বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ, গণতন্ত্র ও প্রগতিশীল সমাজচিন্তার ভিত গড়ে দিয়েছে বামপন্থী ধারা। উপনিবেশিক ও পাকিস্তানি শাসনের বিরুদ্ধে যে রাজনৈতিক প্রতিরোধ প্রথম গড়ে উঠেছিল, তার নেতৃত্বও মূলত বামপন্থীদের হাতেই ছিল। তাই তাঁরা শ্রমিকের মজুরি, কৃষকের জমি, নারী ও সংখ্যালঘুর অধিকার-এইসব বাস্তব জীবনের প্রশ্নগুলোকে রাজনীতির কেন্দ্রবিন্দুতে নিয়ে আসেন।
১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের সময় এই ধারার রাজনীতিক ও কর্মীরা যুদ্ধের প্রস্তুতিতে, সংগঠনে, এমনকি মুক্তিযোদ্ধা প্রশিক্ষণে সরাসরি ভূমিকা রেখেছিলেন। অনেকেই গেরিলা যোদ্ধা হিসেবে যুদ্ধ করেছেন, কেউ কেউ জীবন দিয়েছেন। বাম ছাত্র সংগঠনগুলো তখন স্বাধীনতার ডাককে জনগণের আন্দোলনে রূপ দিতে অক্লান্ত পরিশ্রম করেছে। শহর-গ্রামের প্রচারে, শত্রুর বিরুদ্ধে প্রতিরোধে, বাম রাজনীতি তখন ছিল মুক্তিযুদ্ধের এক অনিবার্য শক্তি।
তবে বাস্তবতার কারণে বাংলাদেশে বামপন্থীরা এখন অনেকটাই প্রান্তিক। বিভাজন, সংগঠনগত দুর্বলতা ও পুঁজিবাদী রাজনীতির প্রভাব তাদের জনভিত্তি ক্ষয় করেছে। তবুও ইতিহাস সাক্ষ্য দেয়-যখনই সমাজে অবিচার, বৈষম্য বা অন্যায়ের আগুন জ্বলে, তখনই কোথাও না কোথাও কিছু তরুণ বাম আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে আবার নতুন লড়াই শুরু করে।
বাংলাদেশের রাজনৈতিক বাস্তবতায় এই তিন ধারাই সহাবস্থান করছে। কিন্তু সমাজের অগ্রগতি কখনো ডানপন্থার উগ্রতা বা আপসবাদী মধ্যপন্থা দিয়ে আসে না; আসে সেই ধারার মাধ্যমে, যারা অন্যায়ের বিরুদ্ধে মাথা তুলে দাঁড়াতে জানে। সেই ধারার নাম বামপন্থা-যারা একদিন বলেছিল, মানুষের অধিকারই প্রকৃত ধর্ম, আর শোষণের বিরুদ্ধে দাঁড়ানোই প্রকৃত দেশপ্রেম।
নুসরাত রুষা
ইপেপার
জাতীয়
সারাদেশ
আন্তর্জাতিক
নগর-মহানগর
খেলা
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
শিক্ষা
অর্থ-বাণিজ্য
সংস্কৃতি
ক্যাম্পাস
মিডিয়া
অপরাধ ও দুর্নীতি
রাজনীতি
শোক ও স্মরন
প্রবাস
নারীর প্রতি সহিংসতা
বিনোদন
সম্পাদকীয়
উপ-সম্পাদকীয়
মুক্ত আলোচনা
চিঠিপত্র
পাঠকের চিঠি
মঙ্গলবার, ১৮ নভেম্বর ২০২৫
বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ, গণতন্ত্র ও প্রগতিশীল সমাজচিন্তার ভিত গড়ে দিয়েছে বামপন্থী ধারা। উপনিবেশিক ও পাকিস্তানি শাসনের বিরুদ্ধে যে রাজনৈতিক প্রতিরোধ প্রথম গড়ে উঠেছিল, তার নেতৃত্বও মূলত বামপন্থীদের হাতেই ছিল। তাই তাঁরা শ্রমিকের মজুরি, কৃষকের জমি, নারী ও সংখ্যালঘুর অধিকার-এইসব বাস্তব জীবনের প্রশ্নগুলোকে রাজনীতির কেন্দ্রবিন্দুতে নিয়ে আসেন।
১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের সময় এই ধারার রাজনীতিক ও কর্মীরা যুদ্ধের প্রস্তুতিতে, সংগঠনে, এমনকি মুক্তিযোদ্ধা প্রশিক্ষণে সরাসরি ভূমিকা রেখেছিলেন। অনেকেই গেরিলা যোদ্ধা হিসেবে যুদ্ধ করেছেন, কেউ কেউ জীবন দিয়েছেন। বাম ছাত্র সংগঠনগুলো তখন স্বাধীনতার ডাককে জনগণের আন্দোলনে রূপ দিতে অক্লান্ত পরিশ্রম করেছে। শহর-গ্রামের প্রচারে, শত্রুর বিরুদ্ধে প্রতিরোধে, বাম রাজনীতি তখন ছিল মুক্তিযুদ্ধের এক অনিবার্য শক্তি।
তবে বাস্তবতার কারণে বাংলাদেশে বামপন্থীরা এখন অনেকটাই প্রান্তিক। বিভাজন, সংগঠনগত দুর্বলতা ও পুঁজিবাদী রাজনীতির প্রভাব তাদের জনভিত্তি ক্ষয় করেছে। তবুও ইতিহাস সাক্ষ্য দেয়-যখনই সমাজে অবিচার, বৈষম্য বা অন্যায়ের আগুন জ্বলে, তখনই কোথাও না কোথাও কিছু তরুণ বাম আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে আবার নতুন লড়াই শুরু করে।
বাংলাদেশের রাজনৈতিক বাস্তবতায় এই তিন ধারাই সহাবস্থান করছে। কিন্তু সমাজের অগ্রগতি কখনো ডানপন্থার উগ্রতা বা আপসবাদী মধ্যপন্থা দিয়ে আসে না; আসে সেই ধারার মাধ্যমে, যারা অন্যায়ের বিরুদ্ধে মাথা তুলে দাঁড়াতে জানে। সেই ধারার নাম বামপন্থা-যারা একদিন বলেছিল, মানুষের অধিকারই প্রকৃত ধর্ম, আর শোষণের বিরুদ্ধে দাঁড়ানোই প্রকৃত দেশপ্রেম।
নুসরাত রুষা