বিবাহ, মানব সমাজের অন্যতম পবিত্র বন্ধন, যা দুটি জীবন ও পরিবারকে একসূত্রে গেঁথে দেয়। কিন্তু বাংলাদেশের সমাজ জীবনে এই পবিত্র সম্পর্ক প্রায়শই ‘যৌতুক’ নামক এক ভয়ংকর ব্যাধির শিকার। কনের পরিবার থেকে বরের পরিবারকে নগদ অর্থ, মূল্যবান সামগ্রী বা সম্পত্তি প্রদানের এই কুপ্রথা আইনগতভাবে নিষিদ্ধ ও শাস্তিযোগ্য অপরাধ হওয়া সত্ত্বেও সমাজের গভীরে শিকড় গেঁড়ে আছে। একসময় এই প্রথা নির্দিষ্ট কিছু সম্প্রদায়ের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকলেও, বর্তমানে ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে দেশের উচ্চবিত্ত থেকে দরিদ্রতম স্তর পর্যন্ত এর কালো ছায়া বিস্তৃত হয়েছে।
যৌতুক প্রথা শুধু একটি সামাজিক সমস্যা নয়, এটি মানবতা ও নৈতিকতার চরম অবক্ষয়। এই প্রথার বিলোপ কেবল আইনি প্রক্রিয়ায় সম্ভব নয়, এর জন্য প্রয়োজন সাংস্কৃতিক ও মানসিক পরিবর্তন, যেখানে কন্যা সন্তানকে ‘বোঝা’ না ভেবে সম্পদ মনে করার মানসিকতা তৈরি হবে। একটি সমাজ তখনই প্রগতিশীল হতে পারে যখন তার নারীরা হয় সুরক্ষিত ও সম্মানিত। প্রতিটি নাগরিককে এই সামাজিক অভিশাপের বিরুদ্ধে আওয়াজ তুলতে হবে এবং যৌতুকবিহীন একটি মানবিক সমাজ গঠনে অঙ্গীকারবদ্ধ হতে হবে। রাষ্ট্রের দায়িত্ব শুধু আইন প্রণয়ন করা নয়, আইনের প্রয়োগ নিশ্চিত করা এবং সমাজকে সচেতনতার আলোয় উদ্ভাসিত করা। এই সম্মিলিত প্রচেষ্টার মাধ্যমেই আমরা যৌতুকের অভিশাপ থেকে মুক্তি পেতে পারি এবং একটি সুস্থ, সাম্যভিত্তিক সমাজ নির্মাণ করতে পারি, যেখানে বিবাহ হবে শুধুই ভালোবাসা ও প্রতিশ্রুতির পবিত্র বন্ধন।
জান্নাতুল ফেরদৌস জেরিন
ইপেপার
জাতীয়
সারাদেশ
আন্তর্জাতিক
নগর-মহানগর
খেলা
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
শিক্ষা
অর্থ-বাণিজ্য
সংস্কৃতি
ক্যাম্পাস
মিডিয়া
অপরাধ ও দুর্নীতি
রাজনীতি
শোক ও স্মরন
প্রবাস
নারীর প্রতি সহিংসতা
বিনোদন
সম্পাদকীয়
উপ-সম্পাদকীয়
মুক্ত আলোচনা
চিঠিপত্র
পাঠকের চিঠি
মঙ্গলবার, ১৮ নভেম্বর ২০২৫
বিবাহ, মানব সমাজের অন্যতম পবিত্র বন্ধন, যা দুটি জীবন ও পরিবারকে একসূত্রে গেঁথে দেয়। কিন্তু বাংলাদেশের সমাজ জীবনে এই পবিত্র সম্পর্ক প্রায়শই ‘যৌতুক’ নামক এক ভয়ংকর ব্যাধির শিকার। কনের পরিবার থেকে বরের পরিবারকে নগদ অর্থ, মূল্যবান সামগ্রী বা সম্পত্তি প্রদানের এই কুপ্রথা আইনগতভাবে নিষিদ্ধ ও শাস্তিযোগ্য অপরাধ হওয়া সত্ত্বেও সমাজের গভীরে শিকড় গেঁড়ে আছে। একসময় এই প্রথা নির্দিষ্ট কিছু সম্প্রদায়ের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকলেও, বর্তমানে ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে দেশের উচ্চবিত্ত থেকে দরিদ্রতম স্তর পর্যন্ত এর কালো ছায়া বিস্তৃত হয়েছে।
যৌতুক প্রথা শুধু একটি সামাজিক সমস্যা নয়, এটি মানবতা ও নৈতিকতার চরম অবক্ষয়। এই প্রথার বিলোপ কেবল আইনি প্রক্রিয়ায় সম্ভব নয়, এর জন্য প্রয়োজন সাংস্কৃতিক ও মানসিক পরিবর্তন, যেখানে কন্যা সন্তানকে ‘বোঝা’ না ভেবে সম্পদ মনে করার মানসিকতা তৈরি হবে। একটি সমাজ তখনই প্রগতিশীল হতে পারে যখন তার নারীরা হয় সুরক্ষিত ও সম্মানিত। প্রতিটি নাগরিককে এই সামাজিক অভিশাপের বিরুদ্ধে আওয়াজ তুলতে হবে এবং যৌতুকবিহীন একটি মানবিক সমাজ গঠনে অঙ্গীকারবদ্ধ হতে হবে। রাষ্ট্রের দায়িত্ব শুধু আইন প্রণয়ন করা নয়, আইনের প্রয়োগ নিশ্চিত করা এবং সমাজকে সচেতনতার আলোয় উদ্ভাসিত করা। এই সম্মিলিত প্রচেষ্টার মাধ্যমেই আমরা যৌতুকের অভিশাপ থেকে মুক্তি পেতে পারি এবং একটি সুস্থ, সাম্যভিত্তিক সমাজ নির্মাণ করতে পারি, যেখানে বিবাহ হবে শুধুই ভালোবাসা ও প্রতিশ্রুতির পবিত্র বন্ধন।
জান্নাতুল ফেরদৌস জেরিন