শহরের রাস্তায় প্রতিদিনই দেখা যায় একই দৃশ্য-লাল সিগন্যাল থাকা সত্ত্বেও গাড়ি ছুটছে। পথচারী, রিকশাচালক, মোটরসাইকেল আরোহী থেকে শুরু করে প্রাইভেট কারের চালক-কেউই নিয়ম পূর্ণরূপে মানতে আগ্রহী নয়। এর ফলে সড়কে নৈরাজ্য সৃষ্টি হচ্ছে, দুর্ঘটনা বাড়ছে, আর প্রশ্ন উঠছে, এটি কি মানুষের আচরণের ব্যর্থতা নাকি ট্রাফিক ব্যবস্থার ত্রুটি?
মানুষের আচরণও সমস্যার মূল-অনেকে ট্রাফিক আইনকে গুরুত্ব দেয় না। অনেকে ভাবেন, “একটু এগিয়ে গেলে কি হবে?” এই মনোভাবই দুর্ঘটনার ঝুঁকি বাড়ায়। পথচারীরাও অনেক সময় সবুজ সিগন্যালের জন্য অপেক্ষা না করে ব্যস্ততার মধ্যে রাস্তা পার হতে চান। এতে নিজের জীবন ঝুঁকির মধ্যে পড়ে এবং অন্যদেরও বিপদে ফেলেন।
কেবল মানুষের আচরণ নয়, ট্রাফিক ব্যবস্থাপনায় বিভিন্ন ত্রুটিও সিগন্যাল অমান্যকে উৎসাহিত করছে। অনেক সিগন্যাল ঠিকমতো কাজ করে না, কোথাও লাইট জ্বলে আবার কোথাও নষ্ট থাকে। অনেক জায়গায় সিগন্যালের সময়সীমা অযৌক্তিক হওয়ায় চালকরা বিরক্ত হয়ে নিয়ম উপেক্ষা করতে শুরু করেন। ট্রাফিক পুলিশের স্বল্পসংখ্যক জনবল, প্রযুক্তির সীমিত ব্যবহার এবং সিসিটিভি মনিটরিংয়ের দুর্বলতাও নিয়ম ভাঙার প্রবণতা বাড়িয়ে দিচ্ছে। সিস্টেম কার্যকর না হলে মানুষও নিয়ম মানতে আগ্রহ হারায়। ট্রাফিক সিগন্যাল অমান্য করার প্রবণতা কোনো বিচ্ছিন্ন সমস্যা নয়। এটি আমাদের সামাজিক দায়িত্ববোধ, প্রশাসনিক দক্ষতা এবং শহর ব্যবস্থাপনার সমন্বিত ব্যর্থতার প্রতিফলন। যদি আমরা এখনই নিয়ম মানার অভ্যাস না ফিরিয়ে আনতে পারি এবং ট্রাফিক ব্যবস্থার দুর্বলতা দূর করতে ব্যর্থ হই, তাহলে দুর্ঘটনার সংখ্যা বাড়তেই থাকবে। একটি নিরাপদ, শৃঙ্খলাবদ্ধ ও আধুনিক শহর গড়তে হলে মানুষ ও সিস্টেম-দু’য়েরই পরিবর্তন জরুরি। সড়কে শৃঙ্খলা ফিরে এলে বাঁচবে জীবন, বাঁচবে শহরের ভবিষ্যৎ।
জান্নাতুল ফেরদাউস অহনা
ইপেপার
জাতীয়
সারাদেশ
আন্তর্জাতিক
নগর-মহানগর
খেলা
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
শিক্ষা
অর্থ-বাণিজ্য
সংস্কৃতি
ক্যাম্পাস
মিডিয়া
অপরাধ ও দুর্নীতি
রাজনীতি
শোক ও স্মরন
প্রবাস
নারীর প্রতি সহিংসতা
বিনোদন
সম্পাদকীয়
উপ-সম্পাদকীয়
মুক্ত আলোচনা
চিঠিপত্র
পাঠকের চিঠি
মঙ্গলবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৫
শহরের রাস্তায় প্রতিদিনই দেখা যায় একই দৃশ্য-লাল সিগন্যাল থাকা সত্ত্বেও গাড়ি ছুটছে। পথচারী, রিকশাচালক, মোটরসাইকেল আরোহী থেকে শুরু করে প্রাইভেট কারের চালক-কেউই নিয়ম পূর্ণরূপে মানতে আগ্রহী নয়। এর ফলে সড়কে নৈরাজ্য সৃষ্টি হচ্ছে, দুর্ঘটনা বাড়ছে, আর প্রশ্ন উঠছে, এটি কি মানুষের আচরণের ব্যর্থতা নাকি ট্রাফিক ব্যবস্থার ত্রুটি?
মানুষের আচরণও সমস্যার মূল-অনেকে ট্রাফিক আইনকে গুরুত্ব দেয় না। অনেকে ভাবেন, “একটু এগিয়ে গেলে কি হবে?” এই মনোভাবই দুর্ঘটনার ঝুঁকি বাড়ায়। পথচারীরাও অনেক সময় সবুজ সিগন্যালের জন্য অপেক্ষা না করে ব্যস্ততার মধ্যে রাস্তা পার হতে চান। এতে নিজের জীবন ঝুঁকির মধ্যে পড়ে এবং অন্যদেরও বিপদে ফেলেন।
কেবল মানুষের আচরণ নয়, ট্রাফিক ব্যবস্থাপনায় বিভিন্ন ত্রুটিও সিগন্যাল অমান্যকে উৎসাহিত করছে। অনেক সিগন্যাল ঠিকমতো কাজ করে না, কোথাও লাইট জ্বলে আবার কোথাও নষ্ট থাকে। অনেক জায়গায় সিগন্যালের সময়সীমা অযৌক্তিক হওয়ায় চালকরা বিরক্ত হয়ে নিয়ম উপেক্ষা করতে শুরু করেন। ট্রাফিক পুলিশের স্বল্পসংখ্যক জনবল, প্রযুক্তির সীমিত ব্যবহার এবং সিসিটিভি মনিটরিংয়ের দুর্বলতাও নিয়ম ভাঙার প্রবণতা বাড়িয়ে দিচ্ছে। সিস্টেম কার্যকর না হলে মানুষও নিয়ম মানতে আগ্রহ হারায়। ট্রাফিক সিগন্যাল অমান্য করার প্রবণতা কোনো বিচ্ছিন্ন সমস্যা নয়। এটি আমাদের সামাজিক দায়িত্ববোধ, প্রশাসনিক দক্ষতা এবং শহর ব্যবস্থাপনার সমন্বিত ব্যর্থতার প্রতিফলন। যদি আমরা এখনই নিয়ম মানার অভ্যাস না ফিরিয়ে আনতে পারি এবং ট্রাফিক ব্যবস্থার দুর্বলতা দূর করতে ব্যর্থ হই, তাহলে দুর্ঘটনার সংখ্যা বাড়তেই থাকবে। একটি নিরাপদ, শৃঙ্খলাবদ্ধ ও আধুনিক শহর গড়তে হলে মানুষ ও সিস্টেম-দু’য়েরই পরিবর্তন জরুরি। সড়কে শৃঙ্খলা ফিরে এলে বাঁচবে জীবন, বাঁচবে শহরের ভবিষ্যৎ।
জান্নাতুল ফেরদাউস অহনা