alt

দেশের রাজনীতির তিন দিগন্ত

: মঙ্গলবার, ১৮ নভেম্বর ২০২৫

বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ, গণতন্ত্র ও প্রগতিশীল সমাজচিন্তার ভিত গড়ে দিয়েছে বামপন্থী ধারা। উপনিবেশিক ও পাকিস্তানি শাসনের বিরুদ্ধে যে রাজনৈতিক প্রতিরোধ প্রথম গড়ে উঠেছিল, তার নেতৃত্বও মূলত বামপন্থীদের হাতেই ছিল। তাই তাঁরা শ্রমিকের মজুরি, কৃষকের জমি, নারী ও সংখ্যালঘুর অধিকার-এইসব বাস্তব জীবনের প্রশ্নগুলোকে রাজনীতির কেন্দ্রবিন্দুতে নিয়ে আসেন।

১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের সময় এই ধারার রাজনীতিক ও কর্মীরা যুদ্ধের প্রস্তুতিতে, সংগঠনে, এমনকি মুক্তিযোদ্ধা প্রশিক্ষণে সরাসরি ভূমিকা রেখেছিলেন। অনেকেই গেরিলা যোদ্ধা হিসেবে যুদ্ধ করেছেন, কেউ কেউ জীবন দিয়েছেন। বাম ছাত্র সংগঠনগুলো তখন স্বাধীনতার ডাককে জনগণের আন্দোলনে রূপ দিতে অক্লান্ত পরিশ্রম করেছে। শহর-গ্রামের প্রচারে, শত্রুর বিরুদ্ধে প্রতিরোধে, বাম রাজনীতি তখন ছিল মুক্তিযুদ্ধের এক অনিবার্য শক্তি।

তবে বাস্তবতার কারণে বাংলাদেশে বামপন্থীরা এখন অনেকটাই প্রান্তিক। বিভাজন, সংগঠনগত দুর্বলতা ও পুঁজিবাদী রাজনীতির প্রভাব তাদের জনভিত্তি ক্ষয় করেছে। তবুও ইতিহাস সাক্ষ্য দেয়-যখনই সমাজে অবিচার, বৈষম্য বা অন্যায়ের আগুন জ্বলে, তখনই কোথাও না কোথাও কিছু তরুণ বাম আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে আবার নতুন লড়াই শুরু করে।

বাংলাদেশের রাজনৈতিক বাস্তবতায় এই তিন ধারাই সহাবস্থান করছে। কিন্তু সমাজের অগ্রগতি কখনো ডানপন্থার উগ্রতা বা আপসবাদী মধ্যপন্থা দিয়ে আসে না; আসে সেই ধারার মাধ্যমে, যারা অন্যায়ের বিরুদ্ধে মাথা তুলে দাঁড়াতে জানে। সেই ধারার নাম বামপন্থা-যারা একদিন বলেছিল, মানুষের অধিকারই প্রকৃত ধর্ম, আর শোষণের বিরুদ্ধে দাঁড়ানোই প্রকৃত দেশপ্রেম।

নুসরাত রুষা

ছবি

দখলমুক্ত ফুটপাত চাই

ভূমিদস্যুদের প্রকোপে অতিষ্ঠ কেরানিগঞ্জবাসী

বাকৃতিতে নেই পর্যাপ্ত ডাস্টবিন

যৌতুক প্রথা: এক সামাজিক অভিশাপের নীরব বিস্তার

ছবি

দেশীয় মাছের বিলুপ্তি ও পুনরুদ্ধার উদ্যোগ

ছবি

নয়া জাগরণের পথে দেশের ফুটবল

শিশুদের খেলার জায়গায় স্থায়ী মঞ্চ নয়

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের সৌন্দর্য

অগ্নিনির্বাপণে প্রস্তুতির ঘাটতি আমাদের বড় বিপদ

সহকারী প্রধান শিক্ষকদের বেতনবৈষম্য দূর হবে কবে?

ছবি

নারী কৃষকের অবদান ও স্বীকৃতি

ছবি

অনিয়ন্ত্রিত বালু উত্তোলনে বাড়ছে নদীভাঙন

খেলার মাঠ নেই, হারিয়ে যাচ্ছে শৈশব ও শহরের প্রাণ

নদীমাতৃক দেশ এখন নদীহীন হওয়ার পথে

বাল্যবিবাহ রোধে দরকার সচেতনতা ও সহায়তা

বৈষম্যের স্বীকার প্রাথমিক শিক্ষক

ছবি

নরোত্তমপুর কমিউনিটি ক্লিনিক বন্ধ, ভোগান্তিতে গ্রামীণ জনগণ

ছবি

একের পর এক কারখানা বন্ধ, টালমাটাল অর্থনীতি

রেলওয়ের টিকেট বুকিং একাউন্টে নম্বর পরিবর্তন

বাইক থেকে ইজিবাইক : নগর জীবনে গতি, ঝুঁকি ও বাস্তবতা

বিশ্ববিদ্যালয়ে মানসিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র চালু করা সময়ের দাবি

