alt

ট্রাফিক সিগন্যাল অমান্য : মানুষের আচরণ নাকি সিস্টেমের ব্যর্থতা?

: মঙ্গলবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৫

শহরের রাস্তায় প্রতিদিনই দেখা যায় একই দৃশ্য-লাল সিগন্যাল থাকা সত্ত্বেও গাড়ি ছুটছে। পথচারী, রিকশাচালক, মোটরসাইকেল আরোহী থেকে শুরু করে প্রাইভেট কারের চালক-কেউই নিয়ম পূর্ণরূপে মানতে আগ্রহী নয়। এর ফলে সড়কে নৈরাজ্য সৃষ্টি হচ্ছে, দুর্ঘটনা বাড়ছে, আর প্রশ্ন উঠছে, এটি কি মানুষের আচরণের ব্যর্থতা নাকি ট্রাফিক ব্যবস্থার ত্রুটি?

মানুষের আচরণও সমস্যার মূল-অনেকে ট্রাফিক আইনকে গুরুত্ব দেয় না। অনেকে ভাবেন, “একটু এগিয়ে গেলে কি হবে?” এই মনোভাবই দুর্ঘটনার ঝুঁকি বাড়ায়। পথচারীরাও অনেক সময় সবুজ সিগন্যালের জন্য অপেক্ষা না করে ব্যস্ততার মধ্যে রাস্তা পার হতে চান। এতে নিজের জীবন ঝুঁকির মধ্যে পড়ে এবং অন্যদেরও বিপদে ফেলেন।

কেবল মানুষের আচরণ নয়, ট্রাফিক ব্যবস্থাপনায় বিভিন্ন ত্রুটিও সিগন্যাল অমান্যকে উৎসাহিত করছে। অনেক সিগন্যাল ঠিকমতো কাজ করে না, কোথাও লাইট জ্বলে আবার কোথাও নষ্ট থাকে। অনেক জায়গায় সিগন্যালের সময়সীমা অযৌক্তিক হওয়ায় চালকরা বিরক্ত হয়ে নিয়ম উপেক্ষা করতে শুরু করেন। ট্রাফিক পুলিশের স্বল্পসংখ্যক জনবল, প্রযুক্তির সীমিত ব্যবহার এবং সিসিটিভি মনিটরিংয়ের দুর্বলতাও নিয়ম ভাঙার প্রবণতা বাড়িয়ে দিচ্ছে। সিস্টেম কার্যকর না হলে মানুষও নিয়ম মানতে আগ্রহ হারায়। ট্রাফিক সিগন্যাল অমান্য করার প্রবণতা কোনো বিচ্ছিন্ন সমস্যা নয়। এটি আমাদের সামাজিক দায়িত্ববোধ, প্রশাসনিক দক্ষতা এবং শহর ব্যবস্থাপনার সমন্বিত ব্যর্থতার প্রতিফলন। যদি আমরা এখনই নিয়ম মানার অভ্যাস না ফিরিয়ে আনতে পারি এবং ট্রাফিক ব্যবস্থার দুর্বলতা দূর করতে ব্যর্থ হই, তাহলে দুর্ঘটনার সংখ্যা বাড়তেই থাকবে। একটি নিরাপদ, শৃঙ্খলাবদ্ধ ও আধুনিক শহর গড়তে হলে মানুষ ও সিস্টেম-দু’য়েরই পরিবর্তন জরুরি। সড়কে শৃঙ্খলা ফিরে এলে বাঁচবে জীবন, বাঁচবে শহরের ভবিষ্যৎ।

জান্নাতুল ফেরদাউস অহনা

ছবি

নিরাপদ ভোজ্য তেল ও ভিটামিন সমৃদ্ধকরণ

হাওর অঞ্চলের শিক্ষার উন্নয়নে তাৎক্ষণিক পদক্ষেপের প্রয়োজন

কসমেটিক সংস্কৃতি : সুন্দর হওয়ার চাপ নারীর মানসিক স্বাস্থ্যে কী করছে

মামলার রায় ও আইনের ভাষা হোক বাংলা

বেকারত্বের অভিশাপ বাংলাদেশের মাথায়

ছবি

মশার কয়েলের ধোঁয়া : ঘরের বাতাসের নীরব বিপদ

রাবির হলের খাবারে স্বাস্থবিধির সংকট

কুষ্টিয়া স্টেশনে যাত্রী দুর্ভোগ

চট্টগ্রাম বিমানবন্দর প্রবেশমুখ : টিনঘরে বন্দী সৌন্দর্য, সংস্কারের দাবি

ভূমিকম্পের ঝুঁকি নিরসনে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা শিক্ষা

ছবি

ভূমিকম্প : ঝুঁকি ও অরক্ষিত বাস্তবতা

ছবি

দখলমুক্ত ফুটপাত চাই

ভূমিদস্যুদের প্রকোপে অতিষ্ঠ কেরানিগঞ্জবাসী

বাকৃতিতে নেই পর্যাপ্ত ডাস্টবিন

যৌতুক প্রথা: এক সামাজিক অভিশাপের নীরব বিস্তার

দেশের রাজনীতির তিন দিগন্ত

ছবি

দেশীয় মাছের বিলুপ্তি ও পুনরুদ্ধার উদ্যোগ

ছবি

নয়া জাগরণের পথে দেশের ফুটবল

শিশুদের খেলার জায়গায় স্থায়ী মঞ্চ নয়

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের সৌন্দর্য

অগ্নিনির্বাপণে প্রস্তুতির ঘাটতি আমাদের বড় বিপদ

সহকারী প্রধান শিক্ষকদের বেতনবৈষম্য দূর হবে কবে?

