কোনো স্থানে অগ্নিকাণ্ড ঘটলে তা নিয়ন্ত্রণে আনতে গিয়ে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীদের প্রায়ই নানা বিড়ম্বনায় পড়তে হয়। অপরিকল্পিত স্থাপনা ঘেরা সংকীর্ণ রাস্তা দিয়ে অনেক সময় ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি ঘটনাস্থলে পৌঁছাতে পারে না। আগুন নেভানোর সময় আরও নানা সমস্যা সামনে আসে-তার মধ্যে সবচেয়ে বড় হলো পানির সংকট। অনেক জায়গায় জলাধার নেই, পুকুর-খাল-বিল বা নদীও নেই। ফলে সময়মতো আগুন নেভাতে পর্যাপ্ত পানি পাওয়া কঠিন হয়ে পড়ে।
ফায়ার সার্ভিসের গাড়িতে যে পরিমাণ পানি থাকে, তা সবসময় আগুন নির্বাপণের জন্য যথেষ্ট হয় না। এ কারণে সড়কের পাশে ফায়ার হাইড্র্যান্ট থাকা অত্যন্ত জরুরি। উন্নত দেশের অনেক শহরে নিয়মিত ব্যবহৃত হাইড্র্যান্ট ব্যবস্থা বড় ধরনের সহায়তা দেয়, বিশেষ করে যেখানে সহজে পানি পাওয়া যায় না। আমাদের দেশে এমন ব্যবস্থা এখনো গড়ে ওঠেনি। তাই সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সকে আধুনিক ও সক্ষম করে তোলা প্রয়োজন।
প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম সরবরাহের পাশাপাশি জনবল বাড়াতে হবে। অগ্নিনিরাপত্তা সংক্রান্ত লাইসেন্স প্রদান, নবায়ন এবং ফায়ার সেফটি তদারকির কাজ আরও কঠোরভাবে পরিচালনা করতে হবে। অগ্নি প্রতিরোধ ও নির্বাপণ আইন ২০০৩–এর ধারা ১৭ থেকে ২৩–এ বর্ণিত শাস্তির বিধান সঠিকভাবে প্রয়োগ করা হলে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বড় ভূমিকা রাখবে।
অগ্নিকাণ্ডের মতো ভয়াবহ ঘটনার ক্ষতি কমাতে প্রয়োজন পরিকল্পিত নগরায়ন, আগাম প্রস্তুতি, পর্যাপ্ত পানি সরবরাহ এবং কার্যকর তদারকি। নয়তো প্রতিটি অগ্নিকাণ্ডের পরই আমরা একই শোক ও হতাশার গল্প শুনতে বাধ্য হব।
আব্বাসউদ্দিন আহমদ
ইপেপার
জাতীয়
সারাদেশ
আন্তর্জাতিক
নগর-মহানগর
খেলা
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
শিক্ষা
অর্থ-বাণিজ্য
সংস্কৃতি
ক্যাম্পাস
মিডিয়া
অপরাধ ও দুর্নীতি
রাজনীতি
শোক ও স্মরন
প্রবাস
নারীর প্রতি সহিংসতা
বিনোদন
সম্পাদকীয়
উপ-সম্পাদকীয়
মুক্ত আলোচনা
চিঠিপত্র
পাঠকের চিঠি
মঙ্গলবার, ১৮ নভেম্বর ২০২৫
কোনো স্থানে অগ্নিকাণ্ড ঘটলে তা নিয়ন্ত্রণে আনতে গিয়ে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীদের প্রায়ই নানা বিড়ম্বনায় পড়তে হয়। অপরিকল্পিত স্থাপনা ঘেরা সংকীর্ণ রাস্তা দিয়ে অনেক সময় ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি ঘটনাস্থলে পৌঁছাতে পারে না। আগুন নেভানোর সময় আরও নানা সমস্যা সামনে আসে-তার মধ্যে সবচেয়ে বড় হলো পানির সংকট। অনেক জায়গায় জলাধার নেই, পুকুর-খাল-বিল বা নদীও নেই। ফলে সময়মতো আগুন নেভাতে পর্যাপ্ত পানি পাওয়া কঠিন হয়ে পড়ে।
ফায়ার সার্ভিসের গাড়িতে যে পরিমাণ পানি থাকে, তা সবসময় আগুন নির্বাপণের জন্য যথেষ্ট হয় না। এ কারণে সড়কের পাশে ফায়ার হাইড্র্যান্ট থাকা অত্যন্ত জরুরি। উন্নত দেশের অনেক শহরে নিয়মিত ব্যবহৃত হাইড্র্যান্ট ব্যবস্থা বড় ধরনের সহায়তা দেয়, বিশেষ করে যেখানে সহজে পানি পাওয়া যায় না। আমাদের দেশে এমন ব্যবস্থা এখনো গড়ে ওঠেনি। তাই সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সকে আধুনিক ও সক্ষম করে তোলা প্রয়োজন।
প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম সরবরাহের পাশাপাশি জনবল বাড়াতে হবে। অগ্নিনিরাপত্তা সংক্রান্ত লাইসেন্স প্রদান, নবায়ন এবং ফায়ার সেফটি তদারকির কাজ আরও কঠোরভাবে পরিচালনা করতে হবে। অগ্নি প্রতিরোধ ও নির্বাপণ আইন ২০০৩–এর ধারা ১৭ থেকে ২৩–এ বর্ণিত শাস্তির বিধান সঠিকভাবে প্রয়োগ করা হলে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বড় ভূমিকা রাখবে।
অগ্নিকাণ্ডের মতো ভয়াবহ ঘটনার ক্ষতি কমাতে প্রয়োজন পরিকল্পিত নগরায়ন, আগাম প্রস্তুতি, পর্যাপ্ত পানি সরবরাহ এবং কার্যকর তদারকি। নয়তো প্রতিটি অগ্নিকাণ্ডের পরই আমরা একই শোক ও হতাশার গল্প শুনতে বাধ্য হব।
আব্বাসউদ্দিন আহমদ