আরিফুল ইসলাম রাফি
র্যাগিং এখন আর কৌতুক বা ‘ভাইদের সাথে পরিচয়ের অনুষ্ঠান’ নয়; এটি এক গভীর সামাজিক রোগে পরিণত হয়েছে, যা বিশ্ববিদ্যালয়ের মানবিক ও শিক্ষাগত পরিবেশকে ধ্বংস করছে নীরবে কিন্তু নিশ্চিতভাবে।
র্যাগিংয়ের সবচেয়ে বিপজ্জনক দিক হলো এর বহুমাত্রিকতা। এটি কেবল ঠাট্টা বা অল্প কিছু নির্দেশ নয় বরং মানসিক সন্ত্রাসের এক চক্র। নবীন শিক্ষার্থীদের দিয়ে করানো হয় অশালীন কাজ, বাধ্য করা হয় অপমানজনক বক্তব্য দিতে, অনেক সময় রাতভর দাঁড়িয়ে থাকতে বা নির্দিষ্ট পোশাক পরতে। কোথাও কোথাও সিনিয়ররা নিজেদের ক্ষমতা প্রদর্শনের জন্য নবীনদের ‘শিক্ষা’ দিতে গিয়ে শারীরিক নির্যাতনের আশ্রয় নেন।
একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের শক্তি হলো তার মুক্ত চিন্তার পরিবেশ। কিন্তু র্যাগিং সেই স্বাধীন চিন্তাকে ভয় দিয়ে দমন করে। নবীন শিক্ষার্থীরা যখন নিজেরাই ভয়ে নিস্তব্ধ হয়ে যায়, তখন তারা আর প্রশ্ন করতে শেখে না, অন্যায়ের প্রতিবাদ করতেও ভয় পায়। ফলাফল- একটি পুরো প্রজন্ম নীরবতার শিক্ষা নিয়ে বেড়ে ওঠে, যারা হয়তো একদিন সমাজেও অন্যায়ের বিরুদ্ধে মুখ খুলবে না।
র্যাগিংয়ের বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ব্যবস্থা যেমন জরুরি, তেমনি প্রয়োজন ভুক্তভোগীদের মানসিক পুনর্বাসন। প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয়ে স্থাপন করা যেতে পারে ‘কাউন্সিলিং সেন্টার, যেখানে শিক্ষার্থীরা গোপনে সাহায্য নিতে পারবেন। একইসঙ্গে তৈরি করা যেতে পারে ‘অ্যান্টি র্যাগিং সেল’, যেখানে থাকবে শিক্ষক, প্রশাসনিক কর্মকর্তা ও শিক্ষার্থীদের প্রতিনিধিত্ব।
আরিফুল ইসলাম রাফি
মঙ্গলবার, ২১ অক্টোবর ২০২৫
র্যাগিং এখন আর কৌতুক বা ‘ভাইদের সাথে পরিচয়ের অনুষ্ঠান’ নয়; এটি এক গভীর সামাজিক রোগে পরিণত হয়েছে, যা বিশ্ববিদ্যালয়ের মানবিক ও শিক্ষাগত পরিবেশকে ধ্বংস করছে নীরবে কিন্তু নিশ্চিতভাবে।
র্যাগিংয়ের সবচেয়ে বিপজ্জনক দিক হলো এর বহুমাত্রিকতা। এটি কেবল ঠাট্টা বা অল্প কিছু নির্দেশ নয় বরং মানসিক সন্ত্রাসের এক চক্র। নবীন শিক্ষার্থীদের দিয়ে করানো হয় অশালীন কাজ, বাধ্য করা হয় অপমানজনক বক্তব্য দিতে, অনেক সময় রাতভর দাঁড়িয়ে থাকতে বা নির্দিষ্ট পোশাক পরতে। কোথাও কোথাও সিনিয়ররা নিজেদের ক্ষমতা প্রদর্শনের জন্য নবীনদের ‘শিক্ষা’ দিতে গিয়ে শারীরিক নির্যাতনের আশ্রয় নেন।
একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের শক্তি হলো তার মুক্ত চিন্তার পরিবেশ। কিন্তু র্যাগিং সেই স্বাধীন চিন্তাকে ভয় দিয়ে দমন করে। নবীন শিক্ষার্থীরা যখন নিজেরাই ভয়ে নিস্তব্ধ হয়ে যায়, তখন তারা আর প্রশ্ন করতে শেখে না, অন্যায়ের প্রতিবাদ করতেও ভয় পায়। ফলাফল- একটি পুরো প্রজন্ম নীরবতার শিক্ষা নিয়ে বেড়ে ওঠে, যারা হয়তো একদিন সমাজেও অন্যায়ের বিরুদ্ধে মুখ খুলবে না।
র্যাগিংয়ের বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ব্যবস্থা যেমন জরুরি, তেমনি প্রয়োজন ভুক্তভোগীদের মানসিক পুনর্বাসন। প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয়ে স্থাপন করা যেতে পারে ‘কাউন্সিলিং সেন্টার, যেখানে শিক্ষার্থীরা গোপনে সাহায্য নিতে পারবেন। একইসঙ্গে তৈরি করা যেতে পারে ‘অ্যান্টি র্যাগিং সেল’, যেখানে থাকবে শিক্ষক, প্রশাসনিক কর্মকর্তা ও শিক্ষার্থীদের প্রতিনিধিত্ব।