বাংলাদেশের সংবিধানের ৩ অনুচ্ছেদে স্পষ্ট বলা হয়েছে, ‘প্রজাতন্ত্রের রাষ্ট্রভাষা বাংলা’। এতে বলা হয়েছে, ‘এ আইন প্রবর্তনের পর বাংলাদেশের সর্বত্র তথা সরকারি অফিস-আদালত, আধা সরকারি ও স্বায়ত্বশাসিত প্রতিষ্ঠান কর্তৃক বিদেশের সাথে যোগাযোগ ব্যতীত অন্যান্য সকল ক্ষেত্রে নথি ও চিঠিপত্র, আইন আদালতের সওয়াল-জওয়াব এবং অন্যান্য আইনানুগ কার্যাবলী অবশ্যই বাংলায় লিখতে হবে’। তাথপিও নিম্ন আদালতের বিচারিক কাজে বাংলা ভাষা ব্যবহার বাড়লেও, উচ্চ আদালতে এখনও তা উপেক্ষিত। উচ্চ আদালতে বেশিরভাগ রায় বা আদেশ ইংরেজিতে দেয়া হয়। তাছাড়া সকল আইন এখনো ইংরেজী ভাষায় প্রনয়ন করা হয়। যা সাধারণ জনগণ সহজে বুঝতে অক্ষম। অতি গুরুত্বপূর্ণ অনুচ্ছেদটি জাতীয় জীবনের সর্বক্ষেত্রে বাংলা ভাষা প্রচলনের নির্দেশ দিয়েছে বলে মনে করা হয়।
বাংলা ভাষা বিশ্ব দরবারে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা হিসেবে স্বীকৃতি লাভ করেছে, কিন্তু বাংলা ভাষার এই দেশের উচ্চ আদালতসহ অনেক ক্ষেত্রেই উপেক্ষিত। তাই আইন ও রায় গুলো বাংলায় দেওয়া উচিত। এদেশের বেশিরভাগ আইন ব্রিটিশ আমলের। যেমন, বিএলডি, ডিএলআর এগুলো এখোনা ইংরেজীতে রয়েছে। এসব বাংলায় হওয়া উচিত। সংসদে পাশ হওয়া আইনগুলো বাংলায় করার উদ্যোগ নেয়া দরকার। এ জাতি আজ স্বাধীনতার ৫৪ বছর পরেও উচ্চ আদালতসহ সর্বস্তরে বাংলা ভাষা কার্যকর না হওয়ার বেদনা থেকে মুক্ত হতে চায়। তাই যে বাংলা ভাষার জন্য ২১ ফেব্রুয়ারি বিশ্বব্যপি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে পালন করা হয়।
সেই মহান ভাষার স্বাধীন দেশের একজন নাগরিক হিসেবে, দেশের সকল ক্ষেত্রে বিশেষ করে আইন, আবেদন-নিবেদন, আপীল, ডিক্রী ও রায় প্রদানে শতভাগ বাংলা ভাষা ব্যবহারের জোর দাবি জানাচ্ছি।
মোশারফ হোসাই
ইপেপার
জাতীয়
সারাদেশ
আন্তর্জাতিক
নগর-মহানগর
খেলা
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
শিক্ষা
অর্থ-বাণিজ্য
সংস্কৃতি
ক্যাম্পাস
মিডিয়া
অপরাধ ও দুর্নীতি
রাজনীতি
শোক ও স্মরন
প্রবাস
নারীর প্রতি সহিংসতা
বিনোদন
সম্পাদকীয়
উপ-সম্পাদকীয়
মুক্ত আলোচনা
চিঠিপত্র
পাঠকের চিঠি
মঙ্গলবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৫
বাংলাদেশের সংবিধানের ৩ অনুচ্ছেদে স্পষ্ট বলা হয়েছে, ‘প্রজাতন্ত্রের রাষ্ট্রভাষা বাংলা’। এতে বলা হয়েছে, ‘এ আইন প্রবর্তনের পর বাংলাদেশের সর্বত্র তথা সরকারি অফিস-আদালত, আধা সরকারি ও স্বায়ত্বশাসিত প্রতিষ্ঠান কর্তৃক বিদেশের সাথে যোগাযোগ ব্যতীত অন্যান্য সকল ক্ষেত্রে নথি ও চিঠিপত্র, আইন আদালতের সওয়াল-জওয়াব এবং অন্যান্য আইনানুগ কার্যাবলী অবশ্যই বাংলায় লিখতে হবে’। তাথপিও নিম্ন আদালতের বিচারিক কাজে বাংলা ভাষা ব্যবহার বাড়লেও, উচ্চ আদালতে এখনও তা উপেক্ষিত। উচ্চ আদালতে বেশিরভাগ রায় বা আদেশ ইংরেজিতে দেয়া হয়। তাছাড়া সকল আইন এখনো ইংরেজী ভাষায় প্রনয়ন করা হয়। যা সাধারণ জনগণ সহজে বুঝতে অক্ষম। অতি গুরুত্বপূর্ণ অনুচ্ছেদটি জাতীয় জীবনের সর্বক্ষেত্রে বাংলা ভাষা প্রচলনের নির্দেশ দিয়েছে বলে মনে করা হয়।
বাংলা ভাষা বিশ্ব দরবারে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা হিসেবে স্বীকৃতি লাভ করেছে, কিন্তু বাংলা ভাষার এই দেশের উচ্চ আদালতসহ অনেক ক্ষেত্রেই উপেক্ষিত। তাই আইন ও রায় গুলো বাংলায় দেওয়া উচিত। এদেশের বেশিরভাগ আইন ব্রিটিশ আমলের। যেমন, বিএলডি, ডিএলআর এগুলো এখোনা ইংরেজীতে রয়েছে। এসব বাংলায় হওয়া উচিত। সংসদে পাশ হওয়া আইনগুলো বাংলায় করার উদ্যোগ নেয়া দরকার। এ জাতি আজ স্বাধীনতার ৫৪ বছর পরেও উচ্চ আদালতসহ সর্বস্তরে বাংলা ভাষা কার্যকর না হওয়ার বেদনা থেকে মুক্ত হতে চায়। তাই যে বাংলা ভাষার জন্য ২১ ফেব্রুয়ারি বিশ্বব্যপি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে পালন করা হয়।
সেই মহান ভাষার স্বাধীন দেশের একজন নাগরিক হিসেবে, দেশের সকল ক্ষেত্রে বিশেষ করে আইন, আবেদন-নিবেদন, আপীল, ডিক্রী ও রায় প্রদানে শতভাগ বাংলা ভাষা ব্যবহারের জোর দাবি জানাচ্ছি।
মোশারফ হোসাই