alt

মামলার রায় ও আইনের ভাষা হোক বাংলা

: মঙ্গলবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৫

বাংলাদেশের সংবিধানের ৩ অনুচ্ছেদে স্পষ্ট বলা হয়েছে, ‘প্রজাতন্ত্রের রাষ্ট্রভাষা বাংলা’। এতে বলা হয়েছে, ‘এ আইন প্রবর্তনের পর বাংলাদেশের সর্বত্র তথা সরকারি অফিস-আদালত, আধা সরকারি ও স্বায়ত্বশাসিত প্রতিষ্ঠান কর্তৃক বিদেশের সাথে যোগাযোগ ব্যতীত অন্যান্য সকল ক্ষেত্রে নথি ও চিঠিপত্র, আইন আদালতের সওয়াল-জওয়াব এবং অন্যান্য আইনানুগ কার্যাবলী অবশ্যই বাংলায় লিখতে হবে’। তাথপিও নিম্ন আদালতের বিচারিক কাজে বাংলা ভাষা ব্যবহার বাড়লেও, উচ্চ আদালতে এখনও তা উপেক্ষিত। উচ্চ আদালতে বেশিরভাগ রায় বা আদেশ ইংরেজিতে দেয়া হয়। তাছাড়া সকল আইন এখনো ইংরেজী ভাষায় প্রনয়ন করা হয়। যা সাধারণ জনগণ সহজে বুঝতে অক্ষম। অতি গুরুত্বপূর্ণ অনুচ্ছেদটি জাতীয় জীবনের সর্বক্ষেত্রে বাংলা ভাষা প্রচলনের নির্দেশ দিয়েছে বলে মনে করা হয়।

বাংলা ভাষা বিশ্ব দরবারে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা হিসেবে স্বীকৃতি লাভ করেছে, কিন্তু বাংলা ভাষার এই দেশের উচ্চ আদালতসহ অনেক ক্ষেত্রেই উপেক্ষিত। তাই আইন ও রায় গুলো বাংলায় দেওয়া উচিত। এদেশের বেশিরভাগ আইন ব্রিটিশ আমলের। যেমন, বিএলডি, ডিএলআর এগুলো এখোনা ইংরেজীতে রয়েছে। এসব বাংলায় হওয়া উচিত। সংসদে পাশ হওয়া আইনগুলো বাংলায় করার উদ্যোগ নেয়া দরকার। এ জাতি আজ স্বাধীনতার ৫৪ বছর পরেও উচ্চ আদালতসহ সর্বস্তরে বাংলা ভাষা কার্যকর না হওয়ার বেদনা থেকে মুক্ত হতে চায়। তাই যে বাংলা ভাষার জন্য ২১ ফেব্রুয়ারি বিশ্বব্যপি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে পালন করা হয়।

সেই মহান ভাষার স্বাধীন দেশের একজন নাগরিক হিসেবে, দেশের সকল ক্ষেত্রে বিশেষ করে আইন, আবেদন-নিবেদন, আপীল, ডিক্রী ও রায় প্রদানে শতভাগ বাংলা ভাষা ব্যবহারের জোর দাবি জানাচ্ছি।

মোশারফ হোসাই

ছবি

নিরাপদ ভোজ্য তেল ও ভিটামিন সমৃদ্ধকরণ

হাওর অঞ্চলের শিক্ষার উন্নয়নে তাৎক্ষণিক পদক্ষেপের প্রয়োজন

কসমেটিক সংস্কৃতি : সুন্দর হওয়ার চাপ নারীর মানসিক স্বাস্থ্যে কী করছে

বেকারত্বের অভিশাপ বাংলাদেশের মাথায়

ছবি

ট্রাফিক সিগন্যাল অমান্য : মানুষের আচরণ নাকি সিস্টেমের ব্যর্থতা?

ছবি

মশার কয়েলের ধোঁয়া : ঘরের বাতাসের নীরব বিপদ

রাবির হলের খাবারে স্বাস্থবিধির সংকট

কুষ্টিয়া স্টেশনে যাত্রী দুর্ভোগ

চট্টগ্রাম বিমানবন্দর প্রবেশমুখ : টিনঘরে বন্দী সৌন্দর্য, সংস্কারের দাবি

ভূমিকম্পের ঝুঁকি নিরসনে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা শিক্ষা

ছবি

ভূমিকম্প : ঝুঁকি ও অরক্ষিত বাস্তবতা

ছবি

দখলমুক্ত ফুটপাত চাই

ভূমিদস্যুদের প্রকোপে অতিষ্ঠ কেরানিগঞ্জবাসী

বাকৃতিতে নেই পর্যাপ্ত ডাস্টবিন

যৌতুক প্রথা: এক সামাজিক অভিশাপের নীরব বিস্তার

দেশের রাজনীতির তিন দিগন্ত

ছবি

দেশীয় মাছের বিলুপ্তি ও পুনরুদ্ধার উদ্যোগ

ছবি

নয়া জাগরণের পথে দেশের ফুটবল

শিশুদের খেলার জায়গায় স্থায়ী মঞ্চ নয়

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের সৌন্দর্য

অগ্নিনির্বাপণে প্রস্তুতির ঘাটতি আমাদের বড় বিপদ

সহকারী প্রধান শিক্ষকদের বেতনবৈষম্য দূর হবে কবে?