নদী বাঁচাতে হবে, জীবন বাঁচাতে হবে

ছবি

পেঁয়াজের ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত করুন

পারিবারিক বন্ধনের ভাঙন

উপকূলে সুপেয় পানির জন্য হাহাকার

নারী শ্রমিকের সুরক্ষা

বৃষ্টিতে অদৃশ্য ড্রেনের প্রাণঘাতী ফাঁদ

শিক্ষার্থীদের হাফভাড়া ন্যায্যতার দাবি

ফেনীর দেওয়ানগঞ্জে ময়লার পাহাড়

তাদের গল্প থেমে গেছে, কারণ আমরা আর শুনি না

দুবলার চরের রাসমেলা হতে পারে পর্যটকদের জন্য এক বিস্ময়ভ্রমণ

ছবি

খাদ্য অপচয় রোধে সচেতনতা এখন জরুরি

ছবি

জিপিএ ৫: পরিশ্রমের প্রতিবিম্ব, তবে ভবিষ্যৎ গড়ার মানদণ্ড নয়

ছবি

কোথায় হারালো বাবুই পাখি ও তাদের বাসা

ছবি

সাইবার বুলিয়িং-এর বাস্তবতা

প্রাণীর প্রতি সহমর্মিতা

tab

দেশের রাজনীতির তিন দিগন্ত

মঙ্গলবার, ১৮ নভেম্বর ২০২৫

বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ, গণতন্ত্র ও প্রগতিশীল সমাজচিন্তার ভিত গড়ে দিয়েছে বামপন্থী ধারা। উপনিবেশিক ও পাকিস্তানি শাসনের বিরুদ্ধে যে রাজনৈতিক প্রতিরোধ প্রথম গড়ে উঠেছিল, তার নেতৃত্বও মূলত বামপন্থীদের হাতেই ছিল। তাই তাঁরা শ্রমিকের মজুরি, কৃষকের জমি, নারী ও সংখ্যালঘুর অধিকার-এইসব বাস্তব জীবনের প্রশ্নগুলোকে রাজনীতির কেন্দ্রবিন্দুতে নিয়ে আসেন।

১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের সময় এই ধারার রাজনীতিক ও কর্মীরা যুদ্ধের প্রস্তুতিতে, সংগঠনে, এমনকি মুক্তিযোদ্ধা প্রশিক্ষণে সরাসরি ভূমিকা রেখেছিলেন। অনেকেই গেরিলা যোদ্ধা হিসেবে যুদ্ধ করেছেন, কেউ কেউ জীবন দিয়েছেন। বাম ছাত্র সংগঠনগুলো তখন স্বাধীনতার ডাককে জনগণের আন্দোলনে রূপ দিতে অক্লান্ত পরিশ্রম করেছে। শহর-গ্রামের প্রচারে, শত্রুর বিরুদ্ধে প্রতিরোধে, বাম রাজনীতি তখন ছিল মুক্তিযুদ্ধের এক অনিবার্য শক্তি।

তবে বাস্তবতার কারণে বাংলাদেশে বামপন্থীরা এখন অনেকটাই প্রান্তিক। বিভাজন, সংগঠনগত দুর্বলতা ও পুঁজিবাদী রাজনীতির প্রভাব তাদের জনভিত্তি ক্ষয় করেছে। তবুও ইতিহাস সাক্ষ্য দেয়-যখনই সমাজে অবিচার, বৈষম্য বা অন্যায়ের আগুন জ্বলে, তখনই কোথাও না কোথাও কিছু তরুণ বাম আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে আবার নতুন লড়াই শুরু করে।

বাংলাদেশের রাজনৈতিক বাস্তবতায় এই তিন ধারাই সহাবস্থান করছে। কিন্তু সমাজের অগ্রগতি কখনো ডানপন্থার উগ্রতা বা আপসবাদী মধ্যপন্থা দিয়ে আসে না; আসে সেই ধারার মাধ্যমে, যারা অন্যায়ের বিরুদ্ধে মাথা তুলে দাঁড়াতে জানে। সেই ধারার নাম বামপন্থা-যারা একদিন বলেছিল, মানুষের অধিকারই প্রকৃত ধর্ম, আর শোষণের বিরুদ্ধে দাঁড়ানোই প্রকৃত দেশপ্রেম।

নুসরাত রুষা

back to top