তবে আমরাও নিরাপদ থাকব না।