ছবি

নারী কৃষকের অবদান ও স্বীকৃতি

ছবি

অনিয়ন্ত্রিত বালু উত্তোলনে বাড়ছে নদীভাঙন

খেলার মাঠ নেই, হারিয়ে যাচ্ছে শৈশব ও শহরের প্রাণ

নদীমাতৃক দেশ এখন নদীহীন হওয়ার পথে

বাল্যবিবাহ রোধে দরকার সচেতনতা ও সহায়তা

বৈষম্যের স্বীকার প্রাথমিক শিক্ষক

ছবি

নরোত্তমপুর কমিউনিটি ক্লিনিক বন্ধ, ভোগান্তিতে গ্রামীণ জনগণ

ছবি

একের পর এক কারখানা বন্ধ, টালমাটাল অর্থনীতি

রেলওয়ের টিকেট বুকিং একাউন্টে নম্বর পরিবর্তন

বাইক থেকে ইজিবাইক : নগর জীবনে গতি, ঝুঁকি ও বাস্তবতা

বিশ্ববিদ্যালয়ে মানসিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র চালু করা সময়ের দাবি

নদী বাঁচাতে হবে, জীবন বাঁচাতে হবে

ছবি

পেঁয়াজের ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত করুন

পারিবারিক বন্ধনের ভাঙন

tab

মামলার রায় ও আইনের ভাষা হোক বাংলা

মঙ্গলবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৫

বাংলাদেশের সংবিধানের ৩ অনুচ্ছেদে স্পষ্ট বলা হয়েছে, ‘প্রজাতন্ত্রের রাষ্ট্রভাষা বাংলা’। এতে বলা হয়েছে, ‘এ আইন প্রবর্তনের পর বাংলাদেশের সর্বত্র তথা সরকারি অফিস-আদালত, আধা সরকারি ও স্বায়ত্বশাসিত প্রতিষ্ঠান কর্তৃক বিদেশের সাথে যোগাযোগ ব্যতীত অন্যান্য সকল ক্ষেত্রে নথি ও চিঠিপত্র, আইন আদালতের সওয়াল-জওয়াব এবং অন্যান্য আইনানুগ কার্যাবলী অবশ্যই বাংলায় লিখতে হবে’। তাথপিও নিম্ন আদালতের বিচারিক কাজে বাংলা ভাষা ব্যবহার বাড়লেও, উচ্চ আদালতে এখনও তা উপেক্ষিত। উচ্চ আদালতে বেশিরভাগ রায় বা আদেশ ইংরেজিতে দেয়া হয়। তাছাড়া সকল আইন এখনো ইংরেজী ভাষায় প্রনয়ন করা হয়। যা সাধারণ জনগণ সহজে বুঝতে অক্ষম। অতি গুরুত্বপূর্ণ অনুচ্ছেদটি জাতীয় জীবনের সর্বক্ষেত্রে বাংলা ভাষা প্রচলনের নির্দেশ দিয়েছে বলে মনে করা হয়।

বাংলা ভাষা বিশ্ব দরবারে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা হিসেবে স্বীকৃতি লাভ করেছে, কিন্তু বাংলা ভাষার এই দেশের উচ্চ আদালতসহ অনেক ক্ষেত্রেই উপেক্ষিত। তাই আইন ও রায় গুলো বাংলায় দেওয়া উচিত। এদেশের বেশিরভাগ আইন ব্রিটিশ আমলের। যেমন, বিএলডি, ডিএলআর এগুলো এখোনা ইংরেজীতে রয়েছে। এসব বাংলায় হওয়া উচিত। সংসদে পাশ হওয়া আইনগুলো বাংলায় করার উদ্যোগ নেয়া দরকার। এ জাতি আজ স্বাধীনতার ৫৪ বছর পরেও উচ্চ আদালতসহ সর্বস্তরে বাংলা ভাষা কার্যকর না হওয়ার বেদনা থেকে মুক্ত হতে চায়। তাই যে বাংলা ভাষার জন্য ২১ ফেব্রুয়ারি বিশ্বব্যপি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে পালন করা হয়।

সেই মহান ভাষার স্বাধীন দেশের একজন নাগরিক হিসেবে, দেশের সকল ক্ষেত্রে বিশেষ করে আইন, আবেদন-নিবেদন, আপীল, ডিক্রী ও রায় প্রদানে শতভাগ বাংলা ভাষা ব্যবহারের জোর দাবি জানাচ্ছি।

মোশারফ হোসাই

back to top