alt

নয়া জাগরণের পথে দেশের ফুটবল

: মঙ্গলবার, ১৮ নভেম্বর ২০২৫

একটা গোটা প্রজন্মর সময় কেটে গেছে বাবা কিংবা দাদাদের মুখে বাংলার ফুটবলের সোনালী মূহুর্তের গল্প শুনে শুনে। গোটা একটা জাতিই নাকি মাতোয়ারা ছিল এক ফুটবলে। আবাহনী মোহনবাগান এর নামে মাতোয়ারা ছিল পুরো দেশ। সেই একই প্রজন্ম এবার হয়তো চর্মচোখে সাক্ষী হতে পারছে ফুটবলের এক নয়া জাগরণে। এক হামজা চৌধুরীর আহমনেই যেন রুপকথা ফিরেছে দেশের ফুটবলে।প্রচলিত ছিলো ফুটবলই নাকি বাঙালির ধ্যান জ্ঞান। যদিও প্রচলিত সেই কথার পক্ষে যুক্তি তর্ক যাই থাকুক না কেন বিশ্বাস যেন কিছুতেই হচ্ছিল না। এই প্রজন্ম জন্ম থেকেই দেখে এসেছে ক্রিকেটের ২২ গজেই আনন্দ খুজে নিতো। ফুটবলে ভারত বনাম বাংলাদেশের ম্যাচের টিকেট মাত্র কয়েক ঘন্টার ব্যবধানেই শেষ হয়ে যাওয়া অন্তত এ কথাই বলে। ফুটবলে নিসন্দেহে সোনালি এক সময় পার করেছে বাংলাদেশ কিন্তু ধীরে ধীরে মুছে গেছে সেই সময়। মাঝে বিশাল একটা সময় ফুটবলের এক খরা দেখেছে দেশ। এ যেন জীবনের মতোই উত্থান আর পতনে মোড়ানো।

গ্রামের উত্তপ্ত রোদে পুড়ে মাঠে কাজ করা সেই কৃষক হোক কিংবা অফিসের শীতাতাপ বসানো কক্ষের কর্পোরেট এর বড় সেই কর্তা সব ছাপিয়ে সকলের মনের গহীনে লুকানো একটা ভালোবাসা খুঁজে নেয় একটা জার্সিতে। বাংলাদেশের জার্সিতে। বাঙালির মনের খেলা ফুটবলে একটা সময় পর যখন কিছুতেই হচ্ছিল না কিছু তখন লজ্জায় ঘৃনায় হতাশায় অথবা অভিমানে ফুটবল থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছিল ফুটবল প্রিয় সেই মানুষগুলো। বছরের পর বছর জয় বঞ্চিত একটা দলকে কেনই বা দর্শক সময়ের পর সময় ধরে সমর্থন করে যাবে? অভিমান ভুলে সমর্থকরাও তাই যেন বুকে জড়িয়ে ধরছে ফুটবলটাকে। ফুটবলের এই ভরা যৌবন ফেরাতে অবশ্যই ফুটবলের নিয়ন্ত্রক সংস্থার প্রশংসা না করলেই নয়। সমিত সোম ফাহমিদুল এর মতো মেধাকে দেশের ফুটবল এ যুক্ত করার ফল তো বাস্তবিক। তাইতো এবার আবারও বুকে পাহাড় সম আশা বাধছে সমর্থকরা বাংলার ফুটবলটা এগিয়ে যাবে বহুদূর আর সমর্থকরাও জুগিয়ে যাবে ভালোবাসার সমর্থন। হয়তো ফুটবলের কোন এক নান্দনিক ইতিহাসের সাক্ষী হবো আমরা।

আরাফাত নাফিজ

ছবি

দখলমুক্ত ফুটপাত চাই

ভূমিদস্যুদের প্রকোপে অতিষ্ঠ কেরানিগঞ্জবাসী

বাকৃতিতে নেই পর্যাপ্ত ডাস্টবিন

যৌতুক প্রথা: এক সামাজিক অভিশাপের নীরব বিস্তার

দেশের রাজনীতির তিন দিগন্ত

ছবি

দেশীয় মাছের বিলুপ্তি ও পুনরুদ্ধার উদ্যোগ

শিশুদের খেলার জায়গায় স্থায়ী মঞ্চ নয়

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের সৌন্দর্য

অগ্নিনির্বাপণে প্রস্তুতির ঘাটতি আমাদের বড় বিপদ

সহকারী প্রধান শিক্ষকদের বেতনবৈষম্য দূর হবে কবে?

ছবি

নারী কৃষকের অবদান ও স্বীকৃতি

ছবি

অনিয়ন্ত্রিত বালু উত্তোলনে বাড়ছে নদীভাঙন

খেলার মাঠ নেই, হারিয়ে যাচ্ছে শৈশব ও শহরের প্রাণ

নদীমাতৃক দেশ এখন নদীহীন হওয়ার পথে

বাল্যবিবাহ রোধে দরকার সচেতনতা ও সহায়তা

বৈষম্যের স্বীকার প্রাথমিক শিক্ষক

ছবি

নরোত্তমপুর কমিউনিটি ক্লিনিক বন্ধ, ভোগান্তিতে গ্রামীণ জনগণ

ছবি

একের পর এক কারখানা বন্ধ, টালমাটাল অর্থনীতি

রেলওয়ের টিকেট বুকিং একাউন্টে নম্বর পরিবর্তন

বাইক থেকে ইজিবাইক : নগর জীবনে গতি, ঝুঁকি ও বাস্তবতা

বিশ্ববিদ্যালয়ে মানসিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র চালু করা সময়ের দাবি

নদী বাঁচাতে হবে, জীবন বাঁচাতে হবে

ছবি

পেঁয়াজের ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত করুন

পারিবারিক বন্ধনের ভাঙন

উপকূলে সুপেয় পানির জন্য হাহাকার

নারী শ্রমিকের সুরক্ষা

বৃষ্টিতে অদৃশ্য ড্রেনের প্রাণঘাতী ফাঁদ

শিক্ষার্থীদের হাফভাড়া ন্যায্যতার দাবি

ফেনীর দেওয়ানগঞ্জে ময়লার পাহাড়

তাদের গল্প থেমে গেছে, কারণ আমরা আর শুনি না

দুবলার চরের রাসমেলা হতে পারে পর্যটকদের জন্য এক বিস্ময়ভ্রমণ

ছবি

খাদ্য অপচয় রোধে সচেতনতা এখন জরুরি

ছবি

জিপিএ ৫: পরিশ্রমের প্রতিবিম্ব, তবে ভবিষ্যৎ গড়ার মানদণ্ড নয়

ছবি

কোথায় হারালো বাবুই পাখি ও তাদের বাসা

ছবি

সাইবার বুলিয়িং-এর বাস্তবতা

প্রাণীর প্রতি সহমর্মিতা

tab

নয়া জাগরণের পথে দেশের ফুটবল

মঙ্গলবার, ১৮ নভেম্বর ২০২৫

একটা গোটা প্রজন্মর সময় কেটে গেছে বাবা কিংবা দাদাদের মুখে বাংলার ফুটবলের সোনালী মূহুর্তের গল্প শুনে শুনে। গোটা একটা জাতিই নাকি মাতোয়ারা ছিল এক ফুটবলে। আবাহনী মোহনবাগান এর নামে মাতোয়ারা ছিল পুরো দেশ। সেই একই প্রজন্ম এবার হয়তো চর্মচোখে সাক্ষী হতে পারছে ফুটবলের এক নয়া জাগরণে। এক হামজা চৌধুরীর আহমনেই যেন রুপকথা ফিরেছে দেশের ফুটবলে।প্রচলিত ছিলো ফুটবলই নাকি বাঙালির ধ্যান জ্ঞান। যদিও প্রচলিত সেই কথার পক্ষে যুক্তি তর্ক যাই থাকুক না কেন বিশ্বাস যেন কিছুতেই হচ্ছিল না। এই প্রজন্ম জন্ম থেকেই দেখে এসেছে ক্রিকেটের ২২ গজেই আনন্দ খুজে নিতো। ফুটবলে ভারত বনাম বাংলাদেশের ম্যাচের টিকেট মাত্র কয়েক ঘন্টার ব্যবধানেই শেষ হয়ে যাওয়া অন্তত এ কথাই বলে। ফুটবলে নিসন্দেহে সোনালি এক সময় পার করেছে বাংলাদেশ কিন্তু ধীরে ধীরে মুছে গেছে সেই সময়। মাঝে বিশাল একটা সময় ফুটবলের এক খরা দেখেছে দেশ। এ যেন জীবনের মতোই উত্থান আর পতনে মোড়ানো।

গ্রামের উত্তপ্ত রোদে পুড়ে মাঠে কাজ করা সেই কৃষক হোক কিংবা অফিসের শীতাতাপ বসানো কক্ষের কর্পোরেট এর বড় সেই কর্তা সব ছাপিয়ে সকলের মনের গহীনে লুকানো একটা ভালোবাসা খুঁজে নেয় একটা জার্সিতে। বাংলাদেশের জার্সিতে। বাঙালির মনের খেলা ফুটবলে একটা সময় পর যখন কিছুতেই হচ্ছিল না কিছু তখন লজ্জায় ঘৃনায় হতাশায় অথবা অভিমানে ফুটবল থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছিল ফুটবল প্রিয় সেই মানুষগুলো। বছরের পর বছর জয় বঞ্চিত একটা দলকে কেনই বা দর্শক সময়ের পর সময় ধরে সমর্থন করে যাবে? অভিমান ভুলে সমর্থকরাও তাই যেন বুকে জড়িয়ে ধরছে ফুটবলটাকে। ফুটবলের এই ভরা যৌবন ফেরাতে অবশ্যই ফুটবলের নিয়ন্ত্রক সংস্থার প্রশংসা না করলেই নয়। সমিত সোম ফাহমিদুল এর মতো মেধাকে দেশের ফুটবল এ যুক্ত করার ফল তো বাস্তবিক। তাইতো এবার আবারও বুকে পাহাড় সম আশা বাধছে সমর্থকরা বাংলার ফুটবলটা এগিয়ে যাবে বহুদূর আর সমর্থকরাও জুগিয়ে যাবে ভালোবাসার সমর্থন। হয়তো ফুটবলের কোন এক নান্দনিক ইতিহাসের সাক্ষী হবো আমরা।

আরাফাত নাফিজ

back to top