বেকারত্বের অভিশাপে দগ্ধ ও বিধ্বস্ত এখন বাংলাদেশ। বেকারত্ব বাংলাদেশের অন্যতম প্রধান সামাজিক সমস্যা। সাধারণ অর্থে কর্মক্ষম ব্যক্তির কর্মসংস্থানের অভাবকে বেকারত্ব বলা হয়। সমাজতাত্ত্বিক দৃষ্টিকোণ থেকে পারিশ্রমিকের বিনিময়ে কাজ করার ইচ্ছে থাকা সত্ত্বেও কর্মক্ষম ব্যক্তির কর্মসংস্থান না হওয়াকে বেকারত্ব বলে।
বাংলাদেশে বেকারত্বএখন আর শুধু অভিশাপই নয় মরণঘাতী ব্যাধিতে তা রূপান্তরিত হয়েছে। বেকারদের মধ্যে অধিকাংশই শিক্ষিত। স্নাতক ও স্নাতকোত্তর শেষ করেও তারা সামান্য একটা চাকরি লাভে ব্যর্থ। এই শিক্ষিত বেকারদের মাঝে আত্মঘাতী হওয়ার প্রবণতা দিনে দিনে বৃদ্ধি পাচ্ছে।
বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস)-এর সর্বশেষ ত্রৈমাসিক শ্রমশক্তি জরিপের তথ্য অনুযায়ী চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে (অক্টোবর-ডিসেম্বর) দেশে কোরত্বের হার বেড়ে ৪ দশমিক ৬৩ শতাংশে দাড়িয়েছে। যার আগের অর্থবছরের একই সময়ে হার ছিল ৩ দশমিক ৯৫ শতাংশ। স্পষ্টতই, এখানে বেকারত্বের হার বৃদ্ধি লক্ষণীয়।
বংলাদেশে বেকারত্বের প্রধান কারণগুলো হলো- অতিরিক্ত জনসংখ্যা, কর্মসংস্থানের তুলনায় কর্মক্ষম মানুষের আধিক্য, অনুন্নত ও কৃষিভিত্তিক অর্থনীতি, কারিগরি ও দক্ষতাভিত্তিক শিক্ষার অভাব, মূলধনের অভাব এবং অর্থনৈতিক সংস্কারের কারণে কর্মসংস্থান সংকুচিত হওয়া, ইত্যাদি।
ভবিষ্যৎ বেকারত্ব দুরীকরণের অভিপ্রায়ে প্রয়োজন মানব উন্নয়নের মাধ্যমে দারিদ্র্য নিরসন ও আত্ম-কর্মসংস্থান সৃষ্টি। নয়তো এই কর্মহীনতা মানুষকে শিক্ষাবিমুখ করে তুলবে, যা দেশের জন্যে ভয়াবহ বার্তা নিয়ে আসবে।
আরমান হোসেন
ইপেপার
জাতীয়
সারাদেশ
আন্তর্জাতিক
নগর-মহানগর
খেলা
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
শিক্ষা
অর্থ-বাণিজ্য
সংস্কৃতি
ক্যাম্পাস
মিডিয়া
অপরাধ ও দুর্নীতি
রাজনীতি
শোক ও স্মরন
প্রবাস
নারীর প্রতি সহিংসতা
বিনোদন
সম্পাদকীয়
উপ-সম্পাদকীয়
মুক্ত আলোচনা
চিঠিপত্র
পাঠকের চিঠি
মঙ্গলবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৫
বেকারত্বের অভিশাপে দগ্ধ ও বিধ্বস্ত এখন বাংলাদেশ। বেকারত্ব বাংলাদেশের অন্যতম প্রধান সামাজিক সমস্যা। সাধারণ অর্থে কর্মক্ষম ব্যক্তির কর্মসংস্থানের অভাবকে বেকারত্ব বলা হয়। সমাজতাত্ত্বিক দৃষ্টিকোণ থেকে পারিশ্রমিকের বিনিময়ে কাজ করার ইচ্ছে থাকা সত্ত্বেও কর্মক্ষম ব্যক্তির কর্মসংস্থান না হওয়াকে বেকারত্ব বলে।
বাংলাদেশে বেকারত্বএখন আর শুধু অভিশাপই নয় মরণঘাতী ব্যাধিতে তা রূপান্তরিত হয়েছে। বেকারদের মধ্যে অধিকাংশই শিক্ষিত। স্নাতক ও স্নাতকোত্তর শেষ করেও তারা সামান্য একটা চাকরি লাভে ব্যর্থ। এই শিক্ষিত বেকারদের মাঝে আত্মঘাতী হওয়ার প্রবণতা দিনে দিনে বৃদ্ধি পাচ্ছে।
বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস)-এর সর্বশেষ ত্রৈমাসিক শ্রমশক্তি জরিপের তথ্য অনুযায়ী চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে (অক্টোবর-ডিসেম্বর) দেশে কোরত্বের হার বেড়ে ৪ দশমিক ৬৩ শতাংশে দাড়িয়েছে। যার আগের অর্থবছরের একই সময়ে হার ছিল ৩ দশমিক ৯৫ শতাংশ। স্পষ্টতই, এখানে বেকারত্বের হার বৃদ্ধি লক্ষণীয়।
বংলাদেশে বেকারত্বের প্রধান কারণগুলো হলো- অতিরিক্ত জনসংখ্যা, কর্মসংস্থানের তুলনায় কর্মক্ষম মানুষের আধিক্য, অনুন্নত ও কৃষিভিত্তিক অর্থনীতি, কারিগরি ও দক্ষতাভিত্তিক শিক্ষার অভাব, মূলধনের অভাব এবং অর্থনৈতিক সংস্কারের কারণে কর্মসংস্থান সংকুচিত হওয়া, ইত্যাদি।
ভবিষ্যৎ বেকারত্ব দুরীকরণের অভিপ্রায়ে প্রয়োজন মানব উন্নয়নের মাধ্যমে দারিদ্র্য নিরসন ও আত্ম-কর্মসংস্থান সৃষ্টি। নয়তো এই কর্মহীনতা মানুষকে শিক্ষাবিমুখ করে তুলবে, যা দেশের জন্যে ভয়াবহ বার্তা নিয়ে আসবে।
আরমান হোসেন