ছবি

নারী কৃষকের অবদান ও স্বীকৃতি

ছবি

অনিয়ন্ত্রিত বালু উত্তোলনে বাড়ছে নদীভাঙন

খেলার মাঠ নেই, হারিয়ে যাচ্ছে শৈশব ও শহরের প্রাণ

নদীমাতৃক দেশ এখন নদীহীন হওয়ার পথে

বাল্যবিবাহ রোধে দরকার সচেতনতা ও সহায়তা

বৈষম্যের স্বীকার প্রাথমিক শিক্ষক

ছবি

নরোত্তমপুর কমিউনিটি ক্লিনিক বন্ধ, ভোগান্তিতে গ্রামীণ জনগণ

ছবি

একের পর এক কারখানা বন্ধ, টালমাটাল অর্থনীতি

রেলওয়ের টিকেট বুকিং একাউন্টে নম্বর পরিবর্তন

বাইক থেকে ইজিবাইক : নগর জীবনে গতি, ঝুঁকি ও বাস্তবতা

বিশ্ববিদ্যালয়ে মানসিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র চালু করা সময়ের দাবি

নদী বাঁচাতে হবে, জীবন বাঁচাতে হবে

ছবি

পেঁয়াজের ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত করুন

পারিবারিক বন্ধনের ভাঙন

tab

ট্রাফিক সিগন্যাল অমান্য : মানুষের আচরণ নাকি সিস্টেমের ব্যর্থতা?

মঙ্গলবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৫

শহরের রাস্তায় প্রতিদিনই দেখা যায় একই দৃশ্য-লাল সিগন্যাল থাকা সত্ত্বেও গাড়ি ছুটছে। পথচারী, রিকশাচালক, মোটরসাইকেল আরোহী থেকে শুরু করে প্রাইভেট কারের চালক-কেউই নিয়ম পূর্ণরূপে মানতে আগ্রহী নয়। এর ফলে সড়কে নৈরাজ্য সৃষ্টি হচ্ছে, দুর্ঘটনা বাড়ছে, আর প্রশ্ন উঠছে, এটি কি মানুষের আচরণের ব্যর্থতা নাকি ট্রাফিক ব্যবস্থার ত্রুটি?

মানুষের আচরণও সমস্যার মূল-অনেকে ট্রাফিক আইনকে গুরুত্ব দেয় না। অনেকে ভাবেন, “একটু এগিয়ে গেলে কি হবে?” এই মনোভাবই দুর্ঘটনার ঝুঁকি বাড়ায়। পথচারীরাও অনেক সময় সবুজ সিগন্যালের জন্য অপেক্ষা না করে ব্যস্ততার মধ্যে রাস্তা পার হতে চান। এতে নিজের জীবন ঝুঁকির মধ্যে পড়ে এবং অন্যদেরও বিপদে ফেলেন।

কেবল মানুষের আচরণ নয়, ট্রাফিক ব্যবস্থাপনায় বিভিন্ন ত্রুটিও সিগন্যাল অমান্যকে উৎসাহিত করছে। অনেক সিগন্যাল ঠিকমতো কাজ করে না, কোথাও লাইট জ্বলে আবার কোথাও নষ্ট থাকে। অনেক জায়গায় সিগন্যালের সময়সীমা অযৌক্তিক হওয়ায় চালকরা বিরক্ত হয়ে নিয়ম উপেক্ষা করতে শুরু করেন। ট্রাফিক পুলিশের স্বল্পসংখ্যক জনবল, প্রযুক্তির সীমিত ব্যবহার এবং সিসিটিভি মনিটরিংয়ের দুর্বলতাও নিয়ম ভাঙার প্রবণতা বাড়িয়ে দিচ্ছে। সিস্টেম কার্যকর না হলে মানুষও নিয়ম মানতে আগ্রহ হারায়। ট্রাফিক সিগন্যাল অমান্য করার প্রবণতা কোনো বিচ্ছিন্ন সমস্যা নয়। এটি আমাদের সামাজিক দায়িত্ববোধ, প্রশাসনিক দক্ষতা এবং শহর ব্যবস্থাপনার সমন্বিত ব্যর্থতার প্রতিফলন। যদি আমরা এখনই নিয়ম মানার অভ্যাস না ফিরিয়ে আনতে পারি এবং ট্রাফিক ব্যবস্থার দুর্বলতা দূর করতে ব্যর্থ হই, তাহলে দুর্ঘটনার সংখ্যা বাড়তেই থাকবে। একটি নিরাপদ, শৃঙ্খলাবদ্ধ ও আধুনিক শহর গড়তে হলে মানুষ ও সিস্টেম-দু’য়েরই পরিবর্তন জরুরি। সড়কে শৃঙ্খলা ফিরে এলে বাঁচবে জীবন, বাঁচবে শহরের ভবিষ্যৎ।

জান্নাতুল ফেরদাউস অহনা

back